নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিভিন্ন

সচেতন নাগরিক

মুহাম্মদ সিরাজ েমাল্লাহ

আমি বাংলাদেশী , আমার দেশ বাংলাদেশ

মুহাম্মদ সিরাজ েমাল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুবই জানতে ইচ্ছে হয়(রিপোষ্ট)

১৯ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:১৪

মুসলিম ধর্মমতে তকদির এ বিশ্বাস করা হলো একটি ঈমানে অঙ্গ । তাই সব মুসলমানকে অবশ্যই তাদের তকদিরে বিশ্বাস করতে হয় । এছাড়া কথায় আছে গাছের একটি পাতাও নাকি আল্লাহর হুকুম ছাড়া নড়ে না বা আল্লাহর হুকুম ছাড়া কোন কিছুই হয়না । তাই আমার মনে প্রায়ই প্রশ্ন জাগে তাহলে মানুষ যখন খারাপ কাজ করে তা কি আল্লাহর হুকুমেই হয় ! এছাড়া সব কিছু যদি তকদিরে লেখা থাকে তবে কেন আমরা আল্লাহ কাছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মোনাজাত করি(বিভিন্ন কিছু চাই)।



যদি কোন ভাইয়ের এব্যাপারে কিছু জানা থাকে তবে মন্তব্য দিন ।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:২৭

আহসান আরিয়ান বলেছেন: আমি আসলেই তেমন কিছু জানি-না, তবুও আমার একটা ছোটো মতামত আছে! এটাই-যে সঠিক, আমি মোটেই সেটা বলছি-না!

যে যার স্বাধীনতা অনুযায়ী চলবে! যা-হোক, আল্লাহ-পাক জানেন কে কি করবে! আর সব কিছুর মধ্যেই একটা ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য তাদের ইচ্ছামতো চলার একটা ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন!

এখন, যেহেতু তিনি (আল্লাহ্) জানেন সবার অতীত, আজ এবং কাল; সুতরাং তিনি সেটা লিখে দিয়েছেন। আর পুরো দুনিয়া সেই নিয়মেই চলছে বলে আমার বিশ্বাস।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:৪২

আমরা সোচ্চার বলেছেন: ধরুন আল্লাহ একজন পরীক্ষক আর আমরা পরীক্ষার্থী, তিনি পরীক্ষার প্রশ্ন সব আগে থেকেই জানেন কিন্তু ভাল ফলাফল নির্ভর করবে পরীক্ষার্থীদের তাদের কাজের উপর।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৭

সিড বলেছেন: ধরুন আল্লাহ একজন পরীক্ষক আর আমরা পরীক্ষার্থী, তিনি পরীক্ষার প্রশ্ন সব আগে থেকেই জানেন কিন্তু ভাল ফলাফল নির্ভর করবে পরীক্ষার্থীদের তাদের কাজের উপর।

A GOOD THINK.

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৫

শুভ জািহদ বলেছেন: প্রথমতঃ-
"আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের পাতা নড়ে না" একটা ফালতু ও মুখরোচক কথা এবং আল্লাহর উপর একটা অপবাদ আরোপ করা যা তিনি বলেন নাই।

কোরআনে বলা আছে,
সূরা আনআম-৬:৫৯> কোন গাছের পাতা ঝরে না আল্লাহ অজ্ঞাতে।

তার মানে আল্লাহর অজান্তে কোন গাছের পাতা ঝরে না। সবকিছুই আল্লাহর গন্ডির মধ্যে এবং জ্ঞানের মধ্যে রয়েছে। তাই গাছের পাতা নড়তে গেলে আল্লাহর হুকুম লাগব সেটা অনুচিত। কারণ গাছের পাতা আল্লাহর বিধানগত ও সৃষ্টিগত কারণেই নড়ে এবং ঝড়ে। গাছ পালা সহ দুনিয়ার সব কিছুই আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পন কারী।
--------------------------------------------------------------------

দ্বিতীয়তঃ
মানুষ যখন খারাপ কাজ করে তা কি আল্লাহর হুকুমেই হয়।

এর উত্তর কোরআনেই দেওয়া আছে।

সূরা আরাফ-২৮> আল্লাহ কোন মন্দ কাজের আদেশ দেন না।

অতএব কেউ যদি আকাম করে তবে তার জন্য আল্লাহকে দোষারোপ করা যাবে না। কারণ আল্লাহ মন্দ কাজের নির্দেশ দেন নাই। কেউ করলে সেটা তার উপরই বর্তাবে।

