নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

সৈয়দ মশিউর রহমান

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।

সৈয়দ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্কিন হামলার ২০ বছর পর সেই ইরাক এখন কেমন আছে?

০৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯


ইরাকের রাজধানী বাগদাদের ভেতর দিয়ে এঁকেবেঁকে বয়ে চলা টাইগ্রিস নদীতে লুকিয়ে আছে বহু গোপন তথ্য। এই নদীতে কত লাশ ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে তার হিসাব কেউ জানে না। বিশ্বের এত সমৃদ্ধ ও প্রাচীন ব্যাবিলন সভ্যতা যেভাবে এরকম বিপর্যয়ের মধ্যে পতিত হলো- যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সামরিক অভিযানের ২০ বছর পরেও তা মেনে নেয়া কঠিন।আজকের ইরাকে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে, কিন্তু দেশটিতে এখনো বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে সঙ্ঘাত ঘটছে, তারা এক অপরকে হত্যা করছে, গাড়িতে বোমা পেতে হামলা চালানো হচ্ছে, শিয়া ও সুন্নি মিলিশিয়াদের মধ্যে চরমপন্থার উদ্ভব ঘটছে। এসব সমস্যার কিছু কিছু কারণ এই সহস্রাব্দের শুরুর দিকে নিহিত, যেই সময়ে আমেরিকান শক্তির কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না।

ইরাকে হামলার সিদ্ধান্ত

উগ্রবাদী গ্রুপ আল-কায়দা ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হামলা চালায়, যা নাইন ইলেভেন নামে পরিচিত। ওই হামলার পরপরই ২০০১ সালে ওয়াশিংটন আফগানিস্তানে আল-কায়দার ঘাঁটিতে আক্রমণ চালানোর জন্যে একটি জোট গঠন করে। ওই অভিযানের ‘সাফল্যের’ পর খুব শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি পড়ে ইরাকের ওপর। ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি বলছেন, তিনি এবং তার একজন প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিক গোপনে ওয়াশিংটন সফরের জন্য একটি আমন্ত্রণ পান ২০০২ সালের এপ্রিল মাসে। তিনি বলেন, ‘আমরা একমত হই বা না-হই, আমরা এতে অংশ নেই কি না-নেই, সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।

বারজানি জানান, ওই সময় ওয়াশিংটন একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল এবং তাতে অংশ নেয়ার জন্য ইরাকের বেশ কিছু বিরোধী নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। উদ্দেশ্য ছিল সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর দায়িত্ব গ্রহণের জন্যে সম্ভাব্য একটি সরকারকে প্রস্তুত রাখা। ওই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় লন্ডনে, ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসে। যেখানে ইরাকে একটি কেন্দ্রীয় ও গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের ব্যাপারে সবাই সম্মত হয়। কিন্তু বারজানি বলছেন, তিনি কিছু সতর্ক সঙ্কেত আঁচ করতে পারছিলেন যখন তিনি দেখলেন যে কিছু কিছু শিয়া দল তাদের ‘প্রতিশোধ নেয়ার আকাঙ্ক্ষা’ প্রকাশ করছে। সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলে ইরাকে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া মুসলিম জনগোষ্ঠী সহিংস দমন-পীড়নের শিকার হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তখন ইরাকে হামলার পেছনে দেশটির হাতে ‘গণ-বিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে’ এমন একটি অজুহাত দাঁড় করায়, কিন্তু সেই অস্ত্রের সন্ধান কখনোই পাওয়া যায়নি। ইরাকে সামরিক অভিযান শুরু হয় ২০০৩ সালের ১৯ মার্চ। রাজধানী বাগদাদে তীব্র বিমান হামলার মধ্য দিয়ে ওই আক্রমণ শুরু হয়।

সাদ্দামের পতন

তিন সপ্তাহ পর ৯ এপ্রিল সাদ্দাম হোসেনে শেষবারের মতো বাগদাদের সুন্নি অধ্যুষিত এলাকা আধামিয়াতে যান। মার্কিন সৈন্যরা ইতোমধ্যে শহরের ভেতরে প্রবেশ করেছে। সাদ্দাম হোসেনের মূর্তি টেনে নামানোর তখনো কয়েক ঘণ্টা বাকি। ওই সময় বাগদাদে ছিলেন ইরাকি সাংবাদিক দিয়ার আল-ওমারি। তিনি বলেন, যেসব ইরাকি ওই চত্বরে জড়ো হয়েছিলেন তারা শুরুতে মূর্তিটাকে টেনে নামাতে পারছিলেন না। তখন মার্কিন সৈন্যরা একটি সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে আসে ওই কাজে ব্যবহারের জন্য। কিন্তু মূর্তির নিচের অংশ বা ভিত্তি এবং সাদ্দাম হোসেনের পা ভূপৃষ্ঠের সাথে লেগে ছিল। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছিল আগামীতে দেশটিতে কী ঘটতে যাচ্ছে- সাদ্দাম হোসেনের ‘বাথিস্ট সরকারের’ শেকড় নিহিত ছিল ইরাকি সমাজের অনেক গভীরে, যা কয়েক দশক ধরে তৈরি হয়েছে। বাগদাদের পতনের পর ইরাকি প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবার আনবার প্রদেশের উদ্দেশে রাজধানী ছেড়ে চলে যান। ইরাকি সুন্নি নেতা আলি হাতেম সুলেইমান সাদ্দাম হোসেনের এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আনবার প্রদেশ সুন্নিদের শক্ত ঘাঁটি। ইরাকে আরব জনগোষ্ঠীরও প্রধান ঘাঁটি ওই প্রদেশ। এ কারণে ওই অঞ্চল তার জন্য নিরাপদ ছিল।’

যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট তখন ইরাকের রাজনীতি ও সমাজ থেকে সাদ্দাম হোসেনের দলকে নির্মূল করার উদ্যোগ নেয়। ইরাকে যেকোনো চাকরি পাওয়া কিংবা পড়ালেখার জন্য তার দলের সদস্য হওয়ার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই সিদ্ধান্তের ফলে ইরাকের সামরিক, নিরাপত্তা ও বেসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি ধ্বসে পড়তে শুরু করে। আলি হাতেম সুলেইমান বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ায় সুন্নিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়, তাদেরকে সবকিছুর বাইরে রাখা হয় এবং তাদের ভূমিকা খর্ব করা হয়। তাদেরকে সাদ্দাম হোসেনের সমর্থক হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এই ধারণা সত্য নয়।’ এর ফলে ইরাকের সামরিক ও নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মকর্তারা চরমপন্থি সংগঠনে যোগ দেয়। আল-কায়দার পুনরুত্থানের সুযোগ তৈরি হয়, তারা দেশটিতে বিদ্রোহী তৎপরতা শুরু করে- যা কয়েক বছর ধরে অব্যাহত ছিল।

এর মধ্যে আমেরিকান সৈন্যরা ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করে। এর তিন বছর পর মানবতা-বিরোধী অপরাধের অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর করা হয় ঈদুল আজহার দিন, ভোর বেলায়, যা ইসলামের একটি পবিত্র দিন এবং যেদিন মুসলিমরা কুরবানি দিয়ে থাকে। এই দিনে তাকে ফাঁসি দেয়ায় ইরাকের সুন্নি অধ্যুষিত প্রদেশগুলোতে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। বহু আরব দেশেও ক্ষোভ তৈরি হয়।

সাবেক ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকি, যাকে ইরানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে দেখা হয়, তিনি বলেছিলেন, ‘ইরাকিদের ক্ষুব্ধ করে হলেও তিনি (মালিকি) তার শক্তিমত্তা দেখাতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। তিন একজন সুন্নি আরব নেতা (সাদ্দাম), একজন শিয়া নেতা (মালিকি) কিভাবে তাকে শাসন করবে?’ সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যুদণ্ড কেন এত দ্রুত কার্যকর হয় তার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে আল-মালিকি বলেছেন, কেউ যাতে আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে না পারে সেজন্যই তা করা হয়েছে। তার ভয় ছিল যে সাদ্দাম হোসেনকে হয়ত বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি মুক্তি পেয়ে যাবেন।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু উপসাগরীয় দেশ সাদ্দামকে বাঁচাতে চেয়েছিল এবং সেটাই ছিল ওই সময় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে তাড়াহুড়ো করার কারণ। ওই দেশগুলো আমেরিকান কর্তৃপক্ষের ওপরও চাপ প্রয়োগ করছিল।’ ফাঁসি কার্যকর করার একটি ভিডিও ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এনিয়ে আরো বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে সাদ্দাম হোসেনকে দৃশ্যত শান্ত থাকতে দেখা যায়। কিন্তু ওই সময় ইরাকের একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এর বিপরীত চিত্র তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সাদ্দামকে যখন ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তিনি ভয়ে কাঁপছিলেন।

