নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

সৈয়দ মশিউর রহমান

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।

সৈয়দ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিঃস্ব থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৫



বরিশাল থেকে ঢাকা আসেন লঞ্চে এক কাপড়ে। চলার মতো অর্থ ছিল না। ছিল না খাবার টাকা। শেখ সেলিমের ‘বাংলার বাণী’ পত্রিকায় চাকরি নেন বিজ্ঞাপন ম্যানেজারের। রাতে ঘুমাতেন বাংলার বাণী অফিসেই নিউজ প্রিন্ট বিছিয়ে। বাংলার বাণীতে যে বেতন পেতেন, তা দিয়েই চলতেন কোনো রকমে। বেতনও ঠিকঠাক মতো হতো না। অভাব-অনটনে কাটত জীবন। কাগজে কলমে আইনের ডিগ্রি থাকলেও কোনো দিন আইন পেশায় যুক্ত থাকেননি। কিন্তু গত ৫০ বছরে গড়েছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ। নিজের কোনো বৈধ উপার্জন ছিল না। কিন্তু রাজনীতিই তার কাছে ছিল দুর্নীতি এবং অবৈধ অর্থ উপার্জনের প্রধান উপায়। রাজনীতি করেই অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।বৈধ কোনো উপার্জন ছাড়াই তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক।গত ১৫ বছরে জাহাঙ্গীর কবির নানকের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৩০ গুণ। তবে তার ঘনিষ্ঠজনরা মনে করেন যে, এই হিসাবটি খুবই তুচ্ছ এবং হাস্যকর। বাস্তবে তার সম্পদের পরিমাণ আরও কয়েকশ গুণ বেশি। ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী নানক ও তার স্ত্রীর যৌথ সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬৩ লাখ ৭৫ হাজার ৬৫১ টাকা। ২০২৪ সালের জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের সময় হলফনামায় নানক সম্পদের যে বৈধ হিসাব দিয়েছিলেন তার পরিমাণ ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৫১ টাকা। শুধু দেখানো হিসাবেই তার সম্পদ বেড়েছে ৩০ গুণ। আওয়ামী লীগের এই নেতার কোনো বৈধ আয় নেই। তাহলে সম্পদ বাড়ল কীভাবে? একমাত্র উপায় রাজনীতি।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নানক , ইনু , মেনন ও মায়া - ৪ জন ইডিয়স ।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৫

অরণি বলেছেন: সরকারী টাকাপয়সা ওরা লুটে খেয়েছে।

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ডাকাত লীগ, লুটপাট লীগ এগুলো বিশ্বাস করবেনা।

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: সমন্বয়কদের থেকে তাদের পরিবার অনেক সচ্ছল ছিলো।দুই জন আমার পরিচিত।মায়ার বাবা পাকিস্তান আমলে চেয়ারম্যান ছিলো,মেননের বাবা ছিলো পার্লামেন্টের স্পিকার।একসাথে ছাত্র রাজনীতি করেছি ষাটের দশকে।

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

কামাল১৮ বলেছেন: মন্তব্যটি কুতুবের জন্য।

৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কামাল১৮@মেনন কি পারতেন না বাম একটা জোট করতে ? বাংলাদেশে একনায়ক শাসন চলবে না এটা পলিটিশিয়ান দের বুঝা উচিত ।

৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: @কুতুব,মেনন মৌলবাদকে রুখতে আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলে।ভুল কি ঠিক করেছিলো এনিয়ে বিতর্ক আছে।তাছাড়া মেননের বুকে গুলি লাগার পর,সে ডিফেন্সিভ মুডে চলে যায়।

৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২১

শেরজা তপন বলেছেন: এটা লীগাররা বিশ্বাস করে না। তারা বিশ্বাস করে; সমন্বয়কেরা দিনে হাজার কোটি টাকা কামাচ্ছে, সেই কথা!
ভাইরে এতবড় একটা নেতা দু-পাঁচ দশ হাজার কোটি কামাইতেই পারে। আপনারা পারেন বটে!! :)

৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৫

রাসেল বলেছেন: বাপে জমিদার হলে কি পোলা চোর হতে অপরাধ নাই? এরা আমাদের সুশীল সমাজ।

১০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


বাংলাদেশের রাজনীতির মজাই এটা ।
এই যে হাজারে হাজারে নেতা ।
তাদের আয় তো এটাই।

১১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: দূর্নীতিতে কেউ পিছিয়ে নেই।
বিএনপির আমলে বিএনপি কি দূর্নীতি করে নাই? ফালু মালু কালুরা? বিএনপি আমলে দেশ বারবার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.