নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

সৈয়দ মশিউর রহমান

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।

সৈয়দ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কূটনীতি : প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প হিমাগারে গেছে?

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১০

ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র– সন্দেহ নেই। কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার কোনো অধিকার দেশটির থাকতে পারে না। আমরা দেখছি, প্রবল উত্তেজনাকর এমনকি প্রাণঘাতী সীমান্ত বিরোধ সত্ত্বেও চীনের সঙ্গে ২০২২ সালে ১৩৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক বাণিজ্য চালিয়েছে ভারত। তাহলে বাংলাদেশ নিজের অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নয়নে চীন থেকে সহজ শর্তে ঋণ বা কারিগরি সহায়তা নিতে পারবে না কেন? শুধু দিল্লি- বেইজিং বিরোধের জের ঢাকা বহন করবে কেন? অথচ প্রায় সব চীনা প্রকল্পেই ভারত বারবার নানা অজুহাতে বাগড়া দিয়ে চলেছে।

সবতথ্য এখানে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:



যতটুকু লিখেছেন ইহা বিশাল ব্যাপার; ইহা রচনা করতে কত সময় লেগেছে? ইহাকে একটি পোষ্টে পরিণত করতে কি পরিমাণ সময় লাগবে? আজগুবি ভাবনা।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তিস্তা থেকে ভারতের পানি প্রত্যাহার এবং চুক্তি না হওয়া নিয়ে আপনার একটি লেখা চাই।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



অসৎ চীন ও আমাদের অসৎ ব্যুরোক্রেটদের ডাকাতী থেকে জাতি কি আসলে মুক্তি পাচ্ছে? তিস্তা প্রকল্প নিজেরা করার দরকার

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তিস্তা প্রকল্প নিজেরা করতে পারলে আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা আরো বড় কাজ করার মতো উপযোগী হতো।

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২০

বিটপি বলেছেন: ভারতের সরকার প্রধান চীনের দয়ায় হয়না, এইজন্য ভারত-চীনে ব্যবসা হয়। কিন্তু আমাদের দেশের সরকার ভারতের সহায়তায় ও দয়ায় টিকে আছে। তাই তারা গোস্বা হয়, এমন কিছু আমাদের সরকার করতে সাহস পাবেনা। যদি কিছু করে, ভারতের স্বার্থ রক্ষা করেই করতে হবে।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমাদের রাজনীতিকদের এজেন্ডাই যেন ভারতের স্বার্থরক্ষা করা। ভারত বড় দেশ তাদের সংগে দরকষাকষি করে দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে এমন নেতা আমাদের নেই।

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:


@বিটপি,

শেখ হাসিনা কারো দয়ায় হয় না; শেখ হাসিনা সব সময় ভারতের সাপোর্ট পেয়ে আসছে, কারণ, ভারত কখনো বিএনপি-জামাতকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় দেখতে চাহে না; পশ্চিম পাশে ১টি পাকিস্তানই ভারতের জন্য যথেষ্ট। শেখ হাসিনা সহজে জিতে যায় বিএনপি-জামাতীদের খারাপ আচরণের জন্য।

৫| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন: আমাদের রাজনীতিকদের এজেন্ডাই যেন ভারতের স্বার্থরক্ষা করা। ভারত বড় দেশ তাদের সংগে দরকষাকষি করে দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে এমন নেতা আমাদের নেই।


-আপনার মনে হয়, শেক হাসিনা ভারতের এজেন্ডা স্বার্থরক্ষা করছে? এসব শিশু ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসেন, উনি ভারত ও বিশ্বকে বুঝেই দেশ চালাচ্ছেন। মানুষের উন্নয়ন সম্পর্কে উনার দক্ষতা কম, সেজন্য উনি সমস্যায় আছেন।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতকে বুঝেই দেশ চালাচ্ছেন, সেটা তো সবাই জানে।

৬| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: আমাদের রাজনীতিকদের এজেন্ডাই যেন ভারতের স্বার্থরক্ষা করা। ভারত বড় দেশ তাদের সংগে দরকষাকষি করে দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে এমন নেতা আমাদের নেই।


