নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুটা প্রকাশিত বাকীটা অপ্রকাশিত
সেদিন মনঘোর মেঘদিন ছিল না। রোদমুখো রঙদার দিন ছিল। তোমার শাড়ির ভাঁজে কথারা ছিল দ্বৈতসত্তার অধিকার নিয়ে। তোমাদের নিবাসতলে অধিক জনমানুষের কোলাহল তুমি নিতে পারছিলে না। ‘তবুও মেনে নিতে হয়’ এ কথাটি তোমার ভেতরে গেঁথে দেয়া হয়েছিল। অপরাজেয় অলক্ষুণে সম্পর্কের হাত থেকে পালিয়ে বেড়াবার জন্য হলেও এইসব মেনে নিতে হয়।
দুপুর হয়ে আসছিল, জনসমুদ্র থেকে তোমার অনুমতি নেবার জন্য কেউ একজন অবতীর্ণ হলো যখন, তখন তুমি নিজের সাথে খেলছো শাড়ি-সম্পর্কের এক আজব খেলা। দুপুররাগে কত কিছু যে ফেলে যেতে হয়, রুপার উঠোন, উদাসী কলতলা, একক টেবিল, অন্ধগলি, হাতের লেখা চিঠি, সেলফোনে জমা মেসেজ, ডিলিট না করা নম্বর, ক্যালেন্ডারে কষা আঁক, নিদ্রিত প্রার্থনা, স্পর্শ আরও কত কী!
তুমি চোখ পাড়ায় চোখ বুজে একটা নতুন পৃথিবী কল্পনা করতে করতে একটা সম্পূর্ণ অচেনা সম্পর্কে মত দিয়েছিলে আজীবন তার সাথে খুনসুটি করে ঘরের ঘরবধূ হয়ে ভোর-দুপুর-নিশিতে মিশে যাবে বলে। কিছুটা চোখের জল চোখ থেকে কপোল গড়িয়ে একটা পানিপথও এঁকেছিলে। একটা বিরহ উপাখ্যান বুকের মধ্যে জমিয়ে রেখে বলতে ভুলে গিয়েছিলে। এই ভুলে যাওয়াটা ইচ্ছাকৃত ছিল।
পায়ের পর পা রেখে পথের কোলে চিহ্ন এঁকে চলা তোমার সে পথের সাথি যেজন ছিল, তাকেও ছেড়ে যেতে হবে ভেবেই তোমার চোখে স্রোতের ধারা নেমেছিল। তুমি আড়াল করেছিলে। যে আড়াল মেঘ তার চাঁদকে করে রাখে সময়ের দোলাচলে। মেঘের আড়াল থেকে না হয় নিজেকে রক্ষা করে দোলায় উঠে যাওয়া যায় কিন্তু মুছে ফেলা যায় না হয়তো যা, ভেসে চলে মনের ধুলোঝরা পথে-পথে।
সত্যি-মিথ্যার খেলাচ্ছলে নিজেকে নিয়ে বড় কোনো আয়োজন করতে গেলেই চোখের জলে যে কপোলে পানিপথ হয়ে যায় তার গায়ে রক্তিম আভায় এখন আর হাসি ফোটে না। মনঘোর মেঘদিন এসে রোদমুখো দিন ঢেকে দেয়। স্মৃতি তার পড়ে থাকে পথের ধুলোয়।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৬
সকাল রয় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: সৃতি বড় বেদনাদায়ক।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৮
সকাল রয় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:১৯
ওমেরা বলেছেন: জীবনের সব কিছু কি আর ভুলা য়ায় কিছু স্মৃতি রয়ে যায় অতি গোপনে। লিখাটা ভালই লাগল।