নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।
নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিভিন্ন ছুরাতের শান
---------------------------------------------------------------------
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ছুরাত বা আকৃতির ব্যাপারে শায়খ ইসমাঈল হাক্বী (রহঃ) ‘সূরা মারিয়াম’-এর كهيعص এর ব্যাখ্যায় ইমাম কাশেফীর একটি বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন। তিনি বলেন, শায়খ রুকুনুদ্দীন আলাউদ্দৌলা সিমনানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ফরমান-
حضرت رسالت را صلی الله عليه وسلم سہ صورتست يكی بشری كقوله تعالی قل انما انا بشر مثلكم (الكهف: ١١٠)دوم ملكی چناكہ فرمودست (لست كأحد ابيت عندی ربی)سيوم حقی كما قال لی مع الله وقت لا يسعنی فيه ملك مقرب ولا نبي مرسل)وازين وروشنتر (من رأنی فقد رأي الحق))
অর্থাৎ ‘রাসূল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তিনটি ছুরাত রয়েছে। একটি, বাশারী বা মানবীয় ছুরাত। যেমন, আল্লাহর বাণী- قل انما انا بشر مثلكم অর্থাৎ আপনি বলুন, নিশ্চয় আমি তোমাদের ন্যায় বাহ্যিক আকৃতিতে একজন মানুষ। দ্বিতীয়টি হলো, ফেরেশতার ছুরাত। যেমন, আল্লাহর হাবীব নিজেই এরশাদ করেন- لست كأحد ابيت عندی ربی অর্থাৎ আমি তোমাদের কারো মতো নই, আমি আমার রবের নিকট রাত্রি যাপন করি। তৃতীয়টি হলো, ছুরাতে হাক্বী বা প্রকৃত ছুরাত। যেমন, হাদীছ শরীফে রয়েছে, নবীজী ইরশাদ করেন- لی مع الله وقت لا يسعنی فيه ملك مقرب ولا نبي مرسل অর্থাৎ আল্লাহর সাথে আমার এমন একটি বিশেষ সময় রয়েছে যাতে নৈকট্যপ্রাপ্ত কোন ফেরেশতা এবং কোন নবী-রাসূল পৌঁছতে পারেনি। এর চেয়েও স্পষ্ট বর্ণনা হাদীছে রয়েছে যে, নবীজী এরশাদ করেন- من رأنی فقد رأي الحق অর্থাৎ যে আমাকে দেখল, সে যেন হককেই দেখল। অর্থাৎ তিনি আল্লাহ দেখার আয়না স্বরূপ।’ (আল্লামা ইসমাঈল হাক্বী, রুহুল বায়ান: ৫/৩১৪) অনূরুপ তাফসীরে হোসাঈনীতে উল্লেখ আছে।
নূরে মুহাম্মদীকে সৃষ্টির পর আকৃতি প্রদানের ব্যাপারে আল্লামা ইমাম যুরকানী বলেন-
ثم جسم صورته علي شكل اخص من ذلك النور
‘অতঃপর নূরে মুহমাম্মদীকে বিশেষ আকৃতিতে মুজাসসাম (শরীর বিশিষ্ট) করা হয়।’ (ইমাম যুরকানী, শারহুল মাওয়াহেব: ১/৯৫)
আর আহলে সুন্নাতের সকলেই এ ব্যাপারে একমত যে হুযুর পাকের যে ছুরাতই হোক, সব ক’টিই নূরের; এমনকি মানব আকৃতিও নূরে মুজাসসাম (নূরের শরীর বিশিষ্ট)।
হাফিজুল হাদীছ ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রহঃ) বর্ণনা করেন-
اخرج الحكيم الترمذى عن ذكوان ان رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يكن يرى له ظل فى شمس ولاقمر قال ابن سبع: من خصائصه ان ظله كان لا يقع على الارض وانه كان نورا فكان اذا مشى فى الشمس او القمر لا ينظر له ظل- قال بعضهم: ويشهد له حديث قوله صلى الله عليه فى دعائه- واجعلى نورا-
অর্থাৎ ‘হাকিম তিরমিযী হযরত যাকওয়ান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম হতে বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ছায়া না সূর্যের আলোতে দেখা যেত, আর না চন্দ্রের আলোতে। ইবনু সাবা’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন- রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বৈশিষ্ট্য এ যে, নিশ্চয়ই তাঁর ছায়া জমিনে পতিত হতো না, কেননা তিনি ছিলেন নূর। অতএব, তিনি যখন সূর্যের আলোতে অথবা চন্দ্রের আলোতে চলতেন, তখন তাঁর ছায়া দেখা যেত না। কেউ কেউ বলেন, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার ছায়া না থাকার বিষয়টি ঐ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত, যা হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর দু‘আয় বলেছেন- হে আল্লাহ! আমাকে নূর করে দাও।’ (ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, আল-খাসায়েসুল কুবরা: ১/১১৬)