--------------------------------------------------------------------

তৃতীয়তঃ
সব কিছু যদি তকদিরে লেখা থাকে তবে কেন আমরা আল্লাহ কাছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মোনাজাত করি।

তকদিরে লেখা আছে কে জান্নাতে যাবে আর কে জাহান্নামে যাবে। আমরা কেউই জানি না কে জান্নাতে যাবে আর কে জাহান্নামে যাবে। এই দুনিয়া পরীক্ষাক্ষেত্র।

সূরা মূলক:২> তিনিই (আল্লাহ) সৃষ্টি করেছেন জীবন ও মৃতু যাতে তোমাদের পরীক্ষা করেন কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম।

অর্থ্যাৎ এই দুনিয়া পরীক্ষা ক্ষেত্র। পরীক্ষা ক্ষেত্রে যেমন পরীক্ষা তেমন রেজাল্ট। কেউ এ প্লাস মানে জান্নাতুল ফেরদাউস, কেউ টেনেটুনে পাস আর কেউ ফেইল।

আশা করি বুঝতে পারছেন। না পারলে আবার বুঝানোর চেষ্টা করমু। আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

২০ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:৩৮

মুহাম্মদ সিরাজ েমাল্লাহ বলেছেন: জাহিদ ভাই অনেক ধন্যবাদ আপনার সু্ন্দর মন্তব্য জন্য। ভাই আপনার ১ম এবং ২য় ব্যাপারে কোন প্রশ্ন নেই কিন্তু ৩য় টার ব্যাপারে আপনাকে কিছু জিঙ্গাসা করতে চাই। আপনি বলেছেন আমাদের তকদিরে জান্নাত ও জাহান্নাম যাবার কথা লেখা আছে তবে আমরা ইবাদত কেন করি ?যদি যে ব্যাক্তির তকদিরে জান্নাত লেখা আছে তবে সে যতই নামায না পড়ুক বা খারাপ কাজ করুক সে জান্নাতে যাবে আর যার ললাটে জাহান্নাম লেখা আছে সে নামায পড়ুক বা ভাল কাজ করুক সে কি তকদিরের কারণে দোযোগে যাবে?

আর তকদিরে যদি ভাল বা মন্দ না থাকে তবে শত চেষ্টার পর অনেকের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় না আবার দেখা যায় ভাগ্যের জন্য অনেকে সামান্য চেষ্টার ফলে অনেক পরিবর্তন হয়েছে তাহলে এটা কি?
একটা উদাহরন, আমার এক প্রতিবেশী সে তেমন আল্রাহ হুকুম মানে না(নামায় পড়ে না, সুদ খায়, মিথ্যা বলে) সে সব মিলিয়ে ভালই দিনযাপন করছে কিন্তু আর এক প্রতিবেশী সে মোটামুটি আল্রাহ হুকুম মানে (নামায় পড়ে , সুদ খায় না, মিথ্যা বলে না , চেষ্ট করে ভাল থাকতে) সে সব মিলিয়ে ভাল দিনযাপন করতে পারছে না তবে এগুলো কি তকদিরে খেলা না।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৭

শুভ জািহদ বলেছেন: প্রথমতঃ-
"আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের পাতা নড়ে না" একটা ফালতু ও মুখরোচক কথা এবং আল্লাহর উপর একটা অপবাদ আরোপ করা যা তিনি বলেন নাই।


কোরআনে বলা আছে,
সূরা আনআম-৬:৫৯> কোন গাছের পাতা ঝরে না আল্লাহ অজ্ঞাতে।

তার মানে আল্লাহর অজান্তে কোন গাছের পাতা ঝরে না। সবকিছুই আল্লাহর গন্ডির মধ্যে এবং জ্ঞানের মধ্যে রয়েছে। তাই গাছের পাতা নড়তে গেলে আল্লাহর হুকুম লাগব সেটা অনুচিত। কারণ গাছের পাতা আল্লাহর বিধানগত ও সৃষ্টিগত কারণেই নড়ে এবং ঝড়ে। গাছ পালা সহ দুনিয়ার সব কিছুই আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পন কারী।
--------------------------------------------------------------------

