নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম দুধ খাই, তার গান গাই

আমি ফিফা চেয়ারম্যান হতে চাই। চেয়ারম্যান হলে আমার নাম হবে জন ফু সোহেল

সোহেলভাই

আমি ফিফা চেয়ারম্যান হতে চাই। তখন আমার নাম হবে জন ফু সোহেল

সোহেলভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকরিতে কোটাপ্রথা বাতিলের দাবিতে উত্তাল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

কপি পেস্ট







সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তালন হয়ে উঠেছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। দাবি আদায়ে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন মহাসড়ক অবরোধ করেন এবং দাবি মানা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন। আন্দোলনে উত্তাল রাবি : মহাসড়ক অবরোধ : রাবি সংবাদদাতা জানান, ‘কোটা পদ্ধতি বাতিল কর, নইলে মোদের গুলি কর’ এই স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। সব ধরনের চাকরি থেকে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১ থেকে ১টা পর্যন্ত রাবির প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। দাবি পূরণ না হলে শনিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দেন তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সব ধরনের চাকরি থেকে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সকাল সাড়ে ১০টায় মানববন্ধন করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে বেলা ১১টায় এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এতে অন্তত পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী যোগ দেন। আধঘণ্টা মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি বিনোদপুরে গিয়ে আবারো সেখান থেকে প্রধান ফটকে ফিরে আসে। পরে সেখানেই বেলা ১টা পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবি পূরণ না হলে শনিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের কাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করা হবে। এ কর্মসূচি ঘোষণার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবারের আন্দোলন কর্মসূচির সমাপ্ত ঘোষণা করে। এ দিকে শিক্ষার্থীদের তিন ঘণ্টাব্যাপী অবরোধে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অন্তত ৫০০ বাস, ট্রাক ও অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে এক দিকে রাজশাহী মহানগরীর বাসটার্মিনাল অন্য দিকে কাটাখালী পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার ঘোষ জানান, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অনুমতি না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন করতে চাইলে তাদের বাধা দেয়া হয়। তবে তারা যদি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে তাহলে তাদের বাধা দেয়া হবে না বলে তিনি জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছেন। আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য আমি শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। সিলেটে মহাসড়ক অবরোধ : শাবি সংবাদদাতা জানান, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি ও ৩৪তম বিসিএসের ফল বাতিলের দাবিতে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের শিার্থীরা। ফলে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে থেকে মিছিল সহকারে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করেন। শেষে আন্দোলনকারীরা শুক্রবার বেলা ৩টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন আহ্বান করেন। ফুড অ্যান্ড টি বিভাগের শিক্ষার্থী মো: ওবায়দুরের পরিচালনায় মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেনÑ অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শওকত আহমদ, বাংলা বিভাগের এম এ রাকিব, আবদুর রব, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ফারুক হোসেন, গণিত বিভাগের মো: মুরাদ, রেজা, বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সালেহ আহমদ, রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের সোহাগ ও রেজাউল করিম প্রমুখ। সমাবেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে জাতিকে মেধাশূন্য করার যে পাঁয়তারা চলছে, তা যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব। যতণ পর্যন্ত আমাদের দাবির পরিপ্রেেিত কর্তৃপরে কোনো আশ্বাস না পাই ততণ পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। অবরোধ থেকে শাহবাগে আন্দোলনকারী মেধাবী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থনও দেন তারা। বিসিএস পরীক্ষার্থী ও আন্দোলনকারী শিার্থী ওবায়দুল্লাহ ও রাকিব জানান, কোটা প্রথার কারণে প্রকৃত মেধাবীরা চাকরির েেত্র পিছিয়ে রয়েছেন। কিন্তু কোটায় থাকা শিার্থীরা স্বল্প মেধায় চাকরি পেয়ে যাচ্ছেন। উত্তাল রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় : রংপুর অফিস জানায়, বিসিএস পরীায় কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তরের উচ্চ শিক্ষার পাদপীঠ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল দিনভর ক্যাম্পাসে মানববন্ধন বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা ভার্সিটির প্রধান ফটকের সামনে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের ওপর মানববন্ধন কপ্রণ। এতে বিভিন্ন বর্ষের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা কোটাকে না বলুন, চাকরির পরীায় সব ধরনের কোটা বাতিল করুন, ‘কোটা বাতিল করে