-আপনার মনে হয়, *শেখ হাসিনা ভারতের এজেন্ডা স্বার্থরক্ষা করছে? এসব শিশু ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসেন, উনি ভারত ও বিশ্বকে বুঝেই দেশ চালাচ্ছেন। মানুষের উন্নয়ন সম্পর্কে উনার দক্ষতা কম, সেজন্য উনি সমস্যায় আছেন।

৭| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩

বিটপি বলেছেন: @ সোনাগাজী, আবদুল গাফফার চৌধুরী যেমন আমেরিকায় বসে বসে দেশরক্ষার মহান ব্রত চালিয়ে সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন, আপনার কমেন্ট দেখেও আমার তেমনই মনে হয়। ভারত সরকার আমাদের মত গাধা নয়। তাঁদের জনগণকে উপযুক্ত শিক্ষা দীক্ষা আর রিসোর্স দিয়ে বড় করা হয়। ভারত সরকার যদি কোনভাবে এই মেসেজ পায় যে জামায়াতের নেতারা তদের অনুগত, তাহলে হাসিনা সরকারকে ঝেড়ে লাথি মারতে তাঁদের দুই মিনিটও সময় লাগবেনা। তারা তাঁদের স্বার্থরক্ষার জন্য যেকোন কিছু করতে পারে।

ভারত যদি বিবিধ সুবিধা পায় যেমন এই দেশে তাদের নাগরিকদের আয় উপার্জনের ব্যবস্থা বাড়ানো, সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে তাদের দেশের কোম্পানীগুলোর সম্পৃক্ততা, উচ্চ মূল্যে তাঁদের উৎপাদনকৃত বিদ্যুৎ ক্রয়, সীমান্ত আগ্রাসনের ক্ষেত্রে নমনীয় অবস্থান, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশনে ভারতের অবস্থানের প্রতি নিশর্ত সমর্থন - এগুলো মেনে চলার প্রতিশ্রুতি পেলে জামায়াত নেতাদেরকেও মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দেশের ক্ষমতায় বসানো ভারতের জন্য কোন ব্যাপারই না। কিন্তু তাঁদের সেই সক্ষমতা আছে কিনা - সেটা একটা প্রশ্ন।

৮| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫১

সোনাগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতকে বুঝেই দেশ চালাচ্ছেন, সেটা তো সবাই জানে।

-ভারত শক্তিশালী প্রতিবেশী; বিশ্বের কোন দেশ ভারতের দ্বারা তেমনভাবে উপকৃত হয়নি, এবং হওয়ার সম্ভাবনা কম; সেটা শেখ হাসিনাকে বুঝতে হয়; সবাই ভালো প্রতিবেশী চায়, কিন্তু সেটা ঘটে না। ভারত বা বার্মার মতো প্রতিবেশী কেহ চাওয়ার কথা নয়, কিন্তু উহাই আমাদের বেলায় সাস্তবতা।

৯| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪

সোনাগাজী বলেছেন:



@বিটপি,

আপনার ভাবনাচিন্তা স্ববিরোধী; ভারতের কুটনীতিবিদরা ও রাজনীতিবিদরা বিএনপি-জামাত ও পাকিস্তানের বেলায় খুবই সতর্ক, ওরা কমপক্ষে বেকুব নয়।

১০| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: এসব বিষয় আমি কম বুঝি। তাই মন্তব্য করতে পারলাম না।

