নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।
ছাত্র থাকা অবস্হায়, আপনার যদি মনে হতো যে, আপনি শেখ সাহেব থেকে বেশী রাজনীতি বুঝেন, আপনি ধরে নিতেন পারেন যে, আপনি ঘোড়া রোগে ভুগতেন। সিরাজুল আলম খান ( ১৯৪১ - ২০২৩) আমাকে বলেছিলেন যে, তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিতে থাকাকালীন সময়, শেখকে অনেক ব্যাপারে রাজনৈতিক ধারণা দিতেন। সিরাজুল আলম ভাইয়ের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিলো; আমি উনাকে জানায়েছিলাম যে, মধুর ক্যান্টিনে বিনা পয়সায় ভালো ভালো খাবার খেয়ে, সারা রাত তাস খেলে, দিনের ১টা অবধি ঘুমালে, যেকোন জনই বুদ্ধি ঢেঁকি হয়ে যাওয়ার কথা।
এরপরে, একবার আমেরিকায় আমি উনাকে বললাম বিয়ে করতে; উনি বললেন যে, রাজনীতি ও বিয়ে একসাথে যায় না; তখন উনাকে বললাম যে, আপনি রাজনীতি বুঝেন না বলেই এই ধরণের ভুল ধারণা আছে আপানর মনে।
১০ শ্রেণীতে উঠার পর, আমি ৩ জন ছাত্র নেতাকে সামনাসামনি দেখার জন্য ও উনাদের বক্তৃতা শোনার জন্য খুই আগ্রহী হয়ে উঠি; মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্য শোনার জন্য আমি ঢাকা যাবার প্ল্যান করছিলাম; কিন্তু যাওয়া লাগেনি, আমি ১০ম শ্রেণীতে পড়ার সময় উনি আমাদের পাশের ১ কলেজে ছাত্র ইউনিয়ন কর্ত্তৃক আয়োজিত এক সভায় এলেন। উনার বক্তব্য শুনলাম, আমার মনে হলো ইহা মংগল গ্রহ থেকে এসেছেন; মংগলে বোধ হয়, কোন আজগুবি ধরণের সোস্যালিজম আছে; উনার কথার মাঝে সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি নিয়ে ১টা কথাও ছিলো না। উনি বারবার সোভিয়েত ইউনিয়নের নাম উচ্চারণ করছিলেন, সোস্যালিজম সম্পর্কে এটাই উনার একমাত্র জ্ঞান হতে পারে, সোস্যালিষ্ট দেশের নাম জানা।
২য় ছাত্র নেতা, যার সম্পর্কে আমি আজগুবি আজগুবি কথা শুনছিলাম: তিনি মহাজ্ঞানী, ভয়ংকর ব্রিলিয়েন্ট ছাত্র, ঢাকা ইউনিভার্সিতে অংক নিয়ে পড়েছেন; উনি ছিলেন সিরাজুল আলম খান । হিসেব মতো, তখন উনার পড়ালেখা শেষ হয়ে যাবার কথা; কিন্তু তিনি তখনো ঢাকা ইউনিভার্সিটির হলে থাকতেন। উনাকে দেখলাম ফেনী কলেজে ১৯৬৯ সালে, কিন্তু তিনি কোন ধরণের বক্তব্য রাখলেন না; হাজারী বাড়ীর গুন্ডাপান্ডাদের সাথে বসে কাপের পর কাপ চা খাচ্ছিলেন; আশপাশে যাওয়া সম্ভব হলো না, কথা শোনা সম্ভব হলো না। আমি বুঝলাম, উনি বকবকের রাজা। উনাকে পরেও কয়েকবার দেখছি, কিন্তু ছাত্র অবস্হায় উনার কথা শোনার সুযোগ হয়নি।
এরপর শুনলাম, তিনি মুক্তিযুদ্ধে জয়েন করেছেন, খুশী হলাম; জুলাই মাসের শেষের দিকে খারাপ খবর পেলাম: উনি, শেখ মনি, তোফায়েল, মাখন, রব, ববেরা মিলে ২য় ফ্রন্ট খুলেছেন, উনাদের বাহিনীর নাম হলো: বিএলএফ ( বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রান্ট); বুঝলাম এরা দেশের ক্ষতি ছাড়া ভালো কিছু করবে না।
০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
সোনাগাজী বলেছেন:
আওয়ামী লীগের মালিকানা ছিলো তাজউদ্দিন সাহেবের হাতে; উনার বাহিনীর নাম ছিলো মুক্তিবাহিনী (এফএফ ); মনি, ফনি, রব বব, খান মানেরা আওয়ামী লীগের কে ছিলো?
