নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

সৈয়দ মশিউর রহমান

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।

সৈয়দ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারের সান্নিধ্যে সবাই কি দানব বনে যাচ্ছে?

২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫


মতিউর কাস্টমসে যোগদান করার পরই বেপরোয়া হয়ে উঠে। মতিউরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ নতুন ছিলনা। মতিউরের আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্নে উঠেছিল বহুবার একবার, দু’বার নয়, চার চারবার তাকে দায়মুক্তির সনদ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। ‘ক্লিন সার্টিফিকেট’ পেয়ে নিজেকে না শুধরে আরও বেপরোয়াভাবে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তিনি।

মতিউর রহমান কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি। পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক। ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিন বছরের জন্য তাঁকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। তখন অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার (বর্তমানে গভর্ণর) এর তদবিরে মতিউর সোনালী ব্যাংকের পরিচালক বনে যান।

বেনজীর 'জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার' পেয়েছে, মতিউর দুদকের ‘ক্লিন সার্টিফিকেট’ পেয়েছে চারবার। এভাবেই বেনজীর আজিজ ও মতিউররা সরকারের সান্নিধ্যে থেকে দানবে পরিনত হয়েছে। তথচ ওবা কাদের "দূর্নীতির ক্ষেত্রে আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স" বলে মুখে ফেনা তুলছেন। তাহলে কী করে এরা দানবে পরিনত হলো?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:০২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: প্রতিটা সরকারের প্রতিষ্টানে এমন ব্যক্তি প্রচুর।

২| ২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
সরকারের নিজের হাতে গড়া বলে মনে হয়।

৩| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দুর্নীতি বলতে আমরা শুধু ঘুষ, চুরি, ডাকাতি, ইত্যাদি বুঝে থাকি, তাই 'জিরো টলারেন্স' সর্বদাই অর্থহীন ও অকার্যকর হয়ে পড়ে। সবচাইতে বড়ো দুর্নীতির জায়গাটা আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। একজন অসৎ বাবা তার সন্তানদের 'সৎ' হতে বললে সন্তানরা সেই উপদেশ কখনো শুনবে না, সৎ হবার জন্য শুধু ডেইলি ৭ বেলা পিটাইতে পারবেন, লাভ হবে না। একজন অসৎ শিক্ষকও তেমনি ছাত্রদের সততা শিক্ষা দেয়ার কোনো বুলি আওড়াতে পারেন না, কারণ তাতে কোনো লাভ হয় না।

একটা সুষ্ঠু ও সৎ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যদ্দিন না গড়ে তোলা যাবে, তদ্দিন এরকম দানবীয় দুর্নীতি ঘটতেই থাকবে।

৪| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:১৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বাংলায় "রত্নগর্ভা" বলে একটা শব্দ আছে, শব্দটি কবে কোথা থেকে বা কিভাবে বাংলা ভাষায় যুক্ত হয়েছে জানি না কিন্তু তার বিপরীত কোন শব্দ খুঁজে পাইনি, থেকে থাকলেও তা আমার জানা নেই। আর সে ধরনের কোন শব্দ না থেকে থাকলেও তা উদ্ভাবন করা জরুরী। যাইহোক, এই ধরনের কুলাঙ্গারদের গর্ভে ধারন করা অভাগীর সংখ্যাই এ দেশে বেশী, দুঃখজনক বৈ কি! ধন্যবাদ।

৫| ২৪ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:০১

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: কয়দিন পর পর কয়েকজনের লুটপাঠের কাহিনী ভাইরাল হয়, কিন্ত কোন বিচার নাই। মানুষ দুই চার দিন ট্রূল করে, তারপর আবার সব ভুলে যায়। অগনতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় এটা এক নিয়মে পরিনত হয়েছে।

৬| ২৪ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:২০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমার মন্তব্য মেঠোপথ করে দিয়েছেন। এগুলোর কোন বিচার হয় না। শুধুই আমাদের এনার্জি ও সময় নষ্ট...

৭| ২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: বড়ই হাস্যকর এই ক্লিন সার্টিফিকেট! যারা দেয় তারাই ভয়াবহ দুর্নীতিবাজ। ওদের দূর্নীতির বিচার করবে কারা?

৮| ২৭ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ২:১৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.