১১| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়া আপনার লিংক ধরে অধ্যাপক মইনুল ইসলামের প্রতিবেদনটি পড়লাম। উনি বিজ্ঞ লোক কাজেই ওনার উপলব্ধি অযৌক্তিক নয়। তবে প্রতিবশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা উভয় দেশের বিদেশ নীতিতে মঙ্গলজনক। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে জনগণের মধ্যে হয়তো অসন্তোষ আছে ,এমনকি সরকারের মধ্যেও সেটা থাকা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তার উপর ভিত্তি করে প্রতিবেশীর শত্রুকে আপন করাটা বোধহয় শেখ হাসিনার পক্ষে সম্ভব নয়। আর সেটা করলে ভারতের সরাসরি শত্রুতা বা অহেতুক চ্যালেজ্ঞ নেওয়াটা খুব বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আমার মনে হয় এই জন্য বাঙালি জনগণ ভারতকে সহ্য করতে না পারলেও শেখ হাসিনা এখনো ভারতে সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে চলেছেন।
আপনি হয়তো দেখে থাকবেন গত ১৮ মার্চ তারিখে তিনি মোদিজীর সঙ্গে আসামের নুমলিগড় থেকে শিলিগুড়ি হয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুর অয়েল শোধনাগার পর্যন্ত অপরিশোধিত তেল আমদানির চুক্তি করেছে। দেখছিলাম বিশ্বে তৈল আমদানিতে বাংলাদেশের স্থান ৪২ তম।আর এর বিরাট একটি অংশ সরাসরি ভারত থেকে আমদানি করছেন। বিকল্প ছিল একমাত্র চীন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সে পথে না হেঁটে ভারতকেই বেছে নিয়েছেন।
কিছুদিন আগে দেখেছিলাম ঢাকা মেট্রো প্রকল্পের খরচ প্রায় অর্ধেক করার পিছনে ভারতের মেট্রো ম্যানের অবদান আছে। বাংলাদেশ প্রথম চুক্তি করেছিল জাপানের সঙ্গে।যেখানে মেট্রো লাইন মাটির তলা দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।খরচ ছিল অসম্ভব বেশি। এখানেই বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা ভারতের মেট্রো ম্যান যিনি প্রথমে কলকাতা পরে বোম্বে ও শেষে দিল্লিতে মেট্রোর সফল প্রকল্প বাস্তবায়ন করে মেট্রো ম্যানের শিরোপা অর্জন করেন।তো সেই ভদ্রলোক ঢাকায় গিয়ে প্রকল্পটি মাটির উপর দিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন।পরেরটা তো ইতিহাস। কাজেই সরকার নিশ্চয়ই দেশ ও জাতির অধিক মঙ্গলের জন্য ঠিক করে কাকে বেঁছে নেওয়া হবে।আর সেক্ষেত্রে সরকারের কাছে ভারত অধিক নিরাপদ বলে আমার মনে হয়।


১২| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: তিস্তা নাম দেখে পড়তে শুরু করলাম। দুই নাম্বার প্রতি মন্তব্যে আপনি বলেছেন, "তিস্তা প্রকল্প নিজেরা করতে পারলে আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা আরো বড় কাজ করার মত উপযোগী হত।"

তিস্তা প্রকল্প, অর্থাৎ ব্যারেজ এবং সেচ খাল, সেতু, কালভার্ট কোন দেশের ইঞ্জিনিয়াররা করেছে বলে আপনার মনে হয়?

এই প্রকল্প পুরোটাই বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারদের করা। কেন সফল হয়নি? কারণ বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়াররা যখন ব্যারেজের ডিজাইন সমাপ্ত করে কনস্ট্রাকশন শুরু করেছেন, তখন ভারত উজানে গজালডোবা ব্যারেজ শুরু করে এবং খুব তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলে, কারণ তাদের ব্যারেজ নির্মাণের অভিজ্ঞতা ছিল আগের। ফলে যত কিউসেক পানির ফ্লো হিসাব করে তিস্তা ব্যারেজ ডিজাইন করা হয়েছিল, বাস্তবে দেখা গেল গজালডোবা ব্যারেজ নির্মাণের ফলে সেই পানি আসছে না। এবং কম পানির ফলে নদীতে পলি জমে ব্যারেজের গেটগুলো অকার্যকর হয়, সেচখালে আগের অনুমিত পানি না থাকায় খাল শুকিয়ে যেতে থাকে। তিস্তা প্রকল্প হয়েছে একটা অকার্যকর, ব্যর্থ প্রকল্প।

দয়া করে এই ব্যর্থতার দায় বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারদের উপর ফেলবেন না।

১৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যগুলো পোষ্টের থেকে বেশ বড় ও তথ্যপুর্ণ হয়েছে।

আরেকটু বড় করে লিখলে পড়ে মজা পেতাম।

১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টটি পূর্ণাঙ্গ হয় নি। শুধু রেফারেন্স দিলেই হয় না, রেফারেন্সে কী আলোচিত হয়েছে, তাও সংক্ষেপে পোস্টে স্বয়ং লেখক কর্তৃক আলোচনা করতে হয়। এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর লিখিত একটি পোস্ট কমপক্ষে এক হাজার শব্দের হওয়া সমীচীন ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.