নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।
হযরত বড় পীর সাহেবের আসন – রাউজান, চট্টগ্রাম
এটা রাউজান থানার পাঁচখাইন গ্রামে অবস্থিত। এখানে হযরত বড় পীর সাহেবের পবিত্র কদম শরীফের চিহ্ন রয়েছে। একদা হযরত মাওলানা সৈয়্যদ আহমদ শাহ্সিরিকোটি (রহঃ) পার্শ্ববর্তী নদী দিয়ে লঞ্চযোগে তাঁর অতি প্রিয় মুরীদ ও খলীফা সূফী আবদুল গফুর সাহেবের গ্রামের বাড়ীত যাচ্ছিলেন। কাপ্তাই সড়ক তখনও নির্মিত হয় নাই। তিনি এ স্থানের নিকটবর্তী হলে জিজ্ঞাসা করেন, “এখানে কী আছে? গাউসে পাকের সুগন্ধি পাচ্ছি?” সূফী সাহেব উত্তর দিলেন, “এখানে হযরত বড় পীর সাহেবের আসন নামে কথিত একটা জায়গা আছে।” একথা শুনে হযরত মাওলানা সৈয়্যদ আহমদ শাহ্সিরিকোটি (রহঃ) বল্লেন, “সচ হ্যাঁয়! সচ হ্যাঁয়! সুবহানআল্লাহ! আল্লাহ্র অলীগনের নযর কত সুক্ষ। তাঁরা কাছে ও দুরের সব জিনিষ সমানভাবে দেখতে পারেন।
উল্লেখ্য যে, এই হযরত বড় পীর সাহেবের আসন বা দরগাহ এর ভিতরে একজন দুনিয়াত্যাগী বুযুর্গ’র মাযার রয়েছে। তাঁর নাম আসল নাম হযরত কাযেম আলী শাহ্ (রহঃ)। তবে লোকে তাঁকে ঢাকায়ালী শাহ্ নামেই বেশী চিনে। তিনি ঢাকার বসিন্দা ছিলেন বলে জানা যায়। কথিত আছে যে, ওনার ওফাতের প্রায় ১৬ বছর পর মাযার পাকা করার সময় তাঁর শরীর এবং কাফনের কাপড় অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। সুবহানআল্লাহ!
তথ্যসুত্র ঃ তাযকেরাতুল কেরাম-১, পৃষ্টা # ৩২১-২২, প্রকাশনায়- আল্লামা হাশেমী ইসলামী মিশন, বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.