নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

সৈয়দ মশিউর রহমান

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।

সৈয়দ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কদবেলের পুষ্টিগুন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪১


অঞ্চলভেদে কয়েতবেল নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই কদবেলগাছ চোখে পড়ে। গাজীপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বেশি জন্মে। বেশ জনপ্রিয় ফল। ফল পাকার মৌসুমে শহরের ফল দোকান বা অলিগলির মোড়ে কদবেলের পসরা দেখা যায়। ইংরেজি নাম Wood apple, পরিবার Rutaceae, উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Feronia Limonia। জন্মস্থান দক্ষিণ ভারত।

কদবেল মাঝারি আকারের পত্রঝরা বৃক্ষ। উচ্চতায় ১০ থেকে ১২ মিটার হয়ে থাকে। শাখা-প্রশাখা ছায়াঘন এবং ছড়ানো। গাছের বাকল সবুজাভ থেকে বাদামি রঙের, কাঠ বেশ শক্ত। এর কাঠ দিয়ে কৃষি উপকরণ তৈরি, ঘরবাড়ি নির্মাণ ও দৈনন্দিন অন্যান্য কাজে ব্যবহার হয়। গাছের বৃদ্ধি ধীরগতিসম্পন্ন। প্রায় সব ধরনের মাটিতে কদবেল জন্মে, তবে রৌদ্রোজ্জ্বল সুনিষ্কাশিত দো-আঁশ থেকে বেলে দো-আঁশ মাটিতে ভালো জন্মে। গাছের পাতা আকারে অনেকটাই কামিনী ফুলের পাতার মতো। গোলাকার, ছোট, রং গাঢ় সবুজ। গাছের শাখা-প্রশাখায় কাঁটা থাকে। ফুল ফোটার মৌসুম মার্চ মাস। মঞ্জরিতে সবুজাভ-সাদা রঙের ফুল ধরে, ফুলে থাকে ৫-৬টি পাপড়ি। শাখায় একক বা গুচ্ছাকারে ফল ধরে। ফলের বোঁটা বেশ মজবুত। ফল আকারে গোলাকার, চামড়া খসখসে, স্বাদে টক-মিষ্টি, রং সবুজাভ থেকে বাদামি।

বেলের তুলনায় আকারে কদবেল ছোট। তবে বেলের মতো কদবেলের ওপরের অংশেও শক্ত আবরণ থাকে। পাকা ফলের ভেতরের শাঁস আঠালো, নরম ও রং বাদামি। লবণ-মরিচে মাখা কদবেলের স্বাদ অতুলনীয়। ফলে বীজ হয়, বীজ আকারে ছোট, রং সাদা। ফলের ওজন ২৫০ গ্রাম থেকে ৩৫০ গ্রাম হয়ে থাকে। ফল পাকার মৌসুম অক্টোবর-নভেম্বর মাস। ফলের বীজ, শিকড় ও ক্লেফট গ্রাফটিং পদ্ধতির মাধ্যমে চারা তৈরি করা যায়। উপযুক্ত পরিবেশে চারা রোপণের ৫-৬ বছরের মাঝে গাছে ফল ধরে। তবে কলম চারার গাছে আরো কম সময়ে ফলন পাওয়া যায় এবং কলম চারা বড় টবেও চাষ করা যায়। দেশীয় কদবেলের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল কদবেলের জাত রয়েছে যা বারি কদবেল-১, বারি কদবেল-২ ও বাউ কদবেল-১ নামে পরিচিত। এ জাতগুলি সর্বত্র চাষ উপযোগী, কম সময়ে ফলন পাওয়া যায়, নিয়মিত ফল ধরে, খরা সহনশীল এবং ফলের আকার তুলনামূলক বড়। উল্লেখ্য যে, বারি কদবেল-২ জাতটি অমৌসুমে উত্পাদিত বারোমাসি কদবেলের জাত। এছাড়া থাই কদবেলের জাতও সম্প্রসারিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হয়েছে কদবেলের বাণিজ্যিক চাষাবাদ।

