নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তাইরে নাইরে নাইরে, থাকতে চাই ধরাছোঁয়ার বাইরে

ভেজাল ডিসলাইক করি।

শেষ বিকেলের মেয়ে

আমি চিনে নিন।

শেষ বিকেলের মেয়ে › বিস্তারিত পোস্টঃ

নামাজ পড়মুনা কিন্তু জান্নাতে যামু। #:-S

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

জন্মদিন উপলক্ষে আমার এক ফ্রেন্ড আমাকে উইশ করে এবং জানায় ''দোয়া করি যেন তুই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাস! যদিও আমি পাপি বান্দা, নামাজ পড়িনা, জাহান্নামি, জানি আমার দোয়া কবুল হবেনা :( ''



তো আমার কথা হচ্ছে, এই যে আমরা নিজেরা নিজেদের পাপী বলে ঘোষণা করে দিচ্ছি এবং জাহান্নাম নির্ধারণ করে নিচ্ছি কিসের ভিত্তিতে? আল্লাহ্‌ কি আমাদের আগে থেকে বলে দিয়েছেন? আর কেনই বা আমরা নিজেদের জেনেশুনে কুফরি কাজের দিকে ঠেলে দেই?



আমরা জানিনা আল্লাহ্‌ কাকে কোন উছিলায় জান্নাত দান করেন!

অনেকে আবার ধরেই নেয় যে ,''আমি তো মুসলমান!

জান্নাত তো আমার জন্য অনিবার্য! ''>> কিন্তু দেখা যায় তিনি নামাজের ধারে কাছেও নেই। আমাদের দেশের সাধারণ মুসলিমদের বিশ্বাস হলো - যেহেতু আমি কালেমা পড়েছি, নামের আগে মুহাম্মাদ আছে, শুক্রবারে জুমু’আর নামাজ পড়ি, ঈদ পালন করি, মানুষের সাথে দেখা হলে সালাম দেই, মাঝে মধ্যেই ইনশা আল্লাহ্‌, মাশআল্লাহ্‌ বলি, কাজেই আমি অবশ্যই মুসলিম। এখন জীবনে ভাল-মন্দ যাই করি না কেন, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি আর না পড়ি, একদিন না একদিন তো বেহেশতে যাবই। কিন্তু, প্রকৃত সত্য হলো - শুধু কালেমা পড়লে বা মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেই সত্যিকারের মুসলিম হওয়া যায় না। মুসলিম হতে হলে লাগে ৬টি বিষয়ের উপর ঈমান আনা (অন্তর্গত অবস্থা) এবং ইসলামের ৫টি স্তম্ভের উপর আমল করা (বাহ্যিক কাজ)।



মুসলিম হওয়া একটা বিশেষ status, যা আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা যে condition গুলো দিয়েছেন সেগুলো পূরণের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়, ঠিক যেভাবে আপনি আপনার কলেজ/ ইউনিভার্সিটি থেকে নির্দিষ্ট condition গুলো পূরন করার পরে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের মাধ্যমে আপনার সার্টিফিকেট কষ্ট করে অর্জন করেছেন।



যে ব্যাক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত ত্যাগ করে,যদি সে সালাত ওয়াজিব হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে, তবে ওলামাদের দুটি মাতের সবচেয়ে সহীহ মত অনুযায়ী সে বড় কুফরি করবে। আর যদি সালাত ওয়াজিব হওয়ার বিষয়টি অস্বীকারকারি-অবিশ্বাসী হয়,তাহলে ওলামাদের সর্বসম্মত মতে সে কাফের হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে নবী করীম (সা) এরশাদ করেন:

“কর্মের মুল হচ্ছে ইসলাম, তার স্তম্ভ হচ্ছে সালাত এব এর সর্বোচ্চ চূড়া হচ্ছে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ বা সংগ্রাম করা।”

(ইমাম আহমদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)

নবী করীম (সা) আরও বলেন:

“ব্যাক্তি এবং শিরক ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হল সালাত ছেড়ে দেওয়া।”(মুসলিম)

নবী করীম (সা) আরও এরশাদ করেন:

“আমাদের ও তাদের মধ্যে যে প্রতিশ্রুতি, তা হলো সালাত। অতএব যে সালাত ছেড়ে দিবে সে কুফরী করল।”(ইমাম আহমদ ও আহলে সুনান)অ



মৃত্যুকে আমরা সবাই ভয় পাই। কিন্তু মৃত্যুর পরের জীবন যে আরো ভয়াবহ তা আমরা কয়জন ভাবি?

যদি ভাবতাম তাহলে ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত ছেড়ে দেবার চিন্তাও মাথায় আসতোনা!

কেন এত বাহানা সালাত পড়া নিয়ে!

আজকে পড়ব/ কালকে পড়ব এভাবে নিজেকে ফাঁকি দিতে পারলেও আল্লাহতা'য়ালাকে ফাঁকি দেয়া কি যায়?

তার আগেই যদি মরণ এসে যায়, তবে শূন্যহাতে হাশরের ময়দানে আপনার কি জবাব থাকবে ভেবেছেন?



তাই আসুন সালাত পড়ি ও কুফরিমুক্ত জীবন গড়ি।





মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

এম আর ইকবাল বলেছেন:
সালাত হচ্ছে অবশ্যই পালনীয বিধান ।

যারা সালাতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে ?
তাদের ব্যাপারে কিছু বলুন ।

কিছুদিন আগে দেখলাম, বায়তুল মোকারমে জুমার নামাজের সালাম ফেরানোর পরপরই একদল মুসল্লি লাঠি হাতে ঝাপিয়ে পড়লো,পুলিশের উপর । সালাত তখন বাহানা মাত্র ।
কয়েকটি মুসলিম দেশে দেখা যাচ্ছে , জুম্মার সময় মসজিদেই বোমা হামলা হচ্ছে ।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ছাত্রলীগ এমন এক ত্রাসের সৃস্টি করেছে যে যদি কেও নামাজ পরে তবে সে শিবির। তাকে ধইরা পিটাও। অনেক ছাত্র ভয়ে নামাজ পরে না যদি আবার ছাত্রলীগের মাইর খাওয়া লাগে। আমি পত্রিকায় কিছুদিন আগে পরলাম শুধু মাত্র নামাজ পরার কারনে সিলেটে এক ছাত্রকে রাতভর পিটিয়েছে ছাত্রলীগ। এরকম পরিস্থিতিতে আমার মনে হয় এই নামাজবিরোধিদের হটানো প্রয়োজন সবার আগে। পরে জান্নাত জাহান্নাম বিচার করা যাবে।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

শেষ বিকেলের মেয়ে বলেছেন: ভাই, নিজে ঠিক তো দুনিয়া ঠিক!
পৃথিবিতে অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকবে!
তা পেরিয়ে আমাদের্কে আমাদের ফরয কাজ আদায় কর্তে হবে।

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

শেষ বিকেলের মেয়ে বলেছেন:
দ্বীনের পথে বাধা, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা মূলতঃ শয়তানী কাজ। মানব সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে শয়তান এ কাজ করে আসছে। প্রথম মানব ও প্রথম নবী আদম (আঃ) থেকে অদ্যাবধি শয়তানের এ কাজ অব্যাহত আছে। শয়তানের সাথে সাথে কিছু মানুষও দ্বীনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আল্লাহ বলেন, إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللّهِ وَعَنِ الصَّلاَةِ فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ- ‘শয়তান তো চায় মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও ছালাত থেকে তোমাদের বিরত রাখতে। অতএব তোমরা এখনও কি নিবৃত্ত হবে’? (মায়েদাহ ৫/৯১)।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.