নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখনো ধর্মীয় ঐক্য সম্ভব?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫৬



আধুনিক যুগেও ধর্ম ঐক্যের সৃষ্টি করতে পারে, উহার উদাহরণ হচ্ছে, ইসরায়েল ও সাম্প্রতিক সময়ের ভারত; ইসরায়েল দেশটি গঠিত হয়েছে ধর্মীয় ঐক্যের কারণে; ভারতের রাজনৈতিক দল বিজেপি ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করে ভোটে জয়ী হয়েছিলো ও হচ্ছে। সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, ইয়েমেন ও আফ্রিকার জন্য ধর্ম ভয়ংকর সমস্যা: তদের জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করেছে ধর্ম, এখন এরা সবাই মোটামুটি গৃহযুদ্ধের মাঝে আছে।

আসলে, ইসলামও ঐক্যের সৃষ্টি করেছিলো; ইসলামের ঐক্য ১ম আরব সাম্রাজ্যের সৃষ্টি করেছিলো। ইরানে শাহ বিরোধী বিপ্লবেও ধর্ম কাজ করেছে, এখনো কাজ করছে। কিন্তু ইহা বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতো দেশে কখনো ঐক্য আনতে সমর্থ হবে না; ১৯৭১ সালে ইহা প্রমানিত হয়েছে।

ইসরায়েলের জন্য ইহা কেন কাজ করছে, ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে ইহা কিভাবে কাজ করছে? প্রথমত, এই ২টি ধর্মকে সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে সাজানো হচ্ছে; এরপর, এই ধর্মের লোকেরা আধুনিক শিক্ষায় ও টেকনোলোজীতে খুবই ভালো করছে। মুসলমানেরা জেনে, কিংবা না'জেনে, বলে আসছে যে, ইহুদীরা ও খৃষ্টানরা তাদের ধর্মীয় পুস্তককে বদলায়ে ফেলেছে; আসলে, বই বদলানো সম্ভব নয়, এই ২ ধর্মের মানুষদের আচরণ অনেক বদলে গেছে।

হিন্দু ধর্মে বিশাল ও দরকারী পরিবর্তন সাধিত হয় বৃটিশ কলোনিয়েল যুগে; এ'ছাড়া, শিক্ষিত হিন্দুরা এই ধর্মের অনেক অপ্রয়োজনীয় রীতিনীতিকে আধুনিক সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন করে নিয়েছে। হিন্দু ধর্মে সময়ের সাথে আরো বড় ধরণের পরিবর্তন আসবে। তবে, ধর্ম নিরপেক্ষ ভারতে ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের শাসন এই দেশের উন্নয়নকে বেশ সময়ের জন্য স্হবির করে দেয়ার বেশ সম্ভাবনা আছে।

ইসলাম যেই ধরণের রীতিনীতি ও আচরণ ধরে রেখেছে, ইহা ঐক্যের বদলে অনৈক্যের সৃষ্টি করে চলেছে; এভাবে চলতে থাকলে, ইহা মুসলিম এলাকাগুলোকে আবারো সামন্তবাদের দিকে নিয়ে যাবে।


মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: ঐক্য সম্ভব কিন্তু সাময়িক।খৃষ্টান এবং হিন্দুরা ধর্মে কিছু সংস্কার করেছে।মোসলমান এবং ইহুদিরা করেনাই।ইসলাম ধর্মে রিফর্ম করা সম্ভব না।এই ধর্মে মৌলবাদীর সংখ্যা বেশি।সৌদী আমেরিকার চাপে পরে কিছুটা করছে।এই দেশগুলিতে গনতন্ত্র থাকলে কিছুটা পরিবর্তন হতো।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:



ইহুদীরা সবচয়ে বড় পরিবর্তন এনেছে শিক্ষায়; আগে তাদেরকে "ইয়াসিভা" ( অনেকটা মাদ্রাসার মতো ) শেষ করতে হতো প্রথমে; এখন উহার দরকারনেই। ইহুদীরা খুবই গুরুত্বপুর্ণ পরিবর্তন এনেছে নারীর অধিকারে; তারপর, বড় পরিবর্তন এনেছে কাপড়ে: আগের কাপড়ে তদের চেনা যেতো, এতে তাদের সিকিউরিটি হুমকি মুখে ছিলো। আগে, ধর্মনিরপেক্ষদিগকে সমাজচ্যুত করা হতো।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ধর্ম মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে, মানবতার শিক্ষা দেয়, কিন্তু এই ঐক্যবদ্ধতা এবং মানবিকতার আড়ালে ধর্ম মানুষকে অজ্ঞতা এবং অন্ধত্বতাও শিক্ষা দেয় আর এজন্য সবগুলো ধর্ম সমানভাবে দায়ী। বর্তমান বিশ্বের ধর্মহীন মানুষগুলো যথেষ্ট মানবিক এবং চিন্তাশীল। আমি মনে করি পরবর্তী প্রজন্ম ধর্মীয় ভাবধারা ছাড়া খুব ভালোভাবেই জীবন যাপন করবে, এবং তারা পুরোনো এসব কাল্পনিক বই পুস্তকগুলো সব ছুড়ে ফেলে দিবে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২৪

সোনাগাজী বলেছেন:



এখন, সময়ের সাথে সভ্যতা দ্রুত বদলাচ্ছে, ইহা ধর্মকেও বদলায়ে দেবে। তা' না'ঘটলে, সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরাক, আফগানিস্তান, ইত্যাদি জাতি হিসেবে টিকবে না, ভেংগে যাবে।

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:১৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সময়ের সাথে সভ্যতা দ্রুত বদলাচ্ছে, ইহা ধর্মকেও বদলায়ে দেবে।

বদলায়ে দেবে আর কি, অলরেডি বেশ বদলিয়ে দিয়েছে- আপনি ৫০ বছর আগের ধর্মীয় রীতিনীতি আর বর্তমান সময়ের রীতিনীতির মধ্যে বিস্তর পার্থক্য লক্ষ করবেন। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ের ধর্মীয় ব্যাখ্যা সময়ের সাথে সাথে মানুষ গুজামিল দিয়ে বর্তমান সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়। মানুষ হয়তো এটা করে নিজ নিজ ধর্মকে টিকিয়ে রাখার জন্য, এটাকে ধর্মীয় বিবর্তন বলা যেতে পারে। এক সময় ধর্ম থেকেই মানুষ শিখেছে পৃথবী স্থির, পৃথবীই মহাবিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু, সুর্যই পৃথবীর চারদিকে ঘোরে ইত্যাদি, কিন্তু বর্তমান সময়ের কোন ধর্মই তা স্বীকার করে না, বলে ওসব ভুল ব্যাখ্যা আসল ব্যাখ্যা হচ্ছে এটা। একসময় যে সকল ধর্মীয় গুরু বিগ ব্যাং এর নাম কখনো কল্পনাও করেনি আজ তারা ধর্মগ্রন্থ থেকে বিগ ব্যাং এর তত্ব আবিষ্কার করে দেখায়। যে কোন ধর্মগ্রন্থের ৫০/১০০ বছর আগের অনুবাদ আর বর্তমান সময়ের অনুবাদের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। সুতরাং দেখা যাচ্ছে ধর্ম কখনোও সভ্যতাকে আকরে ধরে রাখতে পারেনি, বরং ধর্মই সভ্যতার সাথে সাথে পরিবর্তন হতে বাধ্য হচ্ছে। ইদানিং কেউ কেউ বাইবেল থেকে বিবর্তনের তথ্য খুঁজে পাচ্ছে, আর পাঁচ দশ বছর পর অন্যন্য ধর্মগ্রন্থ থেকেও বিবর্তনের পক্ষে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া শুরু হবে, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।

আমার মনে হয় সময়ের সাথে ধর্মগুলো বিবর্তন বা রিফর্ম হতে হতে এক সময় হারিয়ে যাবে অথবা সম্পূর্ণ নতুন কোন আইডিওলজি রুপান্তর ঘটবে। আর হ্যাঁ ধর্ম কিন্তু মানুষকে যতটা ঐক্যব্ধ করে ঠিক ততটাই বিভাজন এবং ঘৃণার সৃষ্টি করে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:





ধর্ম বিবর্তনের মাঝ দিয়ে যাচ্ছে; এই পরিবর্তনকেই মুসলামনেরা বলছে যে, ইহুদীরা ও খৃষ্টানরা তাদের বই থেকে সরে গেছে। কিন্তু ইসলামও পরিবর্তনের মাঝ দিয়ে যাচ্ছে; জুডাইজম, খৃষ্টান ধর্ম যদি বদলায়, ইসলামও বদলাচ্ছে।

ভারতের রাজনীতিতে ধর্মকে যোগ করায়, মুসলমানেরা ও নীচু বর্ণের হিন্দুরা মৌলিক অধিকার থেকে বন্চিত হচ্ছে; সেটার রিএ্যাকশন হবে।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি সব ইহুদিকে এক করে দেখছেন।বেশির ভাগ ইহুদি ধর্ম ঠিক ভাবে পালন করে না।তারা সেকুলার।তারা ইসরাইলেও যেতে চায় না।তারা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে।স্বাধীনতার আগে আমাদের দেশেও বহু ইহুদি ছিল।আমদানী ব্যবসাটা তাঁরাই নিয়ন্ত্রন করতো।আপনাদের খাতুন গঞ্জে ছিলো কিনা জানি না।কিন্তু নওয়াবপুরে তারা বেশ কিছু ছিলো।আমার পরিচিত তিন চার জন এখনো আছে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৩৬

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি প্রবাসে কাজ করার সময়, সব কাজের যায়গায় ইহুদীদের সাথে কাজ করেছি; এখন ইহুদী এলাকায় থাকি। যেসব বাংগালী ব্রুকলীনে থাকেন, তাদের বড় অংশ ইহুদীদের সাথে কাজকমর্ম, ব্যবসা, ইত্যাদিতে জড়িত। তারা সামাজিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ; তবে, সবাই সাধ্যমতো ধর্ম পালন করে।

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩

নতুন বলেছেন: ধর্মীয় ঐক্য সম্ভব না।

কারন ইসলাম মনে করে রাস্ট ধর্ম হবে ইসলাম এবং অন্য ধর্মের মানুষ কর দেবে।

খৃস্টানেরা বিশ্বাস করে তাদের ধর্মই সেরা.... হিন্দৃরা মনে করে তাদের ধর্মই আদী,.....

আর ধর্মের চেয়ে বড় সমস্যা রাজনিতিকরা, তারা ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে বিভক্ত করতে, নিজেদের দলে টানতে...

আর সময়ের সাথে ইসলামের একদল অনুসারীরা কোন পরিবর্তন করছেনা। তারা ক্রমেই আমিশদের মতন নতুন একটা প্রজাতীতে পরিনত হবে ভবিষ্যতে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "আর ধর্মের চেয়ে বড় সমস্যা রাজনিতিকরা, তারা ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে বিভক্ত করতে, নিজেদের দলে টানতে. "

-আসলে বিজেপি সেটাই করেছে, আফ্রিকায় সেটাই চলছে, আরবে সেটাই ঘটছে।

৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪১

অনামিকাসুলতানা বলেছেন: সব কিছু পরিবর্তন শীল, অপরিবর্তন শীল প্রকৃতি বিরুদ্ধ ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



সঠিক, সব ধর্ম বদলে যাচ্ছে, কেহই সেটা বলতে চাহে না; প্রকৃতি সব কিছুকে বদলায়ে দিচ্ছে।

৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় কাজ পালন করেও যেমন- নামাজ, রোজা, হজ করার পরেও মানুষ পাপ কাজ করে কেন। ধর্ম দিয়েও মানুষের চরিত্র পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না কেন?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সোনাগাজী বলেছেন:




ধর্মে লজিক নেই, ধর্মীয়রা সভ্যতাকে বুঝতে পারে না, তারা নিজের ও অন্যের জীবনকে অনুধাবন করতে পারে না, তারা ভুল ও রূপকথার জগতে বাস করে।

৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০১

রানার ব্লগ বলেছেন: ধর্ম অন্যান্যদের জন্য আশির্বাদ হলেও বাংলাদেশ ভারত পাকিস্থানের জন্য ইহা বিভেদ তৈরীর প্রধান কারন ছিলো ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:



ধর্ম খুব সামান্য ব্যাপারে সাহায্য করে, বৃহত্তর কাজে ইহার ভুমিকা হচ্ছে নেগেটিভ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.