নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন পাঠক

সবুজের সাথী

সবুজ সাথী

ধানের ক্ষেতে বাতাস নেচে যায় দামাল ছেলের মতো, ডাক দে' বলে আয়রে তোরা আয় ডাকব তোদের কত। [email protected]

সবুজ সাথী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতির নাতি সজীব ওয়াজেদ জয়কে কথিত “অপহরণ ও হত্যা চেষ্টা”র অভিযোগের সত্য উদঘাটন"

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫০

শেখ হাসিনার পুত্র তার ফেসবুকে দাবী করেছে, যুক্তরাষ্ট্রে তাকে অপহরন ও হত্যা করতে চেয়েছিল বিএনপির লোকজন, এবং তার সাথে জড়িত ছিলেন বিএনপিমনা দুই সম্পাদক শফিক রেহমান এবং মাহমুদুর রহমান। মাহমুদুর রহমান ইতোমধ্যে গত ৩ বছর ধরে বিনা কারনে হাসিনার জেলখানায় আছে, অন্যদিকে শফিক রেহমানকে চার দিন আগে প্রতারণামুলক পদ্ধতিতে আটক করে জয় অপহরণ ও হত্যা করার ষড়যন্ত্র মামলায় দেখিয়েছে পুলিশ। এরপরে বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খোদ নিজেই দাবী করছে, শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের নাম নাকি যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের পেপারে উল্লেখ আছে।

আমরা একটু তলিয়ে দেখি, ঐ আদালতের কাগজে কি আছে, আর কি নাই। যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ডিস্টিক্ট কোর্ট অব নিউ ইয়র্কের কেস নম্বর: 7:13-cr-00616-VB এ দায়ের করা অভিযোগ বলা হয়, বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতার আর্থিক ও অপকর্মের ডকুমেন্ট ঘুসের বিনিময়ে এফবিআইর কাছ থেকে সংগ্রহ করার চেষ্টা করে রিজভী আহমেদ সিজার (৩৪) নামের এক বাংলাদেশি যুবক।



রিজভির পিতা আবদুল্লাহ আল মামুন এক সময় যুক্তরাষ্ট্রে জাসাস নেতা ছিলেন। এই মামলাটির অভিযোগ Sealed Document হিসাবে কোর্টে জমা দেওয়া হয়, যাতে যার সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তাকে Individual-1 হিসাবে পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। কে এই Individual-1? কোর্ট পেপার বলছে, এই লোক বাংলাদেশের দুর্নীতির সাথে জড়িত। পরে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবী করে. এটি সে নিজেই!! ঘটনার সময়কাল ২০১১ সালে সেপ্টেম্বর থেকে ২০১২ সালের এপ্রিল। এ ঘটনায় রিজভি আহমেদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়া ও তথ্য প্রদানের অভিযোগে আরও অভিযুক্ত হন এফবিআই সাবেক স্পেশাল এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক (৫০) এবং তাঁর বন্ধু জোহানেস থালেরের (৪৯)। বিচারে তিনজনই তাদের অপরাধ স্বীকার করে, ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিচারিক ‍নিয়ম অনুযায়ী সাজা কমিয়ে রিজভিকে ৪২ মাস, থালেরকে ৩০ মাস, ও লাস্টিককে ৫ বছরের কারাদন্ড দেয় আদালত।

কোর্ট পেপার থেকে দেখা যায়, এফবিআই স্পেশাল এজেন্ট লাষ্টিকের বাল্যবন্ধু থালের সিজারের সাথে পরিচিত হয়, এবং থালের নিকট থেকে Individual-1 এর আর্থিক রেকর্ড ও সন্দেহজনক কর্মকান্ডের রেকর্ড (Suspicious Activity Report- SAR) জোগাড় করে অর্থের বিনিময়ে হস্তান্তর করার জন্য রিজভির সাথে মৌখিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়।



এ নিয়ে রিজভি, থালের এবং লাস্টিকের সাথে অনেক ক্ষুদেবার্তা বিনিময় হয়। এসব বার্তার সূত্র ধরেই এই মামলা। এজাহার থেকে দেখা যায় যে, রিজভি মাত্র ১০০০ ডলার পরিশোধ করে থালেরকে, কিন্তু জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের ব্যাংক ডকুমেন্ট হস্তগত করে, যদিও কথা ছিল ৪০,০০০ ডলার এককালীন এবং পরে মাসে ৩০ হাজার ডলার করে পরিশোধ করবে রিজভি।



রিজভির কাছ থেকে কাঙ্খিত ডলার না পেয়ে থালের ও লাস্টিক ক্ষেপে যায়, এবং রিজভিকে হত্যা করার হুমকি দেয়, এমনকি ভয়েস রেকর্ডার লাগিয়ে সিজারকে ট্রাপ করে বলানো হবে, সে (রিজভি) জয়কে অপহরণ ও হত্যা করতে চায়, এবং এই রেকর্ড জয়ের কাছে বিক্রি করে দেয়ার কথাও লেখা আছে। পেপার্স দেখুন-



এর অর্থ দাড়ায়, চুক্তির ডলার না পেয়ে লাস্টিক ক্ষেপে গিয়ে জয়ের সাথে যোগাযোগ করে রিজভির বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ করার কথা বলছে যে, সে (রিজভি) জয়কে অপহরন ও হত্যা করতে চায়! অন্যদিকে জয় পরবর্তীতে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ফেসবুকে দেওয়া এক পোষ্টে ঐরকমই দাবি করে যে, বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রে তাকে অপহরন ও খুন করতে চেয়েছিল। কিন্তু জয়কে অপহরণ করে হত্যা করার ষড়যন্ত্র (conspiracy to kidnap, conspiracy to murder) করার জন্য কোনো প্রকার শাস্তি আদালত দেয়নি রিজভিকে। তার মানে দাড়ায়, জয়ের দাবী অনুযায়ী অপহরণ ও হত্যা করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আদালত গ্রহন করেনি। কেবল ঘুস দিয়ে এফবিআইর কাছ থেকে individual-1 এর রাজনৈতিক ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে তার সম্পদের ও সন্দেহজনক কর্মকান্ডের গোপনীয় তথ্য সংগ্রহের দায়ে রিজভিকে ৪২ মাস সাজা দেয় আদালত। দেখুন-



মামলার রায়ের ১০ ও ১১ পৃষ্ঠায় ডিস্ট্রিক জজ ভিনসেন্ট এল ব্রিকেটি লিখেন, রিজভী আহমেদ সিজারকে দেয়া এই দন্ডাদেশ কেবল এফবিআই অফিসারকে ঘুস দেয়া অপরাধের জন্য, কোনো অবস্থাতেই Individual 1 বা তার পরিবারকে অপহরণ বা হত্যা চেষ্টার জন্য নয়। যেহেতু Individual 1 অপহরণ বা আক্রমন করার বিষয় প্রমানিত হয়নি, সে কারনে (সজীব ওয়াজেদ জয়) এই মামলায় ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষও নন।



এই মামলায় সিলড ডকুমেন্টে (যেহেতু অন্যের কনফিডেন্সিয়াল বিষয় জড়িত আছে) সজীব ওয়াজেদ জয়ের কোনো নাম প্রকাশ করেনি আদালত, বরং জয় নিজেই সামাজিক মিডিয়ায় স্বীকার করেছে ওই Individual-1 ব্যক্তিটি সে নিজেই। আর এই মামলার কোনো ডকুমেন্টেই শফিক রেহমান বা মাহমুদুর রহমানের নামতো নাইই, এমনকি আলোচনায়ও আসেনি। কাজেই জয়ের কথিত অপহরণ ও হত্যা ষড়যন্ত্র এবং এতে শফিক রেহমান বা মাহমুদুর রহমানের নাম যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের কাগজে উল্লেখ আছে, এমন দাবী করে যেসব বক্তব্য দিয়েছেন শেখ হাসিনা, তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল, জয় নিজে বা অন্য কেউ, এসবের কোনো সত্যতা নেই।

আরও দেখুন ইন্ডিয়ার পত্রিকার খবর

কৃতজ্ঞতাঃ শাসুল আলম

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: না না হবে না শেখ হাসিনা বলেছে এখন আর কিছুই শুনতে চাইনা। শফিক রেহমান আর মাহমুদুর রহমান জড়িত আছে। না না ....

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪০

বেদের ছেলে মফিজ মিয়া বলেছেন: গরমে খাসিতে পরিণত হলো রাজারবাগের তিন কুকুর !
প্রচন্ড গরমে এবার খাসিতে পরিণত হলো একই পরিবারের তিনটি কুকুর। রাজধানীর রাজারবাগে মির্জা আব্বাসের বাড়ির সামনে এই বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটেছে। উৎসুক জনতার ভীড় সামল‍াতে খাসি তিনটিকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।



জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ কুকুর তিনটি ওই এলাকায়ই বসবাস করছিলো। এরমধ্যে ছিলো একজন ছিলো মহিলা কুকুর। আর দুজন ছিলো তার দুই সন্তান, পুরুষ কুকুর। প্রতিদিনকার মত আজ সকালেও তার‍া রোদ পোহাতে এলাকার একটি কনফেকশনারী দোকানের সামনে গিয়ে বসে। বিশ্রাম নিতে নিতে একসময় তারা ঘুমিয়ে যায়। ঘুমের মধ্যেই তাদের দেহের আবরণ বদলাতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বদলে যায় পুরো দৃশ্য। রোদের উত্তাপে খাসিতে পরিণত হয় কুকুর তিনটি !


খাসির হবার পর পুলিশের হেফাজতে তিন কুকুর


এসময় ভয় পেয়ে আশেপাশের লোকজন চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে খাসি তিনটির ঘুম ভেঙ্গে যায়। এবং একে অপরকে অবাক হয়ে দেখতে থাকে।

শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত বিবিসি, সিএনএন ও রয়টার্স থেকে তিনজন সাংবাদিকসহ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন খাসি তিনটিকে নেড়েচেড়ে দেখার জন্য। - প্রথম আলু

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.