নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।
হযরত শেখ সাদীর(র.) লিখিত যে দরুদ শরীফ সারা বিশ্বে বহুল পঠিত, তার বাংলা অনুবাদ সহো দেওয়া হলো---
বালাগাল উলা বি-কামালিহী
কাশাফাদ্দুজা বি-জামালিহী
হাসুনাত জামিউ খিসালিহী
সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহী।
অর্থ:
যিনি (সাধনায়) পূর্ণতার শেষ প্রান্তে পৌঁছেছেন
যার সৌন্দর্যের আলোকে অন্ধকার দুর হয়েছে
যার আচরণ-ব্যবহার ছিল সৌন্দর্যের আকর
দরুদ তার এবং তার বংশধরগণের উপর।
(বালাগ=পৌঁছানো। কামালিহী=পূর্ণতা, পরিপূর্ণ। জামালিহী=সৌন্দর্য। খিসালিহী=আচরণ-ব্যবহার, চরিত্র)
জানা যায়, হযরত শেখ সাদী(র.) এই দরুদ শরীফের প্রথম দু'লাইন লেখার পর কি লিখবেন তা তিনি ভাবতে ভাবতে হঠাত তন্দ্রা/ঘুমের ভাব আসলে স্বপ্ন দিদারে তিনি রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের জিয়ারত পান । প্রিয় নবীজী সাদীকে(র.) বলেন- হে সাদী! তুমি লিখ -
হাসুনাত জামিউ খিসালিহী
সাল্লে আলাইহি ওয়া আলিহী।
অর্থাত যার আচরণ-ব্যবহার ছিল সৌন্দর্যের আকর
দরুদ তার এবং তার বংশধরগণের উপর।
সুতরাং বুঝা গেল এই দরুদ শরীফ রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম হযরত শেখ সাদীকে(র.) দিয়ে লিখিয়েছেন। (সুবহানাল্লাহ)
©somewhere in net ltd.