ওরা ভীতু ছিলো, যুদ্ধ না করে, যুদ্ধের ভাগ নেয়ার জন্য বিএলএফ খুলে ছিলো।
২| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এই ঘটনাগুলো ভবিষ্যতে আমাদের কি রকম কাজে লাগতে পারে?
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৫
সোনাগাজী বলেছেন:
এগুলো কোন কাজে লাগিনি, চক্রাকারে ঘুরছে দলগুলোতে।
৩| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: এই মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলমের নাম আগে কোনদিন শুনি নাই। গত কয়েকদিন ধরে দেখলাম সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন লাইফ সাপোর্টে যাবার পর।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৬
সোনাগাজী বলেছেন:
বিএলএফ কমান্ডার ছিলেন।
৪| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:০২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
উনি রহস্যময় পুরুষ ছিলেন'যেন হুমায়নের কলমের মিসির আলী।
সোস্যালিজমের প্রেমে পড়েছিলেন কবে?
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৯
সোনাগাজী বলেছেন:
সোস্যালিজম বাংগালীর জন্য শক্ত সাবজেক্ট; জাসদের পক্ষ থেকে তিনি ইংরেজীতে মস্কো নিউজ পড়তে পারতেন; সেই পত্রিকার সব পাতায় ৫০ বার করে "সায়েন্টিক সোস্যালিজম" শব্দটা লেখা থাকতো; উনি শব্দটা মুখস্হ করেছিলেন।
৫| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৮
কামাল১৮ বলেছেন: যারা দেরাদুনে ট্রেনিং নিয়েছে সেখানে আমার কাজিন+ সহকর্মী ছিল।সে ছিল মুজিব বাহিনীর সদস্য।তাদেরকে শিক্ষা দেওয়া হতো,বাংলাদেশে ঢুকে প্রথমে বামপন্থীদের হত্যা করতে হবে।স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেক বাহিনী অনেক রকম কাজে যুক্ত ছিল।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪১
সোনাগাজী বলেছেন:
ইন্দিরা গান্ধী তখন কলিকাতার নক্সালদের জ্বালায় শান্তি মতো রুটি খেতে পারছিলেন না; মনি, রব, তোফায়েল, সিরাজ ভাই মিলে উনাকে ভুল বুঝায়েছিলেন যে, মুক্তি বাহিনীতে ছাত্রা আছে; এরা নক্সাল।
৬| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) প্রধান ৪ জনের উনি ছিলেন একজন। এই মুজিব বাহিনীর মূল কাজ ছিল বাম মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো। মধুর ক্যান্টিনে বিনে পয়সা খাওয়ার মানসিকতা থাকা মানে তার নৈতিক দুর্বলতা আছে। রাজনীতির সাথে বিয়েকে যুক্ত করার কোন মানে হয়। উনি এবং আরও কয়েকজন (যেমন কর্নেল তাহের) ব্যক্তি আসলে এক ধরণের ফ্যান্টাসির মধ্যে ছিলেন। এরা দেশের ভালোর চেয়ে ক্ষতি বেশী করেছে। এখন একজন আছে ক্ষমতায় তার নাম ইনু। এরা আসলে মানুষের ভালো না নিজের ভালোটা বেশী বোঝে। আরেকজন আছেন রাশেদ খান মেনন।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩০
সোনাগাজী বলেছেন:
ইনু পিনু সবাই সিরাজ ভাইয়ের মগজ হীন স্কুলের ছাত্র। গণ বাহিনী করে, সিরাজ ভাই ৫/৬ হাজার ছেলের মৃত্যুর কারণ হয়েছেন; ইনু অনেক অপরাধ করেছিলো।
৭| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:০০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমার ধারণাটা হইল, বঙ্গবন্ধু যখন ফেরে ১৯৭২ সালে, তখন তিনি ইন্ধিরা গান্ধীরে বলছে, তোমার সৈন্য কখন ফেরত নেবা। অন দ্যাট ভেরি মোমেন্ট, দে আন্ডারস্টুড যে বঙ্গবন্ধু তাদের কন্ট্রোলের লোক না। বঙ্গবন্ধু তাদের রাইভাল হবে। তাদের পোষা লোক হবে না। সুতরাং তাঁকে সাইজে রাখতে হইলে, তাঁকে ঠিক রাখতে হইলে তাঁর ওপর প্রেশার রাখতে হবে। এই প্রেশার রাখার প্রশ্নে একটা গ্রুপ তখন ঠিক করছে -- জাসদ। কিন্তু এর বাইরে সিরাজুল আলম খানের লাইন ছিল। ইন্ডিয়ার লাইনেের ওপর ভরসা কইরা সে আগায় নাই। অত সাহস সে পাইত না। কারণ, বঙ্গবন্ধুরে সে চেনে। ইচ্ছা করলে তখন তারে ফাঁসিও দিয়া দিতে পারত। পারত না? গুলি কইরা মাইরা ফালাইতে পারত। পারত না? বঙ্গবন্ধু যে তখন কোনো অ্যাকশনে যায় নাই, নিশ্চয়ই কোনো ইন্টারন্যাশনাল ব্যাপার ছিল? বঙ্গবন্ধুরে যে ফাঁসি দিতে পারে নাই, সেটাও তো ইন্টারন্যাশনাল কারণে। নাকি?
আমির হোসেন আমু ( প্রতিনায়ক- লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ)
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩৪
সোনাগাজী বলেছেন:
শেখ সাহেব লিখে বক্তৃতা দিতেন না, মুখে যা আসতো তাই বলতেন। আপনারা কি ভারতীয় সৈন্যের ভয়ে ছিলেন, নাকি পাকী সৈন্যাদের ভয়ে ছিলেন? ভারতীয় সৈন্যের ভয়ে ছিলো রাজাকারেরা।
ইন্দিরা কখনো কাউকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেননি; তিনি বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনাকে সাহায্য করেছেন।
৮| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:০১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সিরাজুল আলম খান রব শাজাহান সিরাজ
এরাই হতে পারত প্রধান বিরোধী দল, কিন্তু পারেনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা খুনিরা এখন প্রধান বিরোধী দল।
ভাসানীও ব্যর্থ হয়েছিল। ব্যর্থ বলবো না লেজুরবৃত্তি বলব?
বামপন্থী ভাসানীও কট্টর ডানপন্থী ফারুক রশিদ জিয়ার লেজুরবৃত্তি শুরু করে দিয়েছিলেন। এবং শেষ দিন পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছিলেন।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩৬
সোনাগাজী বলেছেন:
শেখ সাহেবের ছাত্রলীগ কেন শেখ সাহেবর বিপক্ষে অস্ত্র ধরলো?
৯| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:০৬
ডার্ক ম্যান বলেছেন: উনার ফুফাতো ভাই ফরহাদ মাজহার।
উনার সাথে শেখ মনির রাজনৈতিক দ্বৈরথ উনাকে সম্ভবত আলাদা রাজনৈতিক দল গঠন করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল বলে মনে হয়। "র" এবং "সিআইএ" উভয়কে উনি কাজে লাগিয়েছেন।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩৭
সোনাগাজী বলেছেন:
সিআইএ জাসদ ( বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র ) গঠনেও সাহায্য করেছে?
