নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে আবেদন করেছে ভারতের ফিশ ইমপোর্টার অ্য়াসোসিয়েশন। চিরাচরিত নিয়ম থেকে হঠাৎ বিচ্যুতি ঘটলে সেটা খারাপ লাগারই কথা; পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা সেই আমেজে তাদের খাদ্যে প্রধান ভুমিকা রাখে ইলিশ এবং সেটা একটা ঐতিহ্যও বটে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানান, ভারতে কোনো ইলিশ যাবে না। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে তারপর ইলিশ মাছ বিদেশে রপ্তানি করা হবে। দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর রপ্তানি হবে, সেটা হতে পারে না। কথা সত্য কিন্তু বাস্তবতা হলো ইলিশ রপ্তানী না করায় ইলিশের দামে কোন প্রভাব পরেনি, মধ্যবিত্ত ও গরীবের নাগালে ইলিশ পৌঁছেনি পক্ষান্তরে রপ্তানী বন্ধ করে বৈদেশিক মূদ্রা আহরণের পথ বন্ধ হলো।
যদি সত্যিকার অর্থেই জনগনের কথা ভেবে ইলিশ রপ্তানী বন্ধ হয় তাহলে ইলিশকে মধ্যবিত্ত ও গরীবের নাগালে পৌঁছাতে হবে। আর যদি কূটনৈতিক কারণে বন্ধ হয় তবে সেটা ঠিক হয়নি কারণ সরকারের সংগে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হতে পারে তাইবলে তো জনগনের সংগে তো সম্পর্ক খারাপ করা যাবেনা। মোদী যেমন জনগনকে ছেড়ে হাসিনাকে বেছে নিয়েছে ঠিক তার উল্টো মোদীকে ছেড়ে আমাদেরকে জনগনকে বেছে নিতে হবে।
সুতরাং তাদের জনগনের আকাঙ্খার প্রতিফলনে তাদের আবেদনে যথাযথ সাড়া দেওয়া উচিত।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমার মতেও কোন ভাবেই একবারে বন্ধকরা ঠিক হয়নি। বর্তমান সরকারের ভাবা উচিত।
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৪
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: গরু দাও ইলিশ নাও
আমরা খাই রসালো ঝোল ঝোল গরু ভুনা
তোমরা খাও ইলিশ নেই কোন গুনাহ্ ।
গরু দাও ইলিশ খাও
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমার মনে হয় ইলিশ দেওয়া উচিত। গরু ওরা মেরে ফেলবে, অন্য দেশে গরুর মাংস রপ্তানী করবে কিন্তু আমাদেরকে দেবেনা এটা কথা হলো!
৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৪
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আমার মতে অন্ততঃ এইআর পাঠায় নি ভালো করেছে। ভবিষ্যতে তাদের আচার ব্যবহার পর্যালোচনা করে পাঠানো যেতে পারে।
আওয়ামীলীগের আমলে আমাদের কোন পর্দা ছিলোনা, শুধু ইলিষ কেন ল্যাংটা হইয়া জামা কাপড়ও দিয়ে দেবার অবস্থা ছিলো।
ওরা খুব কনফিডেন্ট আমাদের ব্যাপারে, ওরা ভাবে ওরা যা চাইবে, যেমনে চাইবে সেভাবেই পাবে। ইলিশ মাছ, আমাদের রাস্তা, পোর্ট, ট্রেইন লাইন সব।
একটু শিক্ষা দেওয়া জরুরী।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হাসিনা বলেছিল ‘দিল্লি আছে আমরা আছি’,‘ভারতকে যা দিয়েছি সারা জীবন মনে রাখবে’
৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৪
অরণি বলেছেন: উৎসবে ইলিশ রপ্তানী বন্ধকরা ঠিক হয়নি। রাপ্তানী না করেও তো ইলিশ মাছা আগুন।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: উৎসবে রপ্তানী করা উচিত। ব্যবসা বাণিজ্যে রাজনীতি করা ঠিক না তবে সব কিছুই হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে।
৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: জনগনের সংগে শত্রুতা করা ঠিক না। জনগন সবাই তো মোদী না। ভারতেও মানবিক মানুষের অভাব নেই।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গেরুয়ারা কোনভাবেই মানবিক নয় ওদের কাছে মানুষের চেয়ে গরুর মূল্য বেশি। নিজের মা-বাবাকে খেতে দেয়না কিন্তু গরু নিয়ে ব্যস্ত।
৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: অন্তর্বর্তী সরকার অবস্যই তাদের আবেদনে সারা দিবে। ভারতের জনগনের সাথে আমাদের কোন শত্রুতা নাই। ব্লগের কয়েকজন মোদীভক্ত ব্লগার দেখে আমাদের ভারতের জনগনকে বিচার করা ঠিক নয়। পশ্চিমবঙ্গের তরুন প্রজন্ম এইবার জুলাই অগাস্ট আন্দোলনে অনেক অবদান রেখেছে । কোলকাতার রাজপথে তারা আমদের আন্দোলনের সমর্থনে মোদি ও হাসিনা বিরোধি জ্বালাময়ী শ্লোগান দিয়ে মিছিল করেছে । ওপারের গায়ক/ গায়িকারা আমাদের ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে প্রতিবাদী মিউজিক ভিডিও বানিয়ে অনলাইনে ছেড়েছে। এইসব কর্মকান্ড আমাদের আন্দলনকে উজ্জীবিত করতে অনেক অবদান রেখেছে।
৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৮
জটিল ভাই বলেছেন:
সহমত।
৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৫
অস্বাধীন মানুষ বলেছেন: ভারতের জনগণ কি আমাদের কথা কখনো ভাবে ?
দেশের বিদ্যুৎ সমাচার
গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে প্রচুর বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ে মানুষের জীবন যাত্রা খুব ভুগান্তিতে পরে যাচ্ছে। দেশে ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি সরবরাহ না করতে পারায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে । সেই সাথে জ্বালানির আমদানি নির্ভরের খাতে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছে সরকারের বকেয়াও বেড়ে যাচ্ছে। ফলে চাহিদা মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করাও যাচ্ছে না।
উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ দেয়া আদানি পাবে ৮০ কোটি ডলার, এজন্য প্রত্যাশিত বিদ্যুৎ দিচ্ছে না!
তেল দেয়া কোম্পানিগুলো পাবে ৫০ কোটি ডলার! তারাও তেল দেয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে!
দেশের গ্যাস অনুসন্ধান না করে উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানি করে সামিটের মাধ্যমে ডলার লুট করেছে বলে ডলার সংকট! গ্যাসের অভাবে বন্ধ আছে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র! সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান পিডিবির কাছে কেউ পাবে ৪ হাজার কোটি/কেউ ৩৫০০ কোটি টাকা! অথচ গ্রাহক নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল দিয়েছে!
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ আসে গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে।গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা আছে প্রায় বারো হাজার মেগাওয়াট। আগে সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল।আর এখন পাঁচ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না।আগে বিদ্যুৎ খাতে দিনে ১২০ কোটি থেকে ১৩০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে। আর এখন ৮০ থেকে ৮৫ কোটি ঘনফুট সরবরাহ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিডিবি ।কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে দিনে গ্যাস আসে একশ দশ কোটি ঘনফুট। সামিটের এলএনজি টার্মিনাল গত ২৭শে মে থেকে বন্ধ। ফলে এখন সরবরাহ হচ্ছে ৬০ কোটি ঘনফুট।
অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বকেয়া অর্থ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেছেন এখন আমাদের প্রধান সমস্যাই হচ্ছে অর্থ সংকট। তাই অন্য খাত থেকে কমিয়ে এনে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হবে। আর তেল-চালিত কেন্দ্রগুলো বেশি চালাতে হবে। ডলার জোগাড় করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হবে। ১৫ শতাংশ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গ্যাস রেশনিং করতে হবে। ধারণা করা যায় তাহলেই হয়তোবা লোডশেডিং এর সংকট সমাধান হতে পারে।
আমার প্রশ্ন আপনেরা বলেন দেখি আপনারা কারা কারা ১০ বছর ধরে বিদ্যুৎ বিল দেন নাই আর যদি দিয়ে থাকেন, ওই টাকা খাইলো কে ?
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা সরকারের জন্য একটা উভয় সংকট অবস্থা।
তবে, আমি মনে করি ইলিশ পাঠানো উচিত, টোকেন হিসাবে। একেবারে বন্ধ করা ঠিক হবে না।