নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুটা প্রকাশিত বাকীটা অপ্রকাশিত
ঘুম চোখে বিছানায় শুয়েই মনে হলো আজ তো ইস্টার সানডে। এই দিনে মেরীর পুত্র যিশুখ্রিষ্ট মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান করেছিলেন। অগত্যা ঘুমিয়ে না থেকে আমারও পুনরুত্থান করা দরকার, এই ভেবে উঠে গেলাম। মেরী আর যিশু এই শব্দ দুটো মাথায় আসতেই আমার অঞ্জনদা'র মেরি আনের কথা মনে পড়ে যায়। অঞ্জনদা'র মেরিআনের ঘরে যিশু ঝুলে থেকে চোখের জল ফেলে আর শর্টহ্যান্ড নিতে নিতে মেরির নখ ক্ষয়ে যায়।
স্কুল ফাইনাল দেবার তিন ক্লাস আগেই অঞ্জদা'র মেরিআনের সাথে আমার পরিচয়। ব্যাস ভালো লেগে গেলো। ভালো লাগবার আরও একটা কারন অবশ্য আছে সেই সময়ে মেরিআনের মতোই এক মোটা মেম এর সাথে পরিচয়ে আমারও ইয়ে হয়ে গিয়েছিলো। সেই ইয়েটা অবশ্য প্রেমও নয়, আবার ভালোবাসাও নয়। অনেকটা ইন্টু-পিন্টুর মতো।
আমার মোটা মেম কিন্তু রাজকন্যা ছিলো না, আবার ঘুটেকুড়ানিও নয়। তার ঘোড়া ছিলো না কিন্তু বাইসাইকেল ছিলো আমরা সেই সাইকেলে চড়ে বিলম্বপুরের সকল রাস্তায় বিলম্ব করে ফিরতাম। জামরুল গাছের পাতায় পাতায় আমাদের চোখ খেলা করতো। সাদা-গোলাপী জামরুল নিয়ে আমাদের দৌড়ঝাঁপ হতো। আমরা পথের ধারের কাঁচবালিতে হাঁটু গেড়ে বসতাম। কাঁচের মতো বালি দিয়ে সুর্যের সাথে খেলতাম। আমাদের সাইকেল দৌড় গিয়ে থামতো ধূসর পাহাড়ের এপাড়ে। আমরা ওপাড়ে কোনদিন যেতে পারি নি। বয়েসের ঘর আরেকটু বেড়ে গেলে আমরা যাবো ভেবে ভাবনা তুলে রেখেছিলাম। সন্ধ্যে নামার আগেই আকাশ রঙের মাটি পকেট ভরে নিয়ে বাড়ি ফিরতাম। মনে হতো আকাশ নিয়ে বাড়ি ফিরছি।
আমাদের সাইকেল রেস হতো। জংধরা সাইকেলের রেস। আমার কোন সাইকেল ছিলো না। মোটা মেম তার সাইকেলটা বিনা শর্তে ধার দিতো তার কোন কারণ অবশ্য নেই। হয়তো সে মনে করতো আমি একটা জামরুল যতখানি সাদা উপরে ততোখানি ভিতরেও।
এরপর অনেক দিন চলে যাবার আগেই আমিই বিলম্বপুর থেকে অনতিবিলম্বে হারিয়ে গেলাম। সেই পুরোনো স্কুলে আমার আর স্কুল ফাইনাল দেয়া হলো না। মোটা মেম এর সাইকেলে চড়ে ধূসর পাহাড়ের ওপাড়েও যাওয়া হলো না।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৩
সকাল রয় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১৩
সৈয়দ তাজুল বলেছেন: বাহ, গল্পটি ভালই লাগলো।
অতীতের স্মৃতিগুচ্ছ সবসময় মধুময় হয়।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৬
সকাল রয় বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিলম্বপুরের স্মৃতিপথে আমরাও হারিয়ে গেলাম।ভাল লাগলো।
শুভেচ্ছা নেবেন।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৪
সকাল রয় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পদাতিক ভাই
৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: এটা কি গল্প নাকি আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো সত্যি ঘটনা?
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৩
সকাল রয় বলেছেন: সত্য ঘটনা অবলম্বনে গল্প
৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫১
সুমন কর বলেছেন: কথাগুলো ভালো লাগল।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫১
সকাল রয় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল গল্পটি পাঠে।