নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোহেল ঢাকা বাংলাদেশ

মাহবুব সোহেল

আমি অত্যন্ত সাধারন একজন মানুষ এবং আমার সম্পকর্ে বলার মত কিছু নাই ।

মাহবুব সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিরোধী দলের ডাকা হরতালে কার কি অর্জন হলো ?

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

সকলের কাছে জানতে ইচ্ছা করে গত কয়দিনের হরতালে কার কি অর্জন হলো ?  বিরোধী দলের ডাকা হরতালে বিরোধী দলেরই অর্জন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা বেশী । যেহেতু হরতাল ডাকা হয়ে গেছে সেহেতু সরকারের কিছুই করার ছিলো না । নাগরিকদের অধিকার বিবেচনায় সরকারের যেটুকু করার ছিলো সরকার সেটুকু করার চেষ্টা করেছে । তবে বিরোধী দলের যে দাবী সে দাবী অনুসারে সংবিধান অবমাননা করতে বিরোধীদল সরকারকে উৎসাহী করে, যা কি না সরকার করে নাই । সরকার করলে অনেক কিছুই করতে পারতো "••"।সরকার পারে নাই শুধু সংবিধান অবমাননা করতে বাকী সবই করেছে । হরতাল ডাকার কারণ হিসাবে আলোচনাকেই(সংলাপ) বিরোধী দল প্রাধান্য দিয়েছিলো । যখন সরকার আলোচনার আয়োজনের উদ্দোগী হলো তখন যেন হরতাল ডাকার যৌক্তিকতা সম্পুর্ণরুপে  গৌণ হয়ে গেল । তবে কেন হরতাল ডাকা হলো ? টকশোর টক বুদ্ধীজিবিরা কেউ কি বলতে পারবেন ? সাড়াটা জীবন টক করতে করতে পার করে দিলেন কোনদিন কেউ কি টক'র কোন মূল্য দিয়েছে ? কেউ দেয়নি । প্রায় ৮/১০ বৎসর এদেশে টেলিভিশন টকশো চললো কি লাভ হলো ? বরং মানুষের স্বাভাবিক স্ববল অরাজনৈতিক চিন্তা চেতনাগুলির যেন মৃত্যু হয়েছে । সবাই রাজনীতির ভাষা মুখস্থ করলে দেশ চলতে পারে না । যেন কিছু চিন্তা করতে গেলে একটা পক্ষ্য নিয়ে চিন্তা করতে হবে । জাতীর ভাগ্য পরিবতর্নকারী রাজনীতিবিদরা কিছু 'টক' কি নিলো । না কি সাধারণ নাগরিকগন তাদের নাগরিক অধিকার সম্পকের্ সচেতন হলো । সাধারণ নাগরিকরা কিছুটা 'টক' যদি কানে তুলতো তবে হরতালের নামে রাজনৈতিক দলগুলির এতগুলি নীরিহ মানুষ পুড়িয়ে মারার কারনে প্রতিবাদী হয়ে উঠতো । এটা কি মগের মূল্লূক জ্যান্ত মানুষগুলির শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে 'হরতাল' "হরতাল" স্লোগান দিতে দিতে চলে যাবে । "টকশো" আপনারা বৃথা । আপনারা বৃন্দাবনে উলুধ্বনী বাজিয়ে গেলেন । টকশো হলো ফ্লপশো; কেউ আর দেখে না । সবাই বুঝে গেছে, কেউ কোন একটি পক্ষ্য অবলম্বন করতেই "টকশো"-এ আসে । নিজের দলের প্রত্যক্ষ্য বা পরোক্ষ্য এডবেটাইজ করার জন্যই "টকশো"-এ আসে । 

