নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অজানা মহাবিশ্বে ভ্রমণশীল...

রাজনীতি-মুক্ত ব্লগ

এস. এম. রায়হান

আমি লেখক নই, নই কোন কবি-সাহিত্যিক কিংবা সাংবাদিক। অবসরে কিছু লেখালেখির চেষ্টা করি মাত্র।

এস. এম. রায়হান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরআনের আলোকে নারী: সঠিক অবস্থান ও অভিযোগের জবাব

১৫ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:০৮

ইসলামে নারীদের মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে বিশ্বব্যাপী এমনভাবে অপপ্রচার চালানো হয়েছে যেনো সবগুলো ধর্মের মধ্যে ইসলামেই নারীদেরকে সবচেয়ে বেশী অবমাননা করা হয়েছে এবং সবচেয়ে কম অধিকার দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই এই অপপ্রচারকে বিশ্বাসও করা শুরু করেছেন। অথচ বাস্তবতা কিন্তু ঠিক তার বিপরীত। প্রকৃতপক্ষে কোরআনে নারীদের নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করতে যাওয়া মানে তাদেরকে বরং হেয় করা। কারণ কোরআনে নারী-পুরুষকে তো আলাদা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়নি। যে দু-চারটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সমালোচনা করা হয় সেগুলো বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছুই না। সামান্য যৌক্তিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে সেগুলোকে খুব ভাল ভাবেই ডিফেন্ড করা সম্ভব। তাছাড়া কোরআনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন নারীকে বিশেষ মর্যাদা ও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে তেমনি আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরুষের উপরও অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতএব, সবকিছু যোগ-বিয়োগ করে এবং নারী-পুরুষের মধ্যে যে প্রকৃতিগতভাবে কিছু পার্থক্য আছে সেটা বিবেচনায় রেখে কোরআনে নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থক্য করা কিন্তু খুবই কঠিন। তবে কোরআনের ক্ষেত্রে বাস্তববাদী ও যুক্তিবাদী হতে হবে। এক্ষেত্রে আবেগের কোনো স্থান নেই।



কোরআনই সম্ভবত মানব জাতির ইতিহাসে প্রথম লিখিত গ্রন্থ যেটি নারী-পুরুষকে মানুষ হিসেবে সমান মর্যাদা দিয়ে নারীদের পক্ষেও অবস্থান নিয়েছে। পুরুষ মানেই পুরুষের পক্ষে এবং নারীদের বিপক্ষে – হাজার বছরের এই মানসিকতাকে কোরআনই প্রথম ভেঙ্গে দিয়েছে। নিচের আয়াতগুলো পড়ে দেখুন, কোরআনে নারী-পুরুষের মধ্যে আদৌ কোনো পার্থক্য করা হয়েছে কি-না।



“হে মানব-জাতি! তোমরা ভয় কর তোমাদের রবকে, যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের এক আত্মা থেকে এবং যিনি সৃষ্টি করেছেন তার থেকে তার জোড়া, আর ছড়িয়ে দিয়েছেন তাদের দু’জন থেকে অনেক নর ও নারী।” (আন-নিসা ৪:১)



“যে ব্যক্তি ভাল কাজ করবে, হোক সে পুরুষ কিংবা নারী, এবং সে ঈমানদার হবে, এরূপ লোক জান্নাতে দাখিল হবে, আর তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র অবিচার করা হবে না।” (আন-নিসা ৪:১২৪)



“আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের নিজেদের মধ্যে থেকে সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি লাভ কর এবং সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া।” (আর-রূম ৩০:২১)



“আমি বিনষ্ট করি না তোমাদের কোন পরিশ্রমকারীর কর্ম, তা সে হোক পুরুষ কিংবা নারী। তোমরা একে অন্যের সমান।” (আল-ইমরান ৩:১৯৫)



“বিশ্বাসী পুরুষ ও বিশ্বাসী নারী একে অপরের বন্ধু। তারা ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে, তারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আনুগত্য করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের। এদেরই উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করবেন।” (আত-তওবা ৯:৭১)



“তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক।” (আল-বাকারা ২:১৮৭)



“হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে এবং তোমাদেরকে পরিণত করেছি বিভিন্ন জাতিতে ও বিভিন্ন গোত্রে, যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অধিক মর্যাদাবান সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অধিক মোত্তাকী।” (আল-হুজরাত ৪৯:১৩)



“যে ভাল কাজ করে এবং বিশ্বাসী, হোক সে পুরুষ কিংবা নারী, আমি তাকে অবশ্যই দান করব এক পবিত্র শান্তিময় জীবন এবং তারা যা করত তার জন্য তাদেরকে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব।” (আন-নাহল ১৬:৯৭)



“যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করে সে কেবল তদনুরূপ প্রতিফল পাবে। আর যে ব্যক্তি ভাল কাজ করে সে পুরুষই হোক কিংবা নারীই হোক, সে যদি বিশ্বাসী হয় তবে এরূপ লোকেরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে, সেথায় তাদেরকে দেয়া হবে বেহিসাব রিযিক।” (আল-গাফির ৪০:৪০)



“আমি মানুষকে তার মাতা-পিতা সম্বন্ধে নির্দেশ দিয়েছি তাদের সাথে সদাচরণ করতে। তার মাতা কষ্টের পর কষ্ট সহ্য করে তাকে গর্ভে ধারণ করেছে এবং দু’বছরে তার দুধ ছাড়ানো হয়। সুতরাং শোকরগুজারী কর আমার এবং তোমার মাতা-পিতার।” (লুকমান ৩১:১৪)



“নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারী, ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনয়ী পুরুষ ও বিনয়ী নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, রোজাদার পুরুষ ও রোজাদার নারী, স্বীয় লজ্জাস্থান হেফাযতকারী পুরুষ ও স্বীয় লজ্জাস্থান হেফাযতকারী নারী এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও অধিক স্মরণকারী নারী–এদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান।” (আল-আহযাব ৩৩:৩৫)



“সেদিন আপনি দেখতে পাবেন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদেরকে যে, তাদের নূর ছুটাছুটি করছে তাদের সামনে ও তাদের ডানে। তাদেরকে বলা হবে: আজ তোমাদের জন্য সুসংবাদ এমন জান্নাতের, যার নিম্নদেশ দিয়ে প্রবাহিত হয় নহরসমূহ, সেখানে তোমরা অনন্তকাল থাকবে। ইহাই মহা সাফল্য।” (আল-হাদীদ ৫৭:১২)



“পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার প্রাপ্য অংশ এবং নারী যা অর্জন করে সেটা তার প্রাপ্য অংশ।” (আন-নিসা ৪:৩২)



“পুরুষদের জন্য অংশ আছে সে সম্পত্তিতে যা পিতা-মাতা ও নিকট-আত্মীয়রা রেখে যায়; এবং নারীদের জন্যও অংশ আছে সে সম্পত্তিতে যা পিতা-মাতা ও নিকট-আত্মীয়রা রেখে যায়, হোক তা অল্প কিংবা বেশী। তা অকাট্য নির্ধারিত অংশ।” (আন-নিসা ৪:৭)



“হে যারা ঈমান এনেছ! তোমাদের জন্য বৈধ নয় নারীদের জবরদস্তি উত্তরাধিকার গণ্য করা। আর তাদের আটকে রেখ না তাদের যা দিয়েছ তা থেকে কিছু আত্মসাৎ করতে, কিন্তু যদি তারা কোন প্রকাশ্য ব্যভিচার করে তবে তা ব্যতিক্রম। তোমরা তাদের সাথে সদ্ভাবে জীবনযাপন করবে।” (আন-নিসা ৪:১৯)



“যারা কোন ভাল নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারপর চারজন সাক্ষী উপস্থিত করে না তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং কখনও তাদের সাক্ষ্য কবুল করবে না। এরাই প্রকৃত দুষ্ট ও মিথ্যাবাদী।” (আন-নূর ২৪:৪)



“এ কথা সত্য যে, নারীদের উপর পুরুষের যেমন কিছু অধিকার আছে তেমনি পুরুষের উপরও নারীদের কিছু অধিকার আছে।” (মুহাম্মদ সাঃ)



এগুলো ছাড়াও আরো কিছু আয়াত আছে। তবে বাস্তবতা দেখলেন তো। এই পৃথিবীর দ্বিতীয় কোন গ্রন্থে নারী-পুরুষকে এত বেশীবার পাশাপাশি সম্বোধন করা হয়নি এবং নারীদেরকে এভাবে সরাসরি মর্যাদা ও অধিকারও দেওয়া হয়নি।



এবার আসা যাক কোরআনে নারীদের বিরুদ্ধে বহুল প্রচলিত অভিযোগগুলো নিয়ে। তার আগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যেটা অনেকেই কৌশলে এড়িয়ে যায়, সেটা হচ্ছে, যেভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সেভাবেই যদি ইসলামে নারীদেরকে দেখা হতো তাহলে তো পশ্চিমা বিশ্বের নারীরা ইসলামের দিকে ফিরেও তাকাত না। অথচ পশ্চিমা বিশ্বে ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশী।



অভিযোগ: কোরআনে যেহেতু একজন পুরুষের স্থলে দু’জন নারী সাক্ষীর কথা বলা আছে সেহেতু নারীর বুদ্ধিমত্তাকে পুরুষের চেয়ে কম মনে করা হয়েছে!



জবাব: প্রথমত, কোরআনের কোথাও বলা হয়নি যে পুরুষের চেয়ে নারীর বুদ্ধি কম। দ্বিতীয়ত, যে আয়াতের নামে এই অভিযোগ উত্থাপন করা হয় সেটি সম্ভবত কোরআনের মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়াত (২:২৮২)। অথচ পুরো আয়াত না পড়ে সামান্য একটি অংশ বারংবার উদ্ধৃত করে তোতা পাখির মতো বুলি আউড়ানো হয়। আয়াতটি পুরোটা পড়লে কারো মনেই এই ধরণের অস্বাভাবিক চিন্তা-ভাবনার উদয় হওয়ার কথা নয়। কোরআনে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ও একটি নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে একজন পুরুষের স্থলে দু’জন নারী সাক্ষীর কথা বলা আছে, আর সেটি হচ্ছে ঋণ লেন-দেন। তবে তার মানে কিন্তু এই নয় যে, পুরুষের বুদ্ধিমত্তা নারীর বুদ্ধিমত্তার দ্বিগুণ। অতিরিক্ত একজন নারীকে পাশে থাকতে বলা হয়েছে এ কারণে যে, আসল সাক্ষী কোনো কারণে ভুল করলে অপরজন স্মরণ করিয়ে দেবে। এর পেছনে যুক্তি হচ্ছে, কোরআনে যেহেতু পুরুষকে অর্থনৈতিক বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেহেতু ধরে নেয়া হয়েছে যে তারা এ বিষয়ে পারদর্শী হবে। একমাত্র ঋণ লেন-দেন ছাড়া অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সাক্ষী সমান। তাছাড়া নারীদের কিছু সমস্যা যেমন গর্ভাবস্থা ও রজঃস্রাবও তো মাথায় রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায় ও রজঃস্রাব কালে নারীদের যে কিছু সমস্যা হয় সেটা তো প্রমাণিত সত্য, যে সমস্যাগুলো পুরুষদের নেই।



অভিযোগ: বোরখা-হিজাব হচ্ছে পশ্চাৎপদতা ও নির্যাতন-নিপীড়ন এর হাতিয়ার!



