নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চট্টগ্রামের পাহাড়ে এখন কোন বাঘ নেই। ( প্রতিযোগীতার জন্য লেখা নয় )

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১৩



আপনি যদি ট্রেনে ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম শহরে গিয়ে থাকেন, আপনি পুর্ব পাশে চট্টগ্রামের পাহাড় দেখেছেন; ইহা ফেনী নদী থেকে চট্গ্রাম শহর অবধি বিস্তৃত। অনেক ব্লগার খৈয়াচরা ও মিরসরাইতে অবস্হিত ঝর্ণাগুলোতে গিয়েছেন, এগুলো চট্টগ্রামের পাহাড়ে। চট্টগ্রামের পাহাড়ের পশ্চিম ঢালে হচ্ছে, মিসরাই, সীতাকুন্ড ও কুমিরা; পুর্বঢালে হাটহাজারী, নাজিরহাট, রামগড়। আপনাদের মাঝে কেহ যদি চট্টগ্রাম শহর থেকে বাসে রামগড় গিয়ে থাকেন, চট্টগ্রামের পাহাড় ছিলো আপনার পশ্চিম পাশে। ইহা সর্বাধিক ৯/১০ মাইল চওড়া হতে পারে।

এই পাহাড়ে এখন বাঘ নেই; ইহা শুনে আমি মনে অনেক কষ্ট পেয়েছি। শিশুকালে মনে কষ্ট পেতাম, আমাদের পাহাড়ে কেন বাঘ থাকে! উপরের ছবিতে যেই ধরণের বাঘের ছবি দেয়া হয়েছে, সম্ভবত এই ধরণের বাঘ ছিলো এসব পাহাড়ে। আমার কিশোরকালে আমি বন্ধুদের সাথে পাহাড়ে যেতাম প্রায়ই; বাঘের ভয়ে কমপক্ষে ৪/৫ জন যেতাম, হাতে থাকতো লাঠি ও দা; আমরা সবাই জানতাম যে, বাঘ লfঠিকে ভয় করে না; কিন্তু এর বেশী কিছু আমাদের কাছে ছিলো না।

আমাদের গ্রামের ৯ বছর বয়সী একটি ছেলেকে বাঘ হত্যা করেছিলো; সে আমার থেকে ৩/৪ বছরের বড় ছিলো। তারা খুবই দরিদ্র ছিলো; ছেলেটির বাবা, আমদের জগত কাকাকে টিপারারা ১ খন্ড জমি দিয়েছিলো; তিনি সেখানে আখের চাষ করতেন। সেবার নাকি টিপারারা উনাকে হুশিয়ার করেছিলো যে, সেই এলাকায় ১ জোড়া বাঘ বাস করছে, এলাকায় নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। একদিন ভোরে তিনি জমিতে হাল দিয়েছেন, উনার ৯ বছরের ছেলে দুপুরের খাবার নিয়ে গেছে। জগত কাকা ভাত খেয়ে আবার হাল ধরেছেন, ছেলে ১ পাশে আলের উপর বসেছিলো; ১ টি বাঘ ছেলের উপর ঝাপিয়ে পড়ে, তিনি হাল ফেলে, ছড়ি দিয়ে বাঘটিকে পিটানোর শুরু করেন; তখন অন্য বাঘটি তাঁখে আক্রমন করে; ২।৩ মিনিটের ভেতরেই তিনি বাঘগুলোকে তাড়াতে সক্ষম হন; কিন্তু ছেলের মৃত্যু হয় ততক্ষণে। উনার চীৎকার শুনে টিপারারা ছুটে আসে; কিন্তু দেরী হয়ে গেছে।

