নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের মাঝখানে ভয়ংকর ভুল পদক্ষেপ, বিএলএফ সৃষ্টি

১৪ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫



২৫শে মার্চ ১৯৭১ সালে, পাকীদের আক্রমণের প্রথম মহুর্ত থেকেই প্রতিরোধমুলক যুদ্ধ শুরু করেছিলেন ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্ট, আনসার বাহিনী, পুলিশ, ছাত্ররা ও আমজনতা; এঁদের সবাইকে একনামে চিহ্নিত করা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা (এফএফ)। দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিলো; চলমান যুদ্ধের পাশাপাশি, একই সাথে নতুনদের ট্রেনিং দেয়া হচ্ছিলো। জুলাই মাসে আমরা খবর পেলাম যে, ছাত্রদের পক্ষ থেকে আরেকটি বাহিনী আত্মপ্রকাশ করেছে, ইহার নাম বাংলাদেশ লিবারেশান ফোর্স (বিএলএফ, এরাও মুক্তিযোদ্ধা ); যুদ্ধের শেষভাগে এদের সংখ্যা ১০ হাজারের আশেপাশ ছিলো বলে মনে মনে হয়, এরা ছাত্রলীগের লোকজন ও কিছু তৃণমুল আওয়ামী লীগ কর্মী। যথাসম্ভব, যুদ্ধ শেস হওয়ার পর, এরা নিজদিকে নতুন একটি সিভিলিয়ান নাম দেয়, "মুজিব বাহিনী"।

যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আরেকটি বাহিনী গঠন মোটেই সুসংবাদ ছিলো না; তদুপরি, এই বাহিনীতে কোন সামরিক লোকজন ছিলো না; বেশীরভাগই ছাত্র, তাদের কমান্ডারগণ ছাত্র। এই বাহিনী গঠনের মুলে ছিলো শেখ মনি, সিরাজুল আলম খান, আবদুর রব, তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক, প্রমুখ।

শুরুতে বাংলাদেশ বাহিনীতে আমজনতা ছিলো না; এপ্রিল মাসের শুরু থেকে ইপিআর ও বেংগল রেজিমেন্টের সৈনিকেরা ও স্হানীয় তরুণরা মানুষকে যুদ্ধে অংশ গ্রহনের জন্য আহ্বান জানানোর শুরু করেন, মানুষ দলে দলে যুদ্ধে যোগদান করেন; সব সেক্টরে ট্রেনিং'এর ব্যবস্হা করা হয়; মাত্র ১/২ সপ্তাহ সময়ে অস্ত্র চালনার ট্রেনিং দিয়ে তাদেরকে ফ্রন্টে ও গেরিলা যোদ্ধা হিসেব পাঠানোর ব্যবস্হা করা হয়; এদের বড় অংশ ছিলো ছাত্র ও গ্রামের কৃষকের সন্তানেরা। ছাত্রদের মাঝেও বড় অংশ ছিলো গ্রামের সাধারণ পরিবারের তরুণরা।

যেড ফোর্সের ১টি ষ্টুডেন্ট প্লাটুন ছিলো, সদস্য সংখ্যা ৩৮ জন; এঁরা চিটাগং কলেজ, চিটাগং সিটি কলেজ, নিজামপুর কলেজ ও নাজির হাট কলেজের ছাত্র ছিলেন; এঁরা সবাই ছিলেন গ্রামের বাসিনদা, শহরের বাসিন্দা কোন ছাত্র ছিলো না। ৩৮ জনের মাঝে ২২ জনই ছিলেন ছাত্রলীগের সাথে জড়িত, একজন ছিলেন সিটি কলেজের ডিগ্রি ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র; উনার নাম ছিলো নিজামুদ্দিন, তিনি শহর ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন; তাঁর সাথে রব ভাইয়ের যোগাযোগ ছিলো। বিএলএফ গঠিত হওয়ার পর, ১ নং সেক্টরে বিএলএফ ট্রেনিং ও কন্ট্রোল সেন্টার (বিএলএফ ক্যাম্প ) খোলা হয় ত্রিপুরার শ্রীনগর গ্রামের কাছেই।

জুলাই মাসের শেষের দিকে যেডফোর্সের লোকজন জড়ো হন ত্রিপুরায় অবস্হিত তাঁদের পংবাড়ী হাইড আউটে। ইহা বিএলএফ ক্যাম্প থেকে ২০/২৫ মাইলের ভেতরেই ছিলো। রবভাই এলেন বিএলএফ ক্যাম্পে, যেডফোর্সের নিজামুদ্দিন রব ভাইয়ের সাথে দেখা করে, যেডফোর্সের ২২ জন ছাত্রলীগ মুক্তিযোদ্ধাকে বিএলএফ'এ যোগদান করার ব্যবস্হা করে পংবাড়ী ফিরে এলেন। পংবাড়ীতে উনি ছাত্রলীগের সদস্যদের নিয়ে মিটিং করার চেষ্টা করলে উনাকে বাধা দেয়া হয়। উনি হতাশ হয়ে, মেজর জিয়া থেকে অনুমতি নিয়ে একা বিএলএফ'এ যোগদান করেন। যেডফোর্সে থাকাকালীন সময়ে তিনি যোদ্ধা হিসেবে ভালো করেছিলেন, তাঁকে ষ্টুডেন্ট প্লাটুনের সেকেন্ড ইন কমান্ড করা হয়েছিলো। বিএলএফ'এ জয়েন করার পর, তিনি আর যুদ্ধ করেননি; যুদ্ধের পর, জানুয়ারী মাসে তিনি নিজ দল, বিএলএফ'এর সাথে চট্টগ্রাম ফিরে আসেন। ১৯৭২ সালে তিনি ব্যাচেলর ডিগ্রি শেষ করেন এবং চট্টগ্রাম শহরে ২/৩টি রেশন দোকানের মালিকানা পান।




মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: নিজামুদ্দিন এর সাথে আপনার যোগাযোগ ছিল
মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা বই লিখুন।

১৪ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



বই লেখার দরকার ছিলো, চেষ্টা করবো। নিজাম ভাইয়ের সাথে যুদ্ধের পর যোগাযোগ ছিলো; কম বয়সেই ক্যান্সারে মৃত্যু বরন করেন।

২| ১৪ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৩১

অধীতি বলেছেন: খন্ড খন্ড ঘটনাগুলো সংকলন হওয়া উচিত। জীবন্ত মুক্তিযুদ্ধাদের থেকে এসব গল্প সংগ্রহ করা উচিত।

১৪ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:



সাধারণভাবে, মুক্তিযু্দ্ধ সম্পর্কে তরুণরা কতটুকু জানে বলে আপনার ধারণা?

সরকার থেকে পুরো মুক্তিযুদ্ধের উপর কয়েক খন্ড বই নাকি বের হয়েছে!

৩| ১৪ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২

জগতারন বলেছেন:
আপনি বয়সে নবীন অথবা প্রবীণ হলেও নানামুখী চিন্তা চেতনায় পরিপক্ব।
আপনার ভাষা আগের চেয়ে সংযত এবং বুদ্ধিদীপ্ত, আপনি নিঃসন্দেহে দেশপ্রেমিক।
আপনার জন্য অশেষ শুভকামনা রইলো, নিরন্তর।

১৪ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২০

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনাকে ধন্যবাদ।
আমাদের মাঝে ভয়ংকর বিভাজনের সৃষ্টি করেছে কিছু অদক্ষ লোকজন; মুক্টিযুদ্ধ চলাকালে "ছাত্ররা" দেশের ( প্রবাসে অবস্হনরত ) সরকারকে পাশ কাটিয়ে একটি অপ্রয়োজনীয় বাহিনী গঠন করে, আমাদেরকে বিভাজনের মাঝে ফেলেছিলো; এরাই পরে, আমাদের স্বাধীনতার সকল সুফল দখল করেছে, বাকীরা শুন্য হাতে আগের মতো অবস্হায় ফিরে গেছে।

৪| ১৪ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের দিনলিপি, অসাধারণ দলিল। লেখককে ধন্যবাদ। অনূগ্রহ করে আরো লিখুন।

১৪ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:


দিনলিপিতে কাদের লেখা স্হান পেয়েছে?

আমি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তেমন লিখি না; এর পেছনে কারণও আছে। যুদ্ধ শেষে, মুক্তিযোদ্ধাদের খালি হাতে রাড়ী পাঠায়ে দেয়া হয়েছিলো; কিন্তু যুদ্ধ না করেও বিএলএফ মুক্তিযুদ্ধের সুফল দখল করে অন্যায় করেছিলো, এই বিষটি বুঝানোর চেষ্টা করেছি।

১৪ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনার ইুরোট্রিপেরা লেখাগুলো "বেশী বড়" হচ্ছে; ছোট আকারে লিখুন ও আপনি যেসব দেশে গেছেন, সেসব দেশের মানুষের উপর লিখুন; স্হান, দৃশ্য ইত্যাদি থেকে মানুসের কাহিনীর পাঠক বেশী পাবেন।

৫| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


বিএলএফ সৃষ্টি সঠিক সিদ্ধান্তই ছিল।
মূলত জাসদ মাইন্ডের ছাত্রলীগরা বিএলএফ গঠন করলেও মুক্তিযোদ্ধারা এবং বিএলএফ প্রত্যেকেই দেশপ্রেমিক ছিল, ভারতীয় জেনারেল উবানের ট্রেনিং প্রাপ্ত বিএলএফ। মুক্তিযুদ্ধে এরা একটি প্রাণীও বেইমানি করেনি, পরস্পর সংঘাতে লিপ্ত হয়নি কখনো ষড়যন্ত্র করেনি। বিভেদ সৃষ্টি হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধের ভিতরে বিভেদ সংঘাত থাকলে বাংলাদেশ এত দ্রুত স্বাধীন হতে পারত না। বা স্বাধীন হয়ে দ্রুত সরকার গঠন করতে পারত না। আগেই হানাহানি শুরু হয়ে যেত।
মুক্তিযুদ্ধ সমাপ্ত বিজয় হওয়ার পর নেতারