![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেড় সহস্রাধিক ছাত্র-জনতার আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং আকাশছোঁয়া প্রত্যাশার চাপ নিয়ে ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় নোবেলজয়ী বিশ্বনন্দিত ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অল্প সময়ের অন্তর্বর্তী শাসনে ব্যর্থতার চেয়ে সাফল্যের পাল্লা ভারী বেশি।
ব্যর্থতা :
১) আইনশৃঙ্খলার কাঙ্ক্ষিত উন্নতি না হওয়া কারণ পুলিশের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারা।
২) যৌক্তিক কারণ সত্ত্বেও নিবিড় তদারকি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারা।
৩) মব সন্ত্রাস ও সাধারণ জনগন কতৃক ঢালাও মামলায় রুখতে না পারা। (যেসব ঘটনাকে মব বলে চালানো হচ্ছে, একই ধরনের অসংখ্য ঘটনা গত পনেরো বছরে ঘটলেও সেগুলোকে তখন‘মব’-বলা হয়নি।)
৪) বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই দিতে না পারা। (দেশে বই মুদ্রণের প্রয়োজনীয় কাঠামো গত ১৫ বছরে ধ্বংস করে ভারত থেকে ছাপা হচ্ছিল। মাত্র তিন মাসের প্রস্তুতিতে এতগুলো পাঠ্যবই পরিমার্জিত আকারে প্রকাশ কম চ্যালেঞ্জের নয় ফলে সময় লেগেছে। অতীতেও ১ জানুয়ারি বই দিতে না পারার ঘটনা ঘটেছে বহুবার।
সরকারের টালমাটাল পরিস্থিতি :
১) সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুনে পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র পুড়ে যাওয়া।
২) দক্ষিণ সিটিতে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র হিসেবে বসানো নিয়ে টানা অবরোধ এমনকি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও করে বিএনপি নেতাকর্মীদের শক্তি প্রদর্শন।
৩) এনসিপির সমাবেশ ঘিরে গোপালগঞ্জে ভয়াবহ সহিংসতা ও প্রাণহানি। ঢাকার মিটফোর্ডে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পাথর-খণ্ড দিয়ে আঘাতে আঘাতে হত্যা। মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে ৩০ জনের অধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষকের মর্মান্তিক মৃত্যু।
৪) শিক্ষার্থীদের সামনে রেখে বিপুলসংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল তরুণের সচিবালয়ে ঢুকে নৈরাজ্য সৃষ্টি।
৫) চট্টগ্রামের আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের তাণ্ডব ও আইনজীবী হত্যা।
৬) আনসার বাহিনীর বিপুল সদস্যের সচিবালয় আক্রমণ।
৭) সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে সমাবেশ এবং ঢাকামুখী লংমার্চ ঘোষণা, আদিবাসী ছাত্র-জনতার নামে সহিংস বিক্ষোভ।
৮) রেলকর্মীদের কর্মবিরতি।
৯) সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘাত।
১০) সিএনজি অটোরিকশা-চালকদের রাজধানীজুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি।
১১) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাতিল হওয়া শিক্ষকদের সহিংস আন্দোলন।
১২) মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উত্তাল বিক্ষোভ।
১৩) পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবরোধে শহরে শহরে অচলাবস্থা।
১৪) নূর হোসেন দিবসে আওয়ামী লীগের ঢাকা মার্চ কর্মসূচি।
১৫) নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহরীরের ব্যানারে পতিত শক্তির মাঠে নামার অপচেষ্টা।
১৬) গাজীপুর ও জামালপুর কারাগারে বিক্ষোভ ও গুলি, জামালপুর কারাগারে ছয় বন্দির মৃত্যু।
১৭) পাহাড়ে উসকে দিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত।
১৮) শিল্পকারখানার শ্রমিকদের এক বছরে প্রায় শতবার মহাসড়ক অবরোধ।
১৯) বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে দেশের কয়েকটি এলাকায় দফায় দফায় বিধ্বংসী বন্যার আঘাতে এবং
২০) নির্বাচনের সময় নিয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে টানাপড়েন।
এতো জঞ্জাল বিক্ষোভ সামলাতে ড. ইউনূস সরকারকে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে। তারপরও অত্যন্ত বিচক্ষণতার সংগে সকল সংকট সামাল দেওয়ায় জনমনে ফিরে আসে স্বস্তি।
সাফল্য :
১) অর্থনীতির লুটপাট থামিয়ে স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাওয়া সবচেয়ে বড় অর্জন বা বড় সাফল্য। অর্থনীতির ক্ষত অনেকটাই শুকিয়েছে।
২) রিজার্ভ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৩০ বিলিয়ন ছুঁয়েছে।
৩) স্থবিরতা কাটিয়ে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ—তিন মাসে এফডিআই বা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১৪ শতাংশ বেড়েছে।
৪) ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ।
৫) রেমিট্যান্স রেকর্ড ভেঙে রেকর্ড গড়ছে।
৬) রিজার্ভে হাত না দিয়েই বড় অঙ্কের আন্তর্জাতিক দেনা পরিশোধ করা হয়েছে।
৭) দেউলিয়া-প্রায় ব্যাংকগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে স্থিতিশীল পর্যায়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে। এস আলমের দখলমুক্ত করা পাঁচটি শরিয়াহ ব্যাংককে একীভূত করার প্রক্রিয়া চলছে।
৮) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নীতির কারণে তিন মাসে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের মধ্য দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
৯) আতঙ্কে তুলে নেওয়া গ্রাহকদের ২১ হাজার কোটি ব্যাংকে ফিরেছে।
১০) রমজান মাসে কোনো পণ্যের দাম না বাড়ায় প্রশংসা কুড়িয়েছে সরকার। নিত্যপণ্যের বাজারে মাঝেমধ্যে স্বস্তির সুবাতাস পাওয়া গেলেও অনেক সময় মানুষ অস্বস্তি ও চাপে পড়েছে।
১১) কঠিন চ্যালেঞ্জ ও নানা শঙ্কা সত্ত্বেও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
১২) শেখ হাসিনা ও তার দলের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রচারের ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
১৩) আদালত অবমাননার একটি মামলায় শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
১৪) দলবাজ প্রধান বিচারপতিসহ ছয় বিচারপতির দূর করা হয়েছে।
১৫) গণতন্ত্র, নির্বাচন ও বিচারব্যবস্থা ধ্বংসকারী অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা।
১৬) আওয়ামী আমলের দলীয় অনুগতদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল।
১৭) পতিত সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও হেভিওয়েট নেতাদের গ্রেপ্তার করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা।
১৮) শেখ হাসিনা, জয়, পুতুল, ববিসহ শেখ পরিবারের লুটেরাদের বিরুদ্ধে মামলা, ব্যাংক হিসাব জব্দ, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও ইন্টারপোলকে চিঠি।
১৯) শেখ পরিবারের সদস্যদের জন্ম-মৃত্যু, ভাষণসহ সংশ্লিষ্ট আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করে সরকারি অর্থের অপচয় এবং অপব্যয় রোধ, ১৫ আগস্টের ছুটি বাতিল।
২০) সাবেক দুই আইজিপিসহ দলবাজ ও খুনি পুলিশ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতি এবং অনেককে গ্রেপ্তার।
২১) সিইসি হাবিবুল আউয়াল ও নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার এবং আদালতে তাদের স্বীকারোক্তি, তিন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপালন করা জেলা প্রশাসকদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো।
২২) ফ্যাসিবাদী শাসনে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত ১ হাজার ৫২২ পুলিশ সদস্যকে চাকরিতে পুনর্বহাল।
২৩) একতরফা ও তামাশার নির্বাচনে গঠিত স্থানীয় সরকার পরিষদ থেকে ১ হাজার ৮৭৬ আওয়ামী প্রতিনিধিকে অপসারণ।
২৪) সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল, ত্রয়োদশ সংশোধনী বহালের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা।
২৫) সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল।
২৬) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের লুটেরাদের দায়মুক্তি দিয়ে করা আইনের সংশ্লিষ্ট দুটি ধারা বাতিল।
২৭) জয়বাংলা জাতীয় স্লোগান হিসেবে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া রায় স্থগিত করা।
২৮) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ আইন, সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীন সচিবালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত।
২৯) দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগ এবং নতুন চেয়ারম্যান এবং কমিশনার নিয়োগ করে দুর্নীতির বিচারে গতি সঞ্চার করা।
৩০) এক বছরের মধ্যে দুদক পতিত শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ৭৬৮টি অভিযোগ তদন্ত করে ৩৯৯টি মামলা করেছে। প্রভাবশালী আমলা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১৪৪ মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ৪৪টি মামলা হয়। দুদকে মোট অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে ৩২১টি।
জনতুষ্টিমূলক পদক্ষেপ:
১) ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও দুর্গাপূজায় ছুটি বৃদ্ধি।
২) এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসবভাতা ২৫ শতাংশ থেকে দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশে উন্নীত করা ও সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরও ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বেড়েছে।
৩) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদে ১ লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম চলমান।
৪) দামে লাগাম টানতে সয়াবিন ও পামওয়েলে শুল্কছাড়, চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার।
৫) চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২-এ উন্নীত করা, সরকারি চাকরিতে আবেদনের ফি কমানো।
৬) সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন।
৭) ৭৭৮ প্রভাবশালীর অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল।
৮) শেখ পরিবারের নামে করা প্রায় ১০০০ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন।
৯) শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল, শেখ মুজিবের ছবিযুক্ত নোটের পরিবর্তে বিভিন্ন মূল্যমানের নতুন নোট প্রবর্তন।
১০) পুলিশের লোগো থেকে নৌকা বাদ দিয়ে নতুন লোগো চূড়ান্ত করা।
১১) কক্সবাজারে জনপ্রশাসন একাডেমির নামে ৭০০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল করা।
১২) ১২ সাবেক সচিব ও বিচারককে তুষ্ট করতে বরাদ্দ করা বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বাতিল করা।
১৩) কবি নজরুলকে জাতীয় কবির স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি।
১৪) মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলে আনন্দ শোভাযাত্রা করা।
১৫) পাঠ্যবইয়ে এক ব্যক্তির সব কৃতিত্ব ও বন্দনার পরিবর্তে সব জাতীয় নেতাদের প্রাপ্য সম্মান নিশ্চিত করা হয়েছে।
১৬) ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পদোন্নতি-বঞ্চিত জনপ্রশাসনের ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে বঞ্চনার প্রতিকার ও প্রশাসনে ভারসাম্য আনার চেষ্টা হয়েছে।
১৭) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনে ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
১৮) হজ প্যাকেজের ব্যয় কিছুটা হলেও কমিয়ে প্রশংসিত হয়েছে। (ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীদের নির্ধারিত প্যাকেজ মূল্য থেকে অর্থ সাশ্রয় হওয়ার পর তা ফেরত দেওয়া হয়েছে।)
১৯) হত্যা মামলায় খালাস পেয়েও বিস্ফোরক আইনের মামলায় কারাগারে থাকা বিডিআরের সাবেক ১৭৫ সদস্য জামিনে মুক্তি।
২০) ইবতেদায়ি মাদরাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা করা হয়েছে।
২১) সাইবার নিরাপত্তা আইন থেকে বিতর্কিত ও নিপীড়নমূলক ৯টি ধারা বাতিল।
সরকার জুলাই-আগস্টের গণহত্যার তদন্তে জাতিসংঘ-নেতৃত্বাধীন একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং (তথ্য অনুসন্ধান) মিশনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। এ বিষয়গুলো খাটো করে দেখার সুযোগ কোথায়?
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সরকারকে টালমাটাল করার বিক্ষোভ, বিদ্রোহ, আন্দোলন ও চাপকে সামলে যেভাবে এই অল্পসময়ে দেউলিয়া প্রায় দেশ যেভাবে রক্ষা করেছে তা অন্যকেউ হলে পারতোনা এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ব্যাংক ব্যবস্থা তো পুরাই লুটপাট করে শেখ গংরা বিদেশে পাচার করেছে সেই অবস্থা থেকে এখন উত্তরণ ঘটেছে। আওয়ামী চশমায় দেখলে কিছুই দেখতে পাবেন না।
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৫২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চরম বিশৃঙ্খল অবস্থাকে ট্যাকেল দিয়ে ড. ইউনূস ভালোভাবেই এগিয়ে চলছেন; যারা মধু খাওয়ার আশায় বসে আছে তাদের কাছে দোষের শেষ নেই, তাদের তর সইছেনা।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:২৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সঠিক কথা বলেছেন।
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৩০
মাথা পাগলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: সরকারকে টালমাটাল করার বিক্ষোভ, বিদ্রোহ, আন্দোলন ও চাপকে সামলে যেভাবে এই অল্পসময়ে দেউলিয়া প্রায় দেশ যেভাবে রক্ষা করেছে তা অন্যকেউ হলে পারতোনা এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ব্যাংক ব্যবস্থা তো পুরাই লুটপাট করে শেখ গংরা বিদেশে পাচার করেছে সেই অবস্থা থেকে এখন উত্তরণ ঘটেছে। আওয়ামী চশমায় দেখলে কিছুই দেখতে পাবেন না।
আপনি যেসব ভুল তথ্য দিয়েছেন সেগুলো শুধরে দিলাম মাত্র, ব্লেইম শিফিটিং বা "আওয়ামী চশমা"র বদলে যদি কাউন্টার কিছু বলতে পারতেন! "বাংলাদেশ দেউলিয়া হবার পথে ছিলো" এধরনের কথা আপনার মনে হলো কেন? এগুলো তো ইলিয়াস আর পিনাকী দাদার ভক্তরা বলে। হাসিনার দমণ-পীড়ন শাসন ব্যবস্থা নিয়ে জনগনের ক্ষোভ আছে কিন্তু "হাসিনার আমলে কেউ না খেয়ে আছে" বা "দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে" এধরনের কথা কখনো শুনি নাই।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ইলিয়াস আর পিনাকীর কথা আমি বলছিনা। বাংলাদেশ থেকে হাসিনা জামানায় কত টাকা পাচার হয়েছে সেটা নিশ্চয় আপনার জানা আছে নাকি জেনেও না জানার ভান করছেন; যদি তাই করে থাকেন তাহলে সেটাই আওয়ামী চশমা। ব্যাংক ব্যবস্থা পুরাই ধ্বংস, অর্থনীতি শেষ এগুলো তো পিনাকীর কথা না।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এখনো তো কেউ না খেয়ে নেই।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তেনার পিতাকে ভগবান তৈরি করতে গিয়ে মূর্তি বানাতে ৪০০০ কোটি টাকা, ভগবানের শতবর্ষ পালন করতে ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয় এগুলো দিয়ে কি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা যেতনা? তাহলে তো মাইলস্টোনের বিপর্যয় এড়ানো যেত হয়তো।
৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: বিপ্লবী সরকার অনেক কিছুই করতে পারে, সেই সুযোগ থাকা সত্বেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতা অনেক বেশীই। একটা উদাহরণ দেই- পরিক্ষায় ফেল করা শ দুই ছাত্র নামধারী বখাটে যেখানে রাষ্ট্র ও সরকারের প্রাণ সচিবালয় দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার সুযোগ করে, সেই সরকারের কাছে কি আশা করেন। তবুও অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও কিছু ভালো কাজ অবশ্যই করেছে। ছাত্র সমন্বয়কদের দৌরাত্ম এড়াতে পারলে ভালো কিছু করতে পারতো।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ফেল করা বখাদের পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল তবে একথা সত্য ছাত্র সমন্বয়কদের দৌরাত্ম এড়াতে পারলে আরো ভালো কিছু করতে পারতো।
৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৫১
অরণি বলেছেন: ছাত্র সমন্বয়কদের দৌরাত্ম এড়াতে পারলে ড. ইউনূস সরকার আরো ভালো কিছু করতে পারতো।
৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৩
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ছাত্র সমন্বয়কদের ড. ইউনূস বেশি আস্কারা দিয়ে তার ইমেজ নষ্ট করেছেন; তিনি হয়তো আরো ভালো করতে পারতেন।
৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৪
মোগল সম্রাট বলেছেন:
আজকে যদি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনার সবচেয়ে বড় উদ্বেগ কী? তাহলে অধিকাংশের উত্তর হবে-"আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি।" দেশের নানা প্রান্তে যে পরিমান মব লিঞ্চিং বা গণপিটুনির ঘটনা এতটাই ঘটেছে তা এই দেশের কোন সরকারের আমলে হয়নি। ২০২৪ সালে একাধিক গণপিটুনিতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, কারণ তাদের কার্যকারিতা কার্যত শূন্য।
এমন পরিস্থিতিতে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দেশের প্রশাসন যে সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশ্নবিদ্ধ। গত ১ বছরে কোনও উল্লেখযোগ্য আইনগত পরিবর্তন বা মব লিঞ্চিং রোধের উদ্যোগ দেখা যায়নি। বরং সরকার যদি নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ও কার্যক্রমের ওপর জোর না দেয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কি আদৌ নিরাপদ থাকবে?