কদবেলে রয়েছে পুষ্টি। কদবেলের পাতা, ফল ও বাকলে ভেষজগুণ বিদ্যমান। কদবেল কাঁচা ও পাকা দু’ভাবেই খাওয়া যায়। আচার ও চাটনি তৈরি হয়। পুষ্টিবিদদের মতে পেয়ারা, আমলকী, আনারস, লিচু ও কাঁঠালের চেয়ে কদবেল বেশি উপকারী। কদবেলে ক্যালসিয়াম, আমিষ, শর্করা, পানি, খনিজ লবণ, লৌহ, ভিটামিন-বি১, বি২ ও প্রচুর ভিটামিন-সি রয়েছে। পাতার রস পেট ফাঁপা ও হজমের সমস্যা দূর করে। ফল যকৃত ও হৃদরোগের কাজ করে, অজীর্ণ দূর করে, দাঁতের মাড়ি মজবুত করে, ব্রণ ও মেছতা দূর করে, রক্ত আমাশয় ও পেট ব্যথা নিরাময় করে, শরীরের ক্ষত ও ঘা নিরাময় করে, কিডনি ভালো রাখে, পিত্ত পাথর সারায়, সর্দি, কাশি ও হাঁপানি দূর করে, যক্ষ্মা, ক্যানসার ও পাইলস প্রতিরোধক, মূত্রবর্ধক, বলকারক ও স্নায়ুশক্তি বৃদ্ধিকারক, উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কিডনি রোগীর ক্ষেত্রে কদবেল ডাক্তারের পরামর্শে খেতে হবে।







মূল লেখা : নূর আলম গন্ধী

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩৭

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সত্যই কদবেলের অনেক পুষ্টি গুণ
খেতে সুস্বাদু লাগে---------

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আসলে এইসব ফল বেশি পুষ্টিকর।

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: কদ বেলে যতই পুষ্টি গুণ থাকুক- আমার অপছন্দের তালিকায় অন্যতম। ভেতরটা দেখতেই গা গুলিয়ে ওঠে!

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সবার পছন্দ এক না, ভিন্নতা থাকতেই পারে।

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আমি জীবনে একবার কদদবেল খেয়েছি। তাও ছোটবেলায়। গ্রামের বাড়িতে।
আমাদের গ্রামের বাড়িতে একটা কদবেল গাছ আছে। একদিন উঠানে খেলা করছিলাম। উপর থেকে দুটা কদবেলে নিচে পড়ে। আমি কদবেল দুটা দাদীর কাছে দেই। দাদী লবন মরিচ আর চিনি দিয়ে ভর্তা বানিয়ে দেয়।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: লবন মরিচ আর চিনি দিয়ে ভর্তার মতো করতে স্বাদ ভালো হয়।

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:০৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কদবেল আমার পছন্দের অন্যতম একটা ফল। এমনিতে আমি টক জিনিষ পছন্দ করি, তার উপর এটা মাখাতে ঝাল দেওয়া যায়। সোনায় সোহাগা।

সৌদী আরবে আসবার আগে আমার পরিচিত এক আপা ছিলেন, তিনি গাছের শেষ তিনটা কদবেল আমার জন্য রেখে দিতেন। একদম গাছপাকা কদবেল পেতাম। আমি প্রতি বছরই উনার কদবেল উপলক্ষে ঢাকা থেকে খুলনা যেতাম।

এছাড়া প্রতি বছরই আমি একজন কদবেল বিক্রেতাকে বলে রাখতাম যে আমি প্রতিদিন কদবেল নিবো, ভালোটা থাকলেই দিবে, ভালোটা না থাকলে বলে দিবে আজকে না নিতে। আমি পরেরদিন দুইটা এক সাথে নিবো।

সৌদী আরবে আসবার পর খুব একটা খাওয়া হয়নি, বছরে একটা দুইটা। এ বছর কিনেছিলাম অনেক গুলি, সুন্দর করে মাখিয়ে খেয়েছি।


@রাজীব নুর, শুনেছি নিউটন আপেল পড়া দেখে গ্রাভিটির সন্ধান পেয়েছিলেন। আপনি কদবেল দেখে কিসের সন্ধান পেলেন?

