নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রাম্পকে আজকেও কোর্টে যেতে হবে!

১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭





গত সপ্তাহে আমেরিকান ফেডারেল গ্রান্ডজুরি ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছে; দোষ হলো, সে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাবার সময়, সরকারের টপ কনফিডিয়েন্সিয়াল ফাইলপত্র সাথে নিয়ে গেছে; সে সেগুলোকে তার মায়ামীর বাড়ীতে খোলারুমে ফেলে রেখেছিলো; এফবিআই ইহা জানার পর, এসব ফাইলপত্র ফেরত দিতে বলার পর সে ফেরত দেয়নি।

গ্রান্ডজুরি দোষী সাব্যস্ত করাটা মানে বিচারে দোষী হওয়া নয়; যখন কোন বড় প্রোফাইলের লোকজনের বিপক্ষে অভিযোগ আসে, আমেরিকায় প্রথমে অভিযোগটা বিচারযোগ্য কিনা উহা দেখা হয়; এই প্রসেসে, ১ বা একাধিক আইনী ব্যক্তি ইহা নির্ণয় করে; এখানে অভিযুক্ত হলে তার বিচার হবে।

এই অভিযোগে, আজকে ট্রাম্পের ১ম কোর্টদিন; এইদিনে আসামীকে এরেষ্ট করা হয়, হাতকড়া লাগায়ে ছবি তোলা হয়, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়; এরপর, হাজতে পাঠানো হয়, কিংবা জাজ যদি তাকে আটক করার কারণ না দেখে, কোর্ট ত্যাগ করতে দেয়; সাথে সাথে আগামী কোর্টদিন ধার্য করে দেয়।

ট্রাম্প ক্রিমিনাল ও নৈতিকতাহীন মানুষ; সে টপ কনফিডিয়েন্সিয়াল ফাইলপত্র ফেরত না'দেয়ার পেছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে; সে ইহাকে প্রচারের জন্য ব্যবহার করছে। সে জানে, এই অভিযোগে সে যদি বিচারেও অভিযুক্ত হয়, আমেরিকান কোর্ট তাকে জেলে পা ঠাবে না; মনে হয়, সে হিসেব করেই রিস্ক নিয়েছে।

গত সপ্তাহে অভিযুক্ত হওয়ার পর, আগামী প্রাইমারী ভোটের জরীপে তার জনপ্রয়তা ৫% বেড়ে গেছে; আজকে তার জনপ্রয়তা ৬১%। এই বিচারে তার জেল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ৬ই জানুয়ারীর সন্ত্রাসের বিচারে যদি তার জেল না'হয়, সে ভোট করতে পারবে; এবং ইউক্রেনযুদ্ধ তাকে জয়ী হতে সাহায্য করবে।

ট্রাম্প ইতিমধ্যে যুদ্ধ-বিরোধী হিসেবে সুনাম পেয়েছে; অনেক আমেরিকান মনে করছে, ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবে। ন্যাটো ও ধনী আমেরিকানরা এই যুদ্ধের পক্ষে আছে; কিন্তু সাধারণ মানুষ এই যুদ্ধ চাচ্ছে না। শেষ দেখা যাবে যে, এসব অভোযোগ টবিযোগ, সবই ট্রাম্পের পক্ষে চলে যাচ্ছে।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আমি সাজিদ বলেছেন: কি এক অবস্থা! এত বড় ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ কিন্তু দেশের কনফিডেনসিয়াল ফাইল বাড়ির যেখানে সেখানে ফেলে রেখেছে! এই পাগলকেই আপনার দেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে আবার! ওখানের মানুষ তবে কেমন মানসিক অবস্থায় আছে!

১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:



ইহা মনে হয়, ক্যাপিটেলিজমের একটি সংকট; মানুষ যুদ্ধ থেকে মুক্তি চাচ্ছে, কিন্তু ন্যাটো ক্যাপিটেলিজমকে শক্ত অবস্হায় রাখার জন্য যুদ্ধ লাগিয়ে রেখেছে; সমানেও তাইওয়ান নিয়ে সমস্যা আসছে। এগুলো আমেরিকার রাজনীতিকে অনিশ্চয়তার মাঝে ঠেলে দিয়েছে; মানুষ ইররেশানেল আচরণ দেখাচ্ছে।

২| ১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০২

আমি সাজিদ বলেছেন: এই সুযোগে চায়না আর সালমানেরা একজোট হলো। আমার মনে হয় আমেরিকা একটা ধাক্কা খাবে যদি না তারা যুদ্ধগুলো চালিয়ে রাখে। দেশে দেশে স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় বসছে আর এক জোট হচ্ছে।