এই ঘটনার পর থেকে আমার মনে কিছুটা বাঘের ভয় ঢুকে; কিন্তু বাঘ দেখার ইচ্ছা সব সময় ছিলো। আমার বাবা চট্টগ্রাম শহরে কাজ করতেন; তিনি শুক্রবার রাত ১০টার ট্রেনে বাড়ী আসতেন। আমি ২য় শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকে উনাকে ষ্টেশন থেকে আনার জন্য যেতাম। শীতকালে আমাদের এলাকার লোকজন বাঘের ভয়ে থাকতো, ঐ সময় বাঘ গ্রামে আসতো; আবার চলেও যেতো। একবার গ্রামবাসীরা ১টা বাঘকে তাড়া করেছিলো, বাঘটি দৌড়ে পাহাড়ে চলে গিয়েছিলো। সেবার আমি দুর থেকে পলায়নরত বাঘ দেখেছিলাম।

বাঘের কথা মাথায় রেখে, শীতকালে বেলা ডুবার আগেই আমি ষ্টেশনে পৌঁছে যেতাম; ষ্টেশনে বাবার বন্ধুর চা'এর দোকান ছিলো; আমি দোকানে পোঁছলে বাবার বন্ধু, আহসান উল্লাহ সওদাগর আমার জন্য চা, কুকি ও রুটি দিতেন; আমি খেয়ে দেয়ে কিছুক্ষণ প্লাটফরমে ঘোরাফিরা করে, দোকানে ফেরত আসতাম; বাবা এলে, আবার চা খেয়ে ২ জনে বাড়ী আসতাম। বাবা বলতেন, বাঘ মানুষকে ভয় পায়, বাঘ মানুষকে এড়িয়ে চলে।


মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

মোগল সম্রাট বলেছেন:
সুন্দর বন থিকাই নাকি বাঘ গায়েব তারপরতো চট্রগ্রামের পাহাড়

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:


আমাদের এলাকার মানুষ কিন্তু বাঘ মারেনি, তারা পাহাড় নষ্ট করায়, হরিণ ও খরগোশ শিকার করায় বাঘ খাবারের অভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ট্রেনে করে বেশ কয়েকবার চিটাগাং গিয়েছি।
ভোরের দিকে ট্রেন চিটাগাং প্রবেশ করে। চারিদিকে পাহাড়। ঘুম ঘুম চোখে বেশ লাগে দেখতে।

আপনাদের চিটাগাং এবং আমি শুনেছি সিলেট অঞ্চলেও একসময় অনেক বাঘ ছিলো।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:



আমাদের এলাকার সামান্য কিছু পরিমাণ লোকজন পাহাড়ের বড় অংশ দখল করে, মুলত গাছ কেটে ফেলেছে ও হরিণকে নিশেষ করে দিয়েছে, বাঁশ ও বেত বন পোড়ায়ে ফেলেছে; এতে বাঘ শেষ।

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯

আমি সাজিদ বলেছেন: চট্রগ্রাম শহরের অলিতে গলিতে এখন দুপেয়ে বাঘেদের পদচারণা।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:




আমাদের এলাকার লোকজন কিন্তু বাঘ মারেনি, এরা সুন্দরবন এলাকার মানুষের মতো নির্দয় নয়; এরপরও বাঘ রলো না, সব শেষ।

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: 'চট্টগ্রামের শিকার কাহিনী' বইয়ে বাঘের ঘটনা উল্লেখ আছে।
লেখক তার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন। ১৯৪০ থেকে ১৯৫০ সালেও প্রচুর বাঘ ছিলো।

বেঁচে থাকুক, পাহাড় আর বেচে থাকুক বাঘ।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:



এখন নতুন করে বাঘ আনাও সম্ভব নয়, খাবার নেই।

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: শুনেছি ২০১২ সাল পর্যন্ত পাহাড়ে বাঘের অস্বিত্ব ছিলো।
একসময় নাকি পাহাড়িরা বাঘ খেতো। আগুনে পড়িয়ে খেয়ে নিতো।

আমার ধারনা পাহাড়ে জুম চাষের কারনে এবং পশু পাখি শিকারের কারনে আমাদের পাহাড়ি অঞ্চলের সমস্ত পশু পাখি মায়ানমারের দিকে চলে গেছে।

বাংলাদেশের বন বিভাগ সারা বছর কি কাজ করে জানেন?

