![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবার বসন্ত আসবে, আবার গাছে গাছে ফুল ফুটবে তখন শুধু............. সুকান্ত ভট্রাচার্য্য
দালাল, বাবু, সর্দ্দারনী, ছুকরী, মাসী, খদ্দের বা ক্লাইন্ট, নেশাখোর, এরা হলো যৌনপল্লীর প্রাণ। যৌনপল্লীতে এ চরিত্র গুলো একে অন্যের সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এখানে একটি চরিত্র বাদ দিলে যৌনপল্লী জমে উঠবে না। এরা সবাই যে যার যার ভূমিকায় অবতীর্ন, এদের কাজের গতি ও প্রকৃতি ভিন্ন ভিন্ন। আসুন দেখি, এরা কে কি কাজ করে।
দালাল - শব্দটি শুনলেই এর কাজের প্রকৃতি বুঝা যায়। এখানে এদেরকে প্রতারক বললেও ভুল বলা হবে না। দালাল সম্পর্কে এর আগের পর্বে লিখেছি। কিভাবে ওরা যৌনপল্লীতে আসে এবং কেন বেরুতে পারে না (১৮ +)
বাবু - বাবু'রা যৌনকর্মীদের স্বামীর ভূমিকা পালন করে এবং এখানকার সবচেয়ে সুবিধা ভোগী মানুষ। যৌনকর্মীদের ভালবাসার আরেক নাম বাবু। যৌনকর্মীরা বাবু'দের খুব ভালবাসেন। কারণ ভালবাসার মাধ্যমেই তাদের এ সম্পর্ক স্থাপিত হয়। আসলে প্রত্যেক মানুষই বাঁচার জন্য অবলম্বন খোঁজে, তাদের ধারনা বাবু'রা তাদের অবলম্বন। ধারনাটি মিথ্যে হয় তখন, যখন বাবু'রা তাদের সর্বস্ব কেড়ে নেয়। বাবু'দের ভরন-পোষন ও নেশার টাকা পর্যন্ত তারা দিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, অনেক সময় দেখা যায়, বাবু'দের বাইরের যে পরিবার আছে, তাদের স্ত্রী, সন্তান ও পরিবার পরিজনকে তারা কেনা কাটা করে দিচ্ছেন। বিশেষ করে ধর্মীয় উৎসব হলে তো কথাই নেই। তাদের ভালবাসার মানুষটির মন জয় করার জন্যেই যৌনকর্মীরা এগুলো করে থাকে। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রায় প্রত্যেক বাবু'রই কিন্তু আলাদা একটি পরিবার আছে। যারা যৌনপল্লীতে নয়, বাইরে থাকে। ভালবাসা'র ফাঁদে ফেলে এরা যৌনকর্মী'দের টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়, এরপর ছুড়ে ফেলে দেয়। এমন নজির কম নয়, তবুও ওরা বাবু ছাড়া একদম চলতে পারে না। আবার আবার বেছে নেয় অন্য বাবু।
সর্দারনী - এরা সাবেক যৌনকর্মী। বয়স হয়ে যাওয়ায় তারা এখন আর যৌনকর্ম করতে পারে না। ফলে তারা দালালদের মাধ্যমে যৌনকর্মী কিনে এনে তাদের দিয়ে ব্যবসা করায়। এদের অধীনে কিছু যৌনকর্মী থাকে তারা ছুকরি নামে পরিচিত। ছুকরিদের উপার্জিত টাকা-পয়সা আবার ঐ সর্দারনী নিয়ে নেয়। বিনিময়ে ঘরভাড়া, খাবার-দাবার, কাপড়-চোপড় সর্দারনীরা দিয়ে থাকে ।
ছুকরী - ছুকরীরা সর্দারনীর অধীন। সর্দারনীদের কথা ছাড়া তারা স্বাধীন ভাবে চলতে পারে না। ছুকরীরা আবার যৌনকর্ম ছাড়া অন্য কিছু করে না। এমনকি রান্না-বান্না, কাপড়-চোপড়, ঘর ধোঁয়া মুছার কাজও করতে হয় না তাদের।
মাসী - বয়স্ক যৌনকর্মীরা যখন যৌনকর্ম করতে পারে না, তখন তারা অন্যের বাড়িতে কাজ করে। রান্না-বান্না, বাজার করা, কাপড়-চোপড় ধোঁয়া,ঘর-দোয়ার পরিস্কার এ সব মাসীদের কাজ। অবশ্য যাদের টাকা-পয়সা, প্রভাব প্রতিপত্তি আছে, তারা সর্দারনী হয়ে যায়। আর যাদের টাকা-পয়সা নেই, তারা বেঁচে থাকার জন্য মাসীর কাজ করতে বাধ্য হয়।
খদ্দের বা ক্লাইন্ট - যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য যারা যৌনপল্লীতে যায় তারা খদ্দের বা ক্লাইন্ট হিসেবে পরিচিত। খদ্দেরদের আগমনে যৌনপল্লী মুখরিত হয়ে উঠে ও যৌনকর্মীদের মুখে হাসি ফুটে। খদ্দেরদের মন ভুলানো বা আকৃষ্ট জন্য যৌনকর্মীরা বাড়াড়ি রকমের সাজ-গোজ পর্যন্ত করে।যা তাদের সৌন্দর্যকে আরো বিস্ত্রী করে তুলে।
নেশাখোর - যারা বিভিন্ন ধরনের মাদকাশক্ত, তাদের নেশা করার জায়গা হিসেবে যৌনপল্লী নিরাপদ স্থান। এখানে এসে মাদকাশক্তরা নেশা করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। বিশেষ করে পুলিশের হয়রানির স্বীকার কম হতে হয় । সন্ধ্যার পর সাধারনত নেশাখোররা ভীড় জমান।
আজ এ পযন্তই।
ছবি গুগল থেকে নেয়া।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: বলারও আছে অনেক কিছু।
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০২
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: পোষ্টটি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩
অন্য জীবন বলেছেন: জানার বাকি অনেক কিছু।