নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।
আমি যখন রেংগুন এসে পৌছলাম এবং ক্রমে ক্রমে এখানকার কিছু কিছু লোকের সাথে পরিচিত হলাম এবং অনেকের সাথেই মিল মুহাব্বত সৃষ্টি হল। তখন তাদের সাথে ঘরোয়া আলাপ আলোচনায় হুজুর পূর নূর চৌহরভী (কঃ ছিঃ আঃ) এর কামালিয়াত সম্পর্কের আলোচনা হত। এর ফলে ধীরে ধীরে এ সকল লোকের আন্তরের হুজুর পূর নূর চৌহরভী (কঃ ছিঃ আঃ) এর হাতে বায়’আত গ্রহণের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠল। তখন আমি সমস্ত বিষয় বর্ণনা করে হুজুর পূর নূর চৌহরভী (কঃ ছিঃ আঃ) এর পাক জনাবে এক পত্রে লিখলাম যে, এখানকার অনেক লোক আপনার মোবারক হতে বায়’আত গ্রহণের উৎসুক। কিন্তু এত দূরদেশে যদি হুজুর ক্বিবলা পত্র মারফত বায়’আত করান তাহলে আপনার রহম ও করম দ্বারা তাদের মনোকষ্ট লাঘব হতে পারে। “রব করীমা কারাহা দিসওয়ার নিস্ত।” অর্থাৎ- বজুর্গদরে জন্য যে কোন কঠিন কাজও সহজ সাধ্য।
কিছুদিন পর হুজুর পূর নূর চৌহরভী (কঃ ছিঃ আঃ) এর পাক জনাব হতে একখানা পত্র পেলাম। পবিত্র পত্রখানায় হুজুর আমাকে শান্তনা দিয়ে ইরশাদ করলেন, একখানা রুমাল পাঠাচ্ছি। যদ্বারা তুমি নিজেই বায়’আত করাতে সক্ষম হবে। যে ব্যক্তি তাহাজ্জ্বদের নামাজের জায়নামাজের ক্বিবলামুখী হয়ে বসে বায়’আত গ্রহণ করবে এবং আল্লাহ ও রাসুল সাল্লাল্লাহ আলায়হে ওয়াসাল্লামকে হাজের নাজের বিশ্বাস নিজের সমস্ত ছোট-বড় গুনাহ হতে তওবা করবে, তার তওবা এবং বা’য়আত আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন। অতঃপর পর হুজুর পূর নূর চৌহরভী (কঃ ছিঃ আঃ) রেঙ্গুনে আমার কাছে সম্পূর্ণ সাদা মখমলের একখানা রুমাল প্রেরণ করলেন। পবিত্র রুমালখানা পাওয়ার পর পর হুজুর পূর নূর চৌহরভী (কঃ ছিঃ আঃ) এর নির্দেশ মোতাবেক বায়’আত করা শুরু হল। ক্রমে ক্রমে রেংগুনের লোকজনদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হারে ত্বরীকতের প্রসার শুরু হয়ে গেল। আশ্চর্য্যরে বিষয় যে, পর হুজুর পূর নূর চৌহরভী (কঃ ছিঃ আঃ) পাঞ্জাব প্রদেশের হাজরা জিলার চৌহর শরীফে অবস্থান করেও এখানকার মুরীদদেও ফয়েজ ও রহমত এনায়েত করছেন। শরাবখোর, ফাসেক, ফাজেরও যখন পবিত্র রুমালের উপর তাহ রেখে বায়’আত গ্রহণ করে; তখন হতেই সে পঞ্জেগানা নামাজী, নেককার, তাহাজ্জ্বদ আদায়কারী বান্দায় পরিণত হয়ে যেত। তাঁদের চেহারা এতই সুন্দর উজ্জ্বল হয়ে যায় যে, তাদের সে নূরানী চেহারা দেখে অন্যান্য লোকদের মধ্যে বায়’আত হওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হল। লোকজন হিদায়ত এর দ্বারা দিন দিন উন্নতি দিকে অগ্রসর হল। ত্বরীকত এর ছিলছিলাহ’র প্রসার ঘটতে শুরু হল। অন্যান্য পীর মশায়েখ স্বশরীরে উপস্থিত থেকে মুরিদদের যে আতিœক উন্নতি সাধন ঘটাতে সক্ষম হননি, সে ক্ষেত্রে গাউসুল আজম শাহেন শাহ চৌহরভী (কঃ ছিঃ আঃ) দু’হাজার মাইল দূরে থেকেও তার চাইতে চেশী উপকার সাধন সক্ষম ছিলেন।
চশমে রৌশন কুন্জে খাঁকে আউলিয়া
তা বা -বিনী জা – এবতেদা তা এনতেহা
অর্থাৎ – তুমি আউলিয়ায়ে কেরামের পদধূলি দ্বারা তোমার চক্ষুকে আলোকিত করে নাও; তাহলেই তুমি সৃষ্টির আদি হতে অন্ত পর্যন্ত দেখতে সক্ষম হবে।
©somewhere in net ltd.