নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলমানেরা নিজেদের বড় বড় ভুলগুলো বুঝতে পারছে না।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:২৭



এখন বিশ্বের যেসব এলাকা শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিল্প, ইত্যাদিতে পেছনে পড়ে আছে, উহা মোটামুটি মুসলিম এলাকা। ইহার প্রধান কারণ, মুসলমান এলাকার লোকজনের শিক্ষার হার গড়ে, বিশ্বের অন্য এলাকা থেকে কম, ও শিক্ষার মান বেশ নীচু; এছাড়া মুসলিমদের রাজনীতি, অর্থনৈতিক ভাবনা ও সরকারগুলো নিয়ে সমস্যা আছে।

১টা উদাহরণ হলো আফগানিস্তান; আফগানিস্তানের লোকজন রাজতন্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে, গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে আরেকটু ভালো থাকতে চেয়েছিলো; কিন্তু তাদের সঠিক গণতান্ত্রিক দল ছিলো না; তারা রাজাকে সরায়ে গণতন্ত্র আনতে গিয়ে গৃহযুদ্ধের মাঝে আটকে যায়; ৫২ বছর পরে, এখন অবস্হা ভয়ংকর। এখন আফগানিস্তানের মানুষ জানে না, ইহা থেকে কিভাবে বের হতে হবে; অনেকের ধারণা, ইহাই ভালো অবস্হা।

২য় উদাহরণ হলো প্যালেনষ্টাইন; মুসলমানেরা ১ম বিশ্বের যুদ্ধের ফলাফল, ইহার প্রভাব ও ততকালীন রাজনীতি বুঝতে না'পারায়, তারা প্যালেষ্টাইনে ১টি আরব রাষ্ট্র পায়নি। ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর, প্যালেষ্টাইন বৃটিশ কলোনীতে পরিণত হয়; তখকার বিশ্ব রাজনীতি প্যালেষ্টাইনে ২টি রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ছিলো; ইহাকে থামানোর মতো ক্ষমতা আরবদের কিংবা মুসলমানদের ছিলো না; দরকার ছিলো ২ দেশ মেনে নিয়ে, নিজেদের জন্য ১টি রাষ্ট্র গঠন করা। রাষ্ট্র না নিলেও, ইসরায়েল সৃষ্টির সাথে সাথে উহাকে আক্রমণ করা ছিলো ভয়ংকর ভুল; কারণ, ইরায়েলের পক্ষে ছিলো জাতিসংঘ, বৃটেন ও আমেরিকা।

৩য় উদাহরণ হচ্ছে সিরিয়া; সিরিয়া ছিলো আরবদের মাঝে সবচেয়ে স্হিতিশীল দেশ; ইহা কোনভাবে নতুন সৃষ্ট ইসরায়েলের বিপক্ষে যুদ্ধে যাওয়া ঠিক হয়নি। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর, আমেরিকা ও ইউরোপ কোন অবস্হায় নতুন যুদ্ধে কোন জড়াতে চাহেনি। মিশর, জর্ডান ও সিরিয়া সমবেতভাবে যুদ্ধে নামা বড় ধরণের ভুলো ছিলো। ভুল মিশরও করেছিলো, মিশরও ইহার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই যুদ্ধের কারনে ততকালীন পপুলার প্রেসিডেন্ট গামায়েল নাসের'এর বিপক্ষে সেনা বাহিনীকে লাগিয়ে দেয় আমেরিকা।

এখন মুসলমানেরা জানে না, কি করে সিরিয়া, প্যালেষ্টাইন ও আফগানিস্তানের সমস্যার সমাধান করতে হবে; আপাতত কোন সঠিক পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।


মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:১১

ঈশ্বরকণা বলেছেন: আচ্ছা, এতো যে বলছি জেনে বুঝে লেখেন তা সেটা করছেন না কেন ? মিডল ইস্টের মুসলিম দেশগুলো চুপ থাকলেই কি আন্তর্জাতিক রাজনীতির থেকে মুক্ত থেকে উন্নয়ন চালাতে পারবে ? সিরিয়া ইসরাইলের ব্যাপারে চুপ থাকলেও ওখানে তান্ডব হতোই গণতন্ত্রন প্রতিষ্ঠার নাম করে । দেশটা ছিন্ন ভিন্ন হততোই জিও পলিটিকাল দ্বন্দ্বের বলি হয়ে । আরব বসন্তের দেশগুলো ---বাহরাইন, কাতার, আরব আমিরাত, কুয়েত এই সব কোনো দেশি সত্যিকার ভাবে ইসরাইলের বিরোধিতা কখনো করেনি কিন্তু তাতে আরব বসন্তের উস্কানি কি থামানো গেছে ? মিশর প্রায় পঞ্চাশবছরের সামরিক শাসন ভেঙে গণতন্ত্রের পথে এগুলো মুরসির সময় । তাতে কি গণতন্ত্র ধরে রাখা গেছে উন্নয়নের জন্য ? আমেরিকান মুসলিম বিদ্বেষী কনজারভেটিভ কোনো রিপাবলিকান সরকারের প্রশ্রয়ে নয় স্বয়ং শান্তির কথা বলে ক্ষমতায় আসা শান্তির জন্য নোবেল পুরুস্কার পাওয়া ডেমিক্রেটিক প্রেসিডেন্ট ওবামা আর তার সারা জীবন ডেমোক্রেটিক মূল্যবোধের ধারক বাহক সেক্রেটারি অফ স্টেট্ হিলারি ক্লিনটনের পাহারা দারিত্বে মিশরের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করা হয়েছে ! ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণ করেছিল মুরসি বা আমেরিকার বিরুদ্ধে ? মোটেই না ।তবুও তাকে সরে যেতে হলো ইসরাইলের ব্যাপারে আমেরিকান পক্ষপাতিত্বের কারণে। ক্লিনটনের সময় থেকেই দুইদেশ ফর্মুলা মেনে নিয়ে ইয়াসির আরাফাততো শান্তিতে নোবেল পুরুস্কার পেলো আইজ্যাক সামিরের (বা রবিনের) সাথে। তাতে কি ইসরাইলি তান্ডব কমেছে না কমাবার কোনো অঙ্গীকার আছে নেতানিয়াহুর ? বুজে সুঝে বলুন যা বলছেন ।

"এখন বিশ্বের যেসব এলাকা শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিল্প, ইত্যাদিতে পেছনে পড়ে আছে, উহা মোটামুটি মুসলিম এলাকা" এইসব গড়পড়তা কথা বলা আর শেষ হলো না আপনার আশ্চর্য ! ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলো কোনোটাই মুসলিম নয় ।তাদের বেশিরভাগেরইতো অবস্থা ভীষণ খারাপ অতি দারিদ্র্যের কাৰণে ।আমেরিকান সাদার্ন বর্ডারের রিপোর্টগুলো কি দেখেন না ?ওখানের মানুষগুলো কি ইসলামিক দেশগুলো থেকে যেয়ে জড়ো হয়েছে? তারা সবাই ল্যাটিন আমেরিকান আর ক্যারিবিয়ান পিপল। আফ্রিকান কোন ক্রিশ্চান ডোমিনেটেড দেশের অবস্থা ইসলামিক দেশগুলোর তুলনার ভালো ? সব কিছুতেই শুধু ইসলামকে দায়ী করলে হবে ? জিওপলিটিকাল কনফ্লিক্ট, ইসলামের সাথে প্রক্সি যুদ্ধ যেটা পনেরোশো বছর আগে থেকেই শুরু হয়েছে ক্রুসেডের থেকে সেটা বোঝার চেষ্টা করুন তারপর ইসলামিক দেশগুলোর অর্থনীতি রাজনীতি উন্নয়ন নিয়েই না হয় লিখবেন। এখন থেকে রাজনীতি অর্থিনীতি নিয়ে লিখতে চাইলে এই গৎবাঁধা বয়ানগুলো চেঞ্জ করুন একটু ।আপনার লেখা ইদানিং খুবই নিম্নমানের আর বিরক্তিকর লাগে কম্পারেটিভ পিকচারটা না বুঝেই অর্থনীতি, উন্নয়নের ইস্যুগুলোতে শুধু ইসলামের জূজূ দেখেন বলে ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:



মুসলমানদের মাঝে আপনার মতো আরো কিছু প্রাজ্ঞ লোক থাকলে, সবার অবস্হা রোহিংগাদের মতো হতো।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৫৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনি নিজে কি নিজের ভুল কখনো বুঝতে পেরেছেন ????

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:


আমি চেষ্টা করি নিজের ভুলগুলোকে যথাসাধ্য শোধরাতে; আপনার ভালো দিক হলো, আপনার ভুল হয় না।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:২২

কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের এই ভুল আমরা ককনো শোধরাতে পারবো না কারন আমাদের গোড়ায় গলদ।পৃথিবীর প্রায় সব দেশ ধর্মকে রাজনীতি থেকে বাদ দিয়েছে কিন্তু আমরা যতদিন যাচ্ছে ততবেশী আকড়ে ধরছি ধর্মকে। আমাদের অনেকের ধারনা,পশুচিমারা মনে হয় আরবি বোঝে না।কিন্তু এখন তারা সব বেঝে।এইযে দিনে পাঁচবার আমরা তাদের অভিশাপ দেই ইহুদি নাসারা বলে।তারা জাহান্নামী ইত্যাদি ইত্যাদি বলে, এখন তারা সব বেঝে।জিহাদকে ফরজ করা হয়েছে,জিহাদ অর্থকি তারা এটাও বোঝে।
একদিন সারা বিশ্ব মুসলমানের হবে এটাও তারা জেনে গেছে।তাই যতদিন আমরা আমাদের ধর্মকে রিফর্ম না করবো ততদিন বাকি বিশ্ব আমাদের ভালোচোখে দেখবে না।কোন একটা দেশ কিছুটা উন্নতি করলেই তাদের কে একশত বছর পিছনে ফেলে দিবে।তার উত্কৃষ্ট উদাহরন সিরিয়া,লিবিয়া,মিশর,ইরাক,পাকিস্তান,ইন্দোনেশিয়া।সারা পৃথিবী একদিকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র শক্তি মুসলিম দেশগুলি এক দিকে।
বাইতুল মোকাররমে শুক্রবারে মনে হয় তারাই পৃথিবী শ্রেষ্ট শক্তি।মাওলানা ভাসানী ঠিকই বলতো,ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধীরাম সর্দার।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:



ধর্মের শুরটা (আব্রাহামিক ) ছিলো জুডাইজম থেকে; ওরা ধর্ম মানছে, খৃষ্টানরা ধর্ম মানছে, মুসলমানেরাও মানুক; কিন্তু বিশ্বের সাথে চলতে হলে ওদের সম পরিমাণ জ্ঞান তো থাকতে হবে।

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৩৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: আমি চেষ্টা করি নিজের ভুলগুলোকে যথাসাধ্য শোধরাতে; আপনার ভালো দিক হলো, আপনার ভুল হয় না- এই কথা আপনার মতো বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর সবাই বুুঝলে এই গ্রহে মানূষ শান্তিতে থাকতে পারতো।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



ব্লগারেরা বুঝার শুরু করেছে।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার প্রতি মন্তব্য বোঝার ক্ষমতা আমাদের অনেকের নাই।তাহলে ২নং মন্তব্যের উত্তরে আপনি যা বলেছেন তার উত্তরে সে ৪নং মন্তব্যে এ কথা লিখতো না।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:০২

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি মন্তব্য ছোট রাখতে চাই, এতে সমস্যা হতেও পারে।

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৪৯

ঈশ্বরকণা বলেছেন: মন্তব্যের ঠিকঠাক মতো প্রতিউত্তর না করে উদ্ভট কথা বলা আপনার স্বভাব আবারো দেখালেন আর নিজের জ্ঞানগম্যির চিচিং ফাক করে দিলেন হাঃ হাঃ হাঃ ! কি আর করা যাবে যেমন ব্লগার তেমন তার পোস্ট তেমন তার প্রতিমন্তব্য ! এটা আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখেছেন সেই বিষয় সম্পর্কে না জানার,পড়াশোনার অভাবেই হয় সেটা কিন্তু 'গলু'র সাথে আপনার মিল দেখি যে কেউ বুঝবে । কে প্রাজ্ঞ আর কে নয় সেটা নিয়েতো আমি কিছু বলিনি ।আমি ল্যাটিন আমেরিকার পোভার্টির কথা বলেছি এটা বলার জন্য যে ওই দেশগুলো নন ইসলামিক তবুও এক্সট্রিম পোভার্টির মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে । আরাফাতের দুই দেশ ভিত্তিক সমাধান মেনে নেবার পরেও ইসরাইলি তান্ডবের কথা আর সে নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থনের কথা বলেছি যেগুলোই আসলে মিডিল ইষ্টের মুসলিম দেশগুলোর উন্নয়নের অন্তরায়। এগুলোতো সবই কারেক্ট হিস্ট্রির কথা ।নতুন কিছুতো বলিনি । আপনি পোস্টে পুরোই গ্রিকদের একচক্ষু রাক্ষস সাইক্লোপ্সের মতো ইতিহাসের এক দিকের কথাই বললেন । তার বাইরেও যে আরো কিছু ইতিহাস আছে যে গুলো এই ডেভলপমেন্ট প্রসেসে আলোচনা করা দরকার সেটা বুঝতেও মনে হয় পারছেন না । সে নিয়ে একটা ওয়ার্ডও তো বলেননি বরং কিছু না বলতে পেরে উল্টো নোংরা আক্রমণ করলেন । অনল চোধুরী সাহেব নিশ্চই আপনার এই পোস্ট পড়েই প্রাসঙ্গিক মন্তব্যটা করেছিলেন।তার উত্তরেও আপনার নোংরা উত্তরই সম্বল ! কেউ কি জাদিদকে এই প্রতিমন্তব্যগুলো দেখা দরকার সেটা বলবে নাকি ? চাউ ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



