নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বোধহয় সেই ক্ষণজন্মা জন্ম যার প্রভাতে,যার আবেদনে মেঘ ঝরেছিলো আসমান হতে।।

সকাল রয়

কিছুটা প্রকাশিত বাকীটা অপ্রকাশিত

সকাল রয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: লেডি উইলকিংসন এন্ড দ্যা পেইন্টিং

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪০




ফ্রিক দুপুর শেষ হবার আগেই ফ্রেম গুলো সিল্ক হাউসে রেখে এসেছিলো, ব্রাউন কালার ছিলো না যে কারনে গোল্ড কালার ফ্রেমই নিতে হলো। টুয়েন্টি টু বাই থার্টি টু ছবি গুলোর জন্য সারা দুপুর ঘুরে শেষে "মিত্তাল স্টোর" থেকে মিললো। সনাতন কিছুতেই ফ্রেম দেবে না বললো এগুলো দেড়শো বছর আগেকার এক ব্রিটিশ সাহেবের কাছ থেকে কেনা পিতলের ফ্রেম ঘরেই পড়েছিলো। সনাতনের বাবা অবশ্য এই ফ্রেম গুলো একবার বিক্রি করে দিয়েছিলেন সনাতন তখন তের বছর বয়সি ঘটনাটা আবছা আবছা মনে আছে। যিনি নিয়েছিলেন সে অপরিচিত যে কারনে ফ্রেম গুলো কেন আবার এই ঘরে সেটা সনাতনের জানা হয়নি। বাবা নেই দায়িত্বে এখন সনাতন। অত পুরোনো জিনিস ভেবেছিল মিউজিয়ামে দিয়ে দেবে কিন্তু আফ্রিকের টানা অনুরোধে শেষ পর্যন্ত শংকা মাথায় রেখে দিয়ে দিলেন।

প্রপম্পা সন্ধ্যের মধ্যেই বারান্দায় ফ্রেম গুলো দেখে খুশি হলো। জন্মদিনটা এবার বেশ জমকালো হবে। সিল্ক হাউসের গোড়াপত্তন কিন্তু প্রপম্পার বংশের কেউ করেনি এটা জুয়া সূত্রে পেয়েছিলো প্রপিতামহ অম্বিকা গুলকনাথ। তিনিই ছবি আঁকতেন। তবে যে পেইন্টিং গুলো পাওয়া গেছে সেগুলো অন্য কারো আঁকা।বেশ কিছু ছবি সেদিন পাওয়া গেল চিলেকোঠার ঘরে প্রায় একশো বছর ধরে পড়েছিলো। বাঁধাই করে রাখলে অনেকেই দেখতে পাবে। ভাজ করা ছবিগুলো খুলে অবাক হয়ে গেলে প্রপম্পা প্রতিটি ছবিতেই একজন রমণীর মুখ আঁকা তবে আশ্চর্যের বিষয় কোনটাতেই চোখ নেই।

রাত আটটার আগেই পুরো বাড়ি সেজে গেলো আলোয়। ব্যান্ডপার্টি এসে গেলো। পার্টির সব আমন্ত্রিত অতিথিরা ততক্ষণে এসে গেছে। অফ্রিক ফ্রেম গুলোতে ছবি ফিট করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার ধান্ধায় পড়ে গিয়েছিলো। মনে হচ্ছে প্রতিবার যেন একটি ছবিই সেট করছে কিন্তু সেট করবার পর দেখে আরও একটি বাকী। শেষ পর্যন্ত একটি বাকিই রইল। দেয়ালে টাঙ্গানো হলে পড়ে মজুরী নিয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়লো। ওদিকে পার্টি শুরু হয়ে গেলো রক মিউজিক ডলবি ডিজিটাল সাউন্ডে রাস্তার গাড়ির আওয়াজও শোনা যাচ্ছেনা। নিউ মার্কেট পেরিয়ে যেতেই অফ্রিক দেখলো রাস্তায় পড়ে আছে বাকী থাকা একটা ছবি ফ্রেম সহ ছবির ভেতরের মুখায়বের চোখ না জায়গাটা জ্বলছে নীলচে হয়ে। হঠাৎই চোখে যন্ত্রণা অনুভব করলো অফ্রিক। ত্রিশ সেকেন্ডের মধ্যেই বুঝতে পারলো তার চোখ গুলো খুলে যাচ্ছে তারপর আর কিছু মনে নেই তার। সে রাতে সবাই পার্টি শেষে ফিরে গিয়েছিলো কি না তা জানা যায়নি শুধু পরদিন পুলিশ প্রম্পাকে খুঁজে পায়নি পুরো লাপাত্তা!

