| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার।যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু\'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী।পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
ভারতে গরু ও গোমাংস নিয়ে হত্যা বা সহিংসতার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন কারণ এটি রাজ্য, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং 'গরু রক্ষা' বাহিনী ইত্যাদীর কারণে একেক যায়গাতে একেক রকম। ভারত গোমাংস রপ্তানীতে বিশ্বে ২য় কিন্তু গোমাংসের কারণে গণপিটুনিতে (lynching) হত্যা কান্ডে পৃথিবীতে প্রথম এবং একমাত্র দেশ যেখানে সামান্য গোমাংসের জন্য পিটিয়ে মানুষ হত্যা সাধারণ বিষয়। একটি এনজিও-র জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৯৭ শতাংশ গণপিটুনি এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে মোদী ক্ষমতায় আসার পর৷ গোটা ভারতে কয়েক সপ্তাহের ঘটনার দিকে তাকালেই ছবিটা দিনের আলোর মতো ফুটে উঠবে৷ উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডে গোরক্ষার নামে চলেছে একের পর এক হামলা এবং মানুষ খুন৷
সনাতন সংস্থা, বজরং দল, রাম সেনা, দুর্গা বাহিনী, হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির মতো হিন্দু মৌলবাদী জঙ্গী সংগঠনগুলি দিনের পর দিন সংখ্যালঘু মুসলিম হত্যা করছে। হত্যা করছে দলিত হিন্দু (যারা গোমাংস খায়), খ্রিষ্টান ও উপজাতির মানুষদের। গো-গোমাংস নিয়ে হত্যাকান্ডে মামলা হয় কিন্তু দোষীদের বিচার হয়না, তারা ছাড়া পায় আরো দোর্দন্ড প্রতাপে গো রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়ে।
সংখ্যালঘু নিপীড়নে ভারত প্রথম এবং অদ্বিতীয় একটি দেশ তারা নিজেদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা না করে অন্যদেশের সংখ্যালঘু নিয়ে কেঁদে কেঁদে চোখ ভেজাচ্ছে এবং উগ্র জঙ্গী নেতারা আক্রমনের হুমকি দিচ্ছে, ভাবতে অবাক লাগে!
এই প্রথম বাংলাদেশ তাদের নিজের চরকায় তেল দিতে বলেছে; অন্যের চরকা নিয়ে মাথা ঘামাতে নিষেধ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
মুখপাত্র বলেন,
ভারতে মুসলিম-খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ড, গণপিটুনি, নির্বিচার আটক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাধার ঘটনা গভীর উদ্বেগের বিষয়। চলতি মাসে ভারতের ওড়িশায় একজন মুসলিম যুবক জুয়েল রানাকে নৃশংস হত্যার ঘটনা, বিহারে মুহাম্মদ আতাহার হোসেনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড, কেরালায় বাংলাদেশি সন্দেহে এক নিরীহ ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড এবং বিভিন্ন স্থানে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের ওপর গণপিটুনি-সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে বড়দিন উদ্যাপনকালে ভারতজুড়ে খ্রিস্টানদের ওপর সংঘটিত গণসহিংসতার বিষয়ে বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এসব ঘটনাকে আমরা ঘৃণাজনিত অপরাধ ও লক্ষ্যভিত্তিক সহিংসতা হিসেবে দেখি। আমরা প্রত্যাশা করি, ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করবে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনবে। এ ছাড়া প্রত্যেক দেশেরই দায়িত্ব তার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা ও মর্যাদা দেওয়া।
বাংলাদেশ কখনো এমন করে বলতে পেরেছে কি?
