নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুনভাবে নিজের চিন্তার শক্তি আর ভাবনার বিশ্লেষণ করার সামর্থ অর্জনের জায়গা হল ব্লগ। বিচিত্র ভাবনারাশির আলোয় নিজেকে আলোড়িত আর আলোকিত করার উদ্দেশেই আমরা ব্লগে আসি। অবসর সময়টাকে ভালোভাবে কাটানোর জন্য এর চেয়ে মোক্ষম উপায় আর নেই। তদুপরি বিনোদন এখানে উপরি পাওনা

এস এম ইসমাঈল

মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।

এস এম ইসমাঈল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরবানীর ফাযায়িল ও মাসায়িল

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর সময় থেকে দুনিয়াতে কুরবানীর প্রথা প্রচলিত হয়েছে। একজন মর্যাদাবান নবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামকে মহান আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে পর পর তিনটা কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। আল্লাহ্‌র অপার করুণার উপর ভরসা করে তিনি প্রতিটা পরীক্ষায় খুবই সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে খলিলুল্লাহ বা আল্লাহ্‌র বন্ধু হিসেবে গৃহীত হয়েছিলেন। খোদায়ী দাবীদার অহংকারী নমরুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তার বিরুদ্ধে জয়ী হওয়া ছিল এ পরীক্ষার প্রথম ধাপ। এরপর তাঁকে বলা হয় জন মানবহীন মক্কার মরু প্রান্তরে স্ত্রী হাযেরা রাদি কে শিশুপুত্র হযরত ইসমাঈল আঃ কে রেখে আসার জন্য। মহান আল্লাহ্‌ পাকের দয়ার উপর ভরসা করে হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এতেও উত্তীর্ণ হন। তারপর এলো চরম পরীক্ষার পালা। হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামকে নির্দেশ দেয়া হল শিশু পুত্র হযরত ইসমাঈলকে আঃ আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে কুরবানী দেয়ার জন্য। বৃদ্ধ পিতা মাতার নয়ন মনি, বার্ধক্যের একমাত্র সম্বল, পরম আদরে লালিত-পালিত একমাত্র শিশু পুত্র হযরত ইসমাঈলকে আঃ নিঃশঙ্ক চিত্তে আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে কোরবানি দিয়ে খোদা প্রেমের এক চিরস্থায়ী ও অমলিন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম। আর অর্জন করলেন আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি ও খলীলুল্লাহ উপাধি। মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন তাঁর এ চরম আত্মত্যাগের মহান স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় ও অমর করে রাখার অভিপ্রায়ে চালু করলেন কুরবানীর প্রথা। এরপর থেকে প্রত্যেক সামর্থবান হাজী এবং মিকাতের বাইরে অবস্থানকারী সামর্থবান প্রত্যেক মুসলিম নর নারীকে বছরে একবার কুরবানী করার আদেশ দেয়া হল। মোটামুটি এই হল কুরবানীর ইতিহাস।


প্রত্যেক সামর্থবান মুসলিম নর-নারী যার উপর সাদাকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেয়া ওয়াজিব এমন ব্যক্তিকে বছরে একবার আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে গবাদি পশু কুরবানী দেয়া ওয়াজিব। হালাল উপার্জনের টাকা দিয়ে কুরবানী করতে হয়। লোক লজ্জার ভয়ে বা লোক দেখাবার জন্য কুরবানী না করে বরং নিয়ত শুদ্ধ করে শুধু মাত্র আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কুরবানী করতে হয়। পশু কুরবানী করার সময় নিজের পাশব প্রবৃত্তি থেকে মুক্ত থাকার নিয়ত করা উত্তম।

ইসলাম ধর্মে প্রতিটা কাজের জন্য একটা সুনিদির্ষ্ট সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সে হিসেবে কুরবানী করার জন্য একটা সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। ১০ ই জিলহজ সুর্যোদয় এর সময় থেকে ১২ ই জিলহজ সুর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কুরবানী করা যায়। ১০ ই জিলহজ কুরাবণী দেয়াটা উত্তম। এতে অক্ষম হলে ১১ বা ১২ই জিলহজ সুর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কোরবানি দেয়া যাবে। তবে রাতে অর্থাৎ সূর্যাস্তের পরে কোন পশু কুরবানী দেয়া বৈধ নয়।