দ্বিতীয়তঃ
মানুষ যখন খারাপ কাজ করে তা কি আল্লাহর হুকুমেই হয়।


এর উত্তর কোরআনেই দেওয়া আছে।

সূরা আরাফ-২৮> আল্লাহ কোন মন্দ কাজের আদেশ দেন না।

অতএব কেউ যদি আকাম করে তবে তার জন্য আল্লাহকে দোষারোপ করা যাবে না। কারণ আল্লাহ মন্দ কাজের নির্দেশ দেন নাই। কেউ করলে সেটা তার উপরই বর্তাবে।

--------------------------------------------------------------------
তৃতীয়তঃ
সব কিছু যদি তকদিরে লেখা থাকে তবে কেন আমরা আল্লাহ কাছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মোনাজাত করি।

তকদিরে লেখা আছে কে জান্নাতে যাবে আর কে জাহান্নামে যাবে। আমরা কেউই জানি না কে জান্নাতে যাবে আর কে জাহান্নামে যাবে। এই দুনিয়া পরীক্ষাক্ষেত্র।

সূরা মূলক:২> তিনিই (আল্লাহ) সৃষ্টি করেছেন জীবন ও মৃতু যাতে তোমাদের পরীক্ষা করেন কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম।

অর্থ্যাৎ এই দুনিয়া পরীক্ষা ক্ষেত্র। পরীক্ষা ক্ষেত্রে যেমন পরীক্ষা তেমন রেজাল্ট। কেউ এ প্লাস মানে জান্নাতুল ফেরদাউস, কেউ টেনেটুনে পাস আর কেউ ফেইল। আমরা মোনাজাত করি কারণ এটাও একটা পরীক্ষা। সব পরীক্ষায়ই পাসের চেষ্টা করা দরকার।

আশা করি বুঝতে পারছেন। না পারলে আবার বুঝানোর চেষ্টা করমু। আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:৪৫

শুভ জািহদ বলেছেন: ইনশাল্লাহ খুব দ্রুত আপনার উত্তর দিব। এতদিন চোখে পড়ে নাই। দেরি হওয়ার জন্য দুঃখিত।

২৫ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:২৭

মুহাম্মদ সিরাজ েমাল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই , আপনি যে নাম্বার এ আজ মিস কল দিলেছিলেন আমি সেই লোক । আজ ৫টা পর আপনাকে ৩ বার ফোন করিছি।

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৪৮

শুভ জািহদ বলেছেন: ব্যক্তিগত একটা কারণে আন নোন নাম্বার থেকে ফোন রিসিভ করি না। দয়া করে কাল আবার দিবেন অথবা কিছু জানতে চাইলে মেসেজ করেও দিতে পারেন। যদি জানা থাকে ব্লগে জানিয়ে দিব। ধন্যবাদ।

৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১২:৩০

শুভ জািহদ বলেছেন: বিসমিল্লাহ
ভাই, ৩য় টার ব্যাপারে বলি,

আপনি বলেছেন আমাদের তকদিরে জান্নাত ও জাহান্নাম যাবার কথা লেখা আছে তবে আমরা ইবাদত কেন করি ?যদি যে ব্যাক্তির তকদিরে জান্নাত লেখা আছে তবে সে যতই নামায না পড়ুক বা খারাপ কাজ করুক সে জান্নাতে যাবে আর যার ললাটে জাহান্নাম লেখা আছে সে নামায পড়ুক বা ভাল কাজ করুক সে কি তকদিরের কারণে দোযোগে যাবে?

=>প্রথমতঃ- তকদিরের কারণে কেউ জান্নাতে বা জাহান্নামে যায় না, যায় আমলের কারণে। দুনিয়া নামক পরীক্ষাক্ষেত্রে এসে খারাপ আমল করার কারণে। যদি আমরা জানতাম যে কে কোথায় যাবে তবেই এই প্রশ্ন তোলা যেত। যেমন ধরেন আল্লাহ না করুক, আমাকে আল্লাহ জানিয়ে দিলেন যে আমি জাহান্নামী। তখন আমি এই প্রশ্ন করতে পারি যে কেন তবে আমি ইবাদাত করব? যেহেতু আমি জানি না, তাই আমি ইবাদাত করব। যদি জানতাম তবে কখনো ইবাদাত করতাম না।

আরেকটা উদাহরণ দেই, যেমন ধরেন এস.এস.সি পরীক্ষার হলে সবাই জানে যে, কিছু ছাত্র পাশ করবে, কিছু ফেল করবে।

এখন যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, জানিই যখন কেউ পাশ ও কেউ ফেল করবে তবে কেন পরীক্ষা?