পরদিন সনাতন খবরটা পেপারে পড়ে সোজা সিল্ক হাউসে চলে গিয়েছিলো এবং তার কাছ থেকে কেনা ফ্রেম গুলো দেয়ালে টাঙ্গানো অবস্থাতেই পেলো কিন্তু সেগুলোতে কোন ছবি নেই। গতরাতের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছিল রাতে এগুলোতে ছবি ছিলো। দুপুরেই পাওয়া গেল অফ্রিকের লাশ সিল্ক হাউসের পেছনে এবং পাশেই পড়েছিলো একটা পেইন্টিং যাতে প্রপম্পার একটা মুখায়ব দেখা যাচ্ছে। পুরো রহস্য আরও কারো কাছে ধরা না দিলেও সনাতন ঠিকই বুঝেছিলো। ফ্রেম গুলো বিক্রি করবার আগেও প্রেতাত্মার বিষয়টি আমলে না নিয়ে বড় ভুল করে ফেলেছে সে।

ব্রিটিশ নাগরিক উইলকিংসনের স্ত্রী লেডি উইলকিংসন বেশ ভালো ছবি আঁকতেন তবে ছিলেন মদ্যপ একদিন ঝগড়া সূত্রে আত্মহত্যা করেন তিনি সর্বশেষ রেখে যান চারটি অসমাপ্ত পেইন্টিং । যে পেইন্টিং গুলোর শুধু চোখ আঁকা বাকী ছিলো। স্ত্রী শিল্পকর্ম বাঁধিয়ে রাখতে গিয়ে তিনি অর্ডার দিয়ে পিতলের কিছু ফ্রেম তৈরি করান তারপর তিনিই এক রাতে বসে ছবিগুলো বাঁধাই করার সময় উধাও হয়ে যান তিনি। ধারনা করা হয় স্ত্রীর আত্মা প্রেতাত্মা হয়েই এসব ঘটিয়েছিল। ছবিতে এটাচ হতেই ফ্রেমগুলো অভিশপ্ত হয়ে গিয়েছিল। প্রেতাত্মার বিষয়টা উড়িয়ে দিয়ে ছবিগুলো ভাঁজ অবস্থায় কিনে নিয়েছিলেন প্রপিতামহ অম্বিকা গুলকনাথ। নিজেও কোনদিন খুলে দেখেন নি। উইলকিংসনের ফ্রেম গুলো পরবর্তী সময়ে তারই কোন এক উত্তরসূরী থেকে সনাতনের বাবা কিনেছিলেন। যখন প্রথমবার বিক্রির পর তিনি জানতে পারেন ক্রয়কৃত মানুষটি উধাও তখনই তিনি ফ্রেমগুলো সংগ্রহ করে দোকানের এক পাশে লুকিয়ে রেখেছিলেন।

আজ এতদিন পর লেডি উইলকিংসনের আত্মা অফ্রিক আর প্রপম্পাকে ছবি করে দিলো।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :)

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৩

সুমন কর বলেছেন: মোটামুটি লাগল।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

জুন বলেছেন: সকাল এর নাম থেকেই কি তোমাদের রাস্তার নাম ?
তবে এ লেখায় তুমি তোমার নামের প্রতি সুবিচার করো নি কিন্ত।

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগে নাই।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৭

মাইনুল ইসলাম অভি বলেছেন: ভালো
golper asorgolper asor

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আমার ভাল লেগেছে।

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

উপন্যাসের ছেঁড়া পাতা বলেছেন: এটা কি পুরাভৌতিক না আধা!

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: মোটামুটি ভালো লেগেছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.