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বাংলাদেশ উচিত জবাব দিয়েছে। তাদের নিজের চরকায় তেল দিতে হবে আগে।
২|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
মোদিজি বহু জাতি ধর্ম বর্ণ আর সংস্কৃতির ধারক বাহক ভারতকে এমন একটি উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের অভয়াশ্রমে পরিণত করেছেন যেখানে অন্য জাতি ধর্মের মানুষ আজ পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ জীবনযাপনে বাধ্য। তারা স্বাধীন দেশে বসবাস করেও নিজেদের প্রকৃতপক্ষে স্বাধীন ভাবতে পারছেন না। কারণ, তাদের মানবিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে। তাদের ধর্মীয় অধিকারগুলো পালনের সুযোগ পর্যন্ত সীমিত করা হচ্ছে। আজকের উগ্র ভারতের সামনে চিরচেনা ভারতের মানবতা আজ পরাজিত। ইহা তার কৃতিত্ব, এটা মানতেই হবে।
মোদিজির অনলি হিন্দু চরমপন্থী উগ্রবাদী দৃষ্টিভঙ্গির ফলে ভারত জুড়ে এযাবতকালের গরু হত্যার অপবাদে/ কারণে কতজনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে, কতজনকে অন্যান্য উপায়ে হত্যা করা হয়েছে, এর সঠিক পরিসংখ্যান অবশ্যই সংরক্ষণ করা উচিত। গোহত্যার অপবাদে মুসলিমদের পিটিয়ে হত্যার বহু তথ্য প্রমান অনলাইনে বিদ্যমান। এখানে বরং সর্বশেষ এ বছর, অর্থাৎ ২০২৫ সালে খ্রিস্টানদের বড় দিনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ভারতজুড়ে যে অকল্পনীয় সহিংসতার ঘটনা উগ্রবাদী হিন্দুদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে, তার কয়েকটি সংবাদ সূত্র উল্লেখ করা হলো-
ভারতে বড়দিনের উৎসবে উগ্রপন্থীদের সিরিজ হামলা-হেনস্তা!
ভারতে বড়দিন উদযাপনে খ্রিষ্টানদের ওপর হিন্দুত্ববাদীদের হা/মলা
খ্রিষ্টানদের ওপর হামলা, বড়দিনের ছুটি বাতিল—ভারত সরকারের নীরবতা কী বার্তা দিচ্ছে
এগুলো কি ভারতের দালালরা দেখে? দেখলে এরপরেও ভারতের প্রশংসা করে কোন মুখে?
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মোদী হলো উগ্র মৌলবাদী ও জঙ্গী। মুসলিম বিরোধিতাই তার একমাত্র রাজনীতির মূল বিষয়। যে নেতা যত বেশি মুসলিমদের নির্যাতন ও হেনস্তা করতে পেরেছে সে নেতা মোদীর হাত ধরে তত উপরে উঠেছে।
৩|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ভারতীয়রা একটা অসভ্য জাতি
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ভারতের বর্তমান রাজনীতিকরা উগ্র, বর্বর ও অসভ্য।
৪|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৮
অরণি বলেছেন: নতুন নকিব বলেছেন,
মোদিজির অনলি হিন্দু চরমপন্থী উগ্রবাদী দৃষ্টিভঙ্গির ফলে ভারত জুড়ে এযাবতকালের গরু হত্যার অপবাদে/ কারণে কতজনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে, কতজনকে অন্যান্য উপায়ে হত্যা করা হয়েছে, এর সঠিক পরিসংখ্যান অবশ্যই সংরক্ষণ করা উচিত। গোহত্যার অপবাদে মুসলিমদের পিটিয়ে হত্যার বহু তথ্য প্রমান অনলাইনে বিদ্যমান।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ভারতে এপর্যন্ত যত প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তার মধ্যে মোদীই প্রচন্ড মৌলবাদী, হিংস্র, উগ্র, বর্বর ও অসভ্য।
৫|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৪
অরণি বলেছেন: শুধু মোদীই মৌলবাদী, হিংস্র, উগ্র, বর্বর ও অসভ্য নয় তার মনোনীত সকল মন্ত্রী, এমপি, মুখ্যমন্ত্রী ও নেতাকর্মীরা সবাই হিংস্র, উগ্র, বর্বর ও অসভ্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৪
একজন নিষ্ঠাবান বলেছেন: সাবাশ বাংলাদেশ। নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতিতে এগেয়ে চলো।