ইমাম যুরকানী (রহঃ) বলেন-
لم يكن له صلى الله عليه وسلم ظل فى شمس ولاقمر لانه كان نورا
অর্থাৎ ‘সূর্য চন্দ্রের আলোতে নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেহ মুবারকের ছায়া পড়তো না। কেননা তিনি ছিলেন অপাদমস্তক নূর।’ (ইমাম যুরকানী, শারহুল মাওয়াহেব: ৪/২২০) অনুরূপ বর্ণনা ইমাম কাদ্বী আয়াদ্ব (রহঃ) তাঁর ‘কিতাবুশ শিফা বি তা‘রীফি হুকুকিল মুস্তফা’য়ও বর্ণনা করেছেন।
তারকা রুপে নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম
-----------------------------------------------------------
عَن اَبِى هُرَيرَةَ رَضِىَ اَللَّهُ تَعَلى عَنهُ آَنَّ رَسُولَ اللَّهٌ عَلَيهِ وَسَلَّمَ سّآَلَ جِبرِبلَ عَلَيهِ السَّلاَمُ فَقَالَ يَا جِبرَايلُ كَم عُمُرَكَ مِنَ السِّنِينَ؟ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ لَستُ آَعلَمُ غَيرِ أَنَّ فِى الحِجُابِ الرَّابِعَ نَجمًا يَّطلَعُ فِي كُلِّ سَبعِينَ آَلفِ سَنَةٍ مَرَّةً رَأَيتُهُ اِثنَينِ وَ سَبعِينَ اَلفِ مَرَّةٍ فَقَالَ يَا جِبرَيِلُ َو عِزَّةُ رَبِّى جَلَّ جَلَا لُه‘ اَنَا ذَالِكَ الكَوكَبُ-
অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদা জিবারঈল আলায়হিস সালামকে জিজ্ঞেস করলেন, হে জিব্রাঈল! তোমার বয়স কত? উত্তরে জিব্রাঈল বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো সঠিক জানি না। তবে আল্লাহ’র কসম! এতটুকু বলতে পারি (সৃষ্টি জগত সৃষ্টির পূর্বে) আল্লাহ তায়‘লা নূরানী আযমতের পর্দা সমূহের চতুর্খ পর্দায় একটি নূরানী তারকা সত্তর হাজার বছর পর পর উদিত হত। আমি আমার জীবনে সেই নূরানী তারকা বাহাত্তর হাজার বার উদিত হতে দেখেছি। অতঃপর নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন মহান রাববুল আলামীনের ইজ্জতের কসম করে বলছি, সেই অত্যুজ্জ্বল নূরানী তারকা আমিই ছিলাম। (সীরাতে হালাভীয়া পৃষ্ঠা ৪৯, তাফসীরে রুহুল বয়ান, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-৫৪৩) আল্লামা ইউসূফ নাবহানী, জাওয়াহিরুল বিহার: ৭৭৬)।
ময়ূর রূপে নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
----------------------------------------------------------
ইমাম আল গাজ্জালী রহঃ তাঁর রচিত ‘দাকায়েকুল আখবার’ কিতাবে উল্লেখ করেন-¬
عَن مَّعمَر عَن الزُّهرِى عَن السَّائِبِ بنِ يَزيدُ قَلَ اِنَّ اللَّهَ تَعَلَى خَلَقَ شَجَرَةٌ وَّلَهَا اَربَعَةً اَغصَانٍ فَسَمَّاهَا شَجَرَةَ اليَقِينِ- ثًمَّ خَلَقَ نًورَ مًحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيهِ وَسَلَّمَ فِى حِحَابٍ مِّن دُرَّةٍ بَيضَاءَ مِثلُهً كَمَثَلِ الطَّاوُوُسِ وَ وَضَعَهُ عَلَى تِلكَ الشَّرَةِ فَسَبَّحَ عَلَيهَا مِقدَارَ سَبعِينَ اَلفِ سَنَةٍ ثُمَّ خَلَقَ مِرأَةُ الحَيَاءِ وَ وَضَعَهَا بِاِستِقبَالِهِ فلَمَّا نَظَرَ الطَّاوُؤسُ فِيهَا رَأَى صُورَتَهُ أَحسَنُ صُورَةِ وَأَرِينَ هَيئةِ فَاستَحىِ مِنَ اللَهِ فَسَجَدَ خَمسَ مَرَّاتٍ فَصَارَتُ عَلَينَا تِلكَ الشَّجَرَاتِ فَرَضًا مُّؤَقَّتًا فَاَمَرَ اللَّهُ تَعَالَى بِخَمسِ صَلَوَاتِ عَلَى النَّبِىِّ صَلَّى اَللَّهُ عَمَيهِ وَ سَلَّمَ وَاُمَّتِهِ---(الخ)
