নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুনভাবে নিজের চিন্তার শক্তি আর ভাবনার বিশ্লেষণ করার সামর্থ অর্জনের জায়গা হল ব্লগ। বিচিত্র ভাবনারাশির আলোয় নিজেকে আলোড়িত আর আলোকিত করার উদ্দেশেই আমরা ব্লগে আসি। অবসর সময়টাকে ভালোভাবে কাটানোর জন্য এর চেয়ে মোক্ষম উপায় আর নেই। তদুপরি বিনোদন এখানে উপরি পাওনা

এস এম ইসমাঈল

মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।

এস এম ইসমাঈল › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা মিলাদ-কিয়ামকে বেদআত ও শিরিক বলে তাদের জন্য বলছি - ১

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪


মিলাদ-কিয়ামের আবিষ্কারক, আদেশদাতা ও পালনকারী স্বয়ং আল্লাহ্‌ পাক নিজেই। অবাক হচ্ছেন, কিন্তু এটাই সত্যি। যেমন পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্‌ পাক নির্দেশ দিয়েছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ পাক ও তাঁর ফেরেস্তাগণ নবীয়ে পাকের প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠিয়ে থাকেন।অতএব হে মুমিনগণ তোমরাও আমার নবীর প্রতি যথাযোগ্য সম্মান ও গুরুত্বের সাথে সালাত ও সালামের হাদিয়া পেশ করতে থাকো।” সেজন্যই নামাজে তাসাহহুদের সাথে নূর নবীজীকে সালাম দেয়া ও দরূদ পেশ করা নামাজের অবিচ্ছ্যেদ্য অঙ্গ। আর সারা জীবনে একবার দরূদ শরীফ পাঠ করা ফরয। আল্লাহ্‌র হাবীব এরশাদ করেন, ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে কৃপণ যার সামনে আমার নাম মুবারাক উচ্চারিত হয়, আর সে ব্যক্তি আমার প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করেনা।
এখন ভেবে দেখুন দরূদ পাঠের প্রচলন করে, আর তা নিজে ফেরেস্তাগণ সহকারে আমল করে এবং মুমিনদেরকেও অনুরূপ আমলের আদেশ দিয়ে স্বয়ং আল্লাহ্‌ পাক শিরিক ও বেদআতকারী হিসাবে সাব্যস্থ হয়েছেন। অতএব আপনাদের দেয়া ফতোয়া অনুসারে স্বয়ং আল্লাহ্‌ পাক নিজেই সবচেয়ে বড় বিদআতকারী ও শিরিককারী। (নাউযুবিল্লাহ)
এবার আসুন কিয়ামের প্রমান নিয়ে কিছু বলি।
প্রমান ১ - কিয়ামের নির্দেশ দাতা ও স্বয়ং আল্লাহ্‌ পাক। যেমন - হাদীস শরীফে এসেছে যে, প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় ৭০ হাযার ফে্রেস্তা নূর নবীজীর দঃ দরবারে হাযির হয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাঁকে দরূদ সালামের তোহফা পেশ করে।সারা জীবনে একবারই কোন ফেরেসতা এ সুযোগ পেয়ে থাকে। এ ধারা কিয়ামত অবধি বহাল থাকবে।সুবহানাল্লাহ, দরূদ শরীফের কত ফযীলত।।
প্রমান ২- আমার নূর নবীজী যখন পবিত্র নগরী মক্কা থেকে কুরাইশদের অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে আল্লাহ্‌র হুকুমে মদিনা নগরীতে প্রবেশ করেন, তখন মদীনাবাসীরা আবালবৃদ্ধবনিতা নির্বিশেষে সবাই তাঁকে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। আবার খায়বেরর যুদ্ধে জয়ী হবার পরও মদিনাবাসী আপামর জনগণ নূর নবীজীকে অনুরূপ অভ্যর্থনা দিয়েছিলেন। এটা ঐ্তিহাসিক সত্য ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
প্রমান – ৩ – কাউকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানানো শিষ্ঠতার পরিচায়ক। এটা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সব দেশে বহুল প্রচলিত।কাজেই আমরা সেটা না করলেই বরং অভদ্রতা ও অশিষ্ঠতা হবে। আর তার সাথে লঙ্ঘিত হবে আল্লাহ্‌ পাকের আদেশ যা তিনি মুমিনদেরকে সুরা আহযাবের মাধ্যমে দিয়েছেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.