১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০

সোনাগাজী বলেছেন:


চীন, রাশিয়া, ইরান, তুরস্ক ও উ: কোরিয়া আমেরিকার বিপক্ষে দাঁড়ায়েছে, আমেরিকার জন্য অনেক কিছু কঠিন হয়ে যাবে।

৩| ১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

আমি সাজিদ বলেছেন: *ভুল বলেছি- যুদ্ধ চালিয়ে গেলে আমেরিকার ক্ষতি আর অন্য গনতান্ত্রিক দেশেরও ক্ষতি। সালমান ব্লিংকেনকে বলেছে আমেরিকা যেন সৌদির পারমাণবিক প্রজেক্টে হেল্প করে।

১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১

সোনাগাজী বলেছেন:


সৌদী পারমানবিক চুল্লী পাবে, তবে বোমা বানানোতে সাহায্য পাবে না।

৪| ১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: ইলেকশনে পাশ করলে একদিনে যুদ্ধ থামিয়ে দিবে তার এই বক্তব্য তাকে জনপ্রিয় করছে।এই পাগল আসলেই এটা করবে।

১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:




পুটিন তার বন্ধু; সে নির্বাচিত হলে, জিলেনস্কীর অভিনয় ( জেনারেল জেনারেল ) ১ দিনেই বন্ধ হয়ে যাবে, ডলারও বন্ধ হয়ে যাবে।

৫| ১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সরকারী কাগজপত্র ব্যক্তিগত কব্জায় রাখা আমার কাছেও অন্যায় বলেও মনে হয়। তবে আমি সমস্যা অন্য জায়গায় দেখছি। হিলারী হাজার হাজার কনফেডেনশিয়াল ইমেইল নিজের কাছে রেখেছিলো, তার বিচার হয় নি। এফ.বি.আই এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট এই দুই সংস্থাও সেটা স্বীকার করেছে, কিন্তু কাকতালীয়ভাবে হিলারী পার পেয়ে গেছে। বাইডেনের ছেলের ল্যাপটপেও অনেক কিছু পাওয়া গেলেও তার বাবার কারণে সে কিছুটা হলেও সুবিধা পেয়েছে। আমি মনে করি, প্রশাসন হিলারী আর বাইডেনের ছেলের ব্যাপারে নমনীয় ছিলো, এখানে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড কাজ করছে। ট্রাম্প কে ডেমোক্র্যাটরা ভয় পায়, তারা জানে ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতায় আসলে অনেক ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতাদের ঘুম হারাম হয়ে যাবে। এখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কাজ করছে, এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। ট্রাম্পকে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সরিয়ে দেয়ার জোর প্রচেষ্টা চলছে অনেক আগে থেকেই। ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বাড়ছে আর বাড়বেও।

আমি যুদ্ধের বিপক্ষে হলেও, ইউক্রেনকে এই যুদ্ধে আর্থিকভাবে বা অস্ত্র্র সহায়তার শতভাগ বিপক্ষে। আমিও মনে করি ট্রাম্প থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধের দফা-রফা হয়ে যেত আরো অনেক আগেই। ডেমোক্র্যাটরা মিলিটারী কমপ্লেক্সকে ব্যবসা বাগিয়ে দিয়ে আমেরিকা ও তার জনগণের উপর আর্থিক ক্ষতির চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতি এলোমেলো করে দিয়ে কোটি কোটি মানুষের জীবন জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এই যুদ্ধে আমেরিকার কোন লাভ নেই। ইউক্রেন আমেরিকাকে এর প্রতিদানে কিছু দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না, এরা বরাবরের মতোই পশ্চিমের কাছে ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছে। যুদ্ধের পরেও এই ভিক্ষাবৃত্তি অব্যাহত থাকবে। ইউক্রেনে বাইডেন পরিবারের স্বার্থ রয়েছে। এখানে দু'য়ে দু'য়ে চার মেলানো কঠিন কিছু নয়।

১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সোনাগাজী বলেছেন:



ভোটের ৩ দিন আগে এফবিআই প্রধান হিলারীর কম্প্যউটারে শেষবারের মতো ইমেইল পাওয়ায়, ইহা সন্দের সৃষ্টি করে। হিলারীর বিচার হওয়ার কথা ছিলো ট্রাম্পের সময়; সে ৪ বছরে কেন বিচার করেনি? মনে হচ্ছে, নির্বাচনের ৩ দিন আগে ইমেইল আবিস্কারের মাঝে সমস্যা ছিলো।

