নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

সৈয়দ মশিউর রহমান

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।

সৈয়দ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতি কি কোন পেশা হতে পারে?

২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০০

ছবি : প্রথম আলো।

রাজনীতি আদতে কোনো "পেশা" নয়, তবে অনেকের জীবনের প্রধান কাজ বা দায়িত্ব হয়ে উঠতে পারে। পেশা বলতে সাধারণত এমন একটি কাজ বোঝানো হয় যার মাধ্যমে একজন মানুষ আয় করেন এবং জীবিকা নির্বাহ করেন। যেমন: ডাক্তার, শিক্ষক, প্রকৌশলী ইত্যাদি।

রাজনীতি হলো একটি সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব। এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি দেশের জনগণের সেবা করেন, নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখেন এবং সমাজে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন।

তাহলে প্রশ্ন হলো: রাজনীতি কি পেশা হতে পারে না? অনেকে রাজনীতিকে জীবনের মূল কাজ হিসেবে বেছে নেন। যদি কোন ব্যক্তি সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ইত্যাদি পদে দায়িত্ব পালন করে রাষ্ট্র থেকে সম্মানজনক বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পান সেটা কি তাহলে পেশা? আবার এই দিক থেকে দেখলে কেউ কেউ রাজনীতিকে পেশা হিসেবে দেখেন।

কিন্তু আদর্শভাবে রাজনীতি হচ্ছে সেবা, লোভ বা লাভের উদ্দেশ্যে নয়। এটি হলো ন্যায়ের পথে সমাজকে পরিচালনা করার দায়িত্ব। সেই দিক থেকে রাজনীতি আদর্শভাবে কোনো পেশা নয়, এটি একটি দায়িত্ব ও সেবামূলক কাজ। তবে কেউ যদি রাজনীতিক হয়ে বেতনভোগী পদে থাকেন, তখন সেটা পেশার রূপ নিতে পারে।

তাহলে আমাদের দেশে আবুল, মফিজ, যদু, মধুরা যে কোন কাজকর্ম না করে দিনরাত একাকার করে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পিছনে ধেই ধেই করে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে এবং তাদের পেশা নাকি রাজনীতি এটা কি আদৌ ঠিক? রাজনীতি একটা পেশা আমাদের দেশের পেক্ষাপটে এটা সর্বৈব ঠিক। তা না হলে আবুল, মফিজ, যদু, মধুরা কোন কাজ করেনা তাদের নেই কোন জমিজমা বা উপার্জনের উৎস তারপরও তারা দিন গেলে শত, হাজার অথবা কোটি টাকার মালিক বনে যাচ্ছে। এটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: বেশীরভাগ রাজনৈতিক নেতাদের পেশাই রাজনীতি!

২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: রাজনীতিকে সেবা হিসেবে না নিয়ে তারা পেশা হিসেবে নিয়েছে। তদবির, চাঁদা, টেন্ডার এগুলোই তাদের আয়ের উৎস।

২| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে বড়ো নেতাদের পেশা ছিলো পলিটিক্স। এরা নাকি পড়াশোনাও ঠিক মতো করেন নাই- চাদগাজির মুখের কথা ।

আমি শুনেছিলাম একই কথা সাকার মুখে । :P

২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মুজিবর বখাটে ছিল একথাও চাঁদগাজী বলেছে।

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সাকার বিরুদ্ধে প্রধান একজন সাক্ষী চট্টগ্রামে আমাদের এলাকায় ভিআইপি প্রটোকলে থাকতেন। তিনি দোকান থেকে বাকিতে জিনিসপত্র নিতেন এবং মানুষদের কাছ থেকে ধার করতেন সরকারি লোক হিসেবে ভয় দেখিয়ে। তিনি নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করতেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, তিনি একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। তার বড় ভাই আসল মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।


২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: নেতাদের চরিত্রই এরকম তারমধ্যে আম্লিগ হলে কথাই নেই সব দিয়ে দিতে হবে। চাঁদগাজীও সার্টিফিকেট কেনা মুক্তিযোদ্ধা বাকশালে জয়েন করে ডাকাতী ও চাঁদাবাজি করতো পরে যখন দেখলো ঝামেলা সন্নিকটে তখন সুযোগ বুঝে আমেরিকা পগার পার।

৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৬

অরণি বলেছেন: বাংলাদেশি চুনোপুটি রাজনিতিকদের পেশা কি জানতে চাইলে নির্দ্ধিধায় বলে রাজনীতি!

২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: রাজনীতি কি পেশা হতে পারে?

৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:০০

অরণি বলেছেন: রাজনিতিকরা লুটতরাজকেই পেশা মনে করে।

২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:০৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সেজন্যই রাজনীতিকে তারা পেশা বলে!

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:০৬

ইপিআর সৈনিক বলেছেন:



লেখক বলেছেন: মুজিবর বখাটে ছিল একথাও চাঁদগাজী বলেছে।

-ছাত্রাবস্হায় শেখ বেশ বখfে ছিলো; বিশেষ করে কলিকাতায় তিনি সোহরাওয়ার্দীর সাথে থাকার সময়। কিন্তু পরে তিনি শেরে বাংলার পরের লেভেলের নেতায় পরিণত হন।

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:১২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইপিআর@ভাসানি কি ফারমার ছিলেন ?

৮| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩

ইপিআর সৈনিক বলেছেন:



আপনি কিন্তু বখাটে ব্লগার, যেসব বিষয়ে ন্যুনতম ধারণা নেই, সেসব বিষয়ে আপনি লেখেন।

আপনি আজকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ভুয়াগুমের শিকার ব্লগার জুল ভার্ণ 'এর পোষ্টে হ্যাঁ, হ্যাঁ কমেন্ট করেছেন।
১ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কি করে ১৯৭১ সালের ভারতের ভুমিকা নিয়ে কথা বললবে? কোন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধ কি জানে, কি করে মুক্তিযোদ্ধাদের ১১টি সেক্টর চলেছিলো? ১১টি সেক্টরের হেড-কোয়ার্টার কোথায় ছিলো?

যা বুঝেন না, সেসব নিয়ে ম্যাঁওপ্যাঁও লিখে যাচ্ছেন।

৯| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

রবিন.হুড বলেছেন: পেশাজীবিদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া উচিৎ অথবা রাজনীতিবীদদের সংসার চালানোর জন্য বৈধ কর্মসংস্থান থাকা উচিৎ। তা না হলে রাজনীতির অপব্যবহার চলবে।

১০| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

ইপিআর সৈনিক বলেছেন:



উনি দরিদ্র ঘরের সন্তান ছিলেন; মাদ্রাসায় সামান্য পড়লেখা করেছিলেন; জীবন উনাকে মহান করেছিলো। উনার যায়গা জমি ছিলো না।

১১| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: বললেইতো আর এক ফুয়ে এই দেশের সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে না। আস্তে আস্তেই সমস্যার সমাধান হতে হবে। দুই পরিবারের মাফিয়া রাজনীতির অবসান হতে হবে সবচেয়ে আগে। শেখ ও জিয়া পরিবার এই দেশের রাজণিতিকে একটা মাফিয়া সিস্টেমে পরিনত করেছে। এই প্রক্রিয়ায় সকল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয় একজন ব্যক্তি । মাফিয়া সিস্টেমের ''ডন'' এর মত। বিএনপি এখনো এই একই ''মাফিয়া ডন'' মার্কা রাজনীতিই চায়। তাই সকল সংস্কার প্রশ্নে তারা না জানিয়েছে। বিএনপি যদি সামনের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে ক্ষমতায় বসে তবে আপনার লেখালেখি সবচেয়ে আগে বন্ধ হয়ে যাবে।

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

ইপিআর সৈনিক বলেছেন:



১০ নং মন্তব্য ব্লগার কুতুবের জন্য

১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:৫৭

কামাল১৮ বলেছেন: কমিউনিষ্ট পার্টির কিছু সার্বক্ষনিক কর্মি থাকে।তারা পার্টির টাকায় খুবই সাধারণ জীবন জাপন করে।পার্টির টাকা আসে সহানুভুতিদের দেয়া অর্থ থেকে।আমি আট বছর সার্বক্ষনিক কর্মি ছিলাম।তবে পরিবার থেকে আমি অনেক সাহায্য নিয়েছে।আমার পরিবার ছিলো সচ্চল।ঢাকায় দুইটা দোকান ছিলো।

১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:০৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: একটি আদর্শ ব্যবস্থায় রাজনীতি করা উচিত মূলত উচ্চ শিক্ষিত, দেশ-প্রেমিক ও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল শ্রেনীর মানুষদের যারা দেশ ও দশের ভালো জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করবেন। যারা মানুষকে আলোর পথ দেখাবেন, সমাজ তথা জনগণের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবেন। বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশে অবশ্য আমরা তার উল্টোটা দেখতে পাই। মূলত অশিক্ষিত, অর্ধ-শিক্ষিত লোকজন গিজ গিজ করছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এরা চতুর, মিথ্যেবাদী ও মূলত দুর্নীতিবাজ। নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত চাটুকা ও মূলত থার্ড ক্লাস (সবাই নয়) টাইপের এসইসব লোকজন রাজনীতিকে পেশা হিসেবে না দেখলেও মূলত অর্থ উপার্জনের সহায়ক পন্থা হিসেবে বিবেচনা করেন। বিগত অর্ধ-শতাব্দীতে এ দেশে কোন আদর্শ রাজনীতিবিদ আমি দেখেছি বলে মনে হয় না অবশ্য এদের ব্যাপারে আমি খুব বেশী ঘাঁটাঘাঁটিও করি না। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.