নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনাম হারিয়ে গেল................

জান্নাতী১২

জানি না কি বলব আমার সম্পর্কে! যারা ভালো করে জানে তারা বলে "পাগলী মেয়ে!" ফ্রেন্ডদের সাথে মারামারি করতে ভালো লাগে! :পি

জান্নাতী১২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের সংজ্ঞা??

২৪ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৫৮

ঈশান বসে আছে বারান্দায়, কোন এক বিকেলে। মনটা কেমন যেন উদাস উদাস, শিমুকে দেখতে মন চাচ্ছে। শিমু, ওর ভালোবাসা। সম্পর্কে ওরা কাজিন। ঈশান বলতে পারে না শিমুকে কারন ওর ধারণা এটা বলার মত বয়স নয় যেহেতু ও কলেজে পড়ে। কিন্তু আজ খুব মনটা ছটফট করছে শিমুকে দেখার জন্য, মনে হচ্ছে সামনে দেখলে আজ ই বলে দিবে ওর অন্তরের গোপন অভিলাষ। ছোট বোনটা হঠাৎ দৌড়ে এসে বলল, “আম্মু তোকে ডাকছে ভাইয়া, শিমু আপুরা এসেছে।” উদাস মনটা ভালোলাগায় ভরে গেল ঈশানের। বেশ কিছুক্ষণ পর শিমু ঈশানের রুমে ঢুকল। এসেই ঈশানকে বলল, “আচ্ছা তুই আর আমি তো সবসময় একসাথে থাকি, তাই না?” ঈশান উত্তর দিল, “হুম, তো কি হয়েছে?” “নাহ, কিছু না। আমরা চাইলে বড় আপু আর মঈন ভাইয়ার মত হতে পারি............।” ঈশান অবাক হয়ে বলল, “কেমন?” শিমু আড়ষ্ট ভাব নিয়ে বলে, “ঐ যে আপু নাকি সবসময় মঈন ভাইয়ার সাথে থাকবে, তাই ওরা নাকি বড় হয়ে বিয়ে করবে......।”

ঈশান মনে মনে তখন আনন্দের ভেলায় ভাসছে আর মুখ দিয়ে একটাই শব্দ উচ্চারণ করল, “ও”। ঈশান শিমুকে “পরী” বলে ডাকত! তারপরের ঘটনা হল যে সব কাজিনরা জানতে পারল ধীরে ধীরে, এমনকি সব বড়রাও জানতে পারল। কিন্তু কেউ বাধা দিল না, এভাবে প্রায় ৩বছর কেটে গেল। তারপর ২৫শে জুলাই, ২০০৯ এ একদিন ঈশানের বড় ভাইয়া কল দিয়ে জানাল যে শিমুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্কুলে গেল সকালে কিন্ত সন্ধ্যার পরও কোন খোঁজ নেই শিমুর। চারদিকে অনেক খোঁজ খবর নেয়া হল কিন্তু শিমুর কোন সংবাদ পাওয়া গেল না। ২দিন পর পাওয়া গেল, ওর বাবার অ্যান্টি পার্টির একজনের ছেলে ওকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গিয়েছিল। ২দিন পর দিয়ে গেল। ওদের সবার চোখে হয়ত এটা মাত্র ২দিন আর বাবা-মায়ের কান্না, টেনশনের ব্যাপার। কিন্তু আমাদের সমাজের চোখে এই ২টা দিন একটা মেয়ের সারা জীবন নির্ধারক। এরপর ১ আগস্ট ঈশানের সাথে কথা হয় শিমুর। শিমু কাঁদতে কাঁদতে বলছিল যে, “বিশ্বাস কর আমি তোর সেই পরী ই আছি। আমাকে কেউ ছোঁয় নি জানিস।”

হয়ত অন্য কেউ হলে বিশ্বাস করত কিনা বলা কঠিন কিন্তু ঈশান সহজেই বিশ্বাস করল কারণ ও জানে ওর পরী ওকে মিথ্যা বলবে না। তারপর ১ মাস কেটে গেল। ঠিক এক মাস পর ঈশান শুনল পরীর মানে শিমুর বিয়ে! তাও আবার ঐ ছেলের সাথে যে ওকে কিডন্যাপ করেছিল!! ঈশানের মনে হচ্ছিল যে পুরো পৃথিবীটা বুঝি দুলছে আর ও হল এমন বস্তু যা পৃথিবীর বুক থেকে ছিটকে পড়বে। পরে ঈশান জানতে পারে এই বিয়ের ডিসিশান ছিল শিমুর বাবার, বাকি সবাই এই বিয়ের বিপক্ষে ছিল। ঈশান সবেমাত্র কলেজে পড়ে বলে কিছুই করতে পারল না শিমুর জন্য, ওর ভালোবাসার জন্য। ঈশানের বুকে কয়েক মন কষ্টের জন্ম দিতেই বোধহয় শিমুর বাবা ওর বিয়েটা দিলেন ঈশানের বাসাতেই! ঈশানের মনে হচ্ছিল ও মৃত আর সেই মরা লাশটাকে কেউ খোঁচা দিচ্ছে। ঈশানের মা বুঝতে পেরেছিলেন ঈশানের মানসিক অবস্থা কেমন তাই তিনি সারাদিন রাত ছেলেটাকে চোখে চোখে রাখতেন, তিনি সামনে না থাকলেও অন্য কাউকে রেখে যেতেন।

