নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।
হজ্জের আগে বা পরে হাজী সাহেবানগণ নূর নবীজীর পবিত্র মাজার শরীফ জিয়ারত এবং মসজিদে নববী শরীফে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে থাকেন। এটা বহুল প্রচলিত সুন্নত সম্মত একটা নেক আমল। আজকাল একমাত্র ওহাবী/সালাফীরাই এর গুরত্ব অস্বীকার করে থাকে। অথচ ওহাবিদের অন্ধ সমর্থক দেওবন্দীদের মান্যবর গুরু আশরাফ আলী থানবী নূর নবীজীর পবিত্র মাজার শরীফ জিয়ারত প্রসঙ্গে তাঁর “বেহেশতী জেওর” বইয়ের ৩০৪-৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন যে, “হজ্জ করতে গেলে, হজ্জের আগে বা পরে মদীনা শরীফে হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা শরীফ ও মসজিদে নভুবীর যিয়ারত করে আসার জন্যও যথা সাধ্য চেষ্টা করবে।” এরপর নূর নবীজির পবিত্র রওজা শরীফ যিয়ারত ও মসজিদে নববীর গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি দুটি হাদীস শরীফও বয়ান করেছেন।
তা হল, ১। “যে মুসলমান আমার মৃত্যুর পর আমার জিয়ারত করবে, সে- তদ্রূপ বরকতই লাভ করবে,যেরূপ আমার জীবিত অবস্থায় আমার সাথে মুলাকাত করলে লাভ হয়।”
২। “যে হজ্জ করে গেল, অথচ আমার জিয়ারত করল না, তবে সে আমার সাথে বড় অন্যায় করে গেল”।
৩। মসজিদে নভুবী সম্বন্ধে রাসুলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার এ মসজিদে এক রাকাআত নামাজ পড়বে সে পঞ্চাশ হাযার রাকাআত নামাজ আদায়ের সমান সওয়াব পাবে”।
আয় আল্লাহ্! আমাদের সকলকে মদীনা শরীফের জিয়ারত নছিব করুন এবং নেক কাজ করার তওফিক দান করুন। সূত্র - “বেহেশতী জেওর” পৃষ্ঠা নং ৩০৪-৫, লেখক- আশরাফ আলী থানবী।
©somewhere in net ltd.