![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।
গাউসে জমান, পীরে মুকাম্মেল, হাদীয়ে দ্বীন ও মিল্লাত হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ রাহমাতুল্লাহি আলাইহির নির্দেশে, ১৯৭৬ সালে যখন রাজধানী ঢাকায় প্রথমে কায়েৎটুলি খানকাহ শরীফ থেকে আমরা জশনে জুলুস চালু করি, তখন ঢাকায় প্রায় শ খানেক লোক জড়ো হয়েছিলেন। যাঁরা সবাই ঢাকায় বসবাসকারী আমাদের সম্মানিত পীর ভাই। তখন কিন্তু অনেক আলেম/পীর সাহেব/দরবার থেকেই আমাদের এরকম কাজের বিরোধিতা করে নানা রকম ঠাট্টা-মস্করা ও বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য ছুড়ে দেয়া হয়। কেউ বলেন, দেখ পাগলগুলোর কাণ্ড? কেউ বলেন, এটা হারাম শিরিক। কেউ আবার বলেন, উনাদের হয়তো কোন রাজনৈতিক স্বার্থ আছে। এর জাস্ট কয়েক বছর পর দেখলাম, ওরে বাবা! যারা আমাদেরকে শিরিক/বিদআত ইত্যাদি বলে গালমন্দ করেছেন, তারাই রাজধানী ঢাকায় ফিল্ড খালি পেয়ে ১২ রবিউল আউয়াল বর্নাঢ্য র্যাতলি নাম দিয়ে মাঠ গরম করে রেখেছে। কারন তখন আমরা ৯ই রবিউল আউয়াল শরীফ ঢাকায় আর ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ বন্দর নগরী চট্টগ্রামে জুলুস পালন করতাম।
এক সময় অবাক হয়ে দেখলাম- চট্টগ্রামের আহলা দরবার শরীফের পীর সাহেব জনাব আলহাজ্ব শিহাবুদ্দীন খালেদ সাহেব তাঁর ভক্ত ও মুরীদানদেরকে নিয়ে ঢাকা শহরে ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ জুলুস পালন করা শুরু করেছেন।তাঁর কিছু দিন পর চট্টগ্রামের মাইজভান্ডার দরবার শরীফের পীর সাহেব জনাব আলহাজ্ব সৈয়্যদ মইনুদ্দিন আল হাসান সাহেবও ঢাকা শহরে ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ জুলুস পালন করা শুরু করে দিয়েছেন। শুধু কি তাই, পীরজাদা জনাব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা খাজা আবু তাহের সাহেব আঞ্জুমানে আশেকে মুসতাফা’র ব্যানারে ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ ঢাকায় জুলুস করা শুরু করে দিয়েছেন। আর এখন শুধু রাজধানী ঢাকায় বা বন্দর নগরী চট্টলাতেই এই জশনে জুলুস সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন বড় বড় শহর ও মফস্বল শহরগুলোতেও বিস্তার লাভ করেছে। এখন সবাই স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন যে, আমার প্রাণপ্রিয় মুর্শিদ কেবলা দ্বীন ইসলামের শান বুলন্দ করার জন্য এক অতি উত্তম ও কার্যকর পন্থা উদ্ভাবন করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
©somewhere in net ltd.