অর্থাৎ হযরত সায়েব বিন ইয়াযিদ বলেন-নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’য়ালা চার শাখা বিশিষ্ঠ একটি বৃক্ষ সৃষ্টি করে এর নাম রাখলেন “শাজারাতুল ইয়াকীন”। অতঃপর নূরে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শ্বেত মুতির পর্দায় ময়ূররূপে গঠন করলেন। অতঃপর সেখানে সত্তর হাজার বছর পর্যন্ত নূরে মূহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ’র তাসবীহ পাঠরত ছিলেন। অতঃপর আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’য়ালা লজ্জার আয়না সৃষ্টি করে তাঁর সামনে রাখলেন। যখন ঐ আয়নায় ময়ূররূপী নূরে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় আকৃতিতে অত্যধিক সৌ্নদরয্য মন্ডিত দেখলেন,তখন তিনি আল্লাহ’র নিকট লজ্জিত হয়ে পাঁচবার সিজদা করলেন। আর ঐ সিজদা আমাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ হয়ে গেল। আল্লাহ্ তা’য়ালা নবী পাক এবং তাঁর উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিলেন (শেষ পর্যন্ত)। (ইমাম আব্দুর রাজ্জাক, আল মুসান্নাফ,আল জুযাউল মাফকুদঃ ৫১,৫৩-ইমাম গাজ্জালী,দাক্বায়েকুল আখবারঃ৯)
মাজহারে নূরে খোদা মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
----------------------------------------------------------------------
মূলতঃ নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম হলেন রবের রুবুবিয়াত তথা আল্লাহ্ পাকের জালালী ও জামালী তাজাল্লীর প্রকাশস্থল।
এ ব্যাপারে আল্লামা ইসমাইল হাক্বী (রহঃ) বলেন-
الحاصل ان الله تعالى جعل نبيه صلي الله عليه وسلم مظهرا لكمالاته ومرأة لتجلياته ولذا قال عليه السلام من راني فقد راي الحق
অর্থাৎ‘সারকথা হল, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বীয় কামালাতের প্রকাশস্থল এবং তাঁর তাজাল্লিয়াতের আয়না করেছেন। আর এ জন্যই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যে আমাকে দেখল, সে হক বা আল্লাহকেই দেখল।’ (আল্লামা ইসমাঈল হাক্বী, রুহুল বায়ান: ৯/২১)
তাফসীরে আরাঈসুল বয়ান প্রথম খন্ড ১২০ পৃষ্টায় নিম্নোক্ত আয়াতের তাফসীরে উল্লেখ আছে-
( لَقَد مَنَّ اللَّهُ غَلَى المُؤمِنِىنَ اِذ بَعَثَ فِىهِم رَسُولاً مِّن اَنفُسِهِم ) كَانَ النَّبِىُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيهِ وَسَلَّمَ مِرأَةُ الحَقِّ يَتَجَلَّى بِجَلَالِهِ وَ جَمَالِهِ لِلاُمَنَاءِ وَالصِّدِّبقِبنَ مِنهُ يُرِيدِونَ اللَّهَ بِرُؤيَتِهِ لِقَولِهِ عَلَيهِ السَّلَامُ مَن رَأَنِى فَقَد رَأَى الحَق......................اِلَّا المَعصُومُونَ-
অর্থাৎ (লাক্বাদ মান্নাল্লাহু আলাল মু’মেনীনা ইজ বা’য়াছা ফীহিম রাসূলাম মিন আনফুসিহিম) এই আয়াতে কারীমার ব্যাখ্যায় যা লিখেছেন এর সারমর্ম হলো-নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন আল্লাহ্ পাকের আয়না স্বরূপ। আল্লাহ্ পাকের জালাল ও জামাল তাঁর মধ্যে বিকশিত। বিশ্বাসী ও সত্যবাদীরা আল্লাহ’কে দেখেন তাঁকে দেখার মাধ্যমে। এজন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, “যে আমাকে দেখলো সে (হক্ব) আল্লাহ’কেই দেখলো”। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সৃষ্টিই আল্লাহ্ পাকের বান্দাদের জন্য অনূগ্রহ। কেননা যদি আল্লাহ্ তা’য়ালা সর্বপ্রথমই সৃষ্টির প্রতি তাজাল্লী (জ্যুতি) দিতেন, তাহলে তাঁর আযমত তথা মহত্ত্বের প্রথম তাজাল্লীর দ্বারাই সব জ্বলে যেত। সেজন্য আল্লাহ্ অনূগ্রহ করে আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাজাল্লীর মাধ্যম করেছেন।মু’মেনগণের নিকট নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে বড় অনুগ্রহ আর কি হতে পারে যে, তিনি হলেন সৃষ্টির জন্য আল্লাহ’র জামাল দেখার স্থল, তাঁর নাম ও গুনাবলী অবগত হওয়ার মাধ্যম, ধ্বংসশীলদের ধ্বংসের কারণ এবং মুক্তি প্রাপ্তদের আশ্রয়স্থল। কতেক মাশায়েখে কেরাম বলেছেন-সৃষ্টির প্রতি আল্লাহ’র বড় অনুগ্রহ হল যে, তিনি নবী আলাইহিমুস সালাগণকে মধ্যম বানিয়েছেন যেন তাঁরা উম্মতদেরকে আল্লাহ্ পর্যন্ত পোঁছে দিতে পারেন। কেননা তিনি যদি তাঁর গুণের এক অনু পরিমাণও সৃষ্টির প্রতি প্রকাশ করতেন, তাহলে নবীগণ ব্যতীত সব কিছুই জ্বলে যেত ধ্বংস হয়ে যেত। সুবহানআল্লাহ!
سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
©somewhere in net ltd.