নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সফেদ ক্যানভাস

আমরা আমাদের মধ্যকার আদর্শিক দ্বন্দ্ব গুলোকে মিটিয়ে ফেলতে পারিনা বরং একটু যুক্তিসংগত, একটু মসৃণ করতে পারি মাত্র। আর সে লক্ষেই হোক পথ চলা.....

সফেদ ক্যানভাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

কর্মক্ষেত্রে নারী ও কিছু খিস্তি খেওর

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:০৬


মুসলিম মেয়েদের Public Approach নিয়ে অনেক কথা। খিমার পরা একটা মেয়ে Media বা Public place এ নিজের কোন প্রতিভা তুলে ধরবে, এটা সাভাবিকভাবে নিতে অনেকের খুব আপত্তি। কিন্তু যখন Dalia Mogahed Ted Talk (Click This Link) এ গিয়ে অসাধারণ বক্তব্য দিয়ে আসে, বড় বড় মিডিয়া চ্যনেলে যুক্তি দিয়ে সাদা গুলারে সাইজ করে আসে, তখন সবাই সেটা বাহবা দেয়। ফেসবুকে হাজার হাজার শেয়ার ও হয়।

যখন একজন মুসলিম নারী বড় বড় প্রতিষ্ঠানে ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি পরিবারের দেখাশুনাও করে তখন তার প্রশংসা করা হয়।

হাসপাতালে গিয়ে যখন আপনি নিজের জন্য একজন মহিলা দাক্তার খুঁজেন, তখন কিন্তু আপনার মনে থাকে না যে আপনি এখান থেকে বেরিয়ে কোথাও হয়তো বলবেন, মেয়েদের কাজ না করে বড়িতে থাকাই ভাল। সুযোগ পেলে মুসলিম নারীরা তাদের যোগ্যতা দিয়ে মানুষের কল্যানে সব সেক্টরেই ভূমিকা রাখছে।

কিন্তু এই এতদূর পর্যন্ত যেতে, একটা মেয়ের নিজের প্রতিভা যোগ্যতা দিতে অনেক কঠিন হয়ে পড়ে কখনো। নানা দল মতের গিজ গিজানি চারিদকে। আর সামনে এগোতে চাইলে পেছন থেকে সব থেকে বেশি টেনে ধরে মেয়েরাই মেয়েদের। নানা কথা, আকারে, ইংগিতে, গ্রুপে আলোচনায় চলতে থাকে।

এর মধ্যে দিয়েই মুসলিম নারীরা নিজদের মর্যাদা ধরে রেখেই বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ভূমিকা রাখছে।

একটি উদাহরণ: এই তিন মহিলা কোর্টে কেস লইড়া পত্থমবাড়ের মত বুয়েটে ভর্তি হয়েছিল। আর তারা না লড়াই করলে আজকে Syeda Sultana Razia (Click This Link) বুয়েটের কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর এমন প্রভাবশালী শিক্ষক ও হয়তো হতে পারতেন না। এরকম করে প্রতি পদে পদে লড়াইয়ের উদাহরণ পাওয়া যাবে। মুসলিম সমাজ যদি বুঝতো সময়ের প্রয়োজন,মেয়েদের শিক্ষার প্রয়োজন, তাহলে এই অবস্থা হয়?

সহস্র বছর ধরে মুসলিম নারীদের বুঝানো হয়েছে তোমাদের শুধু ঘরে থাকাই উত্তম। এর মধ্যে লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হয়ে মুসলিম নারীরা যতটা পেছনে পরেছিল, তাদের কে Public Domain গুলো থেকে যেভাবে দূরে রাখা হয়েছিল, সেটির মাশুল হিসেবে পশ্চিমারা বলার সুযোগ পেয়ছে যে ইসলাম নারীকে অধিকার দেয়না।সেই অভিযোগ খণ্ডাতে, নারীদের নিজেদেরকেই এগিয়ে আসতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে আরেকটি মাশুলও দিতে হচ্ছে, আর সেটি হল অনেক মুসলিম নারীরা পশ্চিমাদের সেই প্রপাগ্যান্ডার ফাদে পরে ইসলাম থেক দূরে সরে গ্যাছে। নারী অধিকারের তকমা মুখে দিয়ে তাদেরকে বোঝানো হচ্ছে ইসলাম হল সেকেলে একটা ধর্ম যা নারীদের পেছনে ফেলে রাখে।

কিন্তু এই শতাব্দী ইনশাআল্লাহ মুসলিম নারীদের পদভারে মুখরিত হবে। নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে, সম্মানের সাথে তারা ইসলামের সৌন্দর্য বিলাবে সমানভাবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