কুরবানীর পশু হতে হবে সুন্দর নিখুঁত ও হৃষ্ট পুষ্ট । চোখ কানা, অন্ধ, খোঁড়া, লেজ কাটা, কান কাটা, শিং ভাঙ্গা, রোগা ও দাঁতহীন পশু কুরবানী দেয়ার যোগ্য নয়। অনুরূপ কোন গর্ভবতী পশুও কুরবানীর যোগ্য নয়। কুরবানীর পশুকে অবশ্যই এসব দোষ ত্রুটি মুক্ত হতে হবে।

কুরবানীর গরু ও মহিষের বয়স কমপক্ষে দুই বছর, উটের বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর আর দুম্বার বয়স কমপক্ষে ৬মাস হতে হবে। ছাগলের বয়স কমপক্ষে এক বছর, (কোন ৬ মাস বয়সী ছাগল যদি খুব হৃষ্টপুষ্ট বা মোটাতাজা হয় এবং দেখতে এক বছর বয়সী মনে হয়, তবে সে পশু দ্বারাও কুরবানী দেয়া বৈধ হবে।)
ছাগল, ভেড়া, দুম্বা,গরু, মহিষ, উট এসব পশু দিয়ে কুরবানী দেয়া যায়। ছাগল, ভেড়া, দুম্বা প্রতিটা এক জনের জন্য একটা আর গরু, মহিষ, উট এ সব পশুর প্রতিটা সাত জনের জন্য কুরবানী দিতে পারা যায়। একাকী একটা পশু কুরবানী দেয়া যায়। আবার প্রয়োজনে সাতজনে মিলেও একটা গরু, মহিষ বা উট কুরবানী দেয়া যেতে পারে। আল্লাহ্‌র হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমরা হৃষ্টপুষ্ট বা মোটাতাজা পশু দিয়ে কোরবানি দেবে। কারন হাশরের দিন তোমাদের কোরবানির পশুগুলোই তাদের পিঠে করে তোমদেরকে নিরাপদে পুল সিরাত পার করে দেবে”।

প্রত্যেক সাবালক মুসলিম নর-নারীর পক্ষ থেকে যথা সময়ে পশু কুরবানী দেয়া ওয়াজিব। বর্ণিত আছে যে, বিদায় হজের সময় আমাদের নূর নবীজী সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী রাদি কে তাঁর পক্ষ থেকে কুরবানী করার আদেশ দিয়েছিলন। এরপর থেকে হযরত আলী রাদি প্রতি বছর আমাদের নূর নবীজী সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামে পশু কোরবানি দিতেন। তাই আমাদের জন্যও নূর নবীজী সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পক্ষ থেকে পশু কোরবানি দেয়া সুন্নত।
নিজের মৃত পিতা-মাতা আত্মীয় স্বজন, পীর মুরশীদ বা কোন অলি আউলিয়ার তরফ থেকেও কুরবানী দেয়া যায়।। নাবালক সন্তানের পক্ষ থেকে সামর্থবান পিতা-মাতা কুরবানি দিতে পারেন। তবে জীবিত কোন ব্যক্তির নামে কুরবানী দিতে হলে তার অনুমতি নেয়া দরকার।
কোন মানুষ মারা গেলে তার আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। তবে সে তার পুত্র-কন্যা,পিতা-মাতা, আত্মীয়- স্বজন, ইতাদির পাঠানো নেক আমল সমূহের হাদিয়া গ্রহণ করে উপকৃত হতে পারে।। যেমন- নফল নামায-রোযা, কোরান তিলাওয়াত, দান খয়রাত, মসজিদ- মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট, পানীয় জলের কুপ/পুকুর খনন, পুল-হাসপাতাল নির্মাণ ইত্যাদি জনহিতকর কাজের সওয়াব দ্বারা উপকৃত হতে পারে। কোন ব্যক্তি প্রচুর ধন সম্পদ রেখে মারা গেলে তার ওয়ারিশদের উচিত ঐ ব্যক্তির নামে কোরবানি দেয়া। এতে ঐ মৃত ব্যক্তি সওয়াবের ভাগীদার হবে।