জবাব: আধুনিকতা বা সভ্যতা’র অর্থ যদি অর্ধ-উলঙ্গ বুঝায় তাহলে তো আদিম যুগের মানুষ পুরোপুরি আধুনিক ও সভ্য ছিল। কারণ তারা সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়াত। অথচ তাদেরকে অসভ্য বলা হয়! রাস্তা-ঘাটের উলঙ্গ পাগলা-পাগলিকেও তো তাহলে পুরোপুরি আধুনিক ও সভ্য বলতে হয়। কিন্তু সেটা তো কেউই মেনে নেবেন না। পোশাক-পরিচ্ছদ হচ্ছে মানব সভ্যতার নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি। মানুষ আর পশুর মধ্যে মৌলিক দুটি পার্থক্য হচ্ছে সত্য-মিথ্যা বা ভাল-মন্দ বিচারের ক্ষমতা এবং পোশাক-পরিচ্ছদ। এই দুটি মৌলিক পার্থক্য ছাড়া মানুষ আর পশুর মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই।



যাহোক, কোরআনে নিকাব সহ প্রচলিত বোরখার কোনো ইঙ্গিত নেই (২৪:৩০-৩১, ৩৩:৫৯)। হিজাবের ক্ষেত্রে অবশ্য মুসলিম স্কলারদের মধ্যে দ্বিমত আছে। বেশীরভাগ স্কলার কোরআনের আলোকে হিজাবকে সমর্থন করেন। তবে কোরআনে নারীদের পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যাপারে স্বাধীনতা ও নমনীয়তা রাখা হয়েছে যেটা দেশ-কাল-পাত্র ভেদে কিছুটা পরিবর্তনশীল হতে পারে। মজার ব্যাপার হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের পুরুষ-সহ প্রায় সকল ইমাম-মৌলভি-মুন্সিরাও কিন্তু বোরখা-হিজাব এর মতো পোশাক পরিধান করেন। অথচ তাদেরকে নির্যাতিত-নিপীড়িত বলা হয় না। এমনকি নারীদেরকে যে উলঙ্গ-অর্ধউলঙ্গ করে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের পর্ণগ্র্যাফি ব্যবসা করা হচ্ছে – তার বিরুদ্ধেও টু-শব্দটি পর্যন্ত করা হয় না। গোঁড়া সমালোচকদের দৃষ্টি শুধুই মুসলিম নারীদের পোশাকের দিকে। পোশাক-পরিচ্ছদ হচ্ছে মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার। সেই ব্যক্তিগত পছন্দ যে কীভাবে মানুষকে নির্যাতিত-নিপীড়িত করতে পারে – তা কোনো ভাবেই মাথায় আসে না। যারা এমন উদ্ভট অপপ্রচার চালায় তাদের অসৎ কোনো উদ্দেশ্য আছে। শারীরিক গঠনের ভিন্নতার কারণে কোরআনে নারীদেরকে কিছুটা বেশী সতর্ক করা হয়েছে মাত্র। অন্যথায় নারী-পুরুষ উভয়কেই শালীন পোশাকের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নারী-পুরুষ উভয়কেই সততা ও শালীনতা রক্ষার উপরই বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে (৭:২৬-২৮, ২:২৬৮, ১৭:৩২)। এ প্রসঙ্গে কোরআন আরো বলে: তাকওয়ার পোশাকই সর্বোত্তম (৭:২৬); তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোনো রকম সংকীর্ণতা আরোপ করেননি (২২:৭৮); দ্বীনের ব্যাপারে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই (২:২৫৬)।



অভিযোগ: কোরআনে স্ত্রীকে প্রহারের অধিকার স্বামীকে দেওয়া হয়েছে কিন্তু একই অধিকার স্ত্রীকে না দেয়াতে নারী-পুরুষকে সমান মনে করা হয়নি!



জবাব: প্রথমত, এই ধরাধামে কোরআন আসার আগে থেকেই আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে পুরুষরা নারীদেরকে প্রহার করে আসছে। আর তা-ই যদি হয় তাহলে এটি একটি বিশ্বজনীন ফিনমিন্যান এবং কোরআনের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই।



দ্বিতীয়ত, বিষয়টি মোটেও সেরকম কিছু নয় যেভাবে অপপ্রচার চালানো হয়। কোরআনের ৪:৩৪ আয়াতের সামান্য একটি অংশ উদ্ধৃত করে স্ত্রীকে প্রহার করার কথা লিখা আছে বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু তারা যেমন পুরো আয়াতটা পড়ে না তেমনি আবার কোরআনে এরকম একটি কথা কেনো লিখা আছে সে বিষয়ে প্রশ্নও করে না। কোনো কারণ ছাড়াই কাউকে প্রহার করার কথা লিখা থাকতে পারে না নিশ্চয়। আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে সকল সমাজেই নারীদেরকে কম-বেশী প্রহার করা হয়। এই অতি কমন ফিনমিন্যানকে কোরআনে পজিটিভ থেরাপি হিসেবে ব্যবহার করে পরিবারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সম্ভাব্য একটি সমাধান দেওয়া হয়েছে। তবে প্রহারকে শেষ থেরাপি হিসেবে রাখা হয়েছে। তার আগে দুই ধাপ থেরাপির কথা বলা হয়েছে। তার মানে প্রহারকে উৎসাহিত করা হয়নি নিশ্চয়। এই তিন ধাপ থেরাপিতে কাজ না হলে পরের আয়াতে চতুর্থ একটি সমাধান দেওয়া হয়েছে (৪:৩৫)। এই আয়াত পড়লে যে কেউ বুঝতে পারবেন যে, তার আগের আয়াতে আসলে গুরুতর সমস্যার কথাই বুঝানো হয়েছে। কোরআনের এই ধাপগুলো এতটাই স্বাভাবিক যে, আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে অনেকেই কিন্তু প্রয়োজনে ঠিকই প্রয়োগ করেন। অথচ একই কথা কোরআনে লিখা থাকাতে তথাকথিত নারীবাদীদের চোখ নাকি লজ্জায় অন্ধ হয়ে যায়, যেনো মায়ের চেয়ে মাসির দরদই বেশী!



তৃতীয়ত, কোরআনের এই আয়াতে যে আরাবিক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে সে অনুযায়ী ‘প্রহার’ ছাড়াও নাকি আরো কিছু অর্থ আছে। অনুবাদকরা যদি আগে থেকেই জানতেন যে, কিছু মাসি এই তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে মশা মারতে কামান দাগাবে তাহলে তারা হয়ত দেখে-শুনে সেরকম একটি শব্দই বসিয়ে দিতেন। সেক্ষেত্রে কিন্তু কারো মুখ খোলারই সুযোগ থাকতো না। অনুবাদকদের দূর্ভাগ্যই বলতে হবে!



চতুর্থত, কোরআন যদি মুহাম্মদ (সাঃ)-এঁর নিজস্ব বাণী হতো এবং তাঁর যদি পুরুষের হাতে অসৎ স্ত্রীকে অচ্ছামতো পিটিয়ে নেয়ার ইচ্ছা থাকতো, যেভাবে অপপ্রচার চালানো হয়, তাহলে ধাপে-ধাপে এত কিছু না বলে সরাসরি বেধরক প্রহার করার কথাই লিখা থাকতো। অতএব, কোরআন যে মুহাম্মদ (সাঃ)-এঁর নিজস্ব নিজস্ব বাণী হতে পারে না – তার স্বপক্ষে অসংখ্য যুক্তি-প্রমাণের মধ্যে এটিও একটি। কোরআন এমন একটি গ্রন্থ যার বিরুদ্ধে যে কোনো সমালোচনা বুমেরাং হতে বাধ্য।



অভিযোগ: কোরআনে যেহেতু নারীদের মাসিক রজঃস্রাবকে রোগ ও অসুচি বলা হয়েছে সেহেতু কোরআন একটি অবৈজ্ঞানিক ধর্মগ্রন্থ!



জবাব: কিছু গোঁড়া সমালোচক কোরআনের ২:২২২ আয়াতের পিকথালের অনুবাদ থেকে ‘Illness’ শব্দের অর্থ ‘রোগ’ বানিয়ে দিয়ে কোরআনকে শুধু অবৈজ্ঞানিক বলেই ক্ষান্ত হয়নি, সেই সাথে আবল-তাবল অনেক কিছুই বলেছে। অথচ ‘Illness’ শব্দের অর্থ হচ্ছে অসুস্থতা, রোগ নয়। রোগ আর অসুস্থতা কিন্তু এক জিনিস নয়। মাসিক রজঃস্রাব কালে নারীরা একটু-আধটু অসুস্থতা অনুভব করতেই পারে। আর রজঃস্রাব কালে যেহেতু শরীর থেকে দুষিত পদার্থ বের হয় সেহেতু এই অবস্থাকে ‘অশুচি’ বলা হয়েছে। যার ফলে আয়াতটাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা এসেছে। পিকথালের অনুবাদে ‘Illness’ শব্দটা দেখেই 'রোগ' বানিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ তার পরে যে “পবিত্র বা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকট যাবে না” লিখা আছে সেটা দেখার আর প্রয়োজন বোধ করেনি। 'রোগ' আবার 'পরিষ্কার' করা যায় নাকি!



অভিযোগ: কোরআনে স্ত্রীকে শষ্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করে হেয় করা হয়েছে (২:২২৩)!



জবাব: এক্ষেত্রেও কোনো কোনো অনুবাদক ‘শষ্যক্ষেত্র’ শব্দটা ব্যবহারই করেননি। আবারো অনুবাদকদের দূর্ভাগ্য! আয়াতটাতে প্রকৃতপক্ষে কী বুঝাতে চাওয়া হয়েছে সেটা যে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরই বোঝার কথা। স্বামী-স্ত্রীকে একটি ন্যাচারাল সিস্টেমের সাথে তুলনা করা হয়েছে। এরকম একটি ন্যাচারাল উদাহরণকে যারা অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে তাদের মন-মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। নাকি উদাহরণটা কোরআনে আছে বলে নোংরা হয়ে গেছে কিন্তু কোনো সাহিত্যের গ্রন্থে থাকলে সেটা হতো আধুনিকতা ও প্রগতিশীলতা! আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে সবাই কিন্তু স্ত্রীকে ‘শষ্যক্ষেত্র’ হিসেবে ব্যবহার করে ঠিকই ফসল/সন্তান ফলাচ্ছেন। অথচ কোরআনের ক্ষেত্রে কারো কারো যেনো লজ্জার সীমা নেই। এই ন্যাচারাল সিস্টেমকে এড়াতে হলে অবাস্তবধর্মী তথা সাধু-সন্ন্যাসী জীবন যাপন ছাড়া অন্য কোনো পথ কিন্তু খোলা নেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে কোরআনের ২:২২২ আয়াতে নারীদের মাসিক রজঃস্রাবকে ‘অসুস্থতা’ বা ‘অশুচি’ বলাতে এবং ২:২২৩ আয়াতে স্ত্রীকে ন্যাচারাল শষ্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করাতে কিছু গোঁড়া সমালোচক যেখানে কোরআনকে ‘নারী-বিদ্বেষী ও অবৈজ্ঞানিক’ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে সেখানে প্রফেসর টিভিএন পারসাউড ও প্রফেসর কেইথ মূর এর মতো বিজ্ঞানীরা তারই মধ্যে আবার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজে পান!



