নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুপারনোভা

আহেমদ ইউসুফ

I am a introverts person would like to hide myself.

আহেমদ ইউসুফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাগ্য বনাম কর্মফল

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৯

তকদির বা ভাগ্য নিয়ে লিখলে আসলে অনেক কিছুই লেখা যায়। আমরা অনেকেই আধুনিক শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক, যুক্তিবাদী ভাগ্যকে বিশ্বাসই করতে চাই না। যারা আরো এককাঠি সরেস তারা তো বলেই বেড়ান, ভাগ্য বলে আসলে কিছুই নেই, চেষ্টা ও পরিশ্রম করলেই ভাগ্য বদলানো যায়। তবে কথা হলো এই সাফল্যের ভাগ্য আর নিয়তির ভাগ্য এক জিনিস নয়। এ দুয়ের মধ্যে সুক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে, আমাদের উপলব্ধি করতেই যা বাকি।

আপনি সাফল্যের জন্য আপ্রান চেষ্টা করলেন, দিনরাত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করলেন, খেয়ে না খেয়ে দিন গুজরান করলেন, মাস শেষে কিছু টাকা জমালেন। সারা বছর রাতজেগে পড়াশুনা করলেন, সিনেমা-নাটক কিছুই দেখলেন না, কোথাও বেড়াতেও গেলেনে না, রেজাল্টের দিনে মোটামুটি একটা ফলাফল অর্জন করলেন। এটা হলো আপনার সাফল্য। কিন্তু আপনি যদি হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান, লটারীতে ৩০ লাখ টাকা পেয়ে বড়লোক হয়ে গেলেন কিংবা আপনি পাবলিক পরীক্ষায় মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন (0.01 মার্কের ব্যবধানে)। এটাকে কি আপনি সাফল্য বলবেন নাকি ভাগ্য?

তকদির বা ভাগ্যে বিশ্বাস করা ঈমানের অঙ্গ। মানুষের সমগ্র জীবনে যা কিছু ঘটবে তা সবই পূর্ব নির্ধারিত। নিয়তিকে এড়ানোর সুযোগ আসলেই মানুষের নেই। মানুষ সেটা বিশ্বাস করুক বা না করুক।

তবে ভাগ্যের দোহাই দিয়ে কর্মফল এড়ানোর কোন সুযোগ নেই। কর্মফল অবশ্যই মানুষকে ভোগ করতে হয়, আপনি যখন খারাপ কাজ করবেন তখন আপনাকে এর ফল ভোগ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যখন কাউকে কষ্ট দিবেন, যখন কারো ক্ষতি করবেন, তখন সেই কষ্ট আর ক্ষতি নিজেও ফেরত পাওয়ার জন্য তৈরী থাকুন। আর ভাল কাজের পুরষ্কার মানুষ ইহজগত ও পরজগত দুজগতেই পেয়ে থাকে।
সুতরাং মানুষের প্রজ্ঞা, জ্ঞান ও শারীরিক সামর্থ্যকে ভাল ও কল্যানমুখী কাজে ব্যয় করা উচিত।


২২/০৪/২০১৬, পাবনা।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

কানিজ রিনা বলেছেন: দুর্বল মানুষ ভাগ্য বিস্বাস করে,আরও দুর্বল
হয়ে যায়। কর্মে উন্নতি আনয়ন করে, উন্নতি
কর্মের সুফল বয়ে আনে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে কিছু কথা না বললেই নয়। আমার পোষ্টে আমি কিছু উদাহরন টেনেছি, যা একটু গভীরভাবে পড়তে বলছি না, অনুধাবন করতে বলছি। আমি কর্মকে অস্বীকার করছি না। আমার মতে র্কমের ফল ভাগ্য নয়, বরং কর্ম হলো ভাগ্য সহায়ক। কর্মের প্লাটফর্মটা তৈরি করে দিবে ভাগ্য। সবল ও দুর্বলের কথা এখানে অবান্তর। আমার আপনার সবার জীবনেই কিছু অপ্রত্যাশিত ব্যাপার কমবেশী ঘটেছে, যেখানে কর্মের কোন যোগই নাই।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৭

আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: ভাগ্য সম্পর্কে উপলব্ধি করা বেশ জটিল!এতো অল্প কথায় পরিস্কার হবেনা!মাওলানা আশরাফ আলী থানভীর (রহঃ) একটি বই আছে, 'তাকদীর কি?' তাকদীর বা ভাগ্য উপলব্ধি করার জন্য একটি অসাধারণ বই!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১১

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: তা ঠিক বলেছেন। ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা উপলব্ধি হয়েছে তাই প্রকাশ করলাম।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবকিছু বান্দাহ বুঝবে না।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: লেখায় বাস্তবতার ছোঁয়া রয়েছে। ভালো লিখেছেন। ভাগ্য ও পরিশ্রম কোনটিকেই বাদ দিয়ে সাফল্য কামনা করা যায় না।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১১

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.