ল্যাটিন আমেরিকা কিছু লোকজন মুলত আদিবাসীদের 'প্ল্যান করে দরিদ্র করে রেখেছে, তাদেরকে দাস হিসেবে ব্যব হার করার জন্য; ওদের পড়ালেখার অবস্হা মুসলমানদের চেয়েও খারাপ।" আমাদের ব্যুরোক্রেটরা ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকা থেকে দেশ চালনা শিখেছে।

আমি মুসলামনদের ২/৪টা বড় ভুলের কথা বলেছি, যেগুলোর সমাধান বের করা সম্ভব।

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২৫

মৌন পাঠক বলেছেন: সামুতে ছোট্ট একটা লেখা লিখছিলাম, কিছু বিষয় নিয়া

https://www.somewhereinblog.net/blog/asanaim/30320553

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার সর্বশেষ পোষ্ট, কবিতাটি পড়েছি; সাহিত্যের কঠিনতম শাখায় আপনার বিচরণ।

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৩

মৌন পাঠক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার এই পোস্ট এ আমি যে লিংকটি শেয়ার করেছি, সেটি হয়তোবা আপনার এই পোস্টের অনেকের মন্তব্য এর উত্তর কভার করে, প্রাসংজ্ঞিক মনে হওয়ায় দেয়া আর কি।

মন্তব্য আকারে দেয়া যায় কিনা দেখি।

৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৪

মৌন পাঠক বলেছেন: ফিলিস্তিন- ইসরাইল, ইসরাইল- হামাস, হামাস-ফাতাহ।
২০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬
মূল পোস্টের লিংকঃ (Click This Link)
মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছে, এটা ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ, গাজা ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। গত কয়েকদিনের সংঘর্ষ দেখে মনে হচ্ছে, হামাস তো বেশ প্রিপেয়ার্ড, ভালই জবাব দিচ্ছে, এমনকি, ইসরায়েলের এক জেনারেলও স্বীকার করেছে হামাসের এই প্রভূত উন্নতি।

প্রশ্ন হচ্ছে, ইসরাইলী ওই জেনারেল যা বলেছে, তা কতটুক সত্যি, হতে পারে সে তার পরবর্তী হামলাকে বৈধতা দেয়ার অস্ত্র "আত্মরক্ষা"র ধোয়া তুলতেই এই কথা বলেছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, সবল যখন বেপরোয়া হয়ে ওঠে, তখন দুর্বলের করণীয় কী?
কৌশলী হওয়া,
বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় জোড় দেওয়া,
নিজেকে স্বাবলম্বী করা,
ভবিষ্যৎ যুদ্ধের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা,
মূল সমস্যাকে এপ্রোচ করা…

আচ্ছা ধরে নিলাম, এই যুদ্ধের অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ হামাস নিজেকে স্বাবলম্বী এবং ভবিষ্যত যুদ্ধের জন্য নিজেকে প্রস্তুত বলে মনে করে, তবে তাদের করনীয় কি?

দুর্বল যদি নিজেকে স্বাবলম্বী এবং ভবিষ্যৎ যুদ্ধের জন্য নিজেকে প্রস্তুত বলে মনে করে আর সেই ভবিষ্যৎ যুদ্ধটাই যদি বর্তমান হয়, তখন তাদের করণীয় কী?

কেউ যদি নিজেকে সে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত মনে করে, তবে তার করনীয় তাকে নিজেকেই ঠিক করতে হবে, কেননা যুদ্ধটা একান্তই তার নিজের, আর হ্যা, তাকে অবশ্যই তার করণীয় সম্বন্ধে সতর্ক হতে হবে, কেননা, সামান্য ভুল মারাত্মক পরিণতির কারণ হবে।

বর্তমান সময়ে, বিশেষ করে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, সাধারণত কাছাকাছি বা এট লিস্ট পালটা জবাব দেবার সক্ষমতা রাখে এমন দেশসমূহ পরস্পরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয় না, আলোচনার টেবিলে তারা সকল সমস্যার সমাধান করে, কেননা তারা জানে যুদ্ধের পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে, যেমনঃ যুক্তরাষ্ট্র- রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র- চীণ ইত্যাদি।