অভিযোগ: কোরআনে যেহেতু নারীকে পুরুষের অর্ধেক সম্পত্তি দেয়া হয়েছে সেহেতু নারী-পুরুষকে সমান অধিকার দেয়া হয়নি!



জবাব: প্রথমত, কোরআনের আগে কোনো ধর্মগ্রন্থে নারী-পুরুষকে সমান-সমান সম্পত্তি দেয়া তো দূরে থাক নারীকে আদৌ কোন সম্পত্তিই দেয়া হয়নি। এমনকি মুসলিমদের মধ্যে অনেকেই তাদের নারীদেরকে পুরুষের অর্ধেক সম্পত্তিও দেয় না। এই যখন বাস্তবতা তখন ‘অর্ধাংশ’ নিয়ে হৈ-চৈ করার তো কোনো মানে হয় না। দ্বিতীয়ত, সার্বিকভাবে সবকিছু বিচার-বিবেচনা করে কোরআনে নারীকে কিছুটা কম সম্পত্তি দেয়ার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে (৪:৭, ৪:১১-১২, ৪:৭৬)। যেমন:



- কোরআনে নারী-পুরুষ উভয়কেই রোজগারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে (৪:৩২) অথচ পরিবারের সকল প্রকার ভরণপোষণের দায়িত্ব শুধু পুরুষের ঘাড়েই চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে (৪:৩৪)। অর্থাৎ একজন নারী যা রোজগার করবে সেটা তার নিজস্ব কিন্তু পুরুষের রোজগার থেকে সংসারের সকল প্রকার খরচ বহন করতে হবে। নারীকে কি এখানে বিশেষ সুবিধা দেয়া হলো না? পরিবারের সকল প্রকার ভরণপোষণের ভার নারীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হলে গোঁড়া সমালোচকদের সারা জীবনের ঘুমই হয়ত হারাম হয়ে যেত!



- বিবাহ বিচ্ছেদের পরও নারীর ভরণপোষণের ভার পুরুষের উপর ন্যাস্ত করা হয়েছে (২:২৪১)। এমনকি বিধবাদের ভরণপোষণের কথাও বলা হয়েছে (২:২৪১)।



- কোরআন অনুযায়ী একজন নারী তার স্বামীর সম্পত্তিরও অংশ পাবে।



- নারী-পুরুষকে সমান-সমান সম্পত্তি দেয়া হলে পুরুষদের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হতো। কারণ নারীরা বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি যেয়ে স্বামী-সন্তান সহ সেখানেই স্থায়ী হয়ে যায়। ফলে ভাইয়ের পরিবারের এতগুলো সম্পত্তি কীভাবে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যাবে – এ নিয়ে সমস্যা দেখা দিত। প্রকৃতপক্ষে স্বামীর অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ না হলে অনেক নারীই তাদের পিতার পরিবার থেকে কোনো সম্পত্তি নেয় না।



এবার দিন শেষে সবকিছু যোগ-বিয়োগ করার পর নারীদের ‘অর্ধাংশ’ কি প্রকৃতপক্ষে ‘অর্ধাংশ’-ই থাকবে নাকি বেশী হওয়ার কথা? বিষয়টাকে ইসলামের আলোকে বিচার-বিশ্লেষণ না করে কোরআনকে হেয় করার উদ্দেশ্যে লোক দেখানো নারীবাদী সেজে অযথায় মায়াকান্না করলেই তো আর হবে না।



অভিযোগ: কোরআনে যেহেতু শুধু পুরুষকে একই সাথে একাধিক স্ত্রী রাখার অধিকার দেয়া হয়েছে সেহেতু নারী-পুরুষকে সমান অধিকার দেয়া হয়নি! এমনকি কোরআনে পুরুষের বহুবিবাহ একটি অমানবিক প্রথাও বটে!



জবাব: প্রথমত, পুরুষকে কোনো অধিকার দেয়া মানে সেই একই অধিকার নারীকেও দিতে হবে, তাহলেই কেবল নারী-পুরুষকে সমান অধিকার দেয়া হবে – মুসলিমরা এই ধরণের অবাস্তব যুক্তিতে বিশ্বাস করে না। কারণ নারী-পুরুষের মধ্যে মৌলিক কিছু পার্থক্যের কারণে বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকার দেয়া সম্ভব নয়।



দ্বিতীয়ত, মুসলিম নারীরা একই সাথে একাধিক স্বামী রাখার জন্য কান্নাকাটি করে না। কারণ তারা খুব ভাল ভাবেই অবগত যে, একই সাথে একাধিক স্বামী রাখাটা যৌক্তিক বা সুখের কিছু নয়।



তৃতীয়ত, কোরআনের কোথাও সরাসরি বলা হয়নি যে নারীরা একই সাথে একাধিক স্বামী রাখতে পারবে না। নৈতিক ও যৌক্তিক কিছু কারণের উপর ভিত্তি করে এটি মুসলিমদের একটি অবস্থান। ফলে কেউ একই সাথে একাধিক স্বামী রাখতে চাইলে তাকে মুসলিম সমাজের বাইরে যেয়ে এই কাজ করতে হবে।



চতুর্থত, পুরুষের বহুবিবাহ প্রথা যদি এতটাই অমানবিক কিছু হতো তাহলে আব্রাহামের একাধিক স্ত্রী থাকে কীভাবে! সলোমনের এক হাজার স্ত্রী ও উপ-পত্নী থাকে কীভাবে! ডেভিডের একাধিক স্ত্রী ও উপ-পত্নী থাকে কীভাবে! কৃষ্ণের ষোল হাজারেরও বেশী স্ত্রী ও গোপি থাকে কীভাবে! অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা এতদিন ধরে বহুবিবাহ প্রথা চালু রেখেছিল কীভাবে! এখনও কোনো কোনো সমাজে এই প্রথা চালু আছে। এই তো মাত্র কিছুদিন আগে পশ্চিমা বিশ্বে পুরুষের বহুবিবাহ প্রথার বিরুদ্ধে আইন করা হলো। তার মানে কি এই আইন পাশ করার আগ পর্যন্ত পুরুষের বহুবিবাহ প্রথা মানবিক ছিল? অথচ ইসলামে পুরুষের বহুবিবাহ প্রথার বিরুদ্ধে এমনভাবে অপপ্রচার চালানো হয় যেনো তারা জীবনে কখনো এই প্রথার নামই শোনেনি!



পঞ্চমত, ইসলামে পুরুষের বহুবিবাহ অবশ্য করণীয় কোনো কর্তব্য নয়। বহুবিবাহের জন্য কেউ ভাল মুসলিমও হবে না। বাস্তবে মুসলিমদের মধ্যে খুব কম পুরুষেরই একই সাথে একাধিক স্ত্রী আছে। তার মানে এটি জনপ্রিয় কোনো প্রথা নয় নিশ্চয়। তাছাড়া কাউকে জোর করে হয়ত ধর্ষণ করা যায় কিন্তু জোর করে বিয়ে করে স্ত্রী হিসেবে তো আর রাখা যায় না। এক্ষেত্রে জোর-জবরদস্তির কোনো স্থান নেই (৪:১৯, ২:২৫৬)। তবে কোনো নারী যদি স্ব-ইচ্ছায় অন্য কারো স্ত্রীর সাথে যৌথভাবে থাকতে চায় এবং সেই পুরুষের পক্ষে যদি একাধিক স্ত্রীর দায়িত্ব নেয়া সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে তো কারো গাত্রদাহ হওয়ার কথা নয়। একই সাথে একাধিক অবৈধ উপ-পত্নী রাখা গেলে একাধিক বৈধ স্ত্রী রাখা যাবে না কেনো? বরঞ্চ অবৈধ উপ-পত্নীর ক্ষেত্রে কোনো দায়িত্ব যেমন নিতে হয় না তেমনি আবার বিভিন্ন সমস্যারও সৃষ্টি হতে পারে।



ষষ্ঠত, ইসলামে পুরুষের বহুবিবাহকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়। কারণ কোরআনে মূলত বিধবা নারীদেরকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে বলা হয়েছে (৪:২-৩)। পাশাপাশি তাদের প্রতি ন্যায়বিচারও করতে বলা হয়েছে। তবে এও বলা হয়েছে যে, স্ত্রীদের মধ্যে ন্যায়বিচার করতে না পারলে একজনই যথেষ্ট। অতএব, ইসলামে পুরুষের বহুবিবাহ কোনো সামাজিক সমস্যা তো নয়-ই বরঞ্চ প্রয়োজনে সামাজিক সমস্যার যৌক্তিক ও মানবিক একটি সমাধান হতে পারে।



সপ্তমত, যে পশ্চিমা বিশ্বের অতি সাম্প্রতিক কিছু নিয়ম-নীতিকে ‘আদর্শ’ ধরে নিয়ে ইসলামের সমালোচনা করা হচ্ছে সেই পশ্চিমা বিশ্বেরই হাজার হাজার নারী-পুরুষ প্রতি বছর ইসলাম গ্রহণ করে ইসলাম সম্পর্কে কী বলেন সেটা জানাটা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে কিছু নমুনা দেখা যেতে পারে:







অভিযোগ: কোরআনে অপ্রাপ্তবয়স্ক বালিকাদের বিয়ে করার কথা লিখা আছে!



জবাব: কোরআনের ৬৫:৪ আয়াতের অংশবিশেষ উদ্ধৃত করে অভিযোগ করা হয় এই বলে যে, কোরআনে অপ্রাপ্তবয়স্ক বালিকাদের বিয়ে করার কথা লিখা আছে। অথচ সেই অংশবিশেষ ‘Those who have no courses’ বলতে বুঝানো হয়েছে যে, শারীরবৃত্তীয় বা অজানা কোনো কারণে নারীদের রজঃস্রাব সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকতে পারে। এখানে অপ্রাপ্তবয়স্ক বালিকাদের বুঝানো হয়নি। তাছাড়া এই আয়াতের কোথাও অপ্রাপ্তবয়স্ক বালিকাদের বিয়ে করার কথা বলা হয়নি। কোরআনে বরঞ্চ প্রাপ্তবয়স্ক বালিকাদের বিয়ে করার ইঙ্গিতই দেয়া আছে (৪:১৯-২১)। এমনকি কোরআনে বিয়েকে "পবিত্র চুক্তি" বলা হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক বালিকাদের সাথে "পবিত্র চুক্তি" করা সম্ভব নয়।



অভিযোগ: কোরআনে অমানবিক হিল্লা বিয়ের কথা লিখা আছে!