সমুদ্রতীর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।আজকাল মানুষ ধর্মের দিকে ঝুকেছে, মেয়েদের হিজাব পড়া অনেকে বেড়েছে । অফিস আদালতে হিজাব পড়ে অত্যন্ত স্মার্টলি এবং কনফিডেন্টলি মেয়দের কাজ করতে দেখা যাচ্ছে।ধর্মীয় দিক দিয়েতো অবস্যই এটা গুরত্বপুর্ন, সেই সাথে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে সামাজিক অনেক ধরনের অপরাধ রুখতে এই ট্রেন্ড অত্যন্ত কার্যকরী।কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে একই সাথে এটাও দেখা যাচ্ছে একদা অতি শিক্ষিতা নারী আচমকা হিজাবের নীচে ঢুকে নিজেকে চার দেয়ালের মাঝে বন্দী করে ফেলেছে। মা বাবার দেয়া শিক্ষা দীক্ষা জলাঞ্জলি দিয়ে দিনরাত ধর্ম কর্ম, তালিম ইত্যাদি করে সময় পার করছে। শুধু তাই নয় নিজে অতি শিক্ষিত হয়েও নিজের অবুঝ বাচ্চা মেয়েটার গায়ে জোরপুর্বক হিজাব চড়াচ্ছে!!! পারিবারিক ও সামাজিক চাপেই যে এটা হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আজকের যুগে এটাকে ধর্মের নামে নারীর ওপড় জুলুম বলেই মনে হয়।

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:১৫

সফেদ ক্যানভাস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কষ্ট করে পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯

আহলান বলেছেন: শালীনতার চেয়ে অশালীনতাই বেড়েছে বেশী। হিজাবধারী নারীর তুলনায় ওড়নাবিহীন নারীর সংখ্যাই বেড়েছে বেশী। নিজের মেধা দিয়ে কিছু জয় করার চেয়ে অংগ সৌষ্ঠব প্রদর্শন পূর্বক ফায়দা হাসিল এর সংখ্যা বেড়েছে বেশী। বিভিন্ন প্রাইভেট ব্যাংক, রিয়েল ষ্টেট করপোরেট অফিস, মোবাইল এর অফিস গুলোতে ঢুকলে মনে হয় একেকটি বিউটি পার্লারের বিউটিশিয়ান বসে আছেন .... অস্বাভাবিক তাদের সাজ গোজ আর সৌন্দর্য প্রদর্শণীর প্রতিযোগিতা ....

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:১৬

সফেদ ক্যানভাস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কষ্ট করে পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০১

বিপরীত বাক বলেছেন: আপনার রচনা পড়ে মনে হচ্ছে মুসলিম নারী বলতে শুধু হিজাবআলি গুলোরেই বোঝায়।
আপনি নিজেও সাম্প্রদায়িক ও সংকীর্ণ চিন্তার উর্দ্ধে নন দেখছি।
ভাল।

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:১৩

সফেদ ক্যানভাস বলেছেন: কষ্ট করে পড়ে মন্তব্য করেছেন এ জন্য যাপরনাই কৃতজ্ঞ। কিন্তু দেখুন বুঝেও অবুঝের মত কথা বললে কিছু বলার অবকাশ থাকে না। আমি মুসলিম নারীদের নিয়ে লিখেছি। আর আপনিও বলছেন মুসলিম নারীর কথা। এখন বলুন তো মুসলিম বলতে কি বোঝয়? কি কাজ করলে, কোন পোশাক পড়লে তাকে মুসলিম বলে? এটি খুবই সহজ কথা যে মুসলিম হতে হলে একজন মানুষ হোক সে নারী বা পুরুষ তাকে অবশ্য পোশাক-আশাক, কথা-বার্তা, কাজে-কর্মে, মন-মানষিকতায় যতটা সম্ভব কুরআন ও হাদিসের অনুসরণ করে করতে হবে। তবে কিছু নিয়ম একেবারে বাধ্যতামূলক। এর বাইরে গেলে তাকে আর মুসলিম বলা যায় না। সেটি হলো ফরজ ও ওয়াজিব মেনে চলা। সে হিসেবে একজন নারীকে অবশ্যই হিজাব মেনে পোশাক পরতে হবে। হ্যা এখানে হিজাব বলতে বিশেষ কোনো স্টাইলের পোশাককে বোঝানো হয় নি। বরং ইসলামের মৌলিক ড্রেসকোড মেনে যেকোনো পোশাক পরলে চলবে। সে হিসেবে নারীদের কেবল মুখ ও দুহাতের কবজি পর্যন্ত খোলা রাখা ইসলাম সমর্থন করে। এর বাইরে যে কোনো পোশাকই ইসলামে নিসিদ্ধ। এখন নিসিদ্ধ কোনো পোশাক পরে জোর করে তো আর নিজেকে মুসলিম দাবি করলে হবে না। তাই না.? এখন আপনি বুঝে নিন আমি কি বলতে চেয়েছি। আমি মুসলিম নারী বলতে হিজাবী নারীকে বুঝায় নি। বরং মৌলিক পর্দার বিধান মেনে চলা নারীকে বুঝয়েছি।
আর সাম্প্রদায়িকতা ও সংকীর্ণতা এসব বহু পুরোনো রসালো বাণী। এখন এগুলো বাংলাদেশের শিক্ষিত নয়ই, অশিক্ষতি মুসলিমরাও খায় না। এ দেশের কিছু সুবিধাভোগি, ধর্ম ব্যবসায়ীদের মুখরোচক শব্দ। এসব শেখানো বুলি না আওড়িয়ে সাম্প্রদায়কতা কি কাদেরকে বলে সেবিষয়ে ভালোভাবে পড়ালেখা করুন। কাজে লাগবে। এসব সুবিধাভোগীদের ধর্মের কথা শুনলেই মাথার মধ্যে আসে সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, উগ্রবাদ। এগুলো আসলে সম্প্রসারণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদীতের উদ্দেশ্যপ্রনদিত তৈরি বুলি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.