কুরবানীর জন্তু নিজে জবেহ করা উত্তম। যাদি তা না পারে তবে অন্যের দ্বারাও জবেহ করা যায়। তবে কুরবানীর জন্তু জবেহ করার সময় কুরবানী দাতার সেখানে উপস্থিত থাকা আবশ্যক। প্রত্যেকবার কুরবানীর জন্তু জবেহ করার সময় আল্লাহু আকবর বলে তাকবীর দেয়া অত্যাবশ্যক। কুরবানীর জন্তু জবেহ করার সময় এ দোয়া পড়া ভাল - ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহ ইয়া ইয়া ওয়া মামাতি
লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।
মুত্তাকী পরহেযগার ব্যক্তির/ব্যক্তিবর্গের সাথে প্রয়োজনে ভাগেও কুরবানী দেয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে কুরাবাণীর মাংস-হাড় ইত্যাদি সকলে সমানভাবে বা নিজ নিজ ভাগের অনুপাত অনুযায়ী আপোষে বন্টন করে নিবেন। সন্দেহ মুক্ত থাকার জন্য কুরাবাণীর মাংস-হাড় ইত্যাদি একত্রে ওজন করে এরপর সকলে মিলে ভাগ করে নেয়া উত্তম। তবে কারো মনে ভাগের ব্যাপারে সামান্যতম সন্দেহ থাকলে কোরবানি দুরস্ত হবে না। প্রয়োজনবোধে কোরবানির পশুর দ্বারা সন্তানের আকীকাও দেয়া যায়। এতে কোরবানীর সওয়াবের কোন কমতি হবে না।

পশু হাঁস মুরগী এবং হালাল পাখী ইত্যাদির দেহ থেকে হারাম রক্ত শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ধারালো অস্ত্র দিয়া বের করে দেয়ার নাম জবেহ। জবেহ করার আগে কুরবানীর পশুকে উত্তম রূপে গোসল দিবে এবং পানি পান করাবে। কুরবানীর পশু জবেহ করার সময় ঐ পশুর মাথা জবেহ কারীর বাম হাতের দিকে এবং উহার দেহ ডান হাতের দিকে রাখিবে। কুরবানীর পশু জবেহ করার আগে অযু করা সুন্নত। জবেহ করার সময় মাথায় টুপী রাখিবে এবং কিবলামূখী হয়ে “আল্লাহু আকবর” বলে উচ্চ স্বরে তাকবীর দিবে। জবেহ করার সময় কুরবানীর পশুর যাতে বেশী কষ্ট না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা দরকার। এক পশুর সামনে অন্য পশুকে কুরবানী দিবে না। জবেহ করার সময় যারা কুরবানীর প্রাণীকে ধরবে তাদের সকলের ও তাকবির বলা আবশ্যক। জবেহ করার পর পশু তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা হবার জন্য উহার গলায় ছুরি দিয়ে খোঁচানো নিষেধ। এটা মাকরুহে তাহরীমা। অতি ধারালো অস্ত্র দ্বারা করবাণীর পশুকে জবেহ করতে হয়। কুরবানীর পর জবেহকৃত পশুর শরীর ভালভাবে ঠাণ্ডা না হওয়া অবধি এর চামড়া ছাড়ানো এবং জবেহ করার সময় পশুর মাথা ধড় থেকে আলাদা করে ফেলা মাকরুহ। বিনা কারণে অন্ধকারে জবেহ করাও মাকরুহ এবং পূরুষ উপস্থিত থাকা অবস্থায় স্ত্রীলোকের জবেহ করাও মাকরুহ। জবেহকারীকে সজ্ঞান মুসলমান হতে হবে এবং তাকে জবেহের নিয়ম কানুন সম্বন্ধে জ্ঞান রাখতে হবে।
আল্লাহ্‌ তায়ালার নাম ছাড়া অন্য কারো নামে কোরবানি করলে তা বৈধ হবে না এবং ঐ প্রাণীর মাংস খাওয়াও হালাল হবে না। ভুল ক্রমে আল্লাহ্‌র নাম না নিলে বা শুধু আল্লাহু বলে জবেহ করা প্রাণীর মাংস খাওয়া যায়।