জবাব: প্রথমত, কোরআনে "হিল্লা বিয়ে" নামে কোনো বিয়ের কথা লিখা নেই। তাছাড়া তথাকথিত হিল্লা বিয়ের নামে বাংলাদেশে যে প্রথা প্রচলিত আছে সেটি একটি কোরআন-বিরোধী প্রথা। দ্বিতীয়ত, ইসলামে তালাকপ্রাপ্তা নারীকে তার পছন্দ অনুযায়ী অন্য কাউকে বিয়ে করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে (২:২২৯-২৩২)। তৃতীয়ত, ইসলাম নিয়ে যারা অধ্যয়ন করেছেন তারা খুব ভাল করেই জানেন যে, স্ত্রীকে তালাক দিতে চাইলে কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হয় (২:২২৬-২৩০)। গোঁড়া সমালোচকদের মনগড়া অপপ্রচারকে ইসলাম সমর্থন করে না। প্রকৃতপক্ষে, ইসলামে তালাককে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো সমস্যা হলে পুনর্মিলনের জন্যও কিছু দিক-নির্দেশনা ও বিভিন্নভাবে তাগাদা দেয়া হয়েছে (৪:৩৪-৩৫, সূরা তালাক)। এই ধাপগুলো অনুসরণ করার পরও তিন তালাক হয়ে গেলে সেই নারী-পুরুষ একে অপরের জন্য অবৈধ হয়ে যায় (২:২৩০)। বিয়ে কোনো পুতুল খেলা নয় যে, ইচ্ছেমতো তালাক দেয়া যাবে আবার ইচ্ছেমতো গ্রহণ করা যাবে। দু’দিন পর হয়ত আবারো তালাক দেয়া হবে। এর পরও তিন তালাকপ্রাপ্তা কোনো নারী যদি অবৈধ সম্পর্ককে বৈধ করে সেই পুরুষের সাথেই আবার ঘর করতে চায় সেক্ষেত্রে সেই নারীকে অন্য কোনো পুরুষের সাথে স্বাভাবিক বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। দ্বিতীয় স্বামী যদি কোনো কারণে তাকে তালাক দেয় সেক্ষেতেই কেবল সেই নারী তার প্রথম স্বামীকে বিয়ে করতে পারবে। এখানে স্মরণ রাখতে হবে যে, কোনো নিরীহ নারীকে কিন্তু জোর করে কারো সাথে বিয়ে করিয়ে দেয়া হচ্ছে না। ফলে বল কিন্তু তিন-তালাকপ্রাপ্তা নারীদের কোর্টেই থাকছে। তারা ইচ্ছে করলেই অন্য কাউকে বিয়ে করে কোরআনের এই শাস্তি এড়াতে পারেন। তবে এখানে অমানবিকতার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বিয়ে আবার অমানবিক হয় কীভাবে! বড়জোর অবমাননাকর হতে পারে।



অভিযোগ: কোরআনে নারী-নারী ব্যভিচারের ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত ঘরে আবদ্ধ করে রাখার বিধান আছে অথচ পুরুষ-পুরুষ ব্যভিচারের ক্ষেত্রে কোনো শাস্তির বিধান নেই! এমন বৈষম্যপূর্ণ বিধান থাকার পরেও নারী-পুরুষ সমান হয় কীভাবে!



জবাব: প্রথমত, গোঁড়া সমালোচকরা কখনোই কোরআনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করে না। কারণ কোরআনে পুরুষ-পুরুষ ব্যভিচারের ক্ষেত্রেও শাস্তির বিধান আছে। এই বিষয়টি কোরআনের ৪:১৫-১৭ আয়াতে পাওয়া যাবে। দ্বিতীয়ত, যে কোনো সমাজের দৃষ্টিতে ব্যভিচারকে একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। ফলে কেউ নিজে অপরাধী না হলে শাস্তির জন্য তো ভয় পাওয়ার কথা না, তা যে ধরণের শাস্তিই হোক না কেনো। তৃতীয়ত, নারী-নারী ব্যভিচারের ক্ষেত্রে সরাসরি শাস্তির কথা বলা হয়নি। তাদের ক্ষেত্রে শাস্তি তখনই হবে যখন নিদেনপক্ষে চারজন লোক ব্যভিচারের পক্ষে সাক্ষ্য দেবে, যেটি বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রায় অসম্ভব। চতুর্থত, নারীদের ক্ষেত্রে কোনো রকম শারীরিক শাস্তির বিধান নেই। তাদেরকে আমৃত্যু পর্যন্ত ঘরে আবদ্ধ করে রাখতে বলা হয়েছে। এও বলা হয়েছে যে, “তাদেরকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখবে যে পর্যন্ত না তাদের মৃত্যু হয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোনো ব্যবস্থা করেন।” অন্যদিকে পুরুষ-পুরুষ ব্যভিচারের ক্ষেত্রে কোনো সাক্ষী ছাড়াই সরাসরি শাস্তির বিধান আছে। সর্বোপরি, তার পরের আয়াতে খুব পরিষ্কার করেই বলা আছে, “অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করেন, যারা ভুলবশত মন্দ কাজ করে ফেলে, তারপর অবিলম্বে তওবা করে; এরূপ লোকের তওবাই আল্লাহ কবুল করেন।” (৪:১৭) অতএব, আল্লাহর কাছে নারী-পুরুষ আসলেই সমান। তবে প্রকৃতিগতভাবে নারী-পুরুষের মধ্যে কিছু পার্থক্যের কারণে পার্থিব দু-একটি ক্ষেত্রে উনিশ-বিশ হতে পারে।



অভিযোগ: কোরআনে যেহেতু ক্রীতদাসীদের সাথে সেক্স করার কথা লিখা আছে সেহেতু কোরআন একটি অমানবিক ধর্মগ্রন্থ!



জবাব: প্রথমত, কোরআনের কোথাও ক্রীতদাস প্রথার কথা লিখা নেই। ক্রীতদাস প্রথা সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। কোরআনে যুদ্ধবন্দীদেরকে রক্ষণাবেক্ষণ বা আশ্রয় দানের জন্য নিজের অধীনে রাখার কথা বলা আছে এবং কেউ চাইলে নারীদের সাথে সেক্স করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে তাদের সাথে সেক্স করা যেমন কর্তব্য বা পবিত্র কিছু নয় তেমনি আবার তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধেও কিছু করা যাবে না (২৪:৩৩)। প্রকৃতপক্ষে তাদের সাথে কেউ সেক্স করতে চাইলে তাদেরকে বিয়ে করার জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে (৪:২৫)। তবে যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারটা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে বিধায় তাদের সাথে সেক্স করার প্রশ্ন আর আসে না। দ্বিতীয়ত, কোরআনে সেক্স এর কথা শুনলে কারো কারো মুখমন্ডল লজ্জায় ফেকাসে হয়ে যায় কেনো, সেটাও কিন্তু বোঝা যায় না। তারা সাধু-সন্ন্যাসী নাকি! নাকি তারা নতুন করে নৈতিকতার উপর ওহী পেয়েছে, যেখানে যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে সেক্সকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে! সেক্স অমানবিক কিছু না হলে যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে সেক্স করা অমানবিক হবে কেনো। কোরআনে যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে সেক্স নিয়ে কারো কারো লজ্জার সীমা নেই। এ যেনো মায়ের চেয়ে সৎ-মায়ের দরদই যেন বেশী! অথচ কোরআনে দাস-দাসী ও যুদ্ধবন্দীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদেরকে মুক্ত করে দেওয়ার কথা বিভিন্নভাবে এবং বহুবার বলা হয়েছে। এও বলা হয়েছে যে, এটি একটি অত্যন্ত মহৎ কাজ (৯০:১২-১৩, ২:১৭৭, ৪৭:৪, ৯:৬০, ৫:৮৯, ৪:২৫, ৪:৯২, ২৪:৩৩, ৫৮:৩)।



লক্ষ্যণীয় বিষয়:



- ধর্মীয় প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন রকম পোশাকের প্রচলন আছে। নারীদেরকে উলঙ্গ-অর্ধউলঙ্গ করে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের পর্ণগ্র্যাফি ব্যবসাও করা হচ্ছে। অথচ বিশেষ একটি ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে নারীদের পোশাককে পশ্চাৎপদতা ও নির্যাতন-নিপীড়ন এর হাতিয়ার হিসেবে দেখানো হচ্ছে, যেখানে নির্যাতন-নিপীড়ন বা অধিকার হরণের কিছুই নাই।



- কোরআনে একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ও একটি নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে একজন পুরুষের স্থলে দু’জন নারী সাক্ষীর কথা বলা আছে, যেটি আসলে খুবই বিরল ঘটনা এবং যেখানে নির্যাতন-নিপীড়ন বা অধিকার হরণের কিছুই নাই।



- পরিবারের মঙ্গলের জন্য শুধুমাত্র অসৎ স্ত্রীকে ধাপে ধাপে কিছু থেরাপির মাধ্যমে সঠিক পথে নিয়ে আসার সমাধান দেয়া হয়েছে, যেখানে সার্বিকভাবে নারীদের নির্যাতন-নিপীড়ন বা অধিকার হরণের কিছুই নাই।



- মাসিক রজঃস্রাব কালে নারীরা অসুস্থতা অনুভব করতেই পারে। আর রজঃস্রাব কালে যেহেতু শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হয় সেহেতু এই অবস্থাকে অশুচি বলা হয়েছে। এখানে নির্যাতন-নিপীড়ন বা অধিকার হরণের কিছুই নাই।



- সন্তান জন্মানোর জন্য স্বামী-স্ত্রীকে একটি ন্যাচারাল সিস্টেমের সাথে তুলনা করা হয়েছে, যেখানে নির্যাতন-নিপীড়ন বা অধিকার হরণের কিছুই নাই।



- সার্বিকভাবে সবকিছু বিবেচনা করে নারীকে কিছুটা কম সম্পত্তি দেয়ার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে, যেখানে নির্যাতন-নিপীড়ন বা অধিকার হরণের কিছুই নাই।



- একই সাথে একাধিক স্ত্রী রাখার অধিকার দিয়ে পুরুষকেই নির্যাতন-নিপীড়ন করা হয়েছে। কারণ একই সাথে একাধিক স্ত্রীর ভরণপোষণ করা সহজ ব্যাপার নয়। স্রেফ সেক্স এর জন্য কেউ ইচ্ছে করলে তো উপ-পত্নী রাখতে পারে কিংবা পতিতালয়ে যেতে পারে। ফলে এখানে নির্যাতন-নিপীড়ন বা অধিকার হরণের কিছুই নাই।



- কোরআনের কোথাও অপ্রাপ্তবয়স্ক বালিকাদের বিয়ে করার কথা বলা হয়নি। বরঞ্চ প্রাপ্তবয়স্ক বালিকাদের বিয়ে করার ইঙ্গিতই দেয়া আছে।



- তথাকথিত হিল্লা বিয়ের ক্ষেত্রে তিন তালাকপ্রাপ্তা নারীদের কোর্টেই বল ছুঁড়ে দেয়া হয়েছে। তারা ইচ্ছে করলেই এই শাস্তি বা অপমানকে এড়াতে পারেন। এখানে সার্বিকভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন বা অধিকার হরণের কিছুই নাই।



- নারী-নারী ও পুরুষ-পুরুষ ব্যভিচারের ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদাভাবে শাস্তির বিধান দেয়া হয়েছে। এখানে নিরীহ নারীদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন বা তাদের অধিকার হরণের কিছুই নাই।



- কোরআনে দাস-দাসীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদেরকে মুক্ত করে দেয়ার কথা বিভিন্নভাবে এবং বহুবার বলা হয়েছে। যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে কেউ সেক্স করতে চাইলে তাকে বিয়ে করার তাগাদাই দেয়া হয়েছে। এখানে সার্বিকভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন বা অধিকার হরণের কিছুই নাই।