আসলে পরীক্ষাই নির্ধারণ করে দেয় কে পাশ করবে আর কে ফেল করবে। যদি সরকার ঘোষনা দিত যে আরামবাগ হাইস্কুলের ১-২৫ রোল পর্যন্ত সবাই পাশ আর ২৬-৫০ রোল পর্যন্ত সবাই ফেল, তখন ছাত্ররা প্রশ্ন করতে পারতো যে রেজাল্টই যখন ফিক্সড তবে কেন পরীক্ষা।
যেহেতু কে জান্নাতে যাবে আর কে জাহান্নামে যাবে সেটা আমরা কেউ জানি না তাই আমাদের ভাল করে পরীক্ষা দিতে হবে। আশা করি বুঝতে পারছেন।

কার ললাটে জাহান্নাম আছে আমরা জানি না, আবার কার ললাটে জান্নাত আছে সেটাও জানি না। তবে আমাদের অনুসরণ করতে হবে কোরআন ও সহীহ হাদিস এবং এটাই আমাদের ধাবিত করবে জান্নাতের দিকে। আর কোরআনে তো আল্লাহর ওয়াদাই আছে যে,

সূরা আরাফ-১৭০> যেসব লোক কিতাবকে আকড়ে ধরে থাকে, নিশ্চয়ই আমি নষ্ট করব না সৎকর্মীদের আমল।

যেহেতু আল্লাহ আমল নষ্ট করবেন না তো কোরআন ও সহীহ হাদিস অনুযায়ী আমল চালিয়ে যেতে কিসের বাধা। আল্লাহ কি সর্বশ্রেষ্ঠ ওয়াদা রক্ষাকারী নন?

=============================================

দ্বিতীয়তঃ- ভাই বললেন, তকদিরে যদি ভাল বা মন্দ না থাকে তবে শত চেষ্টার পর অনেকের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় না আবার দেখা যায় ভাগ্যের জন্য অনেকে সামান্য চেষ্টার ফলে অনেক পরিবর্তন হয়েছে তাহলে এটা কি?

=> ভাই, মুসলিমরা চেষ্টা করবে, শ্রম দিবে এবং ফলাফলের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করবে এবং ফলাফলটাই তকদির। এটাই মূলনীতি।

সূরা রাদ-১১> আল্লাহ কোন জাতির অবস্থার পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত তারা নিজেরা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন না করে।

এখন কোন নাস্তিক যদি সত্য বুঝতে না চায়, গোড়ামি করে বা কোন খ্রিষ্টান যদি সত্য বুঝেও গ্রহণ না করে তবে তার জন্য তার তাকদীর দায়ী না। সে যদি ইসলাম গ্রহণ করে জান্নাতে যায় তবে সেটাই তার তাকদির। আবার সে যদি কাফের অবস্থায় মৃতু্ বরণ করে জাহান্নামে যায় সেটাও তার তাকদির। চূড়ান্ত ফলাফলটাই তাকদির। আর আল্লাহ আলিমুল গায়েব হিসেবে তাকদির সম্পর্কে জানেন।

যদি আমি জানি যে আমার তকদিরে আছে ২৫শে ডিসেম্বর মারা যাব তবেই আমি বলতে পারি যে ডাক্তার দেখিয়ে লাভ নেই। তকদিরে ২৫শে ডিসেম্বর মৃতু্ আছে। কিন্তু যদি আমি না জানি কি আমার তকদির এবং আমি যদি যথাসময়ে ডাক্তার দেখাই এবং ১৫ই জুন মারা যাই তবে সেইদিনই হবে আমার তকদির। আমার তকদিরে সেইদিনই মৃতু লেখা ছিল।

