নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বোধহয় সেই ক্ষণজন্মা জন্ম যার প্রভাতে,যার আবেদনে মেঘ ঝরেছিলো আসমান হতে।।

সকাল রয়

কিছুটা প্রকাশিত বাকীটা অপ্রকাশিত

সকাল রয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

র য় ক থা ২০১৯

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৩




পৃথিবীর রাজ্যে অর্থই সর্বময়। ক্ষুধার রাজ্যে অসহায় মানুষ। মানুষের রাজ্যে আমি নিজেও সর্বহারা। কেটে ফেলা জলের পুকুর জুড়ে শুধুই আফসোস শব্দের আস্ফালন। চলে গেলো দুইহাজার উনিশ খ্রিস্টাব্দ। কতো কিছু করার ফাঁদে আসমান ভাসমান হতে হতে আমি এখন দূর নক্ষত্রের পথে। করা হয়নি কোন কিছুই যা করার ছিলো কথা। এরপর আর কখনো করা হয়ে উঠবে না। হারিয়ে ফেলা দীর্ঘ তেত্রিশ বছরে ছিলো না বড় প্রাপ্তি সেটা বলা যাবে না, ছিলো যা প্রাপ্তি হলো, তা দিয়ে জীবনের খাতায় লেখার মতো কিছুই নেই।

বনের যৌবন থেকে একরকম অর্ধচন্দ্র খেয়ে নিজের কক্ষে চলে এসেছিলাম তারপর থেকে বিপরীত মুখে ফেরা হয়নি সেন্ট হেলেন বা সেন্টিনেল দ্বীপের সেই জনসমুদ্রে। একরকম ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবো ভেবে হেঁটে হেঁটে একটা সমুদ্র তৈরী করে ফেলেছি কিন্তু তাতে জলের কোন আশ্রয় নেই। জলের কোন পাহাড় নেই।
লোকে বলে মানুষের প্রতিভা নাকি আটকে রাখা যায় না। আমার বেলায় সেটাই হয়েছে প্রতিভার ফাঁকে আটকে আমি আড়ালে চলে গেছি।

দুই হাজার উনিশ ছিলো প্রকাশ করার স্বকাশ-সকাল এরপর যা হবে তা রবে না লেখা কোন ইতিহাসের পাতায়। কে যেন বলেছিলো, পাহাড়ে পাথর জন্মে এখন মনে হচ্ছে পাহাড়টা আমি পাথরটা আমার ভাগ্য। নিজেকে গড়ে তোলার দিনে খড়ে পুড়ে ঝরে গেলাম আমি। দীর্ঘ তেত্রিশ বছরে আমার বন্ধুর সংখ্যা দেড় ডজনের কিছু বেশী যদিও আমার নিজের কোন সাফল্য নেই তবুও তাদের সাফল্যে আমি সবসময়ই নেপচুনের কক্ষপথ অনুসরণ করেছি।

পিতৃপ্রদত্ত এ জীবন হেলা-ফেলায় অবহেলায় অলাভজনক খেলায়-খেলায় শেষ হয়ে গেলো। প্রতিভা নিয়ে সুকান্ত কবি মরে গেছিলো, ক্ষুদিরামও বিপ্লবী হয়েছিলো কিন্তু তাদের দর্পের কাছে আমি নস্যি হয়েও পৃথিবীর আলোবাতাস খেয়ে নিচ্ছি।
কেউ হয়তো বলবে, অর্থই সব নয়। হতে পারে তাদের পকেটে পর্যাপ্ত অর্থ আছে বলেই। আমার নেই থাকলে জীবনে ইতিহাস লিখে যেতে পারতাম। এখন ক্ষুধার রাজ্যে আমি অর্থহীন, অর্থের রাজ্যে বন্ধুহীন, সম্পর্কের রাজ্যে সঙ্গীহীন। বেঁচে থাকার অদম্য ইচ্ছে নিয়ে একটু একটু করে মরে যাচ্ছি।



__
সুসং নগর, উইলকিংসন রোড
২০১৯/১২/৩১
__

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই ধরণের রচনা কিছুটা বিরক্তিকর

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৩

সকাল রয় বলেছেন: বিরক্তিকর মানুষ ছাড়া এই ধরণের লেখা অসাধারণ প্রতিভাধররা লিখতে পারে না
:)

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: হায় আফসোস নিয়াই জীবন। অর্থই সব একথা সব ক্ষেত্রে ঠিক না। যে বন্ধুহীন তারও বন্ধু থাকে। স্বার্থহীন বন্ধু এক দুজনের বেশি হয় না। বড় কথা আগে নিজেই নিজের বন্ধু হইতে হবে। মানুষ গুরুত্বহীন হয় না। কেউ ন্স কেউ একজন থাকেই যার জন্য বাঁচতে ইচ্ছা করে।

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪২

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: মরে যাওয়ার পর সবার শুভবুদ্ধির উদয় হয়, বেঁচে থাকা আত্মাহীন মানুষদের প্রতি দৃষ্টি দেবার সময় আর কোথায়!

৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষুধা ব্যাপারটা বড় অদ্ভুত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.