এই একবিংশ শতাব্দীতেও যেখানে কোনো কোনো ধর্ম বা কালচারের প্রভাবে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ নারী শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে সেখানে কোরআনে এই চরম অমানবিক প্রথাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে (১৬:৫৮-৫৯, ৮১:৮-৯, ১৭:৩১)। এই অধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগেও যেখানে কোনো কোনো দেশে ধর্ম বা কালচারের প্রভাবে যৌতুকের জন্য অনেক নারীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত-নিপীড়িত থেকে শুরু করে হত্যার শিকার পর্যন্ত হতে হচ্ছে সেখানে কোরআনে উল্টোদিকে নারীকেই বিয়ের সময় উপহার দিতে বলা হয়েছে (৪:৪)।



কোরআনে নারীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো তুলে ধরা হলো তার বেশী কিছু নেই এবং এই অভিযোগগুলোর প্রায় সবই আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে সকল সমাজেরই কম-বেশী সাধারণ ফিনমিন্যান। অথচ নারীদের বিষয়ে কোরআনের মূল শিক্ষাকে কৌশলে এড়িয়ে যেয়ে এখানে সেখানে থেকে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু আয়াতের অংশবিশেষ বেছে নিয়ে সেগুলোর সাথে মুসলিম পরিবারে সংঘঠিত বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনাকে যোগ করে মনের মাধুরি মিশিয়ে কোরআনকে নারী-বিদ্বেষী বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।



আমি ব্যক্তিগতভাবে নারী-পুরুষের সম-অধিকারে বিশ্বাসী। তবে এক্ষেত্রে মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হচ্ছে নারী-পুরুষের সম-অধিকার বলতে আসলে কী বুঝানো হয়? কে এই সম-অধিকার নির্ধারণ করবে? সবাই সেটা মেনে নেবে কেন? অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই এ বিষয়ে নানা মনির নানা মত থাকবে। এমনকি স্থান-কাল-পাত্র ভেদেও বিভিন্ন রকম মতামত থাকতে পারে। ফলে এই বিষয়টি নিয়ে কোনো ভাবেই ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব নয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে কোরআনে নারী-পুরুষকে সার্বিকভাবে সমান মর্যাদা ও অধিকার দেয়া হয়েছে। ফলে কোরআনের কোনো বিষয়ে সমালোচনা করতে চাইলে অবশ্যই একটি গ্রন্থ হাতে করে নিয়ে আসতে হবে। কারণ যৌক্তিক বা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে রেফারেন্স ছাড়া ব্যক্তিগত মতামতের কোনো মূল্য নেই।

মন্তব্য ১০৮ টি রেটিং +১০১/-৩৭

মন্তব্য (১০৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:০৫

এস এ রায়হান বলেছেন: আমি না মরলে।দুনিয়ার জাবতিয় সমসসার সমাদােনর চেসটা করতাম।
সুনডর লিেকচেন

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৩

এস. এম. রায়হান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:১০

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: ভাল পোষ্ট । দারুন হয়েছে , লিখতে থাকেন আশা রাখি ভাল লিখবেন।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৭

এস. এম. রায়হান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:১২

সবাক বলেছেন:
অন্য ধর্মকে বাতিল ঘোষনা কইরাইতো তুমার ধর্মরে শ্রেষ্ঠ বানাইলা... আবার তাগো লগে কমফেয়ার করো ক্যান???

নারীও একটা বিষয় তার অধিকারও নিশ্চিত করতে হবে। লেখা পইড়া বুঝা গেছে নারীর অধিকার পুরুষরাই প্রতিষ্ঠিত কর্বে। পুরুষরে সেই ম্যান্ডেট কে দিছে? পুরুষের অধিকার কে বাস্তবায়ন করবে? নারী।

বলা হয় আইয়ামে জাহেলিয়াতের কথা। তখনকার আমলে খাদিজায় ব্যবসা করতো, সেই অনুপাতে এখন নারী কোথায় থাকতো??

যেই আয়াতগুলো নারীরে তেল মাখায়া ধর্ষন কর্চে তার উল্লেখ নাই কেন?
সব কিছু মিলায়া লিখবেন। একটা অস্বচ্ছ এবং বিতর্কিত গ্রন্থ নিয়া লাফানোর ফলই হলো পা ভাঙ্গা।

৪| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ২:৫০

বোলারস ব্যাকড্রাইভ বলেছেন: চাঘোল

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৮

ফুয়াদ০দিনহীন বলেছেন: +++++

২৯ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:২২

এস. এম. রায়হান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪৭

ফুয়াদ০দিনহীন বলেছেন: আচ্ছা, আমি যখন + দিলাম তার আগে ৮+ আর ৮- ছিল, আমি দেওয়ার পর ৯+ আর ৮- হল । এখন, আবার, কে বা কারা ৯+ আর ৯- করে দিল ।

মনে হচ্ছে, আপনার পোষ্ঠে যাতে বেশী + না পরে , তাই কে বা কারা নজর রাখতেছে ।

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪৮

লড়াকু বলেছেন: -১০

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০৪

মদন বলেছেন: + প্রিয়তে নিলাম

৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:০৩

এস. এম. রায়হান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:২৫

নাজনীন১ বলেছেন: অনেক কষ্টসাধ্য লেখা। ধন্যবাদ।

৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:০৭

এস. এম. রায়হান বলেছেন: হ্যাঁ, লেখাটিতে অনেক সময় ব্যয় হয়েছে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৪৫

পথিক!!!!!!! বলেছেন: “তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক।” (সূরা বাকারা ২:১৮৭)

---------এই থেকে একটা প্রশ্ন জাগে ..কোরআন শরীফ কি পুরষদের উদ্দেশ্য করে বা সম্বোধন করে নির্দেশনা প্রদান করেছে

তোমরা একে অপরের পোষাক বলা হয় নি
তারা মানে স্ত্রীরা তোমাদের মানে পুরুষদের ....এভাবে বলা হয়েছে কি?

১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩২

দেশীসাইকো বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঠিক তাই। কিছু অ্যান্টি-ইসলামিক ব্লগার আছে যাদের কাজ হচ্ছে প্রো-ইসলামিক লেখাগুলোতে মাইনাস দেয়া আর অ্যান্টি-ইসলামিক লেখাগুলোতে প্লাস দেয়া। এ ছাড়া তাদের আর কোন কাজ নাই।

হা হা হা

১২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১২

অলস ছেলে বলেছেন: বহুত বড় লেখা, আস্তে আস্তে পড়ি।

১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৮

স্বপ্নকথক বলেছেন: পেলাচ।এন্ড প্রিয়তে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:১০

এস. এম. রায়হান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৫

মেঘ বলেছেন: আমাদের দেশে কবে সেই ছেলে হবে - কোরআনের আলোকে নারীর কথা ছেড়ে কোরআনের আলোকে পুরুষের কথা কবে!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:০৯

এস. এম. রায়হান বলেছেন: হুমম... কোরআনের আলোকে পুরুষের কথা তো নারীরা বলবে, তাই নয় কি? আপনি শুরু করতে পারেন। সাথে আছি।

১৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:২২

অন্যরকম বলেছেন: হুমম... কোরআনের আলোকে সবাই নারীর কথা বলতেই বেশী পছন্দ করে কিন্তু কোরআনের আলোকে পুরুষের কথা কেউ তেমন একটা বলে না। সুদ-ঘুষ থেকে বিরত থাকা, চোখের পর্দা করা, এলকোহলের সাথে কোন রুপ সম্পর্ক না থাকা, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কেউ কিছু বলে না.....

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:০৮

এস. এম. রায়হান বলেছেন: হুমম... কোরআনের আলোকে পুরুষের কথা তো নারীরা বলবে, তাই নয় কি? আপনি শুরু করতে পারেন। সাথে আছি।

সুদ-ঘুষ থেকে বিরত থাকা, চোখের পর্দা করা, এলকোহলের সাথে কোন রুপ সম্পর্ক না থাকা, ইত্যাদি বিষয় কিন্তু সবার জন্যই প্রযোজ্য।

১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:৪০

হঠাৎ বলেছেন: গবেষণামূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। +। কিন্তু আপনি একবারে এত বড় লেখা না দিয়ে কয়েক কিস্তিতে দিলে বোধ হয় আরও পাঠক পেতেন। এটা আমাদের সংবাদপত্রীয় অভিজ্ঞতা থেকে বললাম। পাঠককে ধরে রাখার জন্য।
ইসলাম নিয়ে আমি ততটা জানি না। আর আমার মত এখানে অনেকেই আছেন। সুতরাং সবার জন্য রেফারেন্স লিংক দিলেও আমরা আরেকটু জানতে পারি।
যুক্তিগুলো বেশ ভালো। আরও লেখা চাই। ধইন্যা।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:০১

এস. এম. রায়হান বলেছেন: এই বিষয়ে সবকিছু এক লেখাতেই রাখতে চেয়েছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২১

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ লেখা।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:০২

এস. এম. রায়হান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:০৭

মেঘ বলেছেন: ধর্ম আজ পর্যন্ত কোন সমস্যার সমাধান করতে পারে নাই। তাই সেই ১৭তেই ধর্ম সম্পর্কে সব আগ্রহ হারায়ে ফেলছি। খুব সহজ জীবন যাপন করি। অন্যের ক্ষতি না করার চেষ্টা করি। হালাল রুজি, ব্যস। এর বেশী ধর্মের দরকার নাই আমার জন্য। কোরআন বেদ বাইবেল ত্রিপিটক কোন কিছুর আলোকেই নারী পুরুষের ব্যাখ্যার প্রয়োজন আমার কাছে নাই। যতটা আছে "মানবতা"র।
আপনার মতামত ব্যক্ত করেছেন, সেজন্য ধন্যবাদ।

১৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৩

মহানাম বলেছেন: কোরআনের দোহাই দিয়ে যত্রতত্র তালাকের নামে যেভাবে প্রতিদিন নারীকে তালাক দেওয়া হচ্ছে, যেভাবে দোররা মারা হয়ে থাকে, তাতে আপনাদের ধর্মে নারীরা যে কি মর্যাদা পাচ্ছে, তা ত হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে। লম্বা লম্বা কথা না বলে প্রকৃত অর্থেই নারীর সম্মান দিতে শিখুন।

২০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:০৭

জাতি জানতে চায় বলেছেন: মহানাম@ সূত্রাপুরের কাহিনী নিয়া দুই নাম্বারী পোস্ট দিয়ে পরে দেখেন নিজের রাজনৈতিক দল (আলীগ) ধরা খাইতাছে, সাথে সাথেই পোস্ট সরাইয়া ফেললেন! অন্যের ধর্ম নিয়া কি এখনও দুই নম্বরী কর্ম চালাইতেছেন??? তালাক সম্পর্কে কি জানেন একটু বিস্তারিত কন দেখি!!!

