![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সব পাখির বাপের বাড়ি গ্রামে হয়। যে গ্রামে ঘাসফুল নেই, পাখিরা সে গ্রাম ছেড়ে চলে যায়।
(আমার ছোটবোনের জীবন থেকে নেয়া)
হাসপাতালের বেডে শুয়ে গলায় লাগানো তাবিজগুলো গুনছে সুমি। তার পাশেই শুয়ে আছে আট মাস বয়সী সন্তান অহি। সে ঘুমুচ্ছে। সুমি তাবিজ গুনছে আর সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে আছে। কেন জানি বড্ড বেমানান মনে হচ্ছে এই শিশুটির পাশে শুয়ে থাকা। এখন বেলা ১২টা, এখনতো কলেজের ক্লাশরুমে অথবা মাঠের এক কোনে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় থাকার কথা। বিয়ে এবং বিয়ের সূত্রে আসা পাশে শুয়ে থাকা পুরুষ লিঙ্গের শিশুটিতো থাকার কথা লংকা দূরত্বে। অথচ কি করে যে, সেই দূরের বাস্তবতা এতো নিকটে চলে এলো ! বিভিন্ন আকারের বড় ছোট ১২টি তাবিজ এখন সুমির গলায় শোভা পাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু তাবিজকে আবার তুমারও বলে।
সুমির স্বামীর বাড়িতে নতুন ঘর দিয়েছে। দেয়াল গুলো ইটের তৈরি হলেও ছাদ দেয়া হয়নি। ওখানটাতে টিনের ছাউনি দেয়া হয়েছে। অনেক বড় ঘর। ঘরে বসবাস শুরু করার পর ছাউনির কাঠগুলো ধীরে ধীরে গা’র আড়মোড় ভাঙ্গা শুরু করেছে। তাই মাঝে মধ্যে খুব জোরে জোরে আওয়াজ দেয়। তবে বেশিরভাগ সময়ই সুমির রুম বরাবর আওয়াজটা শুনা যায়। এরই মাঝে একদিন গভীর রাতে সুমির শাশুড়ি টয়লেটে যাওয়ার জন্য উঠলে আওয়াজ শুনে ভয় পান। আর তার সাথে খুজে পেলেন ইয়া লম্বা সদা পোশাকের এক নারীর অস্তিত্ব। বেশিক্ষণ দেরী হলো না, পুরো বাড়ি জুড়ে খবর হয়ে গেল ভুত এসেেছ। জ্ঞান হারালো সুমির শাশুড়ি। এর সাথে সৃষ্ট লংকাকান্ডের বলি হতে শুরু করলো সুমি। যেহেতু সুমির রুমেই ভুতে চিৎকার করে, সেহেতু ঐ রুমেই ভুতে আছর করছে । সুতরাং ভুত তাড়াতে হবে। এবার আসবে ওঝা, তাড়াবে ভুত। পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁছ করতে পেরে সুমি ফোন করেছিলো তার বড় ভাইকে। বড় ভাই এসে মায়ের অসুস্থতার অযুহাত দেখিয়ে বোনকে নিয়ে গেলো তাদের বাড়ি। সে যাত্রায় সুমি বেঁচে গিয়েছিলো।
কিন্তু এবার আর বাঁচতে পারলো না। সন্তান প্রসব পরবর্তী সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে সুমি ভুগতেছিলো ভীষণ দুর্বলতায়। মুরুব্বীরা খুজে পেল একটি রোগের অস্তিত্ব, যার নাম ‘হরবায়ু’। এবার ডাহুক পাখির রক্ত দিতে হলো মাথায়, চুলে বাঁধতে হলো কোন এক আগাছার লতা। শারিরিক দুর্বলতার সাথে এবার যুক্ত হলো মানসিক অস্থিরতা। যা সুমির কাছে অসহ্যকর মনে হলো। সুমি আসলে এ ধরণের পরিবেশ বা পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলো না। তাই তার কাছে বর্তমান সময়টা বড্ড দু:সময় হয়েই ধরা দিলো। তার জন্য আয়োজিত চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রহসন বা নির্যাতন ছাড়া অন্য কিছু মনে হয় না। যদিও তার করার কিছুই নেই। বাপের বাড়ি হলেতো বড় ভাইয়ের সহায়তায় কিছু করা যেত। এখানেতো তাও সম্ভব নয়। অবশ্য বড় ভাইকে খবর দিলে এসে তাকে নিয়ে যেতো, কিন্তু আর কতো? এমনিতেই বোনদের কিছু শুনলে ভাইটির অস্থিরতা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। বেচারার মনের অবস্থাও বুঝতে হবে। বোনদের চিন্তায় চিন্তায় হয়তো একসময় সে নিজেই নি:শেষ হয়ে যাবে। এইসব ভেবেই ভাইকে কিছু জানায়নি সুমি। এরই মাঝে একদিন রাতে টয়লেটে থেকে আসার সময় সুমি মাথাঘুরে পড়ে যায়। তখন রাত প্রায় ১১ টা। সুমির এভাবে ভুমিষ্ঠ হয়ে পড়ে থাকা আবি®কৃত হয় রাত ২টার সময়। সাথে সাথে আবি®কৃত হয় ভুতের অস্তিত্ব। সুমিকে নাকি ভুতে এভাবে ফেলে রেখে চলে গেছে! দু’টো দেবর আর শশুর গেলেন তিন ফকিরের বাড়ি। ভোরে ভুত তাড়ানোর আয়োজন সম্পন্ন করে ফোন করা হলো সুমির বাপের বাড়ি। সুমির বাবা অসুস্থতার বিষয়টি সুমির ভাইকে জানানো নিরাপদ মনে করেনি। তাই বড় মেয়ের বাড়িতে যাবার কথা বলে সকাল ৯টার দিকে সুমির মা বাবা বের হলেন সুমির স্বামীর বাড়ির উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে দেখলেন সুমির অবস্থা আশংকাজনক। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পেরে এবং পরবর্তীতে ছেলের বকা খাওয়ার ভয়ে একরকম জোর করেই মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে দৌড়ালেন সুমির মা। পেছনে পড়ে রইলো সুমির শশুর শাশুড়ীর গালের ভেংচি এবং নাক সিটকানো। তবুও মেয়েকে বাঁচানোই তখন ফরজ হয়ে গিয়েছিলো।
হাসপাতালে সুমির অবস্থান দুই দিন ধরে। এখন সে মোটামুটি সুস্থ। বড়ভাই খবর পেয়েছিলো হাসপাতালে ভর্তির দিনের বিকেলে। তাও সুমি নিজেই ফোন করে আনিয়েছিলো। বিনিময়ে মা বাবা শুনলেন মাঝারি কিছু উত্তপ্ত বাক্য। বড়ভাইকে কাছে পাওয়ার পর সুমি অর্ধেক সুস্থ হয়ে গিয়েছিলো। অবশ্য এখানেও আর রেহাই নেই। তেল পড়া, পানি পড়া পায়ে হেঁটে হাসপাতাল পর্যন্ত চলে এসেছিলো। ডাক্তারের সাহায্য নিয়ে ওগুলো ফেলে দেয় সুমির ভাই।
ঠিক এই মূহুর্তে সুমি ভাবছে তার নিকটের কিছু অতীতের কথা। অসহনীয় জীবন যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে দুই সন্তান রেখে অকালেই পরকালে প্রস্থান করেছিলো সুমির বড়বোন। একটি জীবন কতটুকু পুড়তে পারে, কতটা জ্বলতে পারে, তা আঁচ করেছিলো বড়বোনকে দেখে। মা বাবা কি করে একটি সত্যিকারের জীবনকে গলা টিপে মেরে ফেলতে পারে তাও সুমি দেখেছিলো। বড়বোন যখন মারা যায় তখন সুমি খুবই ছোট। নবম শ্রেনীর ছাত্রী। বোন জামাই তখন প্রবাসে ছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর কয়েকদিন পরেই ওই চল্লিশোর্ধ বয়সী পাষন্ডটা শালী বিয়ে করার আশা ব্যক্ত করলো এবং মহা উচ্ছাসে ফেটে পড়লো। এদিকে সুমিদের আত্মীয় স্বজনরাও সুমির মা বাবাকে বলতে শুরু করলো সুমিকে বড়বানের স্বামীর কাছে বিয়ে দেয়ার জন্য। আবার মৃত বোনের শশুরবাড়ির পক্ষ থেকেতো প্রস্তাব বেশ কয়েকবারই আসলো। বিদেশেই বসেই শুয়োরটা গ্রামের পঞ্চায়েতদের নিয়োগ করলো সুমির বাবাকে বুঝানোর জন্য। তুরুপের তাস ছিলো মৃতের রেখে যাওয়া দুইটা অবুঝ শিশু। সৎমায়ের হাতে তারা নিরাপদ নয় - এ যুক্তি দেখিয়েই খালা কে মা বানানোর বিষয়টি সুপারিশ করতেন। যদিও বিষয়গুলো সুমির বড়ভাইয়ের অগোচরেই ঘটতো। অথচ সুপারিশকারীদের জন্য সুমির ভাইকে দিয়েই তার মা বাবা প্রতিদিন পান সুপারী কেনাতেন। বোনের মৃত্যুর ছয়মাস পরে সুমির বোনজামাই বিদেশ থেকে আসে এবং শশুর শাশুড়ির প্রতি অত্যধিক ভক্তি দেখাতে শুরু করলো। তখনই সুমির বড়ভাই সুমনের নজরে আসে বিষয়টি। সুমনের সন্দেহগুলো খুব কমই ভুল প্রমানিত হয়। এ সন্দেহটিও অমুলক হয়নি। ঘটনাটি বিস্তারিত জানার পর সুমনের চোখে ভাসতে লাগলো সেই পান খাওয়া মুখ গলো। লাল রঙা সেই ঠোট আর জিহ্বাগুলো তার কাছে তখন রক্তভেজা শকুনের মুখের মতো মনে হলো। সে শকুন গুলো চল্লিশোর্ধ বোনের জামাই’র সাথে ষোড়শী শ্যালিকার বিয়ে দেয়ার জন্য সুপারিশে মেতে উঠেছিলো। সুমির মা বাবা যখন মেয়ের যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য একজন পুরুষের হাতে তুলে দেয়ার ভাবনায় মশগুল, ঠিক তখনই সুমন মাথা শুন্য হয় বোনের জীবন গড়ার জন্য। নিজ মা বাবাই তখন শত্র“ হয়ে যায়, যখন বড় ছেলের কথার বিন্দুমাত্র মূল্যায়ন করতেও রাজি নয়। সুমির অবস্থা তখন কোরবানের জন্য প্রস্তুত রাখা পশুর মতো। আর সুমন যেন সে পশুর আত্মা। পশুটির দেহ এবং আত্মা দু’টোই তখন দিশেহার ছিলো। তবুও সুমন শান্ত থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলার বিষয়ে সচেষ্ট ছিলো। ক’বেলা খাচেছ, ক’ঘন্টা ঘুমাচ্ছে তার কোন ঠিক ছিল না। একদিন বোনজামাইকে পেয়ে যথার্তই সম্মানহানি ঘটিয়ে দিলো সুমন। তবুও বেয়াক্কেলের আক্কেল হলো না। সকালে অপমানিত হয়ে আবার বিকেলেই শশুর বাড়ি হাজির। কারণ সুমির বাবার বিশাল সম্পত্তির নেশালো হাতছানি তার সামনে।