মেধাবীদের মূল্যায়ন করুন ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেনÑ শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম লিমন, ফারুক হোসেন, আবদুল কাদের, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সব ধরনের পরীক্ষায় কোটা প্রথা বাতিল করতে হবে। কোটার মাধ্যমে মেধার অবমূল্যয়ন করা হয় দাবি করে বক্তারা বলেন, সরকার চাকরি থেকে কোটা প্রথা বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অচল করে দেয়া হবে। উত্তাল বাকৃবি : বাকৃবি সংবাদদাতা জানান, ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীার ফল ও কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাস। গতকাল বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক স্মৃতিস্তম্ভ বিজয় ’৭১ পাদদেশে মেধা চত্বর তৈরি করে সেখানে মানববন্ধনের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কোটা ও ফল বাতিলের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাকৃবি মেধা চত্বরের মুখপাত্র সনদ কুমার দত্ত বলেন, অবিলম্বে ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীার ফল ও চাকরির সব পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। যত দিন পর্যন্ত বাতিল করা না হবে তত দিন পর্যন্ত বাকৃবি মেধা চত্বর আন্দোলন করে যাবে। এ সময় তিনি শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানান। প্রতিদিন বেলা ১১টায় বাকৃবির মেধা চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি। জাবিতে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা জাবি সংবাদদাতা জানান, বিসিএস পরীক্ষাসহ সব সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিলের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরগনর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রায় এক হাজার সাধারণ শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশ নেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। এরপর তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। সমাবেশে ৩৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী মো: আবির বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো স্বাধীন দেশে চাকরিতে কোটার নামে সাধারণ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। এই বৈষম্য দূর করে সরকারি সব ধরনের চাকরি থেকে কোটাপদ্ধতি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন চলবে।’ ইতিহাস বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের জসিমউদ্দিন বলেন, ‘কোটাপদ্ধতি বাতিল করে সর্বক্ষেত্রে মেধার মূল্যায়নের দাবিতে আমাদের এই আন্দোলন।’ প্রক্টর অধ্যাপক মো: মজিবুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম অতিকুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক গোলাম রব্বানী প্রমুখ শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংহতি জানান। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনিসহ প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রক্টর অধ্যাপক মো: মজিবুর রহমান বলেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি, মেধার মূল্যায়ন করা হোক। তবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রমজানে হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি কারো কাম্য হতে পারে না।’ খুবিতে মানববন্ধন : খুলনা ব্যুরো জানায়, সরকারি চাকরির েেত্র প্রচলিত কোটাপদ্ধতি এবং ৩৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীার প্রকাশিত ফল বাতিলের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এতে বক্তৃতা করেন মির্জা ওমর ফারুক ও বায়েজিদুর রাহমান। বায়েজিদুর রহমান খান বলেন, সরকারি চাকরির েেত্র ৫৫ শতাংশ কোটা নাগরিকের সম-অধিকার সংক্রান্ত সাংবিধানিক মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক। কোটাধারীদের জন্য বারবার বিশেষ নিয়োগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চাকরির বয়সসীমাও তাদের জন্য দুই বছর বেশি। এত কিছুর পরও তাদের জন্য ৫৫ শতাংশ কোটা বহাল রাখা হয়েছে, যার বেশির ভাগ পদই খালি থেকে যায়। এটি অন্যায় ও মেধার প্রতি চরম অবমাননা। অপর শিার্থী শাহীন পারভেজ বলেন, আমরা ৭৮-৭৯ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হতে পারব না অথচ কোটাধারীরা মাত্র ৫৭-৫৮ নম্বর পেয়েই উত্তীর্ণ হবে এটা মেনে নেয়া যায় না। কোটার ফলে প্রশাসন ব্যাপকভাবে মেধাশূন্য হয়ে পড়ছে। তারা অচিরেই খুলনার সব উচ্চশিা প্রতিষ্ঠানের শিার্থীদের নিয়ে কোটা বাতিলের দাবিতে ব্যাপকভিত্তিক আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দেন। ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন টাঙ্গাইল সংবাদদাতা জানান, ৩৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল ও সব সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বাতিলের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগের আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে মানববন্ধন করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তারা এ মানববন্ধন করেন। তারা ‘বিসিএসে কোটাপ্রথা মানি না মানব না’, ‘কোটা দিয়ে কামলা নয় মেধা দিয়ে আমলা চাই, ‘কোটা দিয়ে ছাত্র প্রহসন বন্ধ কর’, ‘মেধার সঠিক মূল্যায়ন চাই’, ‘চাকরি ক্ষেত্রে কোটাপ্রথা চলবে না’সহ বিভিন্ন দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে প্রতিবাদ জানান।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