শিল্প-কারখানার অবস্থা খুবই সংকটজনক। গাজীপুর, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার শ্রমিক এখন কর্মহীন, বকেয়া মজুরি পাচ্ছেন না, আর সরকার তাদের ন্যায্য অধিকার দেয়ার বদলে মৌন হয়ে রয়েছে। দেশজুড়ে বেকারত্বের হার প্রচন্ড দ্রুত গতিতে বাড়ছে। যেখানে সরকারের উচিত ছিল শিল্প ও ব্যবসা সুরক্ষিত রাখা, সেখানে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ।
বর্তমানে বাংলাদেশে অপরাধ বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনক। খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই এমন ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দিনে দুপুরে পাথর দিয়ে নির্মম ভাবে মানুষ মেরে ফেলেছে। জেল ভেংগে শত শত জঙ্গী, সন্ত্রাসী বের করে দিয়েছে। ২১ আগষ্টের সাজা প্রাপ্ত আসামী খালাস করে দেয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের শুধু জানুয়ারি মাসেই ২৯৪টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে। অপরাধীদের প্রতি কোনো সঠিক শাস্তির ব্যবস্থা না নেওয়া, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়ার কারণে সাধারণ জনগণের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা বেড়েই চলছে।
এমন এক অস্থির পরিবেশে, ড. ইউনূসের সরকার আর কোনদিনও কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন কি না, তা নিয়ে অনেকের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে।
ড. ইউনূসের দীর্ঘদিনের আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, তিনি শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়, বরং বিদেশি শক্তির স্বার্থ রক্ষা করতে কাজ করছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজকের বাংলাদেশে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য দায়ী কি না, তা নিয়েই আলোচনা চলছে জনগনের মুখে মুখে। দেশের অভ্যন্তরীণ সংকট, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং সামাজিক অস্থিরতা তার শাসনকালে যত গভীর হয়ে উঠেছে তা কোন কালে হয়নি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:২১
মাথা পাগলা বলেছেন: রাজাকার আর সন্ত্রাসীদের জেলখানা থেকে বের করার কথাটা মনে হয় ইচ্ছা করে এড়িয়ে গেছেন।
রিজার্ভ বাড়ছে বলে যেটা দেখানো হচ্ছে, সেটা খরচ কমানোর ফল। এলসি কম খোলা, সরকারি প্রকল্প থেমে আছে, উন্নয়নের নতুন উদ্যোগ নেই স্বাভাবিকভাবেই ডলারের চাহিদা কমে গেছে।
ব্যবসা-বাণিজ্য খুবই দূর্বল। মুদ্রাস্ফীতি বেশি, আমদানি খরচও বেশি, কিন্তু বাজারে ক্রেতা কম। অনিশ্চয়তার কারনে যাদের হাতে টাকা আছে, তারা বিনিয়োগ না করে ফিক্সড ডিপোজিট করছে।
হজের টাকা ফেরত আগেও হতো, এখন সেটা এমনভাবে প্রচার করা হচ্ছে যেন সরকার বড় কোনো কাজ করে ফেলেছে যেন আগে এসব ফেরত দেওয়া হতো না। নমুনা সূত্র
নতুন পাঠ্যবই নিয়ে অনেক বিতর্ক হচ্ছে বিশেষ করে নারী চরিত্র ও ইতিহাস উপস্থাপনার ধরন নিয়ে। কেউ কেউ বলছে, মেয়েদের অবদানকে ছোট করে দেখানো হয়েছে বা চেপে যাওয়া হয়েছে।
সামরিক বাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শোডাউন বাড়ছে, যার মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে, সরকার এখনও শক্ত হাতে আছে। কিন্তু এটা আসলে দুর্বলতার ইঙ্গিত। বিচার বিভাগ ও প্রশাসনের উপর আস্থা কমছে। অনেকেই মনে করছেন, রাজনৈতিক পরিচয়ই এখন নিয়োগ ও ন্যায়ের একমাত্র মানদণ্ড। এনবিআরের ৩৬০০ কোটি টাকার হিসাব মিলছে না, কিন্তু অদ্ভুতভাবে কোনো বড় মিডিয়ায় এ নিয়ে একটা লাইনও নেই। যেন কিছুই হয়নি।
মিডিয়া হাউজগুলো সরকারের দখলে। বাই মিসটেক সরকারের বা এনসিপির বিরুদ্ধে কোন কিছু ছাপা হলে কিছুক্ষন পর সরাতে বাধ্য হয়।
ব্যর্থতা হয়তো আরও ১০০টা যুক্ত করা যাবে। ইচ্ছাকৃতভাবেই হোক আর না হোক এরকম ইনফোরমেটিক লেখা লিখলে আরও যত্নসহকারে যাচাই-বাচাই করে লেখার অনুরোধ রইলো।