নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোহেল ঢাকা বাংলাদেশ

মাহবুব সোহেল

আমি অত্যন্ত সাধারন একজন মানুষ এবং আমার সম্পকর্ে বলার মত কিছু নাই ।

মাহবুব সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরতালের রাজনীতিতে গাড়ী ভাঙ্গার উৎসব অতঃপর একটি সংবাদ সম্মেলন ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৭

 কেমুন দেশে আমরা বাস করি যেখানে দেশের বারটা বাজিয়ে দিয়ে, দেশের সম্পদ নষ্ট করে, গাড়িতে আগুন দিয়ে, দেশের ব্যাবসা বানিজ্য বন্ধ করে দিয়ে, দূর্বলদের ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে তবেই কি রাজনীতিবিদদের দেশ ভক্তীর প্রমান দিতে হয় ।

            উনাদের এত অত্যাচার কারা সহ্য করে, আমরা পাবলিকরা । এতো অত্যাচার সহ্য করার পরে আবার আমাদেরকেই বলে ভোট দিন । আর আমরা গাঁধার মত তাদেরকেই আবার ভোট দিচ্ছি । আমাদের উপর উনাদের সেই বিশ্বাস আছে বলেইতো ভোট চাইতে পারে । উনারা প্রায় নিশ্চিত যে আবার পাবলিক উনাদেরকেই ভোট দিব । 

               আমি গাড়ি পোড়াতে পারিনা বলে কি আমি দেশ প্রেমিক না । আমি ককটেল মেরে পাবলিক মারতে পারিনা বলে আমি দেশ প্রেমিক না । তাহলে আমরা কি দেশোদ্রোহী । আমাকে ফাঁসিতে ঝুলান উচিত । সারা জীবনে আমি একটিও দেশ ভক্তির প্রমান দিতে পারি নাই । তাই বলে এদেশে বাস করে দেশ প্রেমের প্রমান দিতে না পারার জন্য আমি খুব একটা অতৃপ্ত নই । কারণ আমিতো রাজনীতিবিদ না, আমি পাবলিক । আমাদের পাবলিকদেরকেও মাঝে মধ্যে দেশ ভক্তির প্রমান দেওয়ার সুযোগটা নেয়া উচিৎ নইলে রাজনীতিবিদরাই শুধু দেশ প্রেমিক হয়ে বাঁচবেন । আর আমরা স্বীকার হচ্ছি তাদের নানান ধরনের ভেল্কিবাজীর । আমরা যা দেখি যা শুনি তাও নিপূণভাবে নিজেদের সুবিধানুযায়ী বিশ্লষন করতে দ্বিধাবোধ করে না যেন সত্য মিথ্যার মধ্য থেকে আসল সত্য বের করে আনার জন্য আমাকে আবার গাঁধা সাঁজতে হয় । আমি টেলিভিশন সংবাদে দেখলাম কারা তাদের রাজনৈতিক ব্যানার নিয়ে রাস্তায় মিছিল করতেছে আর মিছিল থেকে গিয়ে একটা গরীবের পেটের মধ্যে জোরে একটা লাথি মের বীর বিক্রমের মত ফিরে এলো । তারপরেও উনাদের বলতে শুনি আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার জন্য অমুক দল এগুলি করে বেড়াচ্ছে । আমারা সাধারন পাবলিকদের সাথে এত বড় মিথ্যাচার !

" একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আমি বলতে শুনেছি এর চাইতে ১৯৭১ সাল মরে গেলেই ভাল ছিল" । 

                রাজনীতিবিদদের বলা কোন কথা যদি দলের বিপক্ষে চলে যায় তারপরেও তাদের কোন চিন্তা নাই, কারন সাংবাদিক এবং প্রচার মাধ্যমের উপরে দোষ চাপিয়ে খুব সহজে উত্তরনের পথ খুজে পাওয়া যায় । খাটী বাংলা ভাষায় কথা বললেও সাংবাদিকরা কথার মানেই বোঝেনা । চুরান্ত নিয়মানুবর্তিতায় নিয়ন্তিত কোন গর্বিত সংস্থার প্রসংসা করলেও সাংবাদিকরা প্রসংসা বুঝে না । উল্টা যা খুশী লেখে দেয় পত্রিকায় । যুক্তি হলো সংবাদ পত্রিকাগুলি এমন করে তাদের সার্কুলেশন বাড়াইবার জন্য । সাংবাদিকেরা কানে কম শোনে নাকি  ভিডিও ক্যামেরার সাউন্ড রের্কডিং ঠিক ঠিক মত হয় না । 

                      যাদের মধ্যে দেশ প্রেম না থাকে তারা দেশের উন্নয়ন করতে পারে ? যারা পরর্বতি প্রজন্মের কথা ভাবেন না, পরবর্তি প্রজন্মের পরীক্ষার বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিবেন না, এই পরবর্তি প্রজন্ম লেখাপরা করে শিক্ষীত হলে আমার দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জল হবে এই সামান্য কথা যে সকল রাজনীতিবিদগন ভাবেন না উনাদের দেশ প্রেম আমার কাছে অদৃশমান । 

                   তবে উনাদের ভাবখানা এমন যে, এতো সমস্যার মধ্যে রাজনীতি করা মুশকিল বিশেষ করে যারা সরকারে না থাকে তাদের জন্যতো রীতি মত রাজনৈতিক দোকান বন্ধ করে অন্য ব্যাবসা করতে হবে । এতো কষ্ট করে আর যাই হোক রাজনীতি করা যাবে না । একেতো মহাজোট সামাল দিতে দিতে কাহীল তার মধ্যে নতুন যোগ হইছে অরাজনৈতীক সংগঠন, আবার তাদের সাথে কম্পিটিশন দিয়ে পেরে উঠা । এমন সংকটময় মূহুতর্ে একমাত্র ভরসা হলো "হরতাল" । হরতাল দেয়া ছাড়া অন্য কোন পথে অগ্রসর হওয়া যায় । কয়েকটা গাড়ি পোড়াতে হয় । কতগুলি ককটেল বানাতে হয় । আবার রিস্ক নিয়ে সেইগুলি ফুটাইতে হয় । এটাও কি কম ঝুকিপূর্ণ । তবুওতো রাজনৈতিক প্রক্রীয়া অব্যাহত রাখার জন্য এবং দেশ ও জাতীর সার্বিক মঙ্গলের সার্থে এই ঝুকিপূর্ণ অবদান রাখিয়া যাইতে হইতেছে । একদিন না একদিন এই দেশের মানুষ উনাদের দেশ ভক্তির প্রতিদান  দিবেই দিবে সেই আস্থা দেশবাসীর প্রতি রাজনীতিবিদদের আছে । 



প্রসংগের আড়ালেঃ আমরাই কি রাজনীতিবিদদের এমন সুযোগ করে দেই আর মুখ বুজে সহ্য করে বোবা হয়ে যাই । বোবার অভিষাপ কখনো কখনো লেগে যায় । বোবাদের উদ্ধারে একটা না একটা উপায় বিভিন্ন আকারে, বিভিন্ন প্রক্রিয়ায়, ভিন্ন ভিন্ন নামে যেমন ডট ডট উদ্দিন, ডট ডট উদ্দিন এবং ডট ডট সরকার সকলের সামনে উপস্থিত হয় । 





মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.