![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
ঢাকা সেনানিবাসের স্টাফ রোড এলাকায় জেনারেলদের বাসস্থান হিসেবে পরিচিত ‘নক্ষত্র ভবন’ লাগোয়া ২০৮ নম্বর বাড়িটি ছিল মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের কাশিমবাজার কুঠি। ওই বাড়ি থেকেই তারিক সিদ্দিক সামরিক-বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থাসহ সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। কখন কাকে গুম করতে হবে, গুমের পর খুন করতে হবে, গুম করে কাকে আয়নাঘরে নিতে হবে, বিচারবহির্ভূত হত্যা করতে হবে- সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো ওই বাড়িতে। তারিক সিদ্দিক গুম-খুন ও আয়নাঘরের কারিগর হিসেবে চিহ্নিত। শুধু এসবই নয়, প্রতিরক্ষা ক্রয়ের (ডিফেন্স পারচেজ) কাজ কে পাবে, ভাগ-বাঁটোয়ারা হবে কীভাবে, বিমানবন্দরের ব্যবসা, সশস্ত্র বাহিনীর রেশনের কমিশন, ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক-বীমা ও প্রতিষ্ঠান দখল, বড় বড় প্রকল্পের কমিশন- সবই নির্ধারণ করা হতো ওই বাড়িতে। তেমনি সশস্ত্র বাহিনীর বদলি-পদোন্নতিও নির্ধারণ করা হতো এখান থেকেই।
তারিক সিদ্দিকের জন্য ২০৮ নম্বর বাড়িটি আধুনিক প্রযুক্তির সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন করে নির্মাণ ও সাজানো হয়। নক্ষত্র ভবনের পাশের এ বাড়িতে তারিক সিদ্দিককে রাখার কারণ ছিল জেনারেলদের নিয়ন্ত্রণ এবং চোখে চোখে রাখা। অর্থাৎ তারিক সিদ্দিক তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য একটি প্রভাব বলয় এস্টাবলিস্ট করতেই ওই বাড়িতে থাকেন। একই সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি অনেক কর্মকর্তাকে ‘র’-এর সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়ে দেওয়া হতো এ বাড়িতে। তারিক সিদ্দিক ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর একজন বিশ্বস্ত এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। ক্যান্টনমেন্টে ‘র’-এর আস্তানা হয় তার মাধ্যমে। ক্যান্টনমেন্টপাড়ায় তাকে বাংলাদেশে ভারতের প্রকৃত হাইকমিশনার বলে ট্রল করা হতো। তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-কে এতটাই সার্ভ করতেন, যার ফলে তাকে এটা বলা হতো। ২০৮ নম্বর বাড়িটিতে ব্যবসার দেনদরবার এবং কমিশন বাণিজ্যের বিষয়টিও ঠিক হতো। বড় বড় ব্যবসায়ীকেও এ বাড়িতে ডাকা হতো।
তারিক সিদ্দিকের যত অপকর্ম :-
১) বড় গুমগুলোর পেছনে ছিলেন তারিক সিদ্দিক
২) তারিক সিদ্দিকের মাধ্যমে ‘র’-এর ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান
৩) এনএসআইয়ের আর্মি উইং
৪) তারিক সিদ্দিকের সঙ্গে RAB-পুলিশের সংশ্লিষ্ট হওয়া
৫) ডিফেন্স পারচেজ ও তারিক সিদ্দিক
৬) বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবসা এগুলো জানতে হলে পড়তে হবে এখানে।
©somewhere in net ltd.