লেখক@ আপনে পোস্ট গুলারে এত লম্বা না করে কিস্তিতে ভাগ করেন, না হলে অনেক ব্লগারই পোস্ট পড়ার আগ্রহ হারিয়ে আপনার সম্পর্কে ভুল ধারনা করতে পারে। প্রথম অংশে তুলনামূলক বেশি আকর্ষনীয় অংশ উপস্থাপন করেন। আপনের এ পোস্টটি ভাল হইছে

২১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০৬

ন হন্যাতে বলেছেন: ভাইজান... এইডা দেক্তে পারেন Click This Link

২২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২৪

রাহামনি বৃষ্টি বলেছেন:
আমি নারী বিদ্বেষী। :( আপনার লেখায় মাইনাস দিলাম।

২৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩৫

নাজমুল। বলেছেন: লেখককে অনেক ধন্যবাদ।সুন্দর পোস্ট।+++++

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩৯

এস. এম. রায়হান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৪০

শাওন বলেছেন: পোস্ট পড়ি নাই । প্যাচাল ভালো লাগেনা । মন্তব্য পড়ছি ।

মানবতার ধর্মের লোকজনকে সৃষ্টি করছে কে ? জানতে মন্চায়

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০১

এস. এম. রায়হান বলেছেন: "মানবতার ধর্মের লোকজনকে সৃষ্টি করছে কে? জানতে মন্চায়"


- আমারও জানতে মঞ্চায়।

২৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৩

উমর বলেছেন: কম্পুবিদরা বেশী ধার্মিক হয় না, যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হতে হতে তাদের জ্ঞানের পরিসীমা যন্ত্রের মতোই হয়ে যাচ্ছে, বিকশিত হচ্ছে না। এতো সিনেমা, গেম, গান, সফটওয়ারের ঘোরপ্যাচে ক্ম্পু মানুষগুলোও দিন দিন পেচিয়ে যাচ্ছে।

আর একটি বিষয় লক্ষ্য করে থাকবেন, যারা এন্টি ইসলামিক তাদের মন্তব্যের মধ্যে দেখবেন চরম তাচ্ছিল্যপূর্ণ কথা আর এই সব কথা লিখে তারা তৃপ্তি বোধ করে।


২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৮

এস. এম. রায়হান বলেছেন: "আর একটি বিষয় লক্ষ্য করে থাকবেন, যারা এন্টি ইসলামিক তাদের মন্তব্যের মধ্যে দেখবেন চরম তাচ্ছিল্যপূর্ণ কথা আর এই সব কথা লিখে তারা তৃপ্তি বোধ করে।"


- ওরা উপর উপর নাস্তিক, যুক্তিবাদী, ফ্রী-থিংকার, বিজ্ঞানমনষ্ক, ইত্যাদি; আর ভেতরে ভেতরে উগ্র সাম্প্রদায়িক ও রেসিস্ট।

২৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৩

আমি এবং আঁধার বলেছেন: @লেখক-
আপনি লিখেছেন,"ধর্ম-বর্ণ-আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে সকল সমাজেই নারীদেরকে কম-বেশী প্রহার করা হয়। এই অতি সাধারণ একটি ফিনমিন্যানকে কোরআনে পজেটিভ থেরাপি হিসেবে ব্যবহার করে পরিবারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সম্ভাব্য একটি সমাধান দেয়া হয়েছে। তবে প্রহারকে শেষ থেরাপি হিসেবে রাখা হয়েছে। তার আগে দুই ধাপ থেরাপির কথা বলা হয়েছে। তার মানে প্রহারকে উৎসাহিত করা হয়নি নিশ্চয়। এই তিন ধাপ থেরাপি ফেইল করলে পরের আয়াতে চতুর্থ একটি সমাধান দেয়া হয়েছে (৪:৩৫)। "

আপনার এই চিন্তাধারা যে কতটুকু মধ্যযুগীয় তা কি বুঝতে পারছেন??? উন্নত দেশের কথা বাদই দিলাম, এই বাংলাদেশেই যদি অবাধ্যতার কারণে কেউ আপনার এই প্রদত্ত মেথড স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করে বঊ পিটায়[তা সে যতই মৃদু প্রহার হোক না কেন] তাহলে নির্ঘাৎ তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা হবে।

অস্বীকার করছিনা যে মধ্যযুগের হিসেবে এই থেরাপী অত্যন্ত উৎকৃষ্ট ছিলো, কিন্তু আজ ২০০৯ সালে এসে যদি আপনি এর পক্ষে সাফাই গান, তাহলে আপনাকে নিতান্তই সংকীর্ণমনা হিসেবেই গ্রহণ করবে সবাই।

আর ধর্ম-বর্ণ-আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে নারীদেরকে কম-বেশী প্রহার করা যদি আপনার কাছে অতি সাধারণ একটি ফিনমিন্যান(!!!!) বলে মনে হয় তাহলে আর কিছুই বলার নাই।

অঃটঃ হিলা বিবাহকে আপনি নারীদের জন্য কিরকম মর্যাদা সম্পন্ন মনে করেন???

ভালো থাকবেন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৭

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আমার লেখাতে কোরানের একটি আয়াতের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে, নিজে থেকে কিছু বলা হয়নি। সেই আয়াতে পারিবারের অভ্যন্তরিণ সমস্যার সম্ভাব্য একটি সমাধান দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান করতে যেয়ে বাহিরের লোক জেনে গেলে পুরুষের বিরুদ্ধে নারীও ব্যবস্থা নিতে পারে।

আর আমার কাছে মধ্যযুগ, সংকীর্ণমনা, ইত্যাদির ধূয়া না তোলাই ভাল। কে কোন্‌ যুগে বাস করে সেটা আমার ভালভাবেই জানা আছে। এগুলো না জেনেই আমি কোরানকে ডিফেন্ড করা শুরু করিনি।

"অতি সাধারণ একটি ফিনমিন্যান" বলতে "কমন ফিনমিন্যান" বুঝানো হয়েছে যা অহরহ ঘটে।

তথাকথিত হিলা বিয়ের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। সেখানে মর্যাদা বা অমার্যার কিছু নাই। কোরানের ধাপ অনুসরণ করার পরও তিন তালাকপ্রাপ্তা নারী যদি তার অবৈধ এক্স-স্বামীর সাথে আবার ঘর করতে চায় সেক্ষেত্রে সেই নারীকেই পেনাল্টি দিতে হবে।

২৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩২

}নবজাতক{ বলেছেন: "ধর্ম-বর্ণ-আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে সকল সমাজেই নারীদেরকে কম-বেশী প্রহার করা হয়। এই অতি সাধারণ একটি ফিনমিন্যানকে কোরআনে পজেটিভ থেরাপি হিসেবে ব্যবহার করে পরিবারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সম্ভাব্য একটি সমাধান দেয়া হয়েছে। তবে প্রহারকে শেষ থেরাপি হিসেবে রাখা হয়েছে। তার আগে দুই ধাপ থেরাপির কথা বলা হয়েছে। তার মানে প্রহারকে উৎসাহিত করা হয়নি নিশ্চয়। এই তিন ধাপ থেরাপি ফেইল করলে পরের আয়াতে চতুর্থ একটি সমাধান দেয়া হয়েছে (৪:৩৫)। "

মানলাম ইসলামে নারী পুরুষের অধিকার বা তারা সমান। তাহলে যে কারনে পরিবারের অভ্যন্তরীন সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে তৃতীয়বারে নারীকে(স্বামী, স্ত্রী কে) পেটানো যাবে, ঠিক ঐ একই কারনে কি সমান অধিকারের দ্বারা পুরুষকে (স্ত্রী, স্বামী কে) নারী পেটাতে পারবে? এই ব্যাপারে কোন ব্যাখ্যা পেলে ভাল লাগত। কোরানে কি কোন আয়াত নেই?

২৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৫৯

টিনটিন` বলেছেন: অনেক বড় লেখা। তবে ধৈর্য নিয়ে পড়ার মতে লেখা।

পি এন্ড পি। (প্লাস এবং প্রিয়)

২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:২৪

এস. এম. রায়হান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। হ্যাঁ, সময় ও ধৈর্য নিয়ে পড়তে হবে।

২৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৫

এস. এম. রায়হান বলেছেন: নারীদের উপর কিছু হাদিস:

*Fear Allah in respect of women.

*Allow women to go to the Mosques at night.

*The best of you are they who behave best to their wives.

*If anyone has a female child, and does not bury her alive, or slight her, or prefer his male children over her, Allah will bring him into Paradise.

*If anyone cares for three daughters, disciplines them, marries them, and does good by them, he will enter Paradise.

*Whoever maintains two girls till they attain maturity, he and I will come on the Day of Resurrection like this; and he joined his fingers.

*Jahimah came to the Prophet, peace be upon him, and said: "Messenger of Allah! I want to join the fighting (in the path of Allah) and I have come to seek your advice." He said, "Then remain in your mother's service, because Paradise is under her feet."

*The world and all things in the world are precious but the most precious thing in the world is a virtuous woman.

*A Muslim must not hate his wife, and if he be displeased with one bad quality in her, let him be pleased with one that is good.

*The more civil and kind a Muslim man is to his wife, the more perfect in faith he is.

*Narrated Khansa bint Khidam Al-Ansariya that her father gave her in marriage when she was a matron and she disliked that marriage. So she went to Allah's Apostle and he declared that marriage invalid.

*Give them food what you have for yourself, and clothe them by which you clothe yourself, and do not beat them, and do not revile them.

*None but a noble man treats women in an honorable manner. And none but an ignoble treats women disgracefully.

*One who makes efforts (to help) the widow or a poor person is like a mujahid (warrior) in the path of Allah, or like one who stands up for prayers all of the night and fasts all of the day.

*A man came to the Messenger of Allah, peace be upon him, and asked: "O Messenger of Allah, who is the person who has the greatest right on me with regards to kindness and attention?" He replied, "Your mother." "Then who?" He replied, "Your mother." "Then who?" He replied, "Your mother." "Then who?" He replied, "Your father."

৩০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩৩

বিপ্লবের_অপেক্ষায় বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট। +++++++++++



;) ;)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৩

এস. এম. রায়হান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৩১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:০৩

রাহি বলেছেন: লেখাটা পড়ে লগইন না করে আর পারলাম না। + + +


@ চিমটি বলেছেন: আচ্ছা, মেঘ! আপনার বাবা-মা যদি গে আর লেসবিয়ান হয়ে যেতেন, তবে আপনার মত জ্ঞানী ব্যক্তিদের আমরা হারাতাম।আফসোসের অন্ত থাকত না, সেই সাথে লেসবিয়ানের ঙ চ ছ ও জানা হোত না। আর দুনিয়ার তাবৎ মানুষেরা যদি আপনার সমকামী ( সম কামনা যাদের) ব্যক্তিদের মত আধুনিক হয়ে যায়, তাহলে দুনিয়ার খেলাই তো খতম চিমটি বলেছেন: আচ্ছা, মেঘ! আপনার বাবা-মা যদি গে আর লেসবিয়ান হয়ে যেতেন, তবে আপনার মত জ্ঞানী ব্যক্তিদের আমরা হারাতাম।আফসোসের অন্ত থাকত না, সেই সাথে লেসবিয়ানের ঙ চ ছ ও জানা হোত না। আর দুনিয়ার তাবৎ মানুষেরা যদি আপনার সমকামী ( সম কামনা যাদের) ব্যক্তিদের মত আধুনিক হয়ে যায়, তাহলে দুনিয়ার খেলাই তো খতম!!!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫২

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম আর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৩

ইমতি২৪ বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৪৮

এস. এম. রায়হান বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৫২

ভদ্র বলেছেন: ভাল পোস্ট। ধন্যবাদ।

৩৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৮:৫৭

শেলী বলেছেন: আপনার কোরান জ্ঞান ভাল। কোরানে আদেশ আছে, যারা বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে তাদেরকে সালাম দিয়া ছাড়া আর কিছু করা ঠিক না। আর যারা সত্য জানতে চায় তাদের সাথে wisdom দিয়ে কথা বলতে হবে। আবেগ দিয়ে কোনো ভাল কাজ হয়না। এগুলি ইসলামিক বোন হিসাবে বলছি।

০৫ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১০:২০

এস. এম. রায়হান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। তবে আমরা অনেক সময় আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, বিশেষ করে এই ধরণের ব্লগে।

৩৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৩৯

ধানশালিক বলেছেন: বুগাস পুস্ট!! ব্লগে ওয়াজ-নসিহত শুরু হইচ্চে !!!