দুরন্ত-পথিক বলেছেন: সব দেখি রাজাকার হইয়া গেছে। :P :P :P

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: সরকার কি শুধু মাত্র এই কোঠা এর মাদ্ধমেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাবে???
আর বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলে কি তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না????
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলের জীবন কাটে চায়ের দোকানের পানি টেন
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান আরও নানা ভাবে করা যায়, তাদের সন্তানদেরও আরও নানা ভাবে সিক্ষার জন্য সাহায্য করা যাবে।
প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কে একটি করে ফ্লাট বাসা দেওয়া হোক, তাদের প্রতিমাসে ১০০০০ টাকা করে দেওয়া হোক, তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা খরচ দেওয়া হোক, তাদের টিউশন ফীস মউকুফ করা হোক...
আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু তাই বলে বিসিএস এর মতো জায়গায় কেন এতো বিশাল পরিমানে তাদের জন্য কোটা এর বাবস্থা???
এই কোটা প্রথা বাতিলের দাবী এর মানে কিন্তু এই না যে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে হবে না। এর মানে হচ্ছে তাদের এই অন্যায় সুবিধা প্রথা বন্ধ করতে হবে।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এমনিতেই কিন্তু সরকার কম সুযোগ সুবিধা দেয় নাই।
ভালো ভালো স্কুল কলেজে কিন্তু তাদের জন্য আলাদা ভাবে কোটা এর ব্যাবস্থায় তাদের ভর্তি করা হয়, সেখানে তারা আলাদা সুবিধা পেল, মানলাম এটা।
এরপর যখন বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির সময় এলো, তখনও তাদের জন্য কোটা এর বাবস্থা।

মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান শুধু এই কোঠা দিয়েই হয় না। আশা করি বুঝতে পারেছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের এই কোঠা এমন আকার ধারন করেছে যে কিছু দিন পর হয় জাতীয় বিভিন্ন খেলা-ধুলা প্রতিযোগিতায় এমন হবে যে প্রথম স্থান রাখা হবে তাদের জন্য, আর বাকি ১ম আর ২য় স্থানের আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। :p :p





আমেরিকার কোঠা নিয়ে আব্রাহাম লিংকনের একটি ঘটনা বলি...

একবার আব্রাহাম লিংকনের কাছে এক ভদ্রলোক এসে বীরদর্পে বললেন-
-- আমার ছেলেকে রাষ্ট্রীয় উচ্চপদস্থ চাকুরি দিন...
-- আব্রাহাম লিংকন: কেন ?
-- ভদ্রলোক: আমার ছেলে চাকরি পাওয়ার যোগ্য তাই।
... -- আব্রাহাম লিংকন: কিসেরযোগ্যতা আছে আপনার ছেলের?
-- ভদ্রলোক: আমার বাবা (ছেলের দাদা) আমেরিকার জন্যস্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন;
আমরা আমেরিকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বংশধর-তাই দেশ সেবার সেরা
চাকরি আমাদের দেয়া উচিৎ.....!
-- আব্রাহাম লিংকন: ওকে থাঙ্কস; আপনাদের পরিবার দেশের জন্য অনেক করেছে; এবার সাধারণ মানুষকে দেশের জন্য কাজ করতে দিন।

___________________________________________________
এই লিঙ্ক থেকে বিস্তারিত পড়ে আসতে পারেন।
____________________________________________________
অথবা এই লিঙ্ক এ বিস্তারিত...
___________________________________________________
কোটার কোন দরকার নই। কোটা মুক্ত বাংলা চই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.