যেসকল ক্ষেত্রে এক পক্ষ তুলনামূলক অধিকতর দুর্বল সেখানেই আক্রমণ করা হয়, এর মূল উদ্দেশ্য একটাই, সেটা হচ্ছে প্রত্যেকটা যুদ্ধে বা সংঘর্ষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যতটা পারা যায় মিনিমাইজ করা।

আলোচ্য দুই পক্ষের মধ্যে, একটা পক্ষ (ইসরাইল) সংঘাতে তাদের ক্ষয়ক্ষতি মিনিমাইজ করার জন্য পদক্ষেপ (আয়রন ডোম) নিয়েছে, অপর পক্ষ নিয়েছে কিনা, সে আমার জানা নাই, আর সেই পক্ষ ক্ষয়ক্ষতি মিনিমাইজ করার জন্য যদি কোন পদক্ষেপ না নিয়ে থাকে তবে আমার দৃষ্টিতে সে প্রিপেয়ারড না।

আরেকটা বিষয়ে আলোকপাত না করলেই না; যুদ্ধ হয় দুটো রাষ্ট্রের মধ্যে, আলোচ্য ক্ষেত্রে সে যুদ্ধ হওয়ার কথা ফিলিস্তিন ও ইজরায়েলের মধ্যে, কিন্তু বর্তমান যে সংঘর্ষ চলছে, তা চলছে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে। বর্তমানে ফিলিস্তিনে ক্ষমতায় আছে ফাতাহ এবং তারাই সারাবিশ্বে ফিলিস্তিনকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং তারাই সারাবিশ্বে ফিলিস্তিনের বৈধ অথোরিটি বলে স্বীকৃত, সুতরাং, এখানে প্রশ্ন আসে হামাস কে ?

ধরুন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের বিভিন্ন কনফ্লিক্টের জন্য ভারতের উলফা বা পশ্চিম বংগের বামেরা বাংলাদেশে হামলা চালাল, এর জন্য কি আমরা বলতে পারব ভারত বাংলাদেশে আক্রমণ করেছে, বা এই যুদ্ধটা ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধ। আমরা সেটা বলতে পারবনা, আমরা বড়জোর যেটা আন-অফিসিয়ালি বলতে পারব সে হচ্ছে, “ভারতের সায় না থাকলে উলফা হামলা চালাতে পারত না” অথবা “ভারত সরকারের ইন্ধনে উলফা এই হামলা চালিয়েছে”। ভারত বরারবরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলছে।

আচ্ছা, ভারত কি এই হামলার দায়ভার নেবে?
কখনই না, তারা বরং উলফা গোষ্ঠীকে দমন করার চেষ্টা করবে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যখন তাজউদ্দীন আহমেদ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্ধীরা গান্ধীর নিকট সাহায্যের জন্য যান, তখন ইন্ধীরা গান্ধী তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রবাসী সরকার গঠনের পরামর্শ দেন, এই প্রবাসী সরকারকে সাহায্য করলে তা একটা বৈধ কাঠামোকে সাহায্য করা নির্দেশ করে, নইলে এই সাহায্যকে পাকিস্তান তাদের রাষ্ট্রীয় আভ্যন্তরীন বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ বলে প্রমাণ করতে পারত, তারা সে চেষ্টা করেছে বটে, কিন্তু প্রবাসী সরকার থাকায় পাকিস্তানের পক্ষে "মুক্তিযুদ্ধকে" পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ সমস্যা ও "মুক্তিবাহিনীকে" বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

এবারে ফিলিস্তিনের দিকে আবার ফিরে যাই; রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের যা কিছু অর্জন, যেমনঃ ১৩৫ টি দেশের স্বীকৃতি আদায়, জাতিসংঘের স্বীকৃতি, ২০০৫ এ গাজা থেকে ইসরায়েলী সেনা প্রত্যাহার, তা মূলত ফাতাহ এর নেতৃত্বে; আর হামাসের অর্জন মাঝে মাঝে কিছু মিসাইল ছুড়ে মারা, পরিণতিতে ইজরায়েলের ৫ জনের বিপরীতে ফিলিস্তিনের ১০০ জন এর প্রাণহানী।

একটা প্রশ্ন করি ফিলিস্তিনের সাথে হামাসের সম্পর্ক কেমন?
২০০৭ এ হামাস ফাতাহ ও ফাতাহ নিয়ন্ত্রিত পিএলও কে বিতাড়িত করে গাজার নিয়ন্ত্রন নেয়, আর আজ পর্যন্ত ফাতাহ- হামাস সংকট বিরাজমান।
স্বাধীনতা সংগ্রামই যেখানে সকলের মুখ্য উদেশ্য, সেখানে ফাতাহ রেখে হামাসকে আলাদা দল কেন গঠন করতে হল?