সুন্নিদের তীব্র ক্ষোভ

নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকলে আল-কায়দার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সুন্নিদের বিভিন্ন গোত্রকে প্রভাবিত করে এবং শেষ পর্যন্ত আল-কায়দাকে পরাজিত করা সম্ভব হয়। ২০১১ সালের মধ্যে বেশিরভাগ আমেরিকান ও ব্রিটিশ সৈন্য ইরাক ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আল-মালিকির নীতিমালার বিরুদ্ধে শহুরে সুন্নিদের ক্ষোভ বৃদ্ধি পেতে থাকে। বহু সুন্নি তরুণ তখন ফাল্লুজার কাছে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়। সুন্নি নেতা আলি হাতেম সুলেইমানি তাদের ক্ষোভের পেছনে কারণগুলো উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘সুন্নিদের ওপর প্রত্যাঘাত করা হয়েছে, অন্যায় বিচার অনুষ্ঠিত হয়েছে, ইরাকি আইন ও বিচার বিভাগ নিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে।’ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আল-মালিকি। তিনি বলেন, এই অবস্থান কর্মসূচির পেছনে ছিল আল-কায়দা। কারণ তারা ফিরে আসার সুযোগ খুঁজছিল।

২০১৩ সালের শেষের দিকে আল-মালিকি বিভিন্ন চত্বরে হামলা করার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন। এর জের ধরে ইরাকি সীমান্তের ভেতরে ও বাইরে অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। আল-কায়দা নতুন রূপে ফিরে আসে। তাদের ক্ষমতা ও নিষ্ঠুরতাও বৃদ্ধি পায়। বেশ কিছু শহর চলে যায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নিয়ন্ত্রণে। ইরাকি সেনাবাহিনী দৃশ্যত রাতারাতি উধাও হয়ে যায়। সাবেক কুর্দি প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি বলেন, ১০ বছর ধরে যে সেনাবাহিনী গঠন করা হয়েছিল, সেটা মাত্র ১০ ঘণ্টায় জলীয় বাষ্পের মতো উবে যায়। আইএসের অগ্রসর হওয়ার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে কিভাবে পুরো সামরিক বাহিনীর কমান্ডারদের প্রত্যাহার করে নেয়া হলো- সেবিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী আল-মালিকি। আল-মালিকির পর প্রধানমন্ত্রী হন হায়দার আল-আবাদি, যিনি এসব সমস্যা নিয়ে আরো খোলাখুলি কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘তখন বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধ দেখা দিয়েছিল- যা ছিল বিরাট এক সমস্যা। আইএস ছিল একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী, কিন্তু রাষ্ট্রব্যবস্থাও একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীতে পরিণত হলো।’ তবে আল-মালিকির গৃহীত নীতিমালা একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর স্বার্থে তৈরি হয়েছে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন আল-আবাদি। কিছু কিছু সুন্নি শহর কেন ইসলামিক স্টেটকে স্বাগত জানিয়েছিল, সেবিষয়ে তার নিজস্ব ব্যাখ্যা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত। ইরাকি নাগরিকরা এই বাহিনীর ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলে, যে কারণে তারা নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য অন্যদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ছিল।

ইরাকি নিরাপত্তা ও সামরিক বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার কারণে চার বছর পর আইএসকে পরাজিত করা সম্ভব হয়। কিন্তু এসব যুদ্ধের ফলে সুন্নি প্রদেশগুলোতে গভীর ক্ষত তৈরি হয়, যা সুন্নি মুসলিমদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর মসুলে খুব সহজেই চোখে পড়ে।

মসুল শহরের অন্যতম প্রাচীন একটি মসজিদের শেখ বলছিলেন, অতীতে ফিরে যাওয়ার কথা। তিনি বলেন, সাদ্দাম হোসেনের মতো নেতারই ইরাক শাসন করা উচিত। এসময় তার কণ্ঠে কিছুটা যন্ত্রণা মেশানো ছিল। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ার কারণে তিনি তার পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই দেশে এখন যা হচ্ছে, তা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। আমেরিকা বলে যে তারা ইরাককে স্বাধীন করেছে, কিন্তু তারা আসলে দেশটিকে ইরানের হাতে তুলে দিয়েছে।’ ‍ কিন্তু ইরাকের মানুষ যখন নিজেদের খাবারের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন কে কি নিয়ন্ত্রণ করছে সেটা তাদের কাছে অ্যাকাডেমিক বিতর্কের বিষয়। ইরাকের জনগোষ্ঠী তরুণ এবং বেকার। ইরাকের মতো একটি দেশকে নিয়ে যদি খেলা করা না হতো, তাহলে কল্পনা করে দেখুন সমৃদ্ধশালী এই দেশটি আজ কোথায় গিয়ে পৌঁছাত!





তথ্যসূত্র : এখানে।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মার্কিন সরকারের চরম ভুল সিদ্ধান্ত ইরাক হামলা। শত শত মজলুম আজও কাঁদে আরও কিত শিশু খুঁজে ফিরে পরিবার, বাব-মা। শত ধিক তাদের যারা একটি দেশ, জাতিকে ধ্বংশ করল।

২| ০৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:০০

আমি সাজিদ বলেছেন: সেসময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশসহ সকল টেকনিক্যাল ও মিলিটারি স্টাফের বিচার হওয়া উচিত। ইরাক হয়তোবা ঘুরে দাঁড়াবে কিন্তু এত রক্তের দাগ কিভাবে মুছবে?