X( X( X( X( X(

০৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৫৮

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আপনি মনে হয় কীর্তন শোনা পাবলিক!

৩৬| ২২ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:০৪

ছায়াপাখির অরণ্য বলেছেন: লেখক বলেছেন : মাথা আমার ঠিকই আছে। একটু জানার চেষ্টা করুন। এর সাথে বুদ্ধিমত্তার কোন সম্পর্ক নাই। তবে গর্ভাবস্থায় ও রজঃস্রাব কালে নারীরা কিছুটা মন-ভুলা টাইপের হতে পারে। ফলে হিসাব-নিকাশে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

কথাবার্তা হিসেব করে বলবেন। তবে গর্ভাবস্থায় ও রজঃস্রাব কালে নারীরা কিছুটা মন-ভুলা টাইপের হতে পারে। এই ইনফরমেশান কোত্থেকে পেয়েছেন? আপনার দু:সাহস দেখে আবাক হচ্ছি।

২২ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

এস. এম. রায়হান বলেছেন: এখানে দুঃসাহসের কিছু নাই। আমি জেনে-শুনেই বলেছি। লেখাতে তো লিঙ্ক দেয়াই আছে। পড়েননি কেন? এই লন লিঙ্ক:

Click This Link

৩৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১২:৪৮

সরল বচন বলেছেন: সুন্দর লেখা। প্লাস। কিন্তু এত সুন্দর লেখাটাতে ২৯ টা মাইনাস দিলো কে?

৩৮| ১০ ই মে, ২০১০ ভোর ৪:৫৪

বাংলাকে ভালবাসি বলেছেন:
আর এক কথা..........


'মহিলাদের এমনা জায়গায় বয়ান দেয়া হারাম যেখানে পুরুষ মহিলাকে দেখতে পারে।'


আপনি এই মহিলার ইউটিউব বয়ান আপলোড করছেন অথচ এই সামান্য মাস`আলা আপনার জানা উচিত ছিলো।


এই মাসআ`লা বানানো মনে হলে ভালো মুফতিদের কাছ থেকে বুঝে নেন।

৩৯| ২৩ শে মে, ২০১০ রাত ১:৫১

ট্টারজান বলেছেন: প্রিয়তে।

৪০| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৩২

ফরচুন বলেছেন: ++++/--
পরে মন্তব্য জানাব বলে আশা রাখছি।

৪১| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ রাত ২:৩৮

শেলী বলেছেন: আপনার লিখাগুলি অনেক ম্যাচুরড মনে হয়। আপনি হুরদের বিষয়ে একটা লিখা দিলে ভাল হয়। আমি চেষ্টা করছি লিখার । কিন্তু আমি শুধু কোরানের রেফারেন্সটা বুঝি। হাদীসের গুলি ক্লিয়ার করলে ভাল হয়।

৪২| ১০ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৩৩

এই আমি রবীন বলেছেন: সবই বালা, তয় .......নারী বিচারপতি অইত ফাইত্ত নো

৪৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:২৬

ফরচুন বলেছেন: ভাল লাগল.....

৪৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৪৫

বালক বন্ধু বলেছেন: সুন্দর সময় করে ধীরে ধীরে পড়বো।

৪৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:১০

বিপ্লব২৯৭১ বলেছেন: আমি নাস্তিকদের শুধু এ কথাই বলতে চাই :
"আফসোস করুণাময় আল্লাহ আপনাদের দিলে মোহর দিয়ে বন্ধ করে দিয়ৈছে, ফলৈ সত্য থেকে আজ আপনারা বিতারিত। সেই দিন রোজ কিয়ামতের দিনে আমি মহান আল্লাহর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আপনাদের সাথে সাক্ষাত করবো ইনসাআল্লাহ্, আর বলবো কোথায় আজ আপনাদের মূর্খের মত তর্ক , আজ আপনাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ আপনাদের বিরোধী।
সুতরাং আপনাদের পূর্ব পূরুষদের মত আপনাদেরকেও সবধান করা হচ্ছে।"
আল্রাহ আপনাদের সত্য ও মিথ্যা বোঝার ক্ষমতা দান করুন।

৪৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:২৩

ডাইনোসর বলেছেন: এস. এম. রায়হান@ আপনার লেখা আমি আগেও পেড়েছি। আপনি অনেক জ্ঞানী।
সামুতে আলাপ কালে অন্য ব্লগে ডিবেটরে আমন্ত্রন মেনে নিতে পারছি না।
নাস্তিকের ধর্মকথার সাথে এই ব্লগে কবে কখন ডিবেট করতে চান তা জানাবেন।
এ পর্যন্ত কোন আস্তিকই নাস্তিকের সাথে ডিবেটের সাহস করে নাই ।
আপনিও পিছু হটবেন বলে আমার বিশ্বাস।
অন্য ব্লগের অজুহাত দেখানোর মানেই হল ভয় পাওয়া।

৪৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৩৪

বিপ্লব২৯৭১ বলেছেন: @ডাইনোসর : আল্লাহ্ আপনাকে সত্য ও মিথ্যা বোঝার ক্ষমতা দান করুন।

৪৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:৪০

তন্দ্রাহারা বলেছেন: খুব ভালো লিখা। আমার মনে কয়দিন ধরেই কিছু কিছু প্রশ্ন ঘুর পাক খাচ্ছিলো, অনকে গুলোর উত্তর পেয়ে গেছি। আলহামদুলিল্লাহ।
আমার মনে এখনো কিছু প্রশ্ন থেকে গেছে। কোরআানে যা কিছু বলা হয়েছে মনে হয় তা একজন পুরুষকে বলা হচ্ছে। এভবে বলে হয়েছে " তোমরা তোমাদের নারিদের বলো....." ।
তার মানে কি পবিত্র কোরআান পুরুষদের কে উদ্দেশ্য?
দাসি বা যুদ্ধবন্দিদের সাথে সেক্স করার বিষয়টা মনে খচ খচ করছে। বিয়ে না করে সেক্স এর অনুমতি কেন দেয়া হলো, জানি না। আল্লাহ যা জানেন, আমরা তা জানি না।
আল্লাহ আমাদের বোঝার ক্ষমতা দান করুন।

৪৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩

যুবাইরআজাদ বলেছেন: তৃতীয়ত, নারী-নারী ব্যভিচারের ক্ষেত্রে সরাসরি শাস্তির কথা বলা হয়নি। তাদের ক্ষেত্রে শাস্তি তখনই হবে যখন নিদেনপক্ষে চারজন লোক ব্যভিচারের পক্ষে সাক্ষ্য দেবে, যেটি বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রায় অসম্ভব। কোরআনে[ পরোক্ষভাবে যেটা বুঝাতে চাওয়া হয়েছে সেটা হচ্ছে, “তোমাদের ‘কার্যকলাপ’ ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখ। যেখানে সেখানে মানুষের সামনে অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পরিবেশ দূষিত কর না। তোমাদের আশেপাশে শিশু বাচ্চারাও থাকতে পারে।” ফলে শাস্তি এড়াতে চাইলে এসব ‘কার্যকলাপ’ ঘর অথবা নির্জন জায়গার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে!
----------------------------------------
আপনার লেখা আমি বেশ মনযোগ সহকারে পড়ি, ভাল ও লাগে, তবে উল্লেখিত অংশ টুকু কোন আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে জানালে খুশি হব।

১৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:১৮

এস. এম. রায়হান বলেছেন: "নারী-নারী ব্যভিচারের ক্ষেত্রে সরাসরি শাস্তির কথা বলা হয়নি। তাদের ক্ষেত্রে শাস্তি তখনই হবে যখন নিদেনপক্ষে চারজন লোক ব্যভিচারের পক্ষে সাক্ষ্য দেবে" ---- এই অংশ কোরানের আলোকে বলা হয়েছে (কোরান ৪:১৫-১৭)। দ্বিতীয় অংশ আমার নিজস্ব ব্যাখ্যা।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৫০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৫৫

সামসুন নাহার বলেছেন: অনেক কষ্ট করে লিখছেন। অনেক বড় পোষ্ট। অনেকক্ষন ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। অনেকদিন ধরে এরকম কিছু লেখা পড়ার খুব ইচ্ছা ছিল। যাইহোক পেয়েগেলাম। সেজন্য আপনি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আর ++++++। এবং প্রিয়তে রেখেদিলাম। এররেফারেন্স গুলো খুব কাজে দিবে আমাকে। ফিউচারে গবেষণা করার ইচ্ছা আছে। আর এই লেখার জন্য কতগুলো ছাগলে আবোল-তাবোল আউড়াতেছে। কেন? ওরা শিক্ষিত হয়েও জ্ঞান অর্জন করতে পারেনি। শুধু সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছে। এখানে তো কোন খারাপ কিছু লেখা পাইনি। সো কেন এত মাইনাস। আসলে যারা নারী বিদ্বেষী তারা নারীদের পক্ষের কোন কথাই গায়ে সয় না। ওনাদের গায়ে শূলের মত বিধে কথাগুলো। তাই মাইনাস দিছে। কোন সমস্যা নেই ভালো লেখার জন্য ভালো বলতে হবে। এটাই স্বাভাবিক। সে যেই হোক। ভালো থাকবেন। আরো লিখবেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:১৩

এস. এম. রায়হান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনিও ভাল থাকবেন।

৫১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৫৫

ডাইনোসর বলেছেন:
ভাইডি আমার কথার কোন উত্তর দিলেন না কেন?
ঈমানি শক্তি কি দুর্বল হয়ে পরেছে?
আল্লাহ আপনার সাথে থাকবে এমন গ্যারান্টি কি দেয়নাই?
আল্লার নাম নিয়ে একবার সাহস দেখান।
না পারলে লাফালাফি বন্ধ করে দেন।

