![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এলিয়ান না, তবে মাঝে মাঝে মনে হায় অন্য গ্রহ থেকে এসেছি.. ! :-) http://un-realized.blogspot.co.uk
রোহিংগা সমস্যা সম্পূর্ন মায়নমারের সমস্যা। মায়ানমার সরকার যতই অস্বীকার করুক, আমারা সবাই জানি আরাকান মানয়মারের অংশ এবং রোহিংগারা মায়ানমারের নাগরিক। শুধু মাত্র অন্য ধর্মের অনুসারি হওয়ায়, রোহিংগারা মায়ানমারে সমাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে এটা সত্যি হৃদয়স্পর্শী এবং দঃখজনক । প্রতিবেশী দেশ হিসাবে বাংলাদেশ এর প্রভাব বাংলাদেশও পাড়তেছে।
বাংলাদেশের কি এদের কে আশ্রয় দেয়া উচিত ?
এদেশের নিজের জনসংখা ধারন ক্ষমতার বেশী। তাছাড়া, বাংলাদেশে আনেক আগে থেকে রোহিংগা শরণার্থী বসবাশ করতেছে। এদের অনেকে আমাদের নিয়মের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশের পাসপোর্ট করে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী হিসাবে বসবাস করতেছে। আবার অনেকে অস্তত্র ব্যাবসা সহ অনেক অপরাধে জড়িত। কক্সবাজার অঞ্চলের স্থানীয়রা এর চলমান সাক্ষী ।
তারপরেও আমি বলব, আমাদের যতই সমস্যা থাক না কেন, যদি মানবিকতা কে আমরা বিসর্জন দিয়ে, প্রতিবাশীর মানবিক আবেদনে সাড়া না দিয়, তাহলে মানুষ হিসাবে বেচেঁ থাকার সার্থকতা কোথায় ????
বেশি দিন না , চার দশক আগে আমাদের বাব-দাদার একই বিপদে ছিল। পাকিস্থান নামক রাষ্ট্রটা আমাদের নিধনের মিশনে নেমেছেল। বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের সময়, ভারতের রাজনৈতিক সর্মথন নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী রাজ্যগুলো যে ভাবে আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে এগিয়ে এসেছিল এ নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। সেই সময় বিজয় হয়েছিল রাজনীতির উপরে মানবিকতার। এখন আমাদের প্রতিবেশীদের প্রয়োজনে আমার কেমনে মুখ ফিরেয়ে নিয় ???
আমাদের উচিত রোহিংগাদের আশ্রয় দেয়া, মানবিক সাহায্য করা। কিন্তু তা যেন হয় সাময়িক। সেই সাথে বাংলাদেশ সরকারের উচিত, রোহিংগাদের বিষয়ে মায়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা। রোহিংগা সমস্যা সমধানে বাংলাদেশ সরকারের উচিট সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া। এতে করে যা হবে,
১) আন্তর্জাতিক মহলে আমাদের একটা নতুন পরিচিতি হবে।
২) মায়ানমার সরকার রোহিংগাদেরকে বারবার বাংলাদেশী বলে বাংলাদেশকে বারবার অপমান করতেছে তার একটা উচিট জবাব দেওয়া হবে ।
৩) প্রতিবেশীদের কাছে এটা বাণী চলে যাবে যে, বাংলাদেশ একটি বন্ধুপ্রতিম শন্তি প্রিয় মানবিক , পতিবেশী কিন্তু তাই বলে আমাদের গায়ের উপর পরে আমাদের খোচালে আমরা ছেড়ে কথা বলব না।
৪) একদল নির্যাতিত , আশাহীন মানুষের উপকার হবে।
এখন প্রশ্ন ; এ সমস্য কি ভাবে সমধান করা উচিট।
আমার মতে এ সমস্যার সবচেয়ে ভাল সমস্যা রাজনৈতিক সমধান ।বাংলাদেশ সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক মহলের এবং
প্রতিষ্টানের (যেমন: জাতিসংঘ ) এর মাধমে মায়ানমারের উপর রাজনৈতিক চাপ দিয়ে এই দাবি আদায় করা। এর সাথে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয়া। আর তও না হলে , আমি সামরিক উপায়ের পক্ষে কিন্তু তা আন্তর্জাতিক মহলের এবং
প্রতিষ্টানের মাধমে হওয়া উচিত। বাংলাদেশের উচিত হবে না একক ভাবে মিয়ান মারের সাথে যুদ্বে যাওয়া। কারন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মিয়ামারের থেকে অনেক বড়। এতে করে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে বেশী।
আর; রোহিংগাদের অস্ত্র আর প্রশিক্ষন দিয়ে সমর্থন করা হবে খাল কেটে কুমির আনা। এতে করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে সবচেয়ে বেশী। আমাদের দেশে এমনিতে জঙ্গী সমস্যা অনেক বড়। রাশীয়া কে তাড়াতএ, সমারিক সহায়তে দিয় আমেরিকা তালেবাল বানাইছিল। বাকী ইতিহাস সবার জানা। আশা করি আর বেশী বিস্তারিত বলতে হবে না।
সবশেষে বলব, মানুষ হিসাবে আমাদের উচিট যে যতখানি পাড়ি রোহিংগাদের মানবিক সহায়তা করা ।
উপরের লিখাটা সম্পূর্ন আমার নিজের মতামত আর আমি বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য বা সমর্থক নই :
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬
আবু তালেব শেখ বলেছেন: ন্যাটো বাহিনির মত যদি মুসলিমদের একটা যৌথ সামরিক বাহিনী থাকতো তাহলে অনেকটাই বদলে যেত বিশ্ব।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
"উপরের লিখাটা সম্পূর্ন আমার নিজের মতামত আর আমি বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য বা সমর্থক নই : "
-আপনি যে এই পোস্ট লিখেছেন, ও কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন, এটা নিয়ে পুলিশ সার্টিফিকেট দেখানো উচিত।