নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

সৈয়দ মশিউর রহমান

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।

সৈয়দ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় ব্লগার যারা ব্লগে জ্ঞান বিতরণ করেন তাদের কে বলছি

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৫


মানুষ সমাজবদ্ধ জীব/প্রাণী যাই বলা হোক না কেন মানষ সমাজবদ্ধ ভাবে বসবাস করবে সেটাই স্বাভাবিক এবং তার প্রতিবেশি থাকবে সেটাও স্বাভাবিক। প্রতিবেশির সংগে ঝগড়াঝাটি হবে মিলমিশ হবে, এসব নিয়েই বসবাস করতে হবে কিন্তু পেশীশক্তিতে বলিয়ান কোন প্রতিবেশী যদি সবসময় পেশীশক্তির ভয় দেখান প্রতিবেশীকে সেটা ভয়নক সমস্যা। যেমনটা আমরা ভারতের দিকে তাকালেই দেখতে পাই। ভারতের প্রতিবেশী এমন একটা দেশ নেই যে তার সংগে ভারতের সম্পর্ক ভালো। তারা মনে করে সবাই খারাপ শুধু ভারতই ভালো।

আসুন দেখা যাক তাদের মিডিয়া মুসলিমদের নিয়ে কী বলে।


ভারতের অভ্যন্তরে হাজারো সমস্য তারা সেটা দেখতে পায়না তারা প্রতিবেশি সমস্যা শুধুমাত্র দেখতে পায়। ভারতের বিজেপি সরকার হলো মৌলবাদী সরকার যাদের সংগে ভয়ানক কট্টর মৌলবাদী গোষ্ঠী আরএসএস, শিবসেনা, বজরং, গোরক্ষক ইত্যাদী ইত্যাদী এরা ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা যা প্রায় ২২-২৩ শতাংশের বেশি তাদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরীক করার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে উগ্রগেরুয়া গোষ্টি তারাই কিনা বলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে! সংখ্যা লঘু হলো শিশু বলাৎকার কারী চিন্ময় এবং সে চিন্ময় এখন তাদের ধর্মীয় নেতা হবেই না কেন রাম রহিম যে দিন রাত মহিলা রেপ করতো সে নাকি তাদের মহা গুরু!!

ভারতে দিন-রাত সংখ্যা সংখ্যা লঘু নির্যাতন হচ্ছে। গাভী তাদের মা কিন্তু ষাড় তাদের বাবা নয় এটা তাদের বিশ্বাস তাই গরুর মাংস কেউ খেতে পারবেনা। মুসলিম বা খ্রিষ্টানরাও খেতে পারবেনা। গরুর মাংস খাওয়া, সংরক্ষন, পরিবহণ এমন কি ব্যবসায়িক কাজে গরু পরিবহন করার কারণে উগ্র হিন্দুরা দিন রাত মুসলিমদের নির্যাতন করছে, হত্যা করছে খুন করছে জেলে পুরছে এমন কী আগুনে পুড়িয়ে ভস্মিভুত করা হচ্ছে তারাই কিনা ব্লগে এসে আমাদেরকে ছবক দিচ্ছে। তারা এতোটাই উগ্র যে নিজ ধর্মে হাজারো ভাগ করে নিম্নবর্ণের হিন্দুদেরকে দিবারাত্রী জুলুম নির্যাতন করে যাচ্ছে। এরা এতোটাই উগ্র যে তথাকথিত উচ্চবর্ণে কোন ব্যবহার্য কোন কিছু যদি নিম্নবর্ণে কেউ স্পর্শ করে তার আর ক্ষমা নেই প্রাণ পর্যন্ত চলে যেতে পারে তাদের নির্যাতনে এরাই মানবতা ছবক দিচ্ছে বাংলাদেশকে!