সুমন যখন কোনভাবেই তার মা বাবাকে বুঝাতে পারছিলো না, তখন পরিবারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার ভয় দেখালো। বাবাও জানিয়ে দিলো, তাতে তার কোন সমস্যা নেই ! সন্তানের প্রতি পিতার অনাদরের বিষয়টি সুমনের মাথায় একটুও আসেনি, শুধু চোখের সামনে ভেসে উঠলো ছোটবোনের অশ্র“সজল দিকভ্রান্ত চেহারাটা। সুমনও বুঝতে পারলো মমত্ববোধকে অস্ত্র বানিয়ে কোনভাবেই বোনকে বাঁচানো যাবে না। তাই এবার হাত দিলো পিতা মশাইয়ের দুর্বল জায়গাতে। একদিন হুমকি দিলো ঘরে এবং পিতার একমাত্র উপার্জনস্থল বাজারের মুদি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেবে। ঘরের কিছু জিনিস পত্র ভাংচুর করে তার একটা নমুনাও দেখিয়ে দিলো। এবার সুমনের বাবা সওদাগর সাহেবের টনক নড়ে উঠলো। সন্তানদের চাইতেও দামী সম্পদ হানির বিষয়টি ভেবেই আঁৎকে উঠলেন সওদাগর। বসলেন ছেলেকে নিয়ে। সুমনও সুযোগ পেয়ে অগ্নিমুর্তি ধারণ করে তার অবস্থান পরিষ্কার করে দিলো। অবশেষে একটা দু:সহ নারকীয় পরিস্থিতির সমাপ্তি ঘটলো সুমনের জয়ের মাধ্যমে। এ যাত্রায় বেঁচে গেল সুমি। বড় জামাইকে আশ্বস্ত করে বুঝিয়ে সুজিয়ে বিদেশ পাঠিয়ে দেয়া হলো।
এবার শুরু হলো সুমিকে রক্ষা করার আরেক হাস্যকর নাটকের। বড়জামাই ওর কোন ক্ষতি করতে পারে, তাই সুমিকে নিরাপদে রাখার জন্য তার গলায় এবং হাতে ঝুলানো হলো কয়েকটা তাবিজ। কিন্তু সুমন আর কিছু বলে না। এখন আবার বাড়াবাড়ি করতে গেলে যদি বাবা মা আবার উল্টে যায়।
নতুন করে আবারও বিপত্তি দেখা দিলো। সুমিকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে হবে না হলে বড় জামাই সমস্য করতে পারে, এ ধুয়া তুলে সুমিকে বিয়ে দেয়ার তোড়জাড় শুরু করলো। সুমন এবার পড়লো আরেক সংকটে। অনেক ভেবে চিন্তে ছোটবোনের সাথে আলাপ করে সুমন বাবা মা’র সাথে আর দ্বিমত করলো না। তবুও সমস্যার শেষ নেই, ক’দিন আগেও সুমির জন্য কেবল বিয়ের প্রস্তাব আসতো অথচ এখন আর আসে না। তার মানে বড় জামাই তাবিজ করে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। এন্টি তাবিজেও কাজ করেনি। সুতরাং এটা শক্তিধর কোন তাবিজ। এবার শুরু হলো শক্তিমান ফকিরের খোঁজ। সুমির গলায়, হাতে আর কোমরে তাবিজের সংখ্যা বেড়েই চললো।
অবশেষে সুমির বিয়ে হলো এসএসসি পরীক্ষার ক’দিন আগে। লাফা খেলার দড়ি, ধাপ্পার পাথরের গুটিগুলো, লুডুর বোর্ড, ব্যাডমিন্টনের ফেদারগুলো সবই ছোটবোন কাকলির হাতে তুলে দিয়ে বিহঙ্গকে ছুটি দিয়ে হাতে পায়ে শিকল বেঁধে চলে এলো স্বামির বাড়ি। স্বামীটা প্রবাসী হলেও ভালোই। বিয়ের রাতেই সব তাবিজ খুলে সুমনের হাতে দিয়ে দেয়। ভেবেছিলো এবার বুঝি তাবিজের অত্যাচার বন্ধ হবে।
কিন্তু নাহ্, হাসপাতলে শুয়ে শুয়ে সুমি ভাবছে - তাবিজের সাথেই বোধ হয় তার বিয়ে হয়েছে। কারণ স্বামী তার থেকে দূরে থাকলেও (প্রবাসে) তাবিজ কিন্তু তার সাথে সাথেই আছে। গলাজড়িয়ে, হাতে ধরে, কোমর পেঁছিয়ে তাবিজগুলো খুব আদরেই আছে !
(মূল গল্পটি আরো বড়, এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে দেয়া হলো)
১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:২৫
সবাক বলেছেন: তবুও বাঁচতে যেন আমরা বাধ্য...
২| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০
ঘাসফুল বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়লাম-আমাগো দেশের মেয়েরা এভাবেই শেষ হইয়া যাইতাছে, আফসুস -----
ধর্মের নামে অবিদ্যা আর অসভ্যতার চুড়ান্ত !!!
১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:২৬
সবাক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০
চানাচুর বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো।
১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:২৬
সবাক বলেছেন: কি করবো ভাই, বুকের ভেতর চেপে ছিলো... ভাবলাম শেয়ার করি।
৪| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০
মুহিব বলেছেন: এই অন্ধকার দূর হোক
১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:২৭
সবাক বলেছেন: দূর হোক অন্ধকার...
৫| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৪২
আরিফ থেকে আনা বলেছেন: সুমন ভাই, এটা কি বাস্তব কাহিনী?
১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:২৮
সবাক বলেছেন: হ্যাঁ ভাই...
৬| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৮
অন্তিম বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন সবাক ভাইয়া।
বাস্তব জীবনের নিখুত কাহিনী এটি। যা ঘটছে আমাদের সমাজে অহরহ।
সুমির মত মেয়েও যেমন সমাজের কাছে জিম্মি ঠিক তেমনি ভাইও।
সমাজের এই শৃংখলতার দুয়ার চিরদিনের মত হারিয়ে যাক এই কামনাই করি।
১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:২৮
সবাক বলেছেন: সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
৭| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৫২
চাচামিঞা বলেছেন: এই অন্ধকার দূর বার প্রতিক্ষায় রইলাম।
১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:২৯
সবাক বলেছেন: হুমম
ধন্যবাদ।
৮| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৩
ইউনুস খান বলেছেন: খুব কষ্ট পেলাম। এ অন্ধকার দূর হোক।
১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৩০
সবাক বলেছেন: ধন্যবাদ ইউনুস...
ভালো থাকুন।
৯| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৩
আকাশচুরি বলেছেন: হুমম!!
১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৩০
সবাক বলেছেন: ?
১০| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৫
যীশূ বলেছেন: বড় গল্প ছোট করার জন্যই কেমন যেন কয়েক জায়গায় বেখাপ্পা লেগেছে। ছোট করার দরকার কি ছিলো? কয়েকটা পর্ব করে দিতেন।
যাই হোক, ভালো লিখেছেন।
১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৩১
সবাক বলেছেন: আপনার পরামর্শ মনে থাকবে।
ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সবসময়।
১১| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:৩৪
রাতিফ বলেছেন: শাশুড়িগুলারে একটা শিক্ষা দেওনের দরকার আছে...........।
খুব খারাপ লাগলো রে দোস্ত...............।
এখন কি অবস্থা ওর?
