নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।
বড়পীর হযরত শায়খ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর সম্পর্কে পূর্ববর্তী আওলিয়া-ই-কিরামগণ ভবিষ্যতবানী করে গেছেন। আওলাদে রসুল এবং আহ্লে বাইতের অন্তর্ভূক্ত হযরত ইমাম জাফর সাদিক রহমতুল্লাহি আলাইহি (যিনি হযরত ইমাম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি) এর পীর সাহেব ছিলেন) তিনি তাঁর কাশফূল গুয়ুব নামক কিতাবে বড়পীর হযরত শায়খ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর সম্পর্কে একটি ঘটনা বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন ১৪৮ হিজরীর ১১ই রজব জুম্মার রাত্রে আমি যথারীতি কোরআন শরীফ তিলওয়াত ও যিকির আযকার করে ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুমের মধ্যে স্বপে¦ দেখতে পাই, আমি আলমে নাসুথ থেকে (পৃথিবী হতে) উর্ধারোহন করে আলমে মালাকুত এবং আলমে মালাকুত থেকে আলমে জাবারুতে গিয়ে পৌঁছলাম। সেখানে এক বিশাল ময়দান দেখতে পেলাম। সেই ময়দানের এক পার্শ্বে মারোয়ারী পাথরের একটা তাবু টাঙানো। সেখান থেকে আল্লাহ্র রসুল সাইয়্যিদুল মুরছালীন, ইমামুল মুরছালীন, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম এর বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) আমার কাছে এসে বললেন, “হে ইমাম জাফর সাদিক (রঃ), আল্লাহ্র রসুল হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম আপনাকে ডাকছেন। আমি সাথে সাথে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট গেলাম। দেখলাম সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম ও আওলিয়াই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি গণের পবিত্র রূহ মোবারক সেখানে উপস্থিত আছেন। এবং সমস্ত ফিরিশতা কাতারবন্দী হয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন। একটা খুব সুন্দর আসনের মধ্যে আল্লাহ্র রসুল হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম বসা অবস্থায় আছেন। হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে দেখা মাত্র বসার জন্য ইশারা করলেন। আমি বসলাম। বিছুক্ষনের মধ্যে হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস্ সালাম ও ইমাম হুসাইন আলাইহিস্ সালাম হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম এর পার্শ্বে এসে বসলেন। ইত্যবসরে দেখা গেল দু’টি রূহ মোবারক এসে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম এর ডান জানু মোবারক ও বাম জানু মোবারকে বসলেন। বসার পর হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, “হে ইমাম জাফর সাদেক রহমতুল্লাহি আলাইহি আজ থেকে তিনদিন পর তুমি আমার কাছে চলে আসবে। আমি চাই তুমি আলমে জাবারুতের অবস্থা দর্শন করে তা আলমে নাসূতের মধ্যে লিপিবদ্ধ করে আস। একথা বলার পর হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তুমি কি জান এ রূহ দু’টি কার? আমার ডান জানু মোবারকে যার রূহ মোবারক দেখতে পেলে তিনি আমার থেকে পাঁচশত বৎসর পর পৃথিবীতে আগমন করবেন। তিনি হলেন গাউসুল আযম হযরত শায়খ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং আমার বাম জানু মোবারকে যে রূহটি আছেন তিনি হলেন, হযরত আলী আহম্মদ সাবের কালিয়ারী রহমতুল্লাহি আলাইহি । আল্লাহ্ পাক তাঁর এ দুই খাস মকবুল বান্দা দ্বারা ইসলামের অনেক খিদমত নিবেন। তারপর পার্শ্বে বসে থাকা অবস্থায় হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম দ্বয়কে বললেন, “তোমাদের শাহাদাতের পর আমি আমার উম্মতের কথা ভেবে চিন্তিত হই। তখন আল্লাহ্ পাক তাঁর এই দুই মাহ্বুব বান্দা দ্বারা আমাকে সুসংবাদ দান করেন। হযরত ইমাম জাফর সাদেক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি উক্ত স্বপ¦ দেখার পর ঘুম থেকে জেগে উঠলাম এবং সকালে উঠে কাশফুল গুয়ুব কিতাবে তা লিপিবদ্ধ করলাম।” এই কাশফুল গয়ুব কিতাব তিনি ইন্তিকালের পূর্বেই লিখেছিলেন এবং সত্যিই তিনি তিনদিন পরেই ইন্তিকাল করেন। সেই দুই মাহবুব বান্দার অন্যতম একজন মাহবুবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি। সুবহানাল্লাহ!
©somewhere in net ltd.