তঙ্কের আর এক নাম ঢাকা। মব জাস্টিসের শহর ঢাকা। বাংলাদেশে মব লিঞ্চিং হচ্ছে সেটা সারা বিশ্ব জানে! এইসব অপপ্রচার তারা চালাচ্ছে। ভিসা বন্ধ করে বাংলাদেশে শিক্ষা দিতে গিয়ে বিধিবাম এখন অন্য ফন্দি আঁটার চেষ্টা করছে কিন্ত সে চেষ্টাতেও গুড়েবালি। সর্বোপরি কথা হলো প্রতিবেশী বদলানো যায়না তাই আপনারা ভালো হোন উভয় প্রতিবেশী সুন্দরভাবে সামনে এগিয়ে চলি। ভাবুন ভাবতে থাকুন ভাবা প্রাকটিস করুন।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: কোন প্রতিবেশী যদি সবসময় পেশীশক্তির ভয় দেখান প্রতিবেশীকে সেটা ভয়নক সমস্যা। যেমনটা আমরা ভারতের দিকে তাকালেই দেখতে পাই। ভারতের প্রতিবেশী এমন একটা দেশ নেই যে তার সংগে ভারতের সম্পর্ক ভালো।--আলোকিত সত্য।

--যারা নিজের দেশে মানুষের প্রতি জুলুম, অবিচার , নির্যাতনের কোন কিছুই যখন বিবেক স্পর্শ করে না; তখন প্রতিবেশি দেশের প্রতি গলা বাড়িয়ে কথা বলা তাদের সাজে না।

---একদিন ভারতের লোকজনই ভারত ভাগ করবেই।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এইসব নির্বোধগুলে আমাদেরকে জ্ঞান দেয়। সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা বলে। হাস্যকর!

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভারতীয় ব্লগারদের বেশির ভাগ গোদি মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব দেখে ব্লগে বমি করছে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এরা অখাদ্য খেয়ে অবিরত বমি করছে। X((

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩

নতুন বলেছেন: মোদী জি কাতারের আমিরের সাথে কোলাকুলি করে তাদের দেশে গিয়ে।

দেশে গরুর মাংস খাবার কারনে মানুষ পিটিয়ে ফেলে। আর ভারত বিশ্বের অন্যতম গরুর মাংসের রপ্তানিকারক দেশ।

রাজনিতিক ভন্ডামী চরমে গেছে ভারতে। ভোটের জন্য এই সব বিভেদ সৃস্টি করে রাজনিতিকরা।

মানুষের অন্ধ ভক্তি কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় থাকছে নেতারা। :(

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনি ভাবতে পারেন দেশের জনগনের মগজ কীভাবে ধোলাই করা হয়েছে যে, তারা গোবর গোমূত্রকে পবিত্র ভাবছে সেগুলো দেদারছে পান করছে। কিন্ত মোদী পানি নোংরার কারণে কুম্ভমেলায় স্নান করেন আর ভক্তরা গোমূত্র পান করছে।

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১৮

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপার জামানায় জামাইবাবুর দেশের লোকেদের সামনে আমরা নতজানু ছিলাম, সাহস করে কিছু বলতে পারতামনা এই বুঝি বোনের সংসার ভেঙ্গে যায় এই ভয়ে। এখন আপা জামাইবাবুর কাছে চলে যাওয়ার পরও আমরা পুরোনো অভ্যাস থেকে পুরোপুরি বের হতে পারিনি। তাই জামাইবাবুর দেশের লোকেরা এখনো তাদের অধিকার মনে করে আমাদের জ্ঞন প্রদান করে থাকেন আরকি!!

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হা হা হা...........চমৎকার বলেছেন জামাইবাবুর দেশের লোকেরা এখনো তাদের অধিকার মনে করে আমাদের জ্ঞন প্রদান করছে।

৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভারতীয় ৮০% লোক এখনো অসভ্য রাস্তায় হাগে, গোবর গোমূত্র খায়, তারা কীকরে সভ্য হয়?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তারাই আমাদেরকে সভ্যতার জ্ঞান দিচ্ছে।

৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩০

নতুন বলেছেন: বাটপারেরা সল্প জ্ঞানীদের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খায়।

আমাদের দেশের মোল্যারাও একই রকমের কাজ করে যাচ্ছে।

দেশে পীর, ফকির, পানিপড়া, মাজার, মানত, ওরসের কমতি নাই।

দেশে ওয়াজের নামে ব্যবসা এখন রমরমা। আপনি একটা ওয়াজের বক্তার কথাগুলি সামারাইজ করলে দেখবেন ঐ অনুস্ঠানের বক্তব্যে তেমন কিছুই জনগন শেখে নাই। কিন্তু ওয়াজ উপলক্ষে লাখ টাকার বানিজ্য ঠিকই হয়েছে।

আমার মনে হয় আগামীতে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারবেনা, কংগ্রেস আসলে একটু পাল্টাবে পরিস্থিতি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.