অতএব সকল প্রকার চেষ্টা সাধনা করার পর এবং আল্লাহর উপর ভরসা করার পর চূড়ান্ত ফলাফল হিসেবে আমরা যা পাই সেটাই তকদির।

=============================================

এবার আসি ভাল মন্দ ব্যাপারটাতে।

আমি সুদি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করি নাই। আমার বন্ধু সেই সুদি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে অসংখ্য টাকার মালিক। ২০ লাখ টাকা তার একাউন্টে আর আমার নুন আনতে পানতা ফুরায়।

আসুন কোরআন কি বলে দেখি। আল্লাহ বলেছেন

সূরা আনকাবুত-২> মানুষ কি মনে করে "আমি ঈমান এনেছি" একথা বলেই পার পেয়ে যাবে? আমি কি তাদের (ঈমান) এর পরীক্ষা নিব না? আমি তাদেরও পরীক্ষা গ্রহণ করেছি যারা তাদের পূর্বে ছিল। নিশ্চয়ই আল্লাহ জেনে নিবেন (উক্ত বক্তব্যের ব্যাপারে) কারা সত্যবাদী এবং কারা মিথ্যাবাদী

উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ বলেছেন যে তিনি আমাদের মুসলিমদের ঈমানের পরীক্ষা নিবেন। আমরা জেনে গেছি যে আমাদের পরীক্ষা দিতে হবে। তো প্রশ্ন পত্রে কি কি প্রশ্ন থাকবে সেটা সাধারণত আমরা জানি না। তবে আল্লাহ তাও আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন।

সূরা বাকারা-২:১৫৫> অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব (১) ভয় দ্বারা, (২) ক্ষুদা দ্বারা, (৩) জান ও মালের ক্ষতি দ্বারা।

প্রথমত যখন সুদের ব্যবসার প্রস্তাব আসল তখন আমার বন্ধু দারিদ্রতার ভয় পেয়ে সুদকে গ্রহণ করল। আর আমি বর্জন করলাম। এতে সে প্রথম পরীক্ষায় ফেল আর আমি পাশ।

দ্বিতীয়ত, সুদি ব্যবসার কারণে সে পেট ভরে খায় কিন্তু আমি ক্ষুদার্ত। তারপরও ঈমানের সেই স্বাক্ষীর উপর অটল। এতে ক্ষুদার পরীক্ষায়ও আমি পাশ সে ফেল।

তৃতীয়ত, মাল বা অর্থ সম্পদের পরীক্ষায় আমার বন্ধু হালাল-হারাম বাছ বিচার না করে হারামটা গ্রহণ করল, হারাম খেল এবং অর্থ সম্পদ পেল। আর আমি অর্থ সম্পদ ছাড়া আরও গরীব হলাম, দিনে এক বেলা খেলাম কিন্তু যেহেতু ঈমান আনার ঘোষনা দিয়েছি তাই মালের পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হলাম।

এছাড়া হাদিসেও আছে যে,

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, মহান আল্লাহ্‌ তা'আলা যে ব্যক্তির কল্যাণ চান তাকে বিপদে ফেলেন। [বুখারী, রিয়াদুস স্বালিহিন, ৩৯]

এই বিপদ হলো পরীক্ষা যাতে মুসলিমরা ধৈর্য ধারণ করে এবং পুরষ্কারপ্রাপ্ত হয়। পাশাপাশি আল্লাহর নৈকট্যও লাভ করে। তাই আমরা মুসলিমরা সকল বিপদ আপদকে পরীক্ষা হিসেবে দেখি এবং আল্লাহ দয়া ও রহমতের আশায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাই। পরিশেষে যা পাই সেটাকেই ভাগ্য হিসেবে ধরে নেই।

ভাই, সামান্য শার্ট কিনতে গেলেও কত খুটিনাটি বিষয় দেখে তারপর কিনি। আর আল্লাহর জান্নাত কি এতই নগন্য? এতই কমদামী? তিনি কি পরীক্ষা ছাড়াই আমাদের জান্নাত দিয়ে দিবেন? ভাই, আল্লাহর জান্নাত অনেক দামী। অনেক দামী।

আল্লাহ আমাদের জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন। আমীন

২৬ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:২২

মুহাম্মদ সিরাজ েমাল্লাহ বলেছেন: জাহিদ ভাই সুন্দর উত্তরের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.