নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।
ক) ভাত এর বিভিন্ন পদ - ভাত আসে চাল থেকে। এই চালেরও বিভিন্ন প্রকার ভেদ আছে।
চাল দিয়ে তৈয়ারি করা হয় নানান পদের মুখ রোচক খাদ্য, বিয়ে বা আপ্যায়নে এসবের জুড়ি নাই।
যেমন --
১। পোলাও, বিরিয়ানি (কাচ্চি পাক্কি),খোসকা, খিচুরি, তেহারি, আখনি,
২। ডেজার্ট : পায়েস, ফিরনি, জর্দা
৩। হোটেলের ভাত ; সদর ঘাট এলাকার কিছু হোটেলে পেট চুক্তি তে ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। শুধু তরকারি কিনে খেতে হবে, ভাত আর ডাল ফ্রি। যে যত প্লেট খেতে পারেন খাবেন। কিছু হোটেলের নাম দেয়া হয়েছে "ভাত ঘর", সদর ঘাট আর চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের সাথে এই নামের বেশ কিছু দোকান আছে। বেশ কিছু দোকানে হিন্দু গ্রাহকদের আক্বষ্ট করার জন্য ব্রাম্মন পাচকও রাখা হত।
৩-১ বেংগল ওয়াটার নামের চাদপুরগামী একটা ষ্টীমার যা সদরঘাট থেকে ছাড়ে সেখানেও পেট চুক্তিতে ভাত বিক্রি করা হয়। ভাতের সাথে তাজা ইলিশ মাছ এর ভাজা একটা পিস খাবার মজাই আলাদা। আমি
বেশ কয়েকবার সেখানে ভাত খেয়েছি।
৩-২ পবিত্র মক্কা/মদিনায় এরকম কিছু হোটেল আছে যেখানে ভাত/রুটি ফ্রি, শুধু তরকারিটা কিনতে হ্য়।
৩-৩ পেটে ভাতে - এক সময় গ্রাম বাংলার কিছু সচ্ছল ঘরে লজিং মাষ্টার রাখা হত। ওদের থাকা খাওয়া ছিল একদম ফ্রি।
৩-৪ আমার দাদার বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান থানার গহিরা গ্রামে। পৌষ মাষ এলে আমার দাদার বাড়িতে দেখেছি একটা বিশেষ এলাকার মানুষ দিয়ে ধান কাটার কাজ করানো হত। ওনাদের ইন্টারভিউ এর সময় দেখা হত কে কতটা ভাত খেতে পারেন? তার উপর ওনাদের বেতন ঠিক করা হত। যে বেশী ভাত খেতে পারে সে কাজও বেশী করতে পারবে, এরকম ভাবা হত। চট্টগ্রাম শহরের সওদাগরেরা পেটে ভাতের চুক্তিতে নতুন কর্মচারি নিয়োগ দিতেন।
৩-৫ এমন কি এখনো শহরের কাজের লোক রাখা হয় পেটে ভাতে চুক্তিতে। কিছু বাসায় কাজের লোকেদের জন্য আলাদা ভাত-তরকারী রান্না করা হয়।
৪। ভাত ঘুম বাাংগালীর ঐতিহ্য। দুপুরে ভাত খেয়ে একটা ঘুম না দিলে বাাংগালীর পেটের ভাত হজম হয় না। এটাকে বলে ভাত ঘুম।
৪-১ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিয়েতে ভাত কাপড় নামে একটা আনুষ্ঠানিকতা আছে। এতে বর তার স্ত্রীর আজিবন ভরণপোষণ করার ওয়াদা করেন। একে বলে ভাত কাপড়।
৪-২ বউ ভাত - বিয়ের পর বৌভাত এর একটা ব্যব্সথা করা সামজিকতার নিদর্শন।
৪-৩ মুখে ভাত - হিন্দু সম্প্রদায়ের দেখাদেখি আজকাল মুসলমানেরা শিশুর মুখে শক্ত খাবারতুলে দেয়ার দিন এ উতসব আয়োজন করেন।
৫। সাহিত্যে ভাত : ভাত দে, নইলে তোর মানচিত্র চিবিয়ে খাবো।
৫-১ খনার বচন : কলা রুয়ে না কেটো পাত, তাতেই কাপড়, তাতেই ভাত।
৫-২ প্রবাদ : হা ভাত = ভাতের ওভাব, ভাত ছিটালে কাকের ওভাব হয় না,
৫-৩ সিনেমায় ভাত - ভাত দে,
৬। চালের বহুমুখী ব্যবহার - ফিরনি, পায়েস, জর্দা, এসব ডেজা্র্ট ছাড়াও চাল দিয়ে মুড়ি, চিরা খৈ, চাল ভাজা আর কয়েক পদের পিঠা বানানো হয়।
চলবে...............।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯
এস এম ইসমাঈল বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় রাজীব! ভারি সুন্দর একটা কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য। সাথে থাকার জন্য আবারো শুভেচ্ছা জানাই।
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২
এস এম ইসমাঈল বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম, কাজী ফাতেমা ছবি।
পাঠ ও মন্তব্যে একরাশ শুভেচ্ছা ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: চিড়ে বলো মুড়ি বলো ভাতের সমান নাই/মাসি বলো পিসি মায়ের সমান নাই ।