১০| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৫
কামাল১৮ বলেছেন: স্বাধীনতার পর মুক্তিবাহিনীর এই বেহাল দশার জন্য কে বেশি দায়ী।শেখ মুজিব না তাজউদ্দিন।
ছাত্র নেতাদের মধ্যে ভালো বক্তা ছিল নুরে আলম সিদ্দিকী।সিরাজুল আলম বা মেনন এরা ভালো বক্তা ছিলো না।
৬৯ সালে ছাত্র রাজনিতি ছেড়ে পূর্ব বাংলার শ্রমিক আন্দোলনে যোগদান করি।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩৯
সোনাগাজী বলেছেন:
নুরে আলম সিদ্দিকী সামুতে এলে, সু্দর কবিতা লিখতে পারতেন; ভয়ানক চোর ছিলো, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই ডলারের চোরা বাজার খুলে বসেছিলো।
চট্টগ্রামের কাশেম রাজা কি আপনাদের দলের লোক ছিলো?
১১| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: সিআইএ তো সিরাজ শিকদারকেও হেল্প করতো। গণবাহিনী আর বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা তো সিআইএ"র সৃষ্টি।
জিয়াউর রহমানও সিআইএ'র এজেন্ট ছিলেন।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৬
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনারা জানেন কে কাকে সাহায্য করেছে; আমি শুধু জানি যে, সিআইএ শেখকে ভুল করে হত্যা করেছে; তারা মনে করেছিলো যে, শেখ সোভিয়েত ব্লকে যাচ্ছে; আসলে শেখ কম্যুনিজমের পক্ষের মানুষ ছিলেন না, তিনি কানাডা, ফ্রান্সের মতো কিছু করতে চেয়েছিেলন। সিআইএ জিয়া ও এরশাদকে চয়েস করেছিলো।
১২| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
হাসান কালবৈশাখী - সহমত।
সিরাজুল আলম খান রাজনীতির বাইরে কি পীর মুর্শিদ দয়াল বাবা ছিলেন?
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:১৭
সোনাগাজী বলেছেন:
১৯৭২ সালে শেখ সাহেব ছাত্রলীগকে বিলুপ্ত করলে, দেশের সমস্যা কমে যেতো।
১৩| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তবে কি তিনি একজন লিলিপুটিয়ান ছিলেন?
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:১৭
সোনাগাজী বলেছেন:
লিলিপুটিয়ান ছিলেন।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:২২
সোনাগাজী বলেছেন:
৪ খলীফা, সিরাজ ভাই, এরা রাজনীতির নামে আড্ডাখানা বানায়েছিলো; পড়ালেখা করতো না। উনাকে একবার জোক করে প্রশ্ন করেছিলাম, "কোন সাবজেক্টে আপনি অনার্সে ভর্তি হয়েছিলেন, মনে আছে?"
১৪| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪৭
কামাল১৮ বলেছেন: চট্রগ্রামে আমি অনেক দিন ছিলাম।এমন কি এক তারিকেও আমি চট্রগ্রামে ছিলাম।আসল নামে কেউ কাউকে চিনতো না।অনেকটা সামুর মতো।
আমার ধারনা,মুক্তি বাহিনীর বেহাল দশার জন্য শেখ মুজিব দায়ী।যদিও আপনি প্রশ্নটা এড়িয়ে গেছেন।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২৩
সোনাগাজী বলেছেন:
শেখ সাহেব নিজের চোখে যুদ্ধ দেখেনি, কারা কারা যুদ্ধ করেছেন লিষ্ট দেখেননি, মানুষ মৃত্যু দেখেনি, নারীকে বিধবা হতে দেখেনি, শিশুকে এতিম হতে দেখেননি, ৯ মাসের ভীতিকর পরিস্হিতি দেখেননি; তাজুদ্দিন সাহেবের কাছে সব ছিলো; তিনি শেখকে সব কিছু সম্পর্কে জানাতে পারতেন; দায়ী ছিলেন তাজউদ্দন সাহেব।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২৬