                        যদি রাজনীতিবিতদের আলোচনার সমালোচনার প্রসংগটি বাদ দেই তবে হরতালে আমাদের প্রাপ্তি কি? কষ্ট হলো আমাদের, এই কয়টা দিন জমানো টাকা খরচ করে সংসার চালাতে হয়েছে আমাদের, আগুনে পুড়ে মরলাম আমরা । রাজনীতিবিদদের কখনো কোনদিন কোন সমস্যায় পরতে হয় না । রাজনীতিবিদগনের হরতাল ডাকা হয়ে গেছে । কে ডেকেছেন, কেন ডেকেছেন, কোন দল ডেকেছে, কোন কারনে হরতাল ডেকেছে সেই প্রসংগে যদি নাও যাই তবুও দেশের একজন নাগরিক হিসাবে হরতালের কারনে দেশের ক্ষতির ব্যাপারে ভাববার অধিকার থেকে আমরা অবশ্যই অবশ্যই বঞ্চিত হবো না । (হরতালে ক্ষতির চিন্তা রাজনীতিবিদদের এই কথা মনে করে ঘরে বসে থাকলে চলবে না) । কত মানুষের মৃত্যু হলো, কত কত গাড়ি পোড়ানো হলো, রোলগাড়ি পোড়ানো হলো, কল কারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিলো; তাতে করে আমাদের দেশেরইতো ক্ষতি হলো । ব্যক্তি মালিকানার গাড়ির হিসাব বাদে সরকারী সংস্থা বিআরটিসির ছয়টি বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হলো । প্রতিটি বাসের মূল্য এক কোটি টাকা । তার মানে একটি বিআরটিসি বাসের মূল্য হিসাব করলে একজন নাগরীকের ক্ষতি হয়েছে ০.০৬ টাকা । ছয়টি বাসের মূল্য হিসাব করলে একজন নাগরীকের ক্ষতি হয়েছে ০. ৩৭ টাকা । যদিও এসব ক্ষতি সরাসরি গায়ে লাগার মত না তবুও দেশের সম্পদের ক্ষতি হলো । জীবনের মূল্যের হিসাব কোনদিন করতেও পারবো না । যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারই ভুগবে । কোথাও কোন বিচার নাই । কারো কোন বিবেচনা নাই । কার ক্ষতি করে কারা হরতাল উদযাপন করতেছে তারও কোন আফসোস নাই । কিন্তু যারা হরতালের ডাক দিয়ে জীবনগুলি কেড়ে নিলো তাদের পাওনা কি হলো ? তাদের পাওনা যদি হয়েও থাকে তবে কেন তারা তাদের নিজেদের জীবন না দিয়ে অন্যের জীবনের বিনিময়ে নিজেদের পাওনা নিশ্চিত করলো । দেশের সাধারন মানুষগুলিও কি এই সহজ সরল হিসাবটা বুঝবে না ? তাদেরকে বুঝানোর দ্বায়ীত্বটা কার ? শুধুমাত্র দেশের ভিতরে অরাজকতা সৃষ্টির কারনে হরতাল ডাকা উচিৎ । 

                   বিরোধীদল হরতাল ডাকলে শুধুমাত্র তারাই দ্বায়ী হবে এমন বিবেচনার যুগ কি এখনো আছে ? সবার বিবেচনায় থাকে কে কত ছাড় দিতে পারবে সে তত ভাল । ভাল বা উদার হবার কৃতিত্ব জনগন ভোটের সময় ফিরিয়ে দেয় । জনগন ভোট দিতে ভুল করে না । যে দলই হরতাল ডাকুক নিজেদের লাভের জন্যই ডাকে । ক্ষতি ভোগান্তি যা হবার হয় আমাদের সাধারণ জনগনের । পূবর্ের হরতালগুলি ডাকার নূন্যতম কারন ছিলো কিন্তু এবারের হরতালের কোন কারণ ছিলো না । পূবর্ে একটি হরতাল ডাকার পরে কারণ সৃষ্টি করতে হয়েছিলো(দেড়িতে ফোন করা), যদিও সরকার বিরোধীদলের প্রদত্ত দূই দিন সময়ের মধ্যেই আলোচনার উদ্দ্যোগ গ্রহন করেছিলো । হরতালের লাভ ক্ষতি হরতাল শেষ হবার পরেই বুঝা যায় । কিন্তু ক্ষতি হলো আমাদের সাধারন জনগনের । প্রধান ক্ষতি দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম(সন্তানদের লেখাপড়া) । নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি, রপ্তানী বানিজ্যে এবং বৈদেশীক আয়ে ভাটা পরা ইত্যাদি ইত্যাদি । 

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

রবিউল ৮১ বলেছেন: আসলে বলা উচিত তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অনর্থক বাতিল করে সরকার কেন এই অচল অবস্থার সৃষ্টি করতে চাচ্ছে?কেন বিরোধী দলকে হরতালের দিকে ঠেলে দিচ্ছে?

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: আসলে বলা উচিত তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অনর্থক বাতিল করে সরকার কেন এই অচল অবস্থার সৃষ্টি করতে চাচ্ছে?কেন বিরোধী দলকে হরতালের দিকে ঠেলে দিচ্ছে?

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তত্তাবধায়ক সরকার হলেই সব অচলবস্থার অবসান আর পরিস্থিতি নরমাল হয়ে যেত একথা ভাবার কোন কারন নেই।
এই পদ্ধতি তো ২০০৬এ বিকল করে ফেলেছিল তৎকালিন সরকার!

তত্বাবধায়ক ব্যাবস্থা বহাল থাকা সত্ত্বেও ২০০৭ এর জানুয়ারিতে ইলেকশান ইঞ্জিনিয়াররা কাউকে তোয়াক্কা না করে, আজিজের দেড় কোটি ভুয়া ভোটার নিয়ে বিম্পি-জামাত জোট একক নির্বাচন সুরু করে দিয়েছিল।
নিজামি -মোজাহিদ সহ ৬০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েও গিয়েছিল।

তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা বহাল থাকলেও নির্বাচন নিয়ে এরচেয়ে বড় নৈরাজ্য ও অচলবস্থা থাকতো নিশ্চিত ভাবেই।
Click This Link

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

রবিউল ৮১ বলেছেন: তাহলে তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রেখে সেটাকে আরো কিভাবে নিখুত করা যায় সে চেষ্টা করতো।সেটা না করে সে ব্যবস্থা বাতিল করাটাই ঝামেলার মূল কারণ।কারন দলীয় সরকারের আধীনে বা ংলাদেশে নির্বাচন অন্তত বিরোধী দল করবে না।@হাসান কালবৈশাখী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.