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

সোনাগাজী বলেছেন:



বনবিভাগের লোকজনের কাজ হলো, চুরি করে গাছ বিক্রয় করা।

টিপারারা বাঘকে এক ধরণের ভগবান মনে করতো; ওরা তো বাঘ খাবার কথা নয়, ইহা কেহ ভুল করে লিখেছে, মনে হয়।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:




বেশীরভাগ টিপারারা আমাদের এলাকা ছেড়ে চলে গেছে রামগড়ের দিকে।

৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার চাচার কাছে শুনেছি।
আমার চাচা তখন লঞ্চের ব্যবসা ছিলো। দুষ্টলোকজন চাচার কাছ থেকে লঞ্চ ভাড়া নিয়ে যেতো। বন থেকে গাছ কাটতো। সেটা নাকি এখনও চলছে। পুলিশ এবং বনরক্ষার লোকজন এসব ঘটনা সবই জানে।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

সোনাগাজী বলেছেন:



চট্টগ্রামের করেরহাট থেকে শহর অবধি ১০ হাজারের বেশী মালটি-মিলিওনিয়ার ( ডলারে ) আছে, যারা গাছ বিক্রয় করছে, পাথর ও বালু বিক্রয় করছে, এখন পাহাড় কেটে মাটি বিক্রয় করছে।

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের এলাকার পুকুরের ধারের ঝোপে মেছো বাঘ থাকতো। এখন সেই মেছো বাঘ কেন শিয়ালও মানুষের যন্ত্রনায় পালিয়েছে। বাস্তবসম্মত লেখা লিখেছেন।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



মেছো বাঘ এখন নাকি চট্গ্রামের উপকুলের বাঁধের জংগলে আছে; ইহা কি গল্প কিনা, জানি না; জংগল কেটে ফেলায়, মেছোবাঘও হারিয়ে গেছে।

৮| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আসুন একবার, আপনারে নিয়ে একবার রামগড়ে যাব, এই শহর আমার ভাল লাগে।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সোনাগাজী বলেছেন:



যাবো এক সাথে।
১৯৭১ সালে, এখানে বেশ বড় যুদ্ধ হয়েছিলো; শহরটি স্বাধীনতার চিহ্ন বহন করছে।

৯| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

জ্যাকেল বলেছেন: শুনলাম লাউছড়া বাগানে বাঘ আছে, তাইলে চিটাগাংগয়ে থাকবে না কেন?

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:


লাউছরা (লাউয়াছরা? ) কি চট্টগ্রামে?

১০| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১২

জ্যাকেল বলেছেন:
না, উহা চিটাগাংগয়ের বাহিরে সিলেটে; আয়তনে অনেক ছুটো।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:




সিলেটের সাথে আসামের পাহাড় যুক্ত; ওখানে হয়তো বিবিধ জীবজন্তু (খাবার ) আছে; চট্গ্রামের পাহাড়ে বাঘের খাবার নেই।

১১| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বন থেকে বাঘ উধাও হয়ে গেছে এ কথা সত্য ভাইজান।

তবে, বনে বাঘ নাই হয়ে গেলেও সেই বাঘেরা এখন আমাদের আশে-পাশে,সমাজে নতুন করে জন্ম নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সারা
দেশে। তবে সেই বাঘ ছিল চারপেয়ে আর এখনকার বাঘেরা সব দু'পেয়ে। তবে হিংস্রতায় বনের বাঘ থেকে সমাজের বাঘ বেশী ভয়ংকর । আর তারা যা পায় সবই খেয়ে ফেলে । কারন তাদের ক্ষুধা সর্বগ্রাসী।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি বনের বাঘের কথা; যাকে আমরা ভয় পেতাম, কিন্তু দেখার জন্য উৎসুক ছিলাম। বাঘ হারিয়ে যাওয়া মানে, আমাদের মানুষদের মাঝে শিক্ষিত মানুষ কম।