সোনাগাজী বলেছেন:
তাজউদ্দিন সাহেব নিজের, রাজাকার ব্যুরোক্রেটদের, উনার মন্ত্রী সভার ও মিলিটারীর চাকুরী রেখে, বাকী মুক্তিযোদ্ধাদের ( ৯০ হাজার ) চাকুরীটা গিলে ফেললেন; লোকটার মাথায় মগজ কম ছিলো।
১৫| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এত বড় একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অথচ উনাকে আজই প্রথম চিনলাম।
১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:৫০
সোনাগাজী বলেছেন:
১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৭১ সালের সময়ের ইতিহাস ও স্বাধীনতার পর, জাসদ দলের সাথে উনার ইতিহাস জড়িত। ১৫ই আগষ্টের ক্যু'এর পর, সেই বছরের ৩রা নভেম্বরের ক্যু'এর সাথে, কর্ণেল তাহেরের ফাঁসী ও গণবাহিনীর ৫ হাজার মৃত্যুর সাথে উনার নাম জড়িত।
১৬| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
১৪ নং মন্তব্যের উত্তরগুলো ভয়ংকরভাবে সত্য।
১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:৫২
সোনাগাজী বলেছেন:
গরীব মুক্তিযো্দ্ধাদের অকারনে বন্চিত করে, দেশকে পেছনে ফেলে দেয়া হয়েছে; গরীব মুক্তিযোদ্ধারাই গায়ে খেটে দেশ গড়ার কথা ছিলো।
১৭| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫২
কামাল১৮ বলেছেন: আমি যতটুকু জানি(ভুল হতে পারে)উনি তখন তাজউদ্দিনকে এড়িয়ে মোস্তাক ও আইভি রহমানকে নিয়ে ব্যস্ত।তাজউদ্দিন বহুবার চেষ্টা করেও শেখকে কিছু বলতে পারে নি।তখন তাকে ঘিরে আছে মোস্তাক চক্র ও মনি সিংহ রা।তারপর তাকে মন্ত্রী পরিশদ থেকেই বাদ দেয়া হয়।এসব ঘটনা তখন সবার মুখে মুখে।
১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:৩৬
সোনাগাজী বলেছেন:
তাজুদ্দিন সাহেবের সাথে দেশ চালনা নিয়ে সংঘাত হচ্ছিলো: তরুণ ছেলেরা ( মনি, তোফায়েল, নু আ সিদ্দিকী, কাদের সিদ্দকী ) রাতদিন উনাকে নিয়ে টানাটানি করে প্রশাসনে বিশৃংখলার সৃষ্টি করছিলো; এরপর শুরু হয় ছাত্রলীগ সমস্যা; শেখ সাহেব এসব সমস্যা থেকে বের হতে পারছিলে না।
১৮| ১০ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার সাথে তাঁর দেখা হয়েছিলো ২০১৩ সালে, ধানমন্ডিতে। আমার সাথে বেশ কয়েকজন ব্লগার গিয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন বাংলার হাসান এবং সামহোয়্যারইন ব্লগের আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা ব্লগার। তাঁর নাম ছিলো সম্ভবত বাংলার ভুমিপুত্র।
১০ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২২
সোনাগাজী বলেছেন:
আলাপেে পর, উনাকে কেমন মনে হলো, উনার কোন ভাবনাকে বৈপ্লবিক বলে মনে হয়েছে আপনার? কিংবা, দেশ ও জাতি নিয়ে কোন ভাবনাকে নতুন ও কার্যকরী বলে মনে হয়েছে।
১৯| ১০ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০৯
খাঁজা বাবা বলেছেন: বি এল এফ ছিল "র" এর সব ডিম এক পাত্রে না রাখার গল্প।
যদিও বি এল এফ খারাপ ছাড়া ভাল কিছু করে নি।
১০ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৬
সোনাগাজী বলেছেন:
জাতির হয়ে যুদ্ধ করেছিলো মুক্তি বাহিনী, বিএলএফ ট্রেনিং নিয়ে ভারতের ক্যাম্পগুলোতে বেকার হয়ে বসেছিলো, স্বাধীনতার পর ফিরেছে।
২০| ১০ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নাহ। আমার তেমন কিছু মনে হয় নি। সেই সময়ে তিনি শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেছিলেন। এখন তা মনে করতে পারছি না। তবে আমার ধারনা তিনি নিজের ব্যাপারে প্রশংসা শুনতে পছন্দ করতেন।
১০ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫
সোনাগাজী বলেছেন:
দেশে আমি উনার সাথে পরিচিত হয়েছিলাম ১৯৭২ সালে, কোন রকমের ঘনিষ্টতা ছিলো না; তখন তিনি নিজের নেতা, শেখ সাহেবের সমালোচনা করছিলেন। এরপর, আমি পড়ালেখার জন্য দেশ ছাড়ি; উনার সাথে ঘনিষ্টতা হয়েছিলো আমেরিকায় পুনরায় পরিচয়ের মাধ্যমে।
ছাত্রলীগের নেতা ও কর্মীরা অকাজে এত ব্যস্ত থাকতো যে, পড়ালেখা জিনিষটা ওরা করতো না; কিন্তু সার্টিফিকেট পেয়ে যেতো; ফলে, তাদের জ্ঞানের সীমা ১২ শ্রেনীর ছাত্র থেকে বেশী হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো না; সিরাজ ভাই'এর যে কোন রাজনৈতিক ভাবনাকে তারা যুগান্তকারী ভাবতো। একটা উদাহরণ, উনার "দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ভাবনা" ছাত্রলীগের ছেলেমেয়েরা ভাবতো ইহা নতুন ও যুগান্তকারী; অথচ ইহা ভারত, বৃটেন, আমেরিকায় চলে আসছিলো যগ যুগ থেকে। উনি শেখ সাহবের বিপক্ষে যাওয়াতে শেখ দিশেহারা হয়ে পড়ে ছিলেন; জাসদের গণবাহিনী নতুন দেশটাকে ব হুমুখী সমস্যার মাঝে টেনে নিয়েছিলো।
২১| ১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: সিরাজ সাহেবে কে আমি ছোটবেলা থেকেই চিনি।
অবশ্য কখনও দেখা হয় না।
বাংলাদেশের অনেকের ধারনা, উনি দূর থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতি পরিচালনা করছেন। এবং বাংলাদেশের সমস্ত রাজনীতিবিদদের ওস্তাদ তিনি। দূর থেকে তিনি কলকাঠি নাড়েন।
তাকে বলা হয় রহস্যময় পুরুষ।
১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:২০
সোনাগাজী বলেছেন:
উনি "রহস্যময় পুরুষ" পুরুষ ছিলেন না, উনি "বেকুব ছাত্রনেতা" ছিলেন; উনি ছাত্রলীগের বেনেফিসিয়ারী; পড়ালেখা বাদ দিয়ে, রাজনৈতিক আড্ডা জমায়েছিলো ইনিভার্সিটির হলে; কিন্তু রাজনীতিতে নামডাক হয়ে যাওয়ায় অনেক ভুল কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন।
২২| ১০ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: উনার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। রহস্য মানব অথচ ভাইটাল কোন অবস্থানেই তিনি ছিলেন না। এমনকি হঠাৎ খবর এলো তিনি মারা গেলেন। তার মানে তিনি ক্যারিশম্যাটিক কেউ ছিলেন না। তবে আপনার মধুর ক্যান্টিনে ফাও খাওয়া বিষয়টির যৌক্তিকতা খুঁজে পাই না । ফাও খেয়ে কেউ বড় নেতা হওয়ার কথা নয়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বলেছেন তাই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আমার মনে হয় বাংলাদেশের রাজনীতিতে মেধার খুব অভাব। সামান্য মেধাবী কারও উপস্থিতি ্্তে হ ই হ ই র ই র ই শুরু হয়ে যায়। আগে যদিও কিছু মেধাবী থাকতেন এখন সেটুকু ও নেই। অর্থ স্বজনপ্রীতি পরিবার তন্ত্র মেধাবী ও যোগ্য নেতৃত্ব বের হয়ে আসার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে ।