আমি আগেই বলেছি দুর্বল প্রতিপক্ষের করনীয় সম্বন্ধে, যখন প্রতিপক্ষ অনেক বেশী ক্ষমতাবান (আরব-ইসরাইল সংঘর্ষ ৪৮, ৫৬, ৬৭, ৭৩, ৮২ ও ২০০৬ এ ইসরাইল জয়ী হয়েছিল), ঠিক এরূপ পরিস্থিতিতে কার এপ্রোচটা সঠিক মনে হচ্ছে?

মোটের উপর হামাসের ভূমিকাটা কি?
আসলে হামাস কি একটা ন্যয়সংগত সংগ্রামকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে না, এই আন্দোলনের গ্রহণযোগ্যতা সারা বিশ্বের নিকট প্রশ্নবিদ্ধ করছে না?

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস নিজেও মনে করেন, হামাসের মিসাইল হামলা বরং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অগ্রগতিকে ব্যাহত করছে।


(ফিলিস্তিনে যা হচ্ছে, সে বিষয়ে আমরা সকলেই অবগত, এবং বরাবরের মতই আমি শোষিতের পক্ষে, সে মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, রোহিঙ্গা, কাশ্মীর, আফগানিস্তান, বাংলাদেশের নাসিরনগর, বিবাড়িয়া প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে; মোদ্দাকথা হচ্ছে যেখানেই মানবতা ও মানুষ বিপন্ন, সেখানেই আমই সেই বিপন্ন মানুষের পক্ষে, আর যুদ্ধের প্রচণ্ডরকম বিপক্ষে, যুদ্ধ পৃথিবীকে ভাল মন্দ যাই দিক না কেন, সাথে দেয় সীমাহীন ধ্বংস আর মৃত্যু।)

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭

সোনাগাজী বলেছেন:


পড়লাম।
আমি আগেও পড়েছি ও মন্তব্য করেছি।

১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬

নাহল তরকারি বলেছেন: আহারে....।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি রাজনীতির ছাত্র, কোন বক্তব্য নেই?

১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

রানার ব্লগ বলেছেন: মুসলমানরা বড়াবড় ঘ্যাড় ত্যাড়া জাতি তাদের এই ত্যাড়ামি আরবদের কাছ থেকে আসছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আরবেরা সমান্তবাদে ভালো করেছিলো, এখন ভালো করছে না।

১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৪

নতুন বলেছেন: আরবরা বেশি শিক্ষিত না তাই তাদের মাথায় ছড়ি ঘুরানো সহজ।

আমেরিকার সম্রাজ্যবাদ টিকিয়ে রাখার জন্য মুসলিম দেশ গুলিকে টারগেট করেছিলো। কিন্তু এখন চায়না বড় হুমকি হিসেবে আসাতে মুসলমানদের সাথে আমেরিকা ঝামেলায় যাবেনা বরং তাদের সাথে রাখতে চাইবে চৈনিক সম্রাজ ঠেকাতে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫০

সোনাগাজী বলেছেন:




চীনারা মানব সভ্যতাকে দখল করে, শেষে ধ্বংস করে দিতে পারে।

১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমরা নিজেরাই তো উন্নতি করতে পারলাম না, মধ্যপ্রাচ্চ্যের কথা আর কি বলবো। তবে মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে মালশিয়া দ্রুত উন্নতি করেছে, ইন্দোনেশিয়াও এগিয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয় প্রচীন ধ্যান ধারণা থেকে যে সকল রাষ্ট্র বের হতে পেরেছে তারাই শুধু উন্নতি করতে পেরেছে। আর প্রাচীন ধ্যান ধারণা থেকে বের হতে হলে আধুনিক শিক্ষার বিকল্প কিছু নেই।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১

সোনাগাজী বলেছেন:



মুসলমানদের রাজনীতিটা সামন্তবাদ ও কলোনিয়েল সিষ্টেমের মতো; সিরিয়ার আসাদ, বাশার, আফগানিস্তানের তালেবান, প্যালেষ্টাইনেশামাস, বাংাদেশের জিয়া, এরশাদ,বেগম জিয়া, শেখ হাসিনা, প্রমুখ দেশকে হয় সামন্তবাদের মতো, কিংবা কলোনীর মতো করে চালায়েছে, চালাচ্ছে।