জবেহকৃত প্রাণীর নিম্নলিখিত জিনিষ গুলি খাওয়া হারাম। যথা- ১। জবেহকৃত প্রাণীর প্রবাহিত রক্ত ২। মাংসের উপর পৃথক সাদা পরদা ৩। পিঠের হাড়ের মধ্যস্থিত সাদা শাস ৪। মুত্রনালী ৫। অন্ডকোষ ৬। লিংগ ৭। মলদ্বার ৮। পিত্ত
যত্রতত্র কুরবাণীর পশুর মল-মুত্র, রক্ত-হাড়, ইত্যাদি বর্জ্য পদার্থ ফেলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করা ও অন্যকে কষ্ট দেয়া ঠিক নয়। এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

কুরবানীর পশুর মাংস বিতরণের সুন্নত সম্মত নিয়ম হলো জবেহকৃত প্রাণীর মাংসকে তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ আত্মীয় স্বজনকে, একভাগ গরীব মিস্কীন কে, আর বাকী এক ভাগ নিজের জন্য রাখিবে। তবে বিশেষ প্রয়োজন বোধে এর ব্যাতিক্রমও করা যায়। কোরবানি দাতা ইচ্ছা করলে তার কুরবানীর সব মাংসই বিতরণ বা দান করে দিতে পারেন। আবার অনেক বড় পরিবারের ক্ষেত্রে এক ভাগ গরীব মিসকিনকে দিয়ে বাকী মাংস নিজের পরিবারের জন্য রাখতে পারা যায়।

কুরাবণীর পশুর চামড়া গরীবদের মধ্যে সদকা করে দেয়াই উত্তম। তবে বেশী ভাল হয় কাছাকাছি কোন মাদ্রাসা থাকলে তার মিস্কিন ফান্ডে এতীম ও নিঃস্ব ছাত্রদের ভরণ পোষণ এর জন্য কুরাবণীর পশুর চামড়ার বিক্রয় লব্ধ অর্থ দান করে দেয়া।
কুরাবণীর পশুর কোন অংশ বিক্রয় করা যায় না। যদি কুরাবণীর পশুর কোন অংশ বিক্রয় করা হয় তবে সে বিক্রয় লব্ধ অর্থ নিজে ভোগ করতে পারবে না বরং তা দান করে দিতে হবে। কুরাবণীর পশুর চামড়া কুরাবণী দাতা ইচ্ছা করলে নিজে শুকিয়ে ব্যবহার করতে পারবে। তেমনি কোরবানির পশুর হাড়, শিং। চর্বি ইত্যাদিও বিক্রয় করা যায় না। আমাদের দেশে দেখা যায় পরিবারের ছোট ছোট শিশু এবং মা বোনেরা অনেক সময় কোরবানির পশুর হাড়, শিং, চর্বি ইত্যাদি বিক্রি করে থাকেন। তেমনিভাবে কুরাবণীর পশুর জন্য ক্রয় করা রশি, মালা, লাল কাপড় ইত্যাদিও বিক্রয় করা যায় না। এটা ঠিক নয়। সবাইকে এ বিষয়ে নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদেরকে সাবধান করে দেয়া উচিত।
মহান আল্লাহ্‌ পাক আমাদের কোরবানী কবুল করুন এবং সকলকে তাঁর আদেশ অনুসরণ করে সুন্নত তরীকা মত কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমীন। সুম্মা আমীন।
ফাযায়িল ও মাসায়িল>>

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.