১২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: আপনি চট্টগ্রাম শহরে বাঘের কথা বলছেন, এ শহর কি ভয়ংকর জঞ্জালে পরিণত হয়েছে আপনি চিন্তা ও করতে পারবেন না। মাত্র তিন বছর আগেও এত খারাপ ছিল না, কোথাও একটা গাছ নেই। সকাল পাঁচটা ত্রিশ -পয়ত্রিশ থেকে শুরু করে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত টানা সূর্যের আলো পড়তেই থাকে, চারদিকে শুধু ইট পাথর ছাড়া আমি আর কিছুই দেখি না। ঢাকার পর চট্টগ্রামকে ও এবছর বসবাসের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিছি। সামনে কি অপেক্ষা করছে কে জানে!!

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৮:০২

সোনাগাজী বলেছেন:



চট্টগ্রামের মেয়রের দিকে তাকিয়ে দেখুন, উনাকে দেখলে ও উনার কথা শুনলে কি বুদ্ধিমান মানুষ বলে মনে হয়?

১৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৮:১০

মিরোরডডল বলেছেন:



বাঘের ভয়ে কমপক্ষে ৪/৫ জন যেতাম, হাতে থাকতো লাঠি ও দা; আমরা সবাই জানতাম যে, বাঘ লfঠিকে ভয় করে না; কিন্তু এর বেশী কিছু আমাদের কাছে ছিলো না।

আহারে!!!
দৃশ্যটা ভিজ্যুয়ালাইজ করলাম :)
মনে হচ্ছে জাফর ইকবালের লেখা কোন গল্পের দৃশ্য।


০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:



জাফর ইকবাল সাহেবকে আমি দেখেছি, উনার কিছু জীবন কাহিনী শুনেছি; শহুরে ছেলে ছিলেন, ছিলেন ভীতুর বাপদাদা।

১৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৮:১২

মিরোরডডল বলেছেন:


বাবা বলতেন, বাঘ মানুষকে ভয় পায়, বাঘ মানুষকে এড়িয়ে চলে।

কিন্তু ৯ বছরের নিরীহ ছেলেটা যে মারা গেলো :(

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৫

সোনাগাজী বলেছেন:



টিপারারা জগত কাকাকে বলেছিলেন যে, এলাকায় বাঘ বাস করে; আমার ধারণা, আশেপাশে কোথায়ও বাঘের বাচ্চারা ছিলো।

১৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৮:২৫

মিরোরডডল বলেছেন:



ব্যক্তিজীবনে ভীতু কিনা জানিনা কিন্তু কিশোরদের নিয়ে অনেক মজার এডভেঞ্চার গল্প লিখেছেন।

কি কারণে মনে হয়েছিলো ভীতুর বাপদাদা সেগুলো লিখবে পাঠকদের জন্য, আমরাও একটু অজানাকে জানলাম।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি উনার সাথে অল্প সময় একই কোম্পানীতে চাকুরী করেছিলাম, তখন কথায় কথায় উনাদের সম্পর্কে ধারণা হয়েছিলো। বাবার চাকুরীর কারণে শহরে ছিলেন; শহরের ছেলেমেয়ারা প্রকৃতির কাছে কিছুটা অসহায়।

১৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাঘ এখন স্টেডিয়ামে, ক্রিকেট ভক্তদের টি শার্ট ও মুখোষে :|

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৯:১২

সোনাগাজী বলেছেন:




বর্তমানে, দেশের মানুষের কমনসেন্স ও সাহাস কমে গেছে; আমি প্রাইমারী পড়ার সময়, এক ধনী লোক আমাদের এলাকা বরাবর পাহাড়ে হরিণ শিকারে গিয়েছিলেো; সাধারণ কাঠুরিয়ারা উনার দামী বন্দুক কেড়ে নিয়ে ভেংগে দিয়েছিলেন।

১৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বিগত কয়েক দশকে সারা দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চল থেকেই বাঘের সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। জনবসতি
স্থাপন,কৃষিজমিতে রূপান্তর ও অন্যান্য কারণে বাঘের আবাসস্থল ও খাদ্য সংকট তৈরীল জন্য জাতি বাঘ যথা রয়েল
বেঙ্গল টাইগার , চিতা বাঘ এবং জলাভূমিগুলো দিন দিন সংকুচিত ও হ্রাস পাওয়ায় সচরাচর দেখতে পাওয়া মেছো
বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়ার এর মূল কারণ। আমাদের গ্রামের বাড়ী দেশের মধ্যাঞ্চলের ভাওয়াল গড় সন্নিহিত
হওয়ায় বাল্যকালে আমি অনেক মেছো বাঘ চাক্ষুষ করেছি ও গ্রামের মাণুষদেরকে দল বেধে মেছো বাঘ নিধনের
হৃদয় স্পর্শী দৃশ্য অবলোকন করেছি ।

মেছো বাঘদের নিধনের কথামালা বলতে গেলে বিরাট এক কাহিনী হয়ে যাবে তাতে মন্তব্যের কলেবরই
বাড়বে, তবে শৈশবের স্মৃতি চাড়ন ঘটবে দারুন ভাবে ।

বাঘেদের বিলুপ্তির করুন গাথা নিয়ে এই লেখাটি পাঠে ভাল লাগল ।

জীব বৈচিত্র রক্ষার নিমিত্ত বাঘেদের চারণভুমি সাথে এদের খাদ্য উপযোগী সহায়ক প্রাণীদের প্রজনন, স্বাভাবিক
বিচরণ ও তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের সুসম সম্প্রসারন এবং সংরক্ষনের সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া খুবই প্রয়োজন ।
বন্য প্রাণীদেরকে অবাধে বিচররণ করার সুযোগ তৈরী করে দিয়ে দুপেয়ে বাঘেদের বিচরণ ও তাদের বিচিত্র রকমারী খাদ্যাবাসের কঠোর নিয়ন্ত্রন করাই এখন বেশী প্রয়োজন, তা না হলে জীব বৈচিত্র ধ্বংসের সাথে সম্পৃক্ত মানব সমাজের
বিলুপ্তিও কালের প্রবাহে আরো বেশী করে তরান্তিত হবে । তাই এ বিষয়ে সকলের সচেতনতা প্রয়োজন ।


০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:



চট্টগ্রামের পাহাড়ে ( ফেনী নদী থেকে কুমিরা অবধি ) ফলের চাষ বেড়েছে; কিন্তু বসবাস বাড়েনি এখনো; কিন্তু কিছু মানুষ হরিণ ও খরগোস নিশেষ করে দিয়েছে; চট্টগ্রামের মানুষ আবার বাঘ মেরে ব্যবসাও করেনি; শুধু খাবারের অভাবে বাঘ শেষ।

১৮| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বিগত কয়েক দশকে সারা দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চল থেকেই বাঘের সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। জনবসতি
স্থাপন,কৃষিজমিতে রূপান্তর ও অন্যান্য কারণে বাঘের আবাসস্থল ও খাদ্য সংকট তৈরীল জন্য জাতি বাঘ যথা রয়েল
বেঙ্গল টাইগার , চিতা বাঘ এবং জলাভূমিগুলো দিন দিন সংকুচিত ও হ্রাস পাওয়ায় সচরাচর দেখতে পাওয়া মেছো
বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়ার এর মূল কারণ। আমাদের গ্রামের বাড়ী দেশের মধ্যাঞ্চলের ভাওয়াল গড় সন্নিহিত
হওয়ায় বাল্যকালে আমি অনেক মেছো বাঘ চাক্ষুষ করেছি ও গ্রামের মাণুষদেরকে দল বেধে মেছো বাঘ নিধনের
হৃদয় স্পর্শী দৃশ্য অবলোকন করেছি ।

মেছো বাঘদের নিধনের কথামালা বলতে গেলে বিরাট এক কাহিনী হয়ে যাবে তাতে মন্তব্যের কলেবরই
বাড়বে, তবে শৈশবের স্মৃতি চাড়ন ঘটবে দারুন ভাবে ।