১১ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৬:৪৯
সোনাগাজী বলেছেন:
মনি, সিরাজ ভাই, রব, তোফায়েলের অদক্ষতার কারণে, যুদ্ধ চলাকালেই তারা ইন্দিরা গান্ধী থেকে অনুমতি নিয়ে ২য় একটি বাহিনী গঠন করে, নাম "বিএলএফ"; ইহাতে শুধু ছাত্রলীগের ছেলেদের নেয়া হয়েছিলো। ১নং সেক্টরে যুদ্ধরত ছাত্রলীগের কিছু কিছু ছেলে উহাতে যোগ দেয়। বিএলড়ফ যুদ্ধ না'করে ক্রমাগতভাবে ট্রেনিং দিয়েছে। ১৯৭২ সালের জানুয়ারী মাসে ওরা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
মধুর ক্যান্টিন যদি ক্যাশবুক রক্ষা করে থাকে, ২/৩ হাজার ছাত্রলীগের লোক জনের কাছে ওরা বাকী টাকা আজো পাবে।
২৩| ১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৩
আলাপচারী প্রহর বলেছেন: ভালো লিখেছেন, ভালো মূল্যায়ন।
আমার মূল্যায়ন:
// ১৯৮৭ সালের দূর্বার ছাত্র আন্দোলনকে ব্যর্থতার কারিগর।
//নেতিবাচক রাজনীতির ঘুটিবাজ
//এরশাদ শাহী-কে টিকিয়ে রাখার কারিগর।
//১০০০০ জাসদের তরুণ প্রাণ অপচয়ের কারিগর ।
//বাংলাদেশের নোংরা প্রাসাদ রাজনীতির প্রতিষ্ঠা পুরুষ।
//National Socialist Party (NSP) নামে সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক পার্টি গঠন। হিটলারের পার্টির নাম যে ঐটা ছিল, সেটাই জানতো না।
কত বড়ো জ্ঞানী।
"আমাদের লক্ষ্য বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র " - ঐটা যে তাঁর ভন্ডামী, তা পরবর্তী দশক গুলাতে তাঁর ও তাঁর দল বিভক্ত অনুসারীদের কমর্কান্ডে আমরা দেখেছি।
একাডেমিক্যালি সমাজতন্ত্র স্বয়ং বৈজ্ঞানিক, অথচ নাম বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র, যেন "বাটার অয়েল ঘি"।
//এক রাতের ব্যবধানে ন্যাশনাল সোসালিষ্ট পার্টি সংশোধিত হয়ে, হয়ে গেল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, জাসদ
বিসমিল্লায় গলদ, আজীবন গলদ হয়ে রইল।
নিয়ত গুনে বরকত - তার প্রমাণ জাসদের অগ্যস্ত্য যাত্রা।
সময়ে নীরব, অসময়ে সরব আ স ম রবের মতো সম্মিলিত বিরোধী দলীয় নেতার আবির্ভাব।
ইনুর মতো টাউটের উত্থান।
কণের্ল তাহেরের মতো হটকারী সেনার উল্লফণ
আরো কত ভূঁইফোর তথাকথিত ন্যাতা আমরা পেলাম।
//সমাজতন্ত্রের ন্যাতা তথা মেহনতী মানুষের ন্যাতা কেন দিন কে দিন শেরাটন আর সোনারগাঁও ৫ তারকা হোটেলে পড়ে থাকবে ?
রাশিয়া না গিয়ে নিউইয়র্কে মাসকে মাস কাটাবে ?
১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৭
সোনাগাজী বলেছেন:
উনি সমাজতন্ত্র বুঝার কোন কারণই ছিলো না; উনি কোন তন্ত্রই বুঝতেন না, মিলিটারীর সাপোর্টার ছিলেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যদ্দুর জানা যায়, বিএলএফ গঠন করা হয়েছিল 'র' এর তত্ত্বাবধানে, স্বাধীনতার পর ক্ষমতার দখল নিয়ে যেন কামড়াকামড়ি না শুরু হয়। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এর হাতে যেন সব নিয়ন্ত্রণ থাকে।