১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৩১
সবাক বলেছেন:
ও এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি।
১২| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:২৫
নিয়ন আলোয় বাউল বলেছেন: আলো আসুক সমস্ত আকশ জুরে
১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৩২
সবাক বলেছেন: আলোর পূজা আর নয়... আলো আমাদের নয়...মিথ্যার
১৩| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:১১
বৃত্তবন্দী বলেছেন: ভালো লাগলো।
কষ্টও লাগলো।
শুভকামনা সুমির জন্য।
১০ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৯
সবাক বলেছেন:
ধন্যবাদ।
ভালো আছেন ??
কয়েকদিন পর দেখলাম।
সুমিকে আপনাদের কথা বলবো।
১৪| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৪২
প্রবাস কন্ঠ বলেছেন: ঘটনা কি সত্য ?
সুন্দর লিখেছেন +
১০ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৮
সবাক বলেছেন: হ্যাঁ সত্য...
সত্য নাকি সুন্দরই হয়।
তবে আমার কাছে...
১৫| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:০৭
তামিম ইরফান বলেছেন: দোয়া রইল আপনার বোনের জন্য।
১০ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:১১
সবাক বলেছেন:
সুমিকে আপনাদের কথা বলেছি... ও মন দিয়ে শুনেছে
ফোনে ওর গলাটা ভারী মনে হলো।
ধন্যবাদ।
১৬| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:২৩
তানজু রাহমান বলেছেন: তোমার বড় আপু যে নেই এটা বুঝিনি। আর সুমি এতো ছোট! আশা করি ওর শশুর বাড়ির মানুষদের জ্ঞান বুদ্ধি একটু হলেও বাড়বে!
১০ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:০৭
সবাক বলেছেন: বড় আপুকে নিয়ে একটা লেখা দিবো।
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৭| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৩০
মুকুল বলেছেন:
১০ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:০৮
সবাক বলেছেন: মুকুল ভাই কেমন আছেন??
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৮| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৫৪
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: কি বলবো........?
একবিংশ শতাব্দীতে এসে এমন জীবন সুমীদের?
মন খারাপ হয়ে গেলো।
ভালো থেকো সবাক।শুভেচ্ছা।
১০ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:১১
সবাক বলেছেন:
সুমিকে তোমাদের কথা বলেছি... ও মন দিয়ে শুনেছে
ফোনে ওর গলাটা ভারী মনে হলো।
ওর জন্য দোয়া করো
১৯| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:১২
অ্যামাটার বলেছেন: হৃদয়ে দাগ কেটে গেল...
১০ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:১৯
সবাক বলেছেন:
ধন্যবাদ অ্যামাটার.........
আমার নিজস্বতে শেয়ার করার জন্য।
২০| ১১ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:০০
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: লেখাটা পড়ে খারাপ লাগল। এটা কি তোমারদেরই জীবনে ঘটা ঘটনা? দুঃখিত।
একটু সমালোচনা করি। যেহেতু তুমি গল্প লিখে পাঠকের কাছে ভাবটা তুলে ধরতে চেয়েছিলে, তাই আরো রূপকতার আশ্রয় নেয়া উচিত ছিল। বড় বেশি তীর্যক হয়ে গেছে লেখাটা। তবে এটা সত্য, আমরা সবাই বুঝতে পেরেছি তোমার অন্তর্নিহিত ভাবগুলো, এখানে তুমি সার্থক। এলেখাকে জীবনকাহিনীও বলা যেতে পারে। বানান ভুল অনেক। কিছু কিছু শব্দের ব্যবহার কটু লাগল, অবশ্য লেখক হিসেবে শব্দচয়নে তোমার স্বাধীনতা আছে।
সমালোচনা করলাম বলে রাগ করোনি তো?
