![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পারলে করো, করে দেখাও
ছাত্রলীগ দেখি ঘরের খাইয়া নিজের কাম ফালাইয়া কেবল গণজাগরণ মঞ্চ আর ইমরানের চরিত্র হনন কইরা বেরায়। কেন? ইমরান বেইমানী করছে? কার সাথে করছে? সরকারের পক্ষ থেইকা এই আন্দোলন যখন থামাইয়া দিতে কইছে, সে থামাইছে না, এইটাই তার দোষ? তাইলে কী এই আন্দোলন সরকারের সৃষ্টি করা ছিলো?
তার আগের কথা হইলো, ছাত্রলীগের মতো এতো পুরনো ঐতিহাসিক সংগঠন থাকতে ইমরানদের জন্ম হয় কেন? কারণ একটাই, ছাত্রলীগ এখন আর জন-মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না, ভালো-মন্দ সব কিছুতেই সরকারের গুন-গান গেয়ে যাচ্ছে। এমন লেজুড়বৃত্তি করা একটা সংগঠন দিয়া তো আর জনমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হতে পারে না।
আরেকটা কথা, ইমরান অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করছে? আপনে খোজ নিতে আইছেন কেন? এই টাকা কী আপনে দিছেন? কিংবা দিয়ে থাকলে কী আপনে সেই টাকা ফেরত চান? নাকি নিজের ভাগ না পাইয়া খেপছেন? ক্লীয়ার করো ম্যান, ক্লীয়ার করো। একাত্তরে মুক্তিবাহিনীরে যে মানুষ অনুদান দিছে কিংবা প্রবাসী সরকার রে যে বিভিন্ন দেশ থেইকা সাহায্য করছে, তারা কী ফের হিসাব চাইছে? গ্রো আপ ম্যান। গ্রো আপ।
আদালতের উপর সরকারের প্রভাব নাই কইয়া ফাটাইয়া ফেলতাছো। একটু বুঝ। বুঝলাম, আদালত নিরপেক্ষ, কিন্তু যেই ডাক্তার কইছে নিজামী অসুস্থ, সে কী নিরপেক্ষ? সে কার চাকরী করে? যেই জেলার জানাইছে নিজামী অসুস্থ, সে কী নিরপেক্ষ? কিংবা, নিজামীর রায় দেয়ার আগে বিচারক নিয়োগ দিতে সরকারের ৫৩ দিন লাগছে, এইটা? কিংবা ট্রাইব্রুনালে যে প্রসিকিউশন দের মধ্যে দ্বন্দ্ব আর বিশৃঙ্খলা, এগুলো নিরসনে সরকারের কোন উদ্যোগ দেখছো বইলা মনে হয়?
এইবার আসো আপিল বিভাগের কথায়, সাঈদীর রায়ের বেলায় আদালত নিরপেক্ষ কইয়া চিল্লাইয়া সরকাররে ডিফেন্ড করতাছো, গুড। কিন্তু, এই মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবিরা কী নিরপেক্ষ? না, তারা সরকারের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটায়। তাইলে তারা আদালতের কাছে সাঈদীর ফাসীর রায় বহাল রাখার ব্যাপারে আন্তরিক ভাবে ফাইট করছে তো? নাকি সরকারের গ্রীন সিগনালে "ফাসী না হলেও চলবে" মার্কা ফাইট করছে?
বুঝ ম্যান, বুঝ, ভোঁদাই থাইকো না। একাত্তর নিয়া বেইমানীর ফল ভালো হয় না। ৪ লাখ ধর্ষিতা নারী আর ৩০ লাখ শহীদের আত্মা থেকে নিসৃত অভিশাপ, পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের বোবা গোঙ্গানি আমি জানি ভালো থাকতে দেবে না তোমায়। তুমি ভালো রাজনীতি করো ভালো কথা, কিন্তু রাজনীতির মারপ্যাঁচে একাত্তরকে ধর্ষণ করার জবাব একদিন তোমায় দিতেই হবে, খুব শক্ত সে জবাব।
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
হাসান রাজিবুল বলেছেন: ইহা ছাড়া উহা অরথহীনও বটে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৮
রাজা মশাই বলেছেন: বুঝ ম্যান, বুঝ, ভোঁদাই থাইকো না। তুমি ভালো রাজনীতি করো ভালো কথা, কিন্তু রাজনীতির মারপ্যাঁচে একাত্তরকে ধর্ষণ করার জবাব একদিন তোমায় দিতেই হবে, খুব শক্ত সে জবাব।
তিনটা লাইন আমার কঠিন পছন্দ হয়েছে। ভাই আমরা ভোদাই না। ভোদায় করে রাখা হয়েছে। আমি ছাত্ররাজনীতি করি। এখন যদি আমি ষ্ট্রেইক সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলি তাহলে আমার বাপ জামাত হয়ে যাইব। মা জামাত হয়ে যাইব। কাওয়া যাওনা আমারে যুদ্ধাপরাধীর মামলায় দিতে পারে। যদিও বয়স মাত্র ১৭।এই হল বাকশাল রাজনীতি।
আমরা ভোদায় না। আমরা বসে আছি একটা ডাকের অপেক্ষায়। নতুন কোন তারুণ্য শক্তির ডাক। তৃতীয় কোন শক্তি চাইছি। যে অমিত তেজে একবার আমাদের ডক দেবে এবং আমাদের নির্লিপ্ত প্রাণ গরম হয়ে উঠবে।
তখন আর ভোদাই থাকব না। এক লাথি মেরে বাকশাল দুর করব।
ওয়েট ম্যান ওয়েট ম্যান। কোন বিম্পি, আবালীগ, জামাত-শিবির দরকার নাই। দরকার এমন এক নেতার যার মুখের কথায় ছাত্রদের গা গরম হয়ে উঠবে।
তখন আর ভোদাই থাকব না। শোণিত তরবারি নিয়েই বের হব।