১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



আপনাকে মুসলমানের প্রতিনিধি বানানো হলে, সমস্যা সমাধান কিভাবে করবেন?রোডম্যাপ কি?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:



মুসলমিম দেশগুলোতে সীমিত আকারের সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি দরকার, শিক্ষা ব্যবস্হা পশ্চিমের মতো ও ফ্রি, সবার জন্য চাকুরী দরকার।

১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আরো বহুদিন পরেও বুঝবে না যেতদিন তৈল আছে তাদের

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:



জ্ঞানের দরকার।

১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমরা মুসলিমরা ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্র তত্ত্বে আটকে আছি।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



দোষী হচ্ছে আমেরিকা, ইসরায়েল ও পশ্চিম; মুসলিম দেশগুলোকে ধ্বংস করছে সরকারগুলো ও ব্যুরোক্রেটরা মিলে।

১৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০২

অনামিকাসুলতানা বলেছেন: অনার্সের একটা ক্লাশে,আমার একজন জাপানিজ শিক্ষক আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন,

ফিলিস্তিন,ইসরায়েল এর সমস্যা সেটা কি কোন ধর্মীয় ইস্যু?

আমি ম নে করি,

ফিলিস্তিন,ইয়েমেন, রোহিঙ্গা, কাশ্মীর, আফগানিস্তান, সিরিয়া, উইঘুর সব জায়গায় যে

সমস্যা তা শুধুই প লিটিক্যাল ইস্যু।

আমরা এই টাকে ধর্মীয় ইস্যু বানায়ে ব্যাপার টাকে জটিল ক রে ফেলছি।

স্যামুয়েল হান্টিংটন এর The Clash of Civilizations থি ওরি টাই যত স মস্যার মুলে। কারণ তিনিই দেখিয়েছেন আধুনিক সভ্যতার শত্রু মুস লিম সভ্যতা। মুসলিমরা ভিন্ন মতাম্বলীদের শ্ত্রু আর মুসলিমরাই সব দেশে যেয়ে মানিয়া নিতে পারে না।

সবাই ধর্মীয় ইস্যুটাকে বড় করে দেখে আর খেলারাম রাজনীতি খেলে যায়।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনার জাপানীজ শিক্ষক আপনার উত্তর শুনে কি বললেন?

আপনাকে যদি আপনার পরিবার পড়তে না'দিতেন, আপনি কি করতে পারতেন? জাপানীজ প্রফেসরের সাথে দেখা হতো? আফগানিস্তান, ইয়েমেন, পাকিস্তান, বাংলাদেশে মেয়েদের পড়ালেখা কখন থেকে শুরু হয়েছে, কি অবস্হায় আছে?

১৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫

রেজাউল৭৬ বলেছেন: যারা ভুল করে, কিন্তু নিজের ভুল বুঝতে পারে না এরা ডোডো।
যারা ভুল করলে নিজের ভুল বুঝতে পেরে শুধরে নেয় এরা জ্ঞানী। যারা ভুল করে না, এরা মহাজ্ঞানী।

সামুতে ডোডোর সংখ্যা বেশি। মুরগি চোর বক্কর বা টিউশনি বাবার মতো দুই একজন জ্ঞানী আছে। আর আপনি মহাজ্ঞানী আছেন। প্রকৃতি এই ভাবেই মনে হয় ব্যালেন্স করে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১২

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনাকে মড়ু দেখে না?

১৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

রেজাউল৭৬ বলেছেন: মহাজ্ঞানী লোকদের রিলেশনশিপের বিষয়ে আপনার আগের পোস্টখানা প্রথম পাতায় দেখছি না , কি হলো?

জুল ভার্ন একখানা আস্তাডোডো । নিজে থেকে সমসাময়িক বিষয়ে লেখার কোন যোগ্যতা নাই। আনন্দবাজার থেকে দেখে ভুলভাল লিখে দিয়েছে। আপনি মাইন্ড খাবেন না ওস্তাদ। মহাজ্ঞানী মনীষীদের এরকম একটু জিং জিং খেলার সখ থাকতেই পারে। এইটা ব্যাপার না।
বাই দ্যা ওয়ে, আপনি ও একজন মহাজ্ঞানী।আপনার সাদাল্লাদ নিয়ে ভ্রুকোটি করে কেউ এরকম পোস্ট দিলে একবার জানাবেন, খবর করে ছেড়ে দিব।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:




আমাকে খারাপ কথা বলার জন্য আপনি ১৫ টার বেশী নিক খুলেছেন, মড়ু কেন ইহা দেখে না!