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যাক কদবেল নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা অনেক। আপনার মতো গ্রাহককে বিক্রেতা অবশ্যই ভালোটাই দেবে এটা চোখ বন্ধ করে বলা যায়।

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:১৭

হাবিব বলেছেন: আমার ভীষণ পছন্দের একটি ফল ....

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: একেক জনের পছন্দ একেক মতো।

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ‌আমি ছাদে কদ চাড়া লাগাবো ভাবছি ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অবশ্যই লাগাবেন এবং পরবর্তীতে ফলাফল আমাদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেনা না।

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:



কদবেলের এই গুণগুলো আগেও ছিলো, নাকি সাম্প্রতিক যোগ হয়েছে?

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অতিসম্প্রতি যোগ হয়েছে আপনার সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে। :D আপনি ভালো আছেন তো?

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৯

জ্যাকেল বলেছেন: কদবেল খাইতে হবে, রেসিপি কেমন আছে আপনার নিকটে?

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: লবন, মরিচ আর চিনি দিয়ে ভর্তার মতো করে খাবেন।

৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কদবেল খেতে ভালো লাগে। আর বেলের শরবত ভালো লাগে।
বিজ্ঞানী নিউটনের মাথায় আপেল না পড়ে কদবেল পড়লে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কার হতে আরও দেরী হতো। ইংল্যান্ডে কদবেল হয় না মনে হয়।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার লেখা যেমন সুন্দর আপনি মানুষও তেমনি সুন্দর। মজার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ইংল্যান্ডে কদবেল হয় কিনা জানা নেই।

১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- গাছ পাঁকা কালো হয়ে যাওয়া কদবেলের ভর্তা অতি সুস্বাদু।
- এই বেলের প্রকৃত নাম হচ্ছে কদর্য বেল। দেখতে একটু খারাপ বলেই এর নাম ছিলো কদর্য বেল।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এর নাম যে কদর্য বেল জানা ছিলনা।

১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক মজার !

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৩৪

বিটপি বলেছেন: হূদরোগ কি জিনিস? এইটা কোথায় হয়? উপসর্গ কি?

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ঠিক করে দিয়েছি। ওটা মানুষের হার্টে হয়। :D

১৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০৩

অপ্‌সরা বলেছেন: কদবেল অনেকেরই অনেক প্রিয়। যে কোনো টক জিনিস আমার প্রিয় না। তাই কদবেলও এত প্রিয় না। তবে এর গুনাগুন কি এটা অন্তত সবার জানা দরকার। জানলেও এই পোস্ট একটা রিকলিং পোস্ট হতে পারে কিন্তু সবার মন্তব্য পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ! :P

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এটা আসলে রিকলিং পোস্ট; এখানে যোজন বিয়োজনের কিছু নেই। টক অনেকেই খেতে পারেনা আবার অনেকে খুবই পছন্দ। মন্তব্যের জন্য অনিঃশেষ ধন্যবাদ।

১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন:



কদবেলের এই গুণগুলো আগেও ছিলো, নাকি সাম্প্রতিক যোগ হয়েছে?

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: উনি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ তাই ওনার কথা ভেবে গুণাবলী নতুন করে সংযোজিত হয়েছে। B-)

১৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন: কদবেলের এই গুণগুলো আগেও ছিলো, নাকি সাম্প্রতিক যোগ হয়েছে? মন্তব্যটা পড়ে হাসলাম অনেক।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যদিও উনি তাচ্ছিল্য করে বলেছেন তারপরও ওনার মন্তব্য আমার ভালো লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.