বাইডেনের ছেলের বিপক্ষ মামলা হয়েছে।

৬| ১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

আমি সাজিদ বলেছেন: তেলের টাকা দিয়ে আস্তে আস্তে বোমাও কিনে ফেলবে সালমান। ওদের টাকা আছে। জাত ব্যবসায়ী ওরা।

আগামী ত্রিশ বছর / পঞ্চাশ বছরের পরের পৃথিবী এখন থেকেই কেমন দেখতে পাচ্ছেন?

১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সোনাগাজী বলেছেন:



আমেরিকার সাথে বোমা সরবরাহের কোন চুক্তি থাকার সম্ভাবনা আছে; ইরান বোমা বানালে, আমেরিকা সৌদীকে অবশ্যই বোমা দেবে।

৭| ১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ট্রাম্প কথা বলে মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধ মানব জাতির জন্য একটা বড় সমস্যা। ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে সম্ভবত এই যুদ্ধ থেকে সরে আসবে। সে ব্যবসায়ী টাইপের মানুষ এবং যুদ্ধে তার আগ্রহ নাই। অ্যামেরিকার সাধারণ জনগণও যুদ্ধ পছন্দ করে না।

১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫১

সোনাগাজী বলেছেন:



সে ইউক্রেনকে ১ ডলারও দেবে না। জিলেনস্কি ভাড়াটিয়া যুদ্ধ করছে।

৮| ১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩১

আগন্তুক৬৯ বলেছেন: আমেরিকা বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উপর আবার কবে নমনীয় হবে।

১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:




আমার মনে হয়, শেখ হাসিনার সরকারের সাথে আমেরিকার সব ঠিক আছে; সরকারের সাথে আমেরিকার কি কথা হয়, উহা বাহিরের কেহ জানার কথা নয়।

৯| ১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:১১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ব্লগার ইফতেখার ভুঁইয়ার মন্তব্যের সাথে সম্পুর্ন একমত পোষণ করছি। ট্রাম্পের সাথে মার্কিন প্রশাসন খুবই অন্যায় আচরণ করছে তৃতীয় বিশ্বের রাজনীতিকেও হার মানায়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলছে ট্রাম্পের বাথরুমে রাষ্ট্রের গোপন নথি পাওয়া গিয়েছে ইহা একেবারেই অবাস্তব কথা। ট্রাম্প ইতিমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচার ব্যাবস্থার বিরুদ্ধে প্রকশ্যে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে। এদিকে ট্রাম্প এর জনসমর্থন বেড়েই চলেছে।

১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:




সমস্যা হলো, ট্রাম্পের কথা লোকজন কম বিশ্বাস করে। তার সমর্থন এখনো বুঝা যাচ্ছে না; এখন তার সমর্থন বাড়ছে রিপাবলিকানদের প্রাইমারীর জরীপে।

১০| ১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আমেরিকার আইনে দোষি সাব্যস্ত হলে ভোটাধিকার হারায়। ভোট দিতে পারে না।
কিন্তু আমেরিকার আইনে দোষি সাব্যস্ত হলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়াতে কোন বাধা নেই। অদ্ভুত আইন।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



ইহার পেছনে নিশ্চয় নাগরিক অধিকারের কোন ব্যাখ্যা আছে।

১১| ১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে আসলেই কি একদিন যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারবে?

১৪ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:



সে জিলেনস্কিকে ডলার না; দিয়ে লা ঠি হাতে ফ্রান্টে পাঠিয়ে দেবে। জিলেনস্কির ভিডিও যুদ্ধের অবসান হবে।

১২| ১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৩৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমার মনে হয় ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে খারাপ হবে না! যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণে আসবে, আমেরিকার অর্থনীতির জন্য ভাল কিছু হবে, চাকরির বাজার স্থিতিশীল হবে!

১৪ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:০১

সোনাগাজী বলেছেন:



এত ইনফ্লেশন, রিসেশনের মাঝেও চাকুরীর অবস্হা খুবই ভালো।

ট্রাম্প এলে যুদ্ধ থেমে যাবে; সে জিলেনস্কিকে আমেরিকা আসতেও দেবে না, ডলার ও অস্ত্র দেবে না; পুটিনও একটা এক্সিট পাবে; তবে, ন্যাটো কি করবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.