২০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলিমদের আসল সমস্যা হলো- তাঁরা কোরআন হাদিসের বাইরে আর কিছু জানতে চায় না। বুঝতে চায় না। এজন্য তাঁরা সেই ১৪শ' বছর পেছনেই পরে আছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

সোনাগাজী বলেছেন:



কোরান ও হাদিসে যা আছে, উহা ছিলো আরবের বেদুইনদের জন্য; এখন আরবের অনেক দেশের বেদুইনরা স্হায়ী আরবে পরিণত হয়েছে।

২১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলমানরা সারা জীবন মুসলমানই থাকবে। ''মানুষ'' হতে পারবে না।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:



আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সিরিয়া ও আফ্রিকার মুসলমানদের অবস্হা ভয়ানক।

২২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:১৭

ঈশ্বরকণা বলেছেন: রাজীব নূর, ব্লগে কঠিন ভাবে আমি সাধারণত কিছু বলতে চাই না কাউকে, কিন্তু আপনি ভব্যতার ধার ধরছেন না ইদানিং তাই বলতেই হচ্ছে। আপনার কথা অনুযায়ী "মুসলমানরা সারা জীবন মুসলমানই থাকবে। ''মানুষ'' হতে পারবে না" কথাটা যদি সত্যি হয় তাহলে আপনার মরহুম বাবা বা দাদা কি নাস্তিক ছিল না অ-মানুষ ছিল (উনারা মুসলিম ছিল নামাজ রোজা করতেন ধরে নিচ্ছি)? আপনার মতে আপনার মা ?তার কি অবস্থা ?আপনার থিয়োরি অনুযায়ী উনাকেও আরেকজন অমানুষ (ধরে নিচ্ছি আপনার মা-ও নামাজ রোজা করতেন) বলছেন নাকি আপনি ? মুসলিমরা যদি 'মানুষ' না হয় তাহলে আপনার মরহুম বাবা, দাদা, অথবা আপনার মা-ও কিন্তু মানুষ হতে পারেন না তাদের কিন্তু অমানুষ হতে হবে ।কারণ আপনি সম্ভবত লিখেছিলেন আপনার বাবা দাদা-র নামাজ রোজা করার কথা তার মানে তারা মুসলিম ছিলে! সোনা সাহেব, আপনার পেয়ারা ব্লগার রাজীবনুরকে এই প্রশ্ন দুটোর উত্তর দিতে বলবেন প্লিজ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৫০

সোনাগাজী বলেছেন:



মানুষ জন্ম নেয়ার পর, পরিবার তাকে ধর্ম দেয়।

মানুষ যখন জন্মে, তার কোন ধর্ম ( মানব সৃষ্ট )থাকে না; তখন সে মানুষ, মুসলমান বা অন্য কোন পরিচয় তার নেই।

২৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:২৫

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: আমি আপনার শিরোনামের সাথে একমত। আমরাও মুসলমান এবং আমরাও আমাদের ভুলগুলো কয়েকশ বছর ধরে বুঝতে পারছি না।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশকে ধ্বংস করে জেনারেল জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনা।

২৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৪৩

ঈশ্বরকণা বলেছেন: আমি রাজীব নূরের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম । আপনাকে তবুও ধন্যবাদ ।

২৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৫৯

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: আর যিনি বলেন, সবাই পায় সোনার খনি আর আমি পাই চোরের খনি। উনার কি ভুলগুলো কি ছিলো? অথবা পাকিস্তান আমলে মুসলমান হিসাবে আমাদের ভুলগুলো কি ছিলো। আরো পিছনে গেলে ব্রিটিশ আমলে মুসলমানদের কি ভুলগুলো ছিলো? সেসব ভুলের ধারাবাহিক প্রভাব কি বর্তমানে নেই?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২১

সোনাগাজী বলেছেন:


কলোনিয়েল যুগে মুসলমানদের বড় ভুল ছিলো "ইংরেজী না শেখা ও স্কুল কলেজ না করে মাদ্রাসা করা"। পাকিস্তানের নেতা:জিন্নাহ সাহবে নতুন দেশের "সরকারী চাকুরীতে উর্দুকে ভাষা করে বেকুবীর পরিচয় দেন"; অন্য নেতা লিয়াকত আলী খান "কাশ্মীর দখল করতে গিয়ে, কাশ্মীরের লোকদের স্বাধীনতার সুযোগ আজীবনের জন্য নষ্ট করে দেন।"

শেখ সাহবের বড় ভুল ১৯৭২ সাল থেকে "ফ্রি এডুকেশন চালু না করা"।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.