নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গালভরা দু'টি শব্দ। মানবাধিকার এবং গনতন্ত্র। এর জন্যই আমাদের জেল-জুলুম,রক্ত সব দিয়ে যাচ্ছি। শাব্দিক অর্থে যাই হোক না কেন, আমার কাছে এর অর্থ নাকের বদলে নরুন। কে কি মনে করবেন জানি না কিন্তু আমার বিবেচনায় এর বাহিরে কিছু আসছে না।( দ্বিমত তো থাকতেই পারে।) আমি মনে করি ক্ষেত্রভেদে এর অর্থই পালটে যায়। আসুন একটু দৃষ্টি মেলে দেই বিশ্বের পানে।
লিবিয়া, মিসর,তিউনেশিয়া,সিরিয়া,ইরান সহ হালের ইউক্রেনের দিকে একটু তাকাই। লিবিয়ায় বিপ্লবের সুতিকাগার বেনগাজীতে আজও ৩ জন নিহত হয়েছে,অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীদের গুলিতে। কেহই কারো নিরাপত্তা দিতে পারছে না। তিউনেশিয়ায় কি চলছে সবার জানা।মিসরে সেনাশাসন আসছে। আন্দোলন চলছে,বর্তমান সেনা প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে। ফিল্ড মার্শাল সিসি ক্ষমতায় আসছে,তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বাকি রইলো সিরিয়া আর ইরান। রাশিয়া আর চীনের বিরোধিতার মুখে এখানে দেখা দিচ্ছে কম্প্রোমাইজের লক্ষন। কার সাথে? পশ্চিম আর পুর্বের। নতুন করে শুরু হয়েছে ইউক্রেনে। ক্ষমতায় কে বোঝাই মুশকিল। অর্ধেক প্রধারনঃ রাজধানী কিয়েভ সরকার তথা রাশিয়া বিরোধী বাকীটা সরকারপন্থিদের হাতে। রাশিয়া যে তার "ঘরের পালান" পশ্চিমা তথা ইউরোপিয়ানদের হাতে তুলে দেবে না, এটা একজন বাচাল বা মুর্খ বুঝে।
কিন্তু আমার পশ্ন হলো এই দাবী হোক তা ন্যয্য-অন্যায্য, এর জন্য বুকের রক্ত কারা ঢেলে দিচ্ছে?? পশ্চিমা তথা ইন্ধনদাতারা অবশ্যই নয়। তাহলে কার? দিচ্ছে সেই দেশের লোকেরাই। কিন্তু বিনিময়ে পাবে লবডঙ্কা।
কি করেছে তারা উল্লেখিত দেশগুলিতে?? সামরিক সাহায্য? ব্যার্থ এটা।। প্রমান ইরাক আর আফগানিস্তান। আমিই যদি না বাচলাম তাহলে অর্থনৈতিক সাহায্য কি কাজে আসবে?? (আপনার ঘরে দয়া করে এই প্রশ্ন করুন যে আপনার জীবনের বিনিময়ে তারা কি চায়?)।
আর মানবাধিকার কাউন্সিল সহ পশ্চিমারা কি করছে, একটু খুজে দেখেছেন কি? মানবাধিকার রক্ষার নামে তারা আমাদের দেশসহ বিশ্বের তাবৎ বিরুদ্ধবাদিদের আশ্রয় দিয়ে আসছে। শ্রীলংকার কথাই ভেবে দেখুন। যখন তামিল গেরিলারা আত্মঘাতী আক্রমনের মাঝে তাদের টার্গেটসহ অসংখ্য নীরিহ লোকদের হত্যা করেছে তখন এই নভী পিল্লাই তথা মানবাধিকার কাউন্সিল কি করছিলো? ইংল্যান্ড আমেরিকাসহ পশ্চিমে অগুন্তি তামিল অর্থ তথা অস্ত্র সরবরারাহকারীকে এই মানবাধীকারের নামে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। যেমনটি আমাদের দেশের চৌধুরী মাইনুদ্দিনসহ অনেক যুদ্ধাপরাধীদের। কোন অজুহাতে??? এই মানবাধিকারের নামে!!
আর গনতন্ত্রের কথা কি বলবো। এর মূল অর্থই অনেক শাসক জানেন না।। মূল যে খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,চিকিৎসা,শিক্ষা এটাতো ভুলে গেছে অনেক দেশই। বাকস্বাধীনতার কথা বাহুল্য বলে আর সেটার কথা বললাম না।প্রতি ৫ বছরে একটা ভোট,ব্যাস এই। শান্তনা আমি অমুককে নির্বাচিত করেছি। বিনিময়ে প্রতিশ্রুত কি পেয়েছি তা বিবেচ্য নয়।। আশ্চর্য্য!!!!! এর জন্যই আমরা প্রিয়তমার বাহুবন্ধন ছিন্ন করি, করি পিতা-মাতা,ভাইবোনের মমত্ব আর ভালবাসা!!
আসলে লাভর গুড় পিপড়ায় খায়।।
©somewhere in net ltd.