নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।
১। মহাত্মা গান্ধীজী বলেন, প্রতিরোধের মধ্য দিয়েও কিভাবে
জয়ী হতে হয় তা আমি হোসেঈন এর কাছ থেকে শিখেছি।
আমি বিশ্বাস করি যে, ইসলামের অগ্রগতি এর অনুসারীদের তরবারির উপর মোটেই নির্ভরশীল ছিল না, বরং তা হোসেনের চরম আত্মাহুতির কারণে ঘটেছে।
ভারতকে একটা সফল রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে তবে তাকে ইমাম হোসেনের পদাংক অনুসরণ করতে হবে।
আমার কাছে যদি হোসেনের মত ৭২ জন সেনানীর একটা দল থাকতো তবে আমি মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভারতের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে পারতাম।
২। পণ্ডিত জওহর লাল নেহেরু বলেন, ইমাম হোসেনের আত্মত্যাগ চিরদিন সকল দল ও সম্প্রদায়ের জন্য সত্য নিষ্ঠার অসামান্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
৩। প্রখ্যাত ইংরেজ ঐতিহাসিক এডওয়ার্ড গীবন বলেন, সেই সুদূর যুগের আবহাওয়ায় হোসেনের বেদনাদায়ক করুণ মৃত্যুর বিয়োগান্ত দৃশ্য সবচাইতে কঠিনতম পাঠকের হৃদয়েও সহানুভূতি জাগ্রত করবে।।
৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন, কোন অস্ত্র বা সেনাদল দিয়ে নয়, বরং জীবনের আহুতি দিয়ে সত্য ও ন্যায় নীতিকে জাগরূক রাখতে সফলকাম হওয়া যায় তা ইমাম হোসেন করে দেখিয়েছেন।
ইমাম হোসেন বিশ্ব মানবতার মহা নায়ক।
ইমাম হোসেন কঠিনতম ব্যক্তির হৃদয়েও সহানুভূতির সঞ্চার করবে।।
৫। ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রাসাদ বলেন, ইমাম হোসেনের আত্মত্যাগ কোন দেশ বা জাতির মধ্যে সীমিত নয় বরং তা সকল জাতি গোষ্টির জন্য সৌভ্রাতৃত্বের উত্তরাধিকার।
৬। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ডঃ রাধা কৃষ্ণান বলেন, যদিও ইমাম হোসেনের আত্মত্যাগের ঘটনা প্রায় ১৩০০ বছর আগের কিন্তু তবুও তাঁর অবিনশ্বর আত্মা আজো মানুষের হৃদয়লোক শাসন করছে।
৭। হিন্দু ধর্মের বিশিষ্ট পণ্ডিত স্বামী শংকরাচার্য বলেন, এটা একমাত্র হোসেনের আত্মত্যাগের ফল যা ইসলামকে আজো এ পৃথিবীতে জীবিত রেখেছে, অন্যথায় ইসলামের নাম উচ্চারণ করার জন্যও কেউ থাকতো না।
৮। ভারতের বিখ্যাত সমাজ কর্মী সরোজিনী নাইডূ বলেন, আমি মুসলমানদের অভিনন্দন জানাই এ জন্য যে, তাঁদের মধ্যে হোসেনের ন্যায় মহাপ্রান ব্যক্তিত্ব জন্ম নিয়েছেন যিনি সারা বিশ্বব্যাপী সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের দ্বারা সমভাবে নন্দিত ও সম্মানিত।
৯। প্রখ্যাত স্কটিশ ঐতিহাসিক টমাস কার্লাইল বলেন, কারবালার বেদনাদায়ক ঘটনা থেকে আমরা এ শিক্ষা লাভ করি যে, হোসেন ও তাঁর সঙ্গীরা এক আল্লাহ্তে পূর্ণ বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁরা দেখিয়েছেন যে, সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দে সংখ্যার আধিক্য কোন তাৎপর্য বহন করে না।সংখ্যায় অল্প হওয়া সত্বেও হোসেনের বিজয় আমাকে অবাক করে দিয়েছে।
১০। বিশিষ্ট ইংরেজ ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্স বলেন, হোসেন যদি কোন জাগতিক ইচ্ছা পূরনের জন্য যুদ্ধ করতেন, তাহলে আমি বুঝি না কেন তাঁর বোন, স্ত্রী, সন্তান সবাই তাঁর সঙ্গী হয়েছেন। এর কারন একটাই, যে তাঁরা সবাই শুধু মাত্র ইসলাম ধর্মের জন্য জীবন দান করেছেন।
১১।বিশিষ্ট প্রাচ্যবিদ ঐতিহাসিক স্যার উইলিয়াম ম্যুর বলেন, কারবালার বেদনার্ত ঘটনা শুধু মাত্র খিলাফতই নয় বরং তা তার পরবর্তী যুগের সকল মুসলিম রাজ্য গুলির ভাগ্য নির্ধারনই করে দিয়েছে।
১২। লেবাননী লেখক এন্টনি বারা বলেন, অতীত বা বর্তমান যুগের মানব ইতিহাসে এমন কোন যুদ্ধ নাই যা হোসেনের চরম আত্ম ত্যাগের প্রতি এত অধিক সহানুভূতি, শ্রদ্ধা ও সম্মান আকর্ষণ করেছে এবং তার সাথে এত অধিক শিক্ষণীয় উপাদান রয়েছে।
১৩। ভারতের বিশিষ্ট বিপ্লবী কবি জোশ মালিহাবাদী বলেন, মানবতাবাদ জাগরূক হলে সকল সম্প্রদায়ের লোক দাবী করবে যে, হোসেন তাঁদের দলের লোক।
১৪। ভারতের বিশিষ্ট স্বাধীনতা কর্মী ও খিলাফাত আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব মাওলানা মুহাম্মদ আলী জওহর বলেন,
হোসেনের হত্যায় আসলে ইয়জিদের মরণ ঘণ্টা বেজেছে,
প্রতিটা কাবালার পর ইসলাম নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে।।
১৫। বিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ট সুফী সাধক ও সংস্কারক হযরতুল আল্লামা সৈয়্যদ মোহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ সিরিকোটি রহঃ সত্যই বলেছেন যে, ইসলামের জন্য ঈমাম হোসেনের রাদি এর মত এত বড় কুরবানী আর কেউ দিতে সক্ষম হয় নাই।
©somewhere in net ltd.