৫২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৩৬

যুবাইরআজাদ বলেছেন: কোরআনে[ পরোক্ষভাবে যেটা বুঝাতে চাওয়া হয়েছে সেটা হচ্ছে, “তোমাদের ‘কার্যকলাপ’ ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখ। যেখানে সেখানে মানুষের সামনে অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পরিবেশ দূষিত কর না। তোমাদের আশেপাশে শিশু বাচ্চারাও থাকতে পারে।” ফলে শাস্তি এড়াতে চাইলে এসব ‘কার্যকলাপ’ ঘর অথবা নির্জন জায়গার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে!
----------------------------------------------------------------------------------
তবে উল্লেখিত অংশ টুকু যদি আপনার ব্যাখ্যা হয়ে থাকে আর যদি আমি ভুল না বুঝে থাকি তাহলে উক্ত অংশ দ্বারা নারী-নারী ব্যভিচার নির্জন যায়গায় ঘটলে কোন সমস্যা নেই এবং তাতে কোন শাস্তি ও পেতে হবে না এমন বোঝা যাচ্ছে অর্থাৎ কোরআনে (পরোক্ষ্য ভাবে) এ ধরণের কাজ কেউ করতে চাইলে তা ঘরের মধ্যে করার নির্দেশ দিচ্ছে এমন বোঝাচ্ছে। দয়া করে বিষয়টির প্রতি নজর দিন এবং যথা সম্ভব তাড়াতাড়ি ঐ অংশ টুকু মুছে ফেলুন, মনে রাখবেন আমি আপনার হিতাকাঙ্খি। আমার মত বোকা লোকেরা এটা পড়ে হয়তো ভুল বুঝে খারাপ পথে পা বড়াতে পারে, তারা ভাবতে পারে কোরআনে এটা নির্জনে করার অনুমতি দিয়েছে, সেটার দায় ভার নিশ্চয় আপনি নিতে চাইবেন না। আপনার আয়ু দীর্ঘ হোক এই কামনা করি, ধন্যবাদ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৪৫

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আপনার উপদেশ ভেবে দেখছি। প্রয়োজনে ঐ অংশ মুছে ফেলব। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:১৩

অপ্রিয় সত্য ৭০০ বলেছেন: :) ++++++++++

৫৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৫৩

যাচ্ছেতাই বলেছেন: তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য কারো না। (An-Noor: 33)

১৮ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৩০

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আয়াত উল্লেখ করার জন্য ধন্যবাদ।

৫৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:২১

রোদেলা বলেছেন: কোরআনে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ও একটি নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে একজন পুরুষের স্থলে দু’জন নারী সাক্ষীর কথা বলা আছে, আর সেটি হচ্ছে ঋণ লেন-দেন। তবে তার মানে কিন্তু এই নয় যে, পুরুষের বুদ্ধিমত্তা নারীর বুদ্ধিমত্তার দ্বিগুণ! না, মোটেও তা নয়। অতিরিক্ত একজন নারীকে পাশে থাকতে বলা হয়েছে এ কারণে যে, আসল সাক্ষী কোন কারণে ভুল করলে অপরজন স্মরণ করিয়ে দেবে। এর পেছনে যুক্তি হচ্ছে, কোরআনে যেহেতু পুরুষকে অর্থনৈতিক বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেহেতু ধরে নেয়া হয়েছে যে তারা এ বিষয়ে পারদর্শী হবে। একমাত্র ঋণ লেন-দেন ছাড়া অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সাক্ষী সমান। তাছাড়া নারীদের কিছু সমস্যা যেমন গর্ভাবস্থা, রজঃস্রাব, ইত্যাদিও তো মাথায় রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায় ও রজঃস্রাব কালে নারীদের যে কিছু কিছু সমস্যা হয় সেটা তো প্রমাণিত সত্য, যে সমস্যাগুলো পুরুষদের নেই।

এই লেখা পড়ে মাথা ঘুরছে ,নারী বলেই হয়তো ।কিন্তু আজ আমি অসুস্হ না ।
আপনি কি জানেন .যে কোন স্বাক্ষীর ক্ষেত্রেই একজন পুরুষের বদলে দুজন নারী লাগে ।যাই হোক বইটা সৃষ্টিই হয়েছে পুরুষদের জন্য ।তারা যেমন রাখছে তেমনি থাকার
চেষ্টা করছি ।পান থেকে চুন খোশলেই ধর্ম এসে হাজির ।মানবতার কথা সব ধর্মেই
আছে ।ইসলাম কিছু জিনিষ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে --এইটুকুই ।এর বেশী কিছু না ।
আর হিল্লা বিয়ে কোন সুস্হতার পরিচয় দেয় না ।

৫৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৫৩

রাজীব দে সরকার বলেছেন: ভালো পোস্ট... তবে ব্যাখ্যা গুলো নিরেট হলো না।
তথাপিও অন্য ধর্মে নারীদের অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে, তবে কোরআন নিয়ে জটিলতা কেন?

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৫৭

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আরেকটু পরিষ্কার করে বললে ভাল হতো।

৫৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:০০

আদিত্য আরাফাত বলেছেন: তথ্য দিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ। অনেক আস্তিক-নাস্তিকই রেফারেন্স ছাড়াই বকবক্ করে...ডিসগাস্টিং...

২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:০৯

এস. এম. রায়হান বলেছেন: হুম...ঠিক তাই। আপনাকেও ধন্যবাদ।

৫৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:০৪

ডিজিটাল ব্লগীয়ষণা বলেছেন: ভালো পোষ্ট। অবশ্যই প্লাস++

২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:১১

এস. এম. রায়হান বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম ও পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৫৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৫৫

রুদ্র নীল বলেছেন: ভাই,একটা এন্টি ঈসলামিক পোস্ট দেন,দেখেন আপ্নারে উতসাহ দেয়ার লোকের অভাব নাই.।.।।। আর যে আপ্নারে ডায়ড আর ট্রাঞ্জিস্টার বানাইতে কইল তারে বলি
science এর ইতিহাস তা একবার পইরা আসেন,আমি টেক্সটাইল এ পরি,আমি ত জানি where engineering come from,at first Arabic was used cotton.chemistry nd Astronomy come from Arab...
Um a photographer too,i know where lens used at first,who invented the blue print of camera.....
fuck those illitaret anti islamic mother fucker................

৬০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:০৩

রুদ্র নীল বলেছেন: যে আবাল বলসে যে ডায়ড বানাইতে অরে কই,আমি বানায় দিমু,আয় আমার কাসে,আমি ত মুসলিম।ডায়োড টাঞ্জিস্টর জা লাগে শব বানায় দিমু।কটন,সিল্ক,নাইলন আর কি লাগব?কেমেরা,ফিল্ম তাও বানিতে পারি।

৬১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:১৫

ডাঃ মাহমুদ মুন বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

৬২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২৩

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: +++++++++ দিলাম। সুকেসে রেখে দিলাম।

৬৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৪

ভদ্র বলেছেন: কোরআনে সেই সাময়িক বিয়ের পর স্বামীর সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপনের কথা লিখা নেই।

বাংলাদেশের মুসলিম আইন অনুযায়ী, তালাক প্রাপ্তির পর স্ত্রীকে ইদ্দত পালনের পর দ্বিতীয় বিবাহ করা এবং যৌনসম্পর্ক স্থাপনের পর প্রথম স্বামীকে বিয়ে করতে পারবে। (outlines of muhammadan law Asaf A A Fyzee) জানি না, পরবর্তীতে muslim family laws ordinance 1961 এ প্রথম স্বামীকে তিনবার বিচ্ছেদের সুযোগ দেয়া হয়। প্রশ্ন হল, আপনি কি নিশ্চিত যে, সাময়িক বিবাহে যৌনসম্পর্ক স্থাপনের বাধ্যবাধকতা নেই?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১০

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আমি কোরআনের আলোকে বলেছি। কিন্তু বিভিন্ন দেশের আইনে কিছুটা মতপার্থক্য থাকতে পারে।

৬৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩১

পলাশমিঞা বলেছেন: ভাইজান আমি এক সাধারণ মানুষ, এবং আমার ধর্ম হল ইসলাম।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪২

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আমিও তাই।

৬৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩৪

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

৬৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৪

হার্ট লকার বলেছেন: সময়োপযোগী
ধন্যবাদ

৬৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৮

হার্ট লকার বলেছেন: আমি জানতাম সাময়িক বিবাহ বলে কিছু নেই... এ বিষয়ে একটু ক্লিয়ার করলে ভালো হয়

৬৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৮

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

৬৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫১

মাহফুজশান্ত বলেছেন: এরপর থেকে একসাথে এতবর পোষ্ট না দিয়ে বরং খন্ড খন্ড কোরে দিলে মনে হয় পাঠকদের পড়তে সুবিধা হবে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৩

এস. এম. রায়হান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এক পোস্টে সবগুলো পয়েন্ট রাখতে চেয়েছিলাম।

৭০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫২

ছোটমির্জা বলেছেন: ৮৫ নং +
.............
৪৭ তম কমেন্টে ঝঁাজা।
প্রিয়তে
আমার বাড়ী থেকে ঘুরে আসবেন কিন্তু।

৭১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪১

কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আসলাম। পুরোনো পোষ্ট। অনেক আগে দেখেছিলাম। আমার একটি কমেন্টও দেখছি। মোড়া পেতে বসলাম। ইদানীং ব্লগে আরেফুর, মগার উপদ্রব কমে গেছে নাকি?? :|

৭২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫১

তানবিরটি্‌এলপি বলেছেন: যারা মাইনাস দিছে ওরা ভোদাই ছাড়া কিছুই না।
ধন্যবাদ
চালিয়ে যান।

৭৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:৫৩

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: পড়ে দেখি

৭৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪৭

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আল্লার কসম। এ পোষ্ট আমার পড়ার দরকার নেই। যারা অবুঝ, তাদের জন্য এ পোষ্ট। তাদের বোধবুদ্ধি ফেরার জন্য। সত্য উপলব্ধির জন্য। সমাজে সুস্থ ও টেকসই পরিবার গড়ার জন্য মেয়েদের এবং ছেলেদের ড্রেস কোড দরকার। এবং তা অত্যাবশ্যকীয়।

যারাই ছেলেমেয়ের ড্রেস কোড তথা পর্দার বিরুদ্ধে কথা বলবে, তারাই পরোক্ষভাবে নিজের অজান্তেই আন্তর্জাতিক সেক্স ইণ্ডাষ্ট্রির পৃষ্টপোষকতা করছে। বিজ্ঞাপন, ফ্যাশন শো, পর্ণো বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে সহায়তা করছে।

পর্দা বিরোধী প্রচারণা ঐ ঘৃণ্য, মতলবী মুৎসুদ্দিদের নেপথ্য ইন্ধন। তাদের বিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ব্যবসা বহাল রাখার জন্য।

বোকা সাধারণ মানুষ তা বোঝে না।

৭৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১:০৯

সুরবিলাসী শাহরিয়ার বলেছেন: লেখাটা ভাল । জানার আছে অনেক কিছু । মনে অনেক প্রশ্ন জাগে , এসব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য প্রতিনিয়ত নেট ঘাটি ।

মানবতাবাদীরা শুধু অশ্লীল গালিগালাজ করে । অল্প দুই একজন বাদে সবাই গালি চর্চা করে । নিজের গালির ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা ব্যতীত তাদের কাছ থেকে আর কিছুই জানা যায় না ।

যাহাই হোক, তথ্যপূর্ণ এমন লেখা তরুণ সমাজের জন্য অত্যন্ত দরকারি । তাদের মনে জাগা প্রশ্নের যথোপযুক্ত উত্তর না পেয়ে অনেকেই নিজের অজান্তে অন্ধকার পথে পা বাড়াচ্ছে । তাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য বিশ্লেষণধর্মী লেখা প্রয়োজন ।

আপনাকে ধন্যবাদ ।

৭৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৪

রোমন্থন বলেছেন: দারুন। প্রিয়তে +++

৭৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

পুতুল আলতাব বলেছেন: প্রিয়তে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.