১১ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:১০
সবাক বলেছেন: রাগ তো খাওয়ার জিনিস....... মন ভইরা খাইলাম
২১| ১১ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৫৪
মানবী বলেছেন: পরিস্থিতিতে আপনার অসহায়ত্ব লেখায় সুন্দর ফুটে উঠেছে, তা নাহলে বলতাম... আপনি এমন শিক্ষিত একজন মানুষ, আপনার পরিবারের এক(হয়তো দুজন হবে) নারী এসব কিছুর মধ্যে দিয়ে গেছেন-অবিশ্বাস্য এবং দুঃখজনক! বাংলাদেশের হাসপাতালে কাজ করার সুবাদে মানুষের দুঃখ দুর্দশা খুব কাছ থেকে দেখেছি বলেই হয়তো বিশ্বাস করতে হচ্ছে।
সবাক, একটি কাজ কি করা যায়না? সুমিকে তাঁর স্কুল কলেজ জীবন ফিরিয়ে দেয়া যায়না! তাঁর স্বামী ভালোমানুষ বলেছেন, তিনি হয়তো আপত্তি নাও করতে পারেন। মেয়েটি অন্তত লেখা পড়াটা যেন শেষ করতে পারেন, এই দোয়া রইলো। পরিবার ও সমাজের অন্ধকারের মাঝে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠুক সুমি, সেটাই হয়তো এই অন্ধকূপ থেকে তাঁর মুক্তির পথ।
ভালো থাকুন আপনি, ভালো থাকুক সুমি আর তাঁর শিশু সন্তান।
* অফটপিক, মৃণাল হত্যা মামালার আপডেট চোখে পড়লোনা, আমি কিছুটা অনিয়মিত বলে হয়তো মিস করেছি*
১১ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:০৩
সবাক বলেছেন:
ধন্যবাদ মানবী...
আসলে পুরো পরিস্থিতিই আমার নিয়ন্ত্রনের বাইরে। ওর স্বামীর সাথে এ বিষয়ে আলাপ করেছি। তার বাবা মা নাকি এর ঘোর বিরোধী। সংসারের শৃঙ্খলা রাখতে গিয়ে তার পক্ষে আর সম্ভব হয়নি সুমিকে পড়ালেখা শেখানো।
মৃণাল হত্যার আপডেট দিইনি.....
হতাশা নিয়ে লিখতে আর ভালো লাগে না
২২| ১১ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৬:২১
রুবেল শাহ বলেছেন: দোস এমনিতে মনটা ভীষণ খারাপ---------- তার উপরে লেখাটা পড়ে আরো খারাপ লাগছেরে----------
কেমন আছিস তুই
১১ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৯
সবাক বলেছেন: তোর মন খারাপ করে দেয়ার জন্য সত্যিই দু:খিত।
এইতো আছি যাচ্ছেতাই
তুই নিশ্চয় ভালো আছিস
২৩| ১৪ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৯:৫০
মীতু বলেছেন: সুমি এখন কেমন আছে ?
১৪ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:২২
সবাক বলেছেন:
আছে ভালোই।
ভালো থাকতে বাধ্য, তাই হয়তো ভালো থাকে।
তোমার কি খবর??
২৪| ১৫ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:৫০
উত্তরাধিকার বলেছেন:
উফ্ফ !
ভেতরটা খুব মোচড় খেল।
আর কতদিন চলবে এভাবে।
আমাদের পিঠ দেয়াল থেকে আরও কত দূরে...?
১৫ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৯:১১
সবাক বলেছেন:
জানিনা।
২৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:১৮
বোকামাষ্টার বলেছেন: সুমি তো শুধু আপনারই বোন নয়, এই বোনেরা তো বাংলার ঘরে ঘরে। এই অন্ধকার সংস্কৃতি আর কুসংস্কারের বাধন ছিড়ে আমরা যেনো আনতে পারি আমাদের বোনদের জন্য একটুকরো খোলা আকাশ।
মন ছুয়ে গেলো। সুমির জন্য ভালোবাসা।
ভালো থাকবেন।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৪
সবাক বলেছেন: ধন্যবাদ মাষ্টার সাব। কিন্তু এই লেখা কোথায় পেলেন? এতোদিন পর?
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৭
রাঙা মীয়া বলেছেন: আসলে আমাদের সমাজে এখনো ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কার অনেক জীবন ধ্বংস করে চলেছে