কারো চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছুই করা সম্ভব ছিল না ঈশানের পক্ষে। তবু ঈশান ৮টা ঘুমের ঔষধ খেয়ে ফেলে, আর তাতে শিমুর বিয়ের সময়টা ও হাসপাতালে কাটায়। শিমুর বিয়েটা অবশেষে হয়েই যায়। ঈশান জানে না কি করবে এই জীবন নিয়ে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি সামলে উঠে। ঈশান আর শিমুর যোগাযোগ থাকে তবুও, শিমুই ঈশানকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা দেয়। ঈশানের মনে হয় ভালোবাসা একেই বলে, না পাওয়ার কষ্ট দূর হয়ে যায় শিমুর ভালোবাসায়।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩০

যুবায়ের বলেছেন: পড়লাম পুরোটাই তবে কখন যে শেষ হলো বুঝতে পারলামনা!..

আরেকটু লিখলে হয়তো ভ্যবাচ্যকা খেতামনা

২৪ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৪১

জান্নাতী১২ বলেছেন: হুম, ইচ্ছে করেই এমনভাবে লিখলাম।

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩০

অন্ধকারের রাজপুত্র বলেছেন: কিডন্যাপারের সাথেই বিয়ে ! :|| B:-)
এইডা কোন কতা হইলো ! X(

+++++++++++

২৪ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৪২

জান্নাতী১২ বলেছেন: আমি কি করব?? এই গল্পটার কিছু অংশ আমার এক বন্ধুর জীবন থেকে নেয়া। :(

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ইমরান হক সজীব বলেছেন:
এই রকম গাধা পরিবার কি এখনো আছে :-* যে কিডন্যাপ করল তার সাথেই বিয়ে :-/ এটাতো কিডন্যাপারদের আরো উতসাহিত করা । অবশ্যই মামলা করা উচিত ছিল।


কিডন্যাপারদের উতসাহিত করা একটা গল্প X(( X( X(( X(

২৪ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৪৪

জান্নাতী১২ বলেছেন: এমন পরিবার আছে, যারা সন্তানের জীবনের চেয়ে নিজেদের মান-সম্মানের ভ্যালু বেশি দেয়। আর আমি উৎসাহিত করতে চাই নি। :((
আমার এক বন্ধুর জীবন থেকে কিছুটা অংশ নিয়েছি। :(

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:০০

মাসুদ রবি বলেছেন: ছেলেটার জন্য খুব খারাপ লাগছে। মেয়েটার জন্য আরও বেশি খারাপ লাগছে........... :(

২৬ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৩

জান্নাতী১২ বলেছেন: কি আর করা!! জীবন তো আর থেমে থাকে না!! :( :(

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:০৮

রুদ্রনীল আর নীলকষ্ট বলেছেন: শিমুর বাবাকে অমানুষ বলে গালি দিতে ইচ্ছা করছে। আর আপনার লেখাটা আমার অনেক ভাল লেগেছে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৫

জান্নাতী১২ বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে শুনে মনে হচ্ছে আমার লেখা স্বার্থক!! যাক কারো কারো তো ভালো লাগে। :P

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪২

এইচ এম শরীফ বলেছেন: মনে হোল কিডন্যাপকারী কিডন্যাপ করলেও বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে করেছে।
আর এ কারণেই সে তাকে ২দিন রেখেও নষ্ট করে নি।
শেষের দিকে ঈশানকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা দিয়াটা বেশ ভালো হয়েছে;
তবে শিমু তার হাসব্যান্ডের সাথে যেন কোন প্রকার বিশ্বাস ঘাতকতা না করে, তাহলে এটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

শুভকামনা

২৬ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৭

জান্নাতী১২ বলেছেন: হুম, ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য.........। :)

৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১২

মাহাবুব আলম মুরাদ বলেছেন: বেশ ভাল লাগল আপনার লেখা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.