৩| ০৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:১৪

শোভন শামস বলেছেন: একটা সুন্দর সাজানো বিত্তশালী দেশ ও জনগণ বহু বছর ধরে নিদারুণ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। এক বছর আমি ইরাকে ছিলাম, মানুষগুলোর দুর্দশা স্বচক্ষে দেখেছি। আবার তাদের মুখে হাসি ফুটুক এটাই চাই।

৪| ০৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: মার্কিনসহ তারা চ্যালাপ্যালাদের বিচার হওয়া উচিত---আর তার সাথে যারা অশ্র হাতে নিয়ে নিরাপরাধ মানুষদেরকে হত্যা করেছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা সময়ের দাবী। আন্তর্জাতিক আদালদত কোথায় !!! কোথায় মানবাধিকার সংগঠণগুলো !

৫| ০৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কি আক্রোশে একটি চমৎকার দেশকে শেষ করে দিলো!!

৬| ০৭ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: চমতকার নিবন্ধ।
মসুলের মসজিদের শেখ অনেকটা ঠিক বলেছেন। মুল সমস্যা হোল সুন্নী আর শিয়াদের ধর্মীয় কোন্দল- না হলে এত সহজে ইরাক পদানত হোত না।
ফিরে আসুক ওদের আগের সেই সুসময় এই প্রত্যাশায় ।

৭| ০৭ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সময় নিয়ে পড়তে হবে।

৮| ০৭ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৬

রানার ব্লগ বলেছেন: এক সাদ্দাম কে হত্যা করে আমেরিকা সমগ্র আরব বিশ্বে যে সন্তাসের বীজ বপন করেছে তার যন্ত্রনা আজো ভোগ করছে পুরা বিশ্ব ।

৯| ০৭ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

জগতারন বলেছেন:

Bush Jr. Is a heavy drinker, drank Idiot.
Few days ago,
I saw him in life in news,
He looks like cursed M.F.

১০| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:০০

কামাল১৮ বলেছেন: যে কয়টা দেশের উপর হামলা হয়েছে তারা ছিলো আমেরিকা বিরোধী রাশান ব্লকে।আমেরিকা হামলার উছিলা খুঁজছিলো এবং সেটা তৈরি করতে সফল হয়।
ইরাক,সিরিয়া ও লিবিয়া এরা ছিলো আমেরিকা বিরোধী। সবাইকে একশ বছর পেছনে ফেলে দিছে।ভারসাম্য রক্ষার জন্য এক কেন্দ্রীক বিশ্ব ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।জাতি সংঘকে শক্তিশালী করতে হবে।

১১| ০৮ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৩৭

জটিল ভাই বলেছেন:
হায়রে ক্ষমতা!!! :(

১২| ০৮ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: গতকাল আপনার লেখাটি পড়েছি। ভালো লিখেছেন।
একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর কেউ ফলোআপ করে না। বছরের পর বছর পার হয়ে যায়।

১৩| ১৩ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টের সব তথ্যই তো যায়যায়দিন থেকে নেয়া হয়েছে। যদিও আপনি সেটা পোস্টের সর্বনিম্নে দেয়া তথ্যসূত্রে উল্লেখ করেছেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে এ পোস্টে আপনার নিজস্ব অবদান কতটুকু? পোস্টটা যখন পড়ছিলাম তখনই মনে হচ্ছিল যে এমন গোছানো ও পরিপাটি বক্তব্য তো আগে আপনার লেখায় কখনো দেখিনি। সন্দেহ হওয়াতে নীচে এসে দেখি, আমার সন্দেহটা ঠিক ছিল। এ পোস্টে যা কিছু লিখেছেন, যায়যায়দিন পত্রিকা পাঠ করেই তো একজন পাঠক এর সবটাই জানতে পারবেন। এখানে ব্লগারের নিজস্ব চিন্তা ভাবনার প্রতিফলন কোথায়? এ ব্লগটাতো কোন সংবাদপত্রের কপি-ভার্সন হতে পারে না।

একটি উন্মুক্ত ব্লগপোস্টে পাঠকের মন্তব্যের উত্তর দেয়াটা লেখকের নৈতিক দায়িত্ব। উত্তর দিতে না চাইলে লেখক মন্তব্য নেয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন, কিন্তু একবার মন্তব্য এসে গেলে তার উত্তর দেয়াটা একান্তভাবে কাম্য। এই পোস্টেও অনেক চমৎকার মন্তব্য এসেছে, কিন্তু আপনি একটারও জবাব দেননি। আশাকরি দেরিতে হলেও, আপনি একবার সময় করে এসে পাঠকের মন্তব্যগুলোর জবাব দিয়ে যাবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.