বাঘেদের বিলুপ্তির করুন গাথা নিয়ে এই লেখাটি পাঠে ভাল লাগল ।

জীব বৈচিত্র রক্ষার নিমিত্ত বাঘেদের চারণভুমি সাথে এদের খাদ্য উপযোগী সহায়ক প্রাণীদের প্রজনন, স্বাভাবিক
বিচরণ ও তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের সুসম সম্প্রসারন এবং সংরক্ষনের সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া খুবই প্রয়োজন ।
বন্য প্রাণীদেরকে অবাধে বিচররণ করার সুযোগ তৈরী করে দিয়ে দুপেয়ে বাঘেদের বিচরণ ও তাদের বিচিত্র রকমারী খাদ্যাবাসের কঠোর নিয়ন্ত্রন করাই এখন বেশী প্রয়োজন, তা না হলে জীব বৈচিত্র ধ্বংসের সাথে সম্পৃক্ত মানব সমাজের
বিলুপ্তিও কালের প্রবাহে আরো বেশী করে তরান্তিত হবে । তাই এ বিষয়ে সকলের সচেতনতা প্রয়োজন ।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



বাঘের প্রস্হান সাধারণ মানুষ টেরও পায়নি, ইহা নিয়ে কোন কথা হয় না; শুধু টিপারারা এখনো দু:খ করে।

১৯| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: চট্টগ্রামে টাইগার পাস একটা স্থান হত। প্রাচীন কালে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে বাঘ পারাপার করত বলে এই স্থানের নাম টাইগার পাস। এখন অরজিনাল বাঘ না থাকলেও ২ টা কৃত্রিম বাঘ বসানো হয়েছে।


চট্টগ্রামে টাইগার পাস একটা স্থান হত। প্রাচীন কালে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে বাঘ পারাপার করত বলে এই স্থানের নাম টাইগার পাস। এখন অরজিনাল বাঘ না থাকলেও ২ টা কৃত্রিম বাঘ বসানো হয়েছে।


০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৯:২১

সোনাগাজী বলেছেন:



চট্টগ্রাম শহরের একাংশ পাহাড়ের উপর; সেই এলাকা থেকে বাঘ সরে উত্তর দিকে এসেছিলো; এখন কোথায়ও নেই।

২০| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: প্রকৃতি ধ্বংসের ফলে জীবজগতে পরিবর্তন আসছে।বাঘের থেকেও ভংয়কর একে ৪৭ হাতে পাহাড়িরা।পাহাড় এখন অশান্ত।আমি গহীন পাহাড়ে গেছি ৭০ সালে।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ১০:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:


ভুলটা করেছিলো মগজহীন জেনারেল জিয়া; সে নোয়াখালী ও খুলনা এলাকার চোরদোরদের পাহাড়ে এনে স্হান দেয়ায়, চাকমা, মারমা ও টিপারারা নিজেদের বেঁচে থাকার শেষ জমিটুকুও হারায়; অন্য কারণের মাঝে ইহা পাহাড়ীদের সন্ত্রাসের বড় কারণ। ইহা ঠেকানোর দরকার।

২১| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: চট্টগ্রামে বাঘ নেই তবে অনেক শেয়াল আছে তাও লেজকাটা

০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:



চট্টগ্রাম এখনো কিছুটা ভালো, ঢাকা পঁচে গেছে।

২২| ০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৬

শাওন আহমাদ বলেছেন: প্রকৃতি ধ্বংসের ফলে জীবজগতে পরিবর্তন আসছে।বাঘের থেকেও ভংয়কর একে ৪৭ হাতে পাহাড়িরা। ২

০৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



পাহাড়িরা এক সময় খুবই শান্তিতে বিশ্বাসী ছিলো; বাংগালীরা ওদেরকে কোণঠাসা করতে গিয়ে এই সমস্যার সৃষ্টি করেছে, এখন সমাধান করতে পারছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.