![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মটা ছিলো সংক্ষেপে এরকম। তখন ঢাকা, ট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ অধিভুক্ত কলেজের তদারকি করতে গিয়ে অভ্যন্তরীণ শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনায় বাড়তি চাপে ছিল। সেই চাপ কমাতে ও অধিভূকক্ত কলেজগুলোর মান উন্নয়নে ১৯৯২ সালে সংসদে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২ নামের আইন পাসের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।
কিন্তু শিক্ষার্থী ও কলেজের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় যে চিন্তা থেকে দুই দশক আগে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা অধিভুক্ত কলেজগুলোকে ঠিকমতো পরিচালনা করতে পারে নি।
এরই প্রেক্ষপটে ২০০৯ সালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কাঠামো ভেঙে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু ওই সময় সরকারি দল-সমর্থক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপককে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য এবং একজন বেসরকারি শিক্ষক নেতাকে কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়ার পর তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে রক্ষার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু শেষমেশ তাঁরা ব্যর্থতার অভিযোগ নিয়ে বিদায় নেন। এরপর আবারও কর্তৃপক্ষ পরিবর্তন হয়। কিন্তু আজও শিক্ষার্থীদের ভাগ্যের তেমন পরিবর্তন হয়নি।
গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক প্রতিবেদনেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার ভয়াবহ চিত্র ফুটে ওঠে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোকে বিভাগীয় পর্যায়ে পুরোনো বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার সুপারিশ করে।
এ রকম পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ৩১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করতে গিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি কলেজগুলোতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থিত সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়ার নির্দেশ দেন। একই বছর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও বলেন, ব্যবস্থাপনায় জটিলতা দূর করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘বাঁচাতেই’ এর বিকেন্দ্রীকরণ করার উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে একই মত ব্যাক্ত করেন দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা।
এ অবস্থায় ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ৭ ডিসেম্বর ইউজিসিতে উপাচার্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় পক্ষে মত এলে তা বাস্তবায়নে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান করা হয় ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মাদ মোহাব্বত খানকে। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার পর থেকেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. হারুন অর রশিদ নানা টালবাহানা শুরু করেছে। এ নির্দেশনা যাতে বাস্তবায়িত হতে না পারে সে জন্য ভিসি বিভিন্ন সময়ে একের পর এক সড়যন্ত্র করে চলেছে। এমন একেবারে ভাল মানুষ সাজতে কি হঠাৎ করেই কোনো ক্লাস বা প্রস্তুতি ছাড়াই প্রায় সব বিভাগে পরীক্ষার সিডিউল জারি করেছে। ফলে বেকায়দায় পড়ে গেছে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. হারুন অর রশিদ এর বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও তার অসীম ক্ষমতার কাছে তেমন কোনো কার্যকারীতা পায় নি। এ কারণে নির্দেশনা বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি ঢিলেমি করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফলে নির্দেশনা জারির পাঁচ মাসের বেশি সময় পার হলেও কোনো প্রতিবেদন দিতে পারেনি।
এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সম্প্রতি শিক্ষাসচিবকে চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে আবার নির্দেশনা দেওয়া হলো। কিন্তু তার পরও ভাগ্য নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না এ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি-বেসরকারি কলেজে পড়ুয়া প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:১০
ফেরদৌসুর রহমান বলেছেন: ভিসির এই ক্ষমতার কারণ সরকারের সাথে ভালো সম্পর্ক। আর শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট করার পেছনে সরকার দায়ী বেশি।