নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুনভাবে নিজের চিন্তার শক্তি আর ভাবনার বিশ্লেষণ করার সামর্থ অর্জনের জায়গা হল ব্লগ। বিচিত্র ভাবনারাশির আলোয় নিজেকে আলোড়িত আর আলোকিত করার উদ্দেশেই আমরা ব্লগে আসি। অবসর সময়টাকে ভালোভাবে কাটানোর জন্য এর চেয়ে মোক্ষম উপায় আর নেই। তদুপরি বিনোদন এখানে উপরি পাওনা

এস এম ইসমাঈল

মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।

এস এম ইসমাঈল › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবলিগ জামাত

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

বিশ্ব বরেণ্য আলেমদের
দৃষ্টিতে তাবলীগ জামাত ও গ্রন্থসমূহ :
১. সঊদী আরবের প্রধান মুফতী ও
ইসলামী গবেষণা ও ফাতাওয়া অধিদপ্তর
এর মহাপরিচালক এবং সর্বোচ্চ
ওলামা পরিষদের প্রধান শায়খ আব্দুল আযীয
বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রহঃ) বলেন,
তাবলীগপন্থীদের নিকট
আকীবদা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নেই
এবং তাদের নিকট রয়েছে কিছু কুসংস্কার,
বিদ‘আত ও শিরকী কার্যক্রম।
সুতরাং তাদের সাথে বের হওয়া জায়েয
নয়। তাদের নিকট ইসলাম
সম্পর্কে জ্ঞানের ঘাটতি রয়েছে।
তাদের আরো অধিক ইসলামী শরী‘আহর
সঠিক জ্ঞানের প্রয়োজন এবং কুরআন ও
হাদীছ সম্পর্কে বিজ্ঞ আলেমের
প্রয়োজন,
যাতে তারা তাদেরকে তাওহীদ ও
সুন্নাহর জ্ঞানে আলোকিত করবেন।[19]
২. সঊদী আরবের সর্বোচ্চ
ওলামা পরিষদের সদস্য এবং জাতীয়
ফাতাওয়া বোর্ডের স্থায়ী সদস্য মুহাম্মাদ
বিন সালেহ আল-উছায়মীন (রহঃ) বলেন,
ইলিয়াসী তাবলীগ জামায়াত পন্থীদের
অনুরোধ করছি, তারা যেন তা পরিত্যাগ
করেন এবং রাসূল (ছাঃ) থেকে প্রমাণিত
আমল অনুযায়ী আমল করেন। এটাই তাদের
জন্য উত্তম এবং প্রতিফলও ভাল
হবে এবং তাদের মধ্যে যারা তাদের
বানানো ছয় উছূলকে নিজের চলার জন্য
মূলভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করেছে,
তারা যেন এই চিন্তাধারা পরিবর্তন
করে ছহীহ হাদীছের দিকে যেন
ফিরে যায়। তারা যা করছে তা শরী‘আত
সম্মত নয়। তাদের সহ কোন মানুষের জন্য
এটা জায়েয হবে না যে, সে ইসলামের
যে কোন গল্প বলুক বা ওয়ায করুক
এবং তাতে এমন হাদীছের কথা উল্লেখ
করে যা সে জানে না। সেটি ছহীহ, যঈফ
না মওযু। কারো জন্য দুর্বল বা যঈফ হাদীছ
বর্ণনা করা জায়েয নয়। আল্লাহর নিকট
প্রার্থনা করছি, তিনি যেন
তাদেরকে ছিরাতে মুস্তাক্বীমের পথ
দেখান-আমিন।[20]
৩. সঊদী আরবের সাবেক সকল মুফতীদের
প্রধান ও ইসলামী গবেষণা ও
ফাতাওয়া অধিদপ্তর-এর মহাপরিচালক
এবং সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদের প্রধান
শায়খ মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম (রহঃ)
তাবলীগ জামায়াত সম্পর্কে বলেন, ‘এই
জামায়াতের কোন ফায়েদা নেই।
এটি একটি বিদ‘আতী এবং গোমরাহ
সংগঠন। তাদের তাবলীগী নিছাব
পড়ে দেখলাম তা গোমরাহী ও
বিদ‘আতে ভরপুর। এতে কবর
পূজা এবং শিরকের দিকে আহবান
করা হয়েছে। বিষয়টি এমনই যে, এ
ব্যাপারে চুপ থাকা যায় না।[21]
৪. বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও মুহাক্কিক
এবং বিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ হাদীছ
বিশারদ শায়খ আল্লামা মুহাম্মাদ
নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন,
তাবলীগ জামা‘আত আল্লাহর কুরআন
এবং রাসূল (ছাঃ)-এর ছহীহ হাদীছের উপর
প্রতিষ্ঠিত নয়
এবং সালফে সালেহীনদের পন্থার উপর
নয়। (ছাহাবী, তাবেঈ ও তাবে-
তাবেঈনদের একত্রে সালফে সালেহীন
বলা হয়)। এই তাবলীগ জামা‘আতের
সাথে বের হওয়া জায়েয নয়। তাদের
উচিত আগে ইসলামের সঠিক জ্ঞান
শিক্ষা নেয়া। তারা কুরআন ও ছহীহ
হাদীছকে তাদের মূলনীতি হিসাবে গণ্য
করে না (যার বাস্তব প্রমাণ তাদের
ফাযায়িলে আমাল সহ অন্যান্য গ্রন্থসমূহ)।
যদিও তারা মুখে বলে যে, তাদের
দাওয়াত কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক
কিন্তু এটা নিছক তাদের মুখের কথা;
তাদের সঠিক আকীবদা নেই, তাদের
বিশ্বাস জট পাকানো। এদের স্বচ্ছ
জ্ঞানের অভাব রয়েছে। এই তাবলীগ
জামায়াত মূলতঃ ছূফী মতবাদের ধারক ও
বাহক।[22]
৫. সঊদী আরবের সর্বচ্চ ওলামা পরষিদের
সদস্য আব্দুর রাযযাক আফিফী বলেন,
বাস্তবে তাবলীগপন্থিরা বিদ‘আতী,
ইসলাম বিকৃতকারী এবং কাদেরীয়া সহ
অন্যান্য বাতিল তরীকার অনুসারী।
তারা আল্লাহর পথে বের
হয়নি বরং তাদের প্রতিষ্ঠাতা আমীর
ইলিয়াসের মনগড়া পথে বের হয়েছে;
তারা কুরআন ও ছহীহ হাদীছের
দিকে ডাকে না বরং তারা অতি সূক্ষ্মভাবে ইলিয়াসের
দিকে ডাকে। আমি অনেক দিন
আগে থেকেই এদের চিনি। এরা মিসর,
ইসরাঈলে বা আমেরিকায় যে স্থানেই
থাকুক না কেন, এরা বিদ‘আতী।[23]
৬. সঊদী অরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদের
সদস্য শাইখ সালেহ বিন ফাওযান (রহঃ)
বলেন, দাওয়াতের নাম ব্যবহার
করে তাবলীগ জামায়াতের
লোকেরা যা করে তা বিদ‘আত; ছাহাবী,
তাবেঈ ও তাবে-তাবেঈ অর্থাৎ
সালফে সালেহীনরা এভাবে দাওয়াত
দেননি। এদের মাঝে অনেক বিদ‘আত
এবং ভ্রান্ত কুসংস্কার রয়েছে। এদের
কর্মনীতি রাসূল (ছাঃ)-এর কর্মসূচী ও
কর্মনীতির পরিপন্থী ও বিরোধী।
এটি একটি বিদ‘আতী ছূফী জামায়াত,
এদের সম্পর্কে সাবধান থাকা অপরিহর্য।
তারা বিদ‘আতী চিল্লা দেয়। তাদের
দ্বারা ইসলামের কোন
ফায়দা হবে না এবং কোন মুসলিমের
জায়েয হবে না এ জামায়াতের
সাথে সম্পর্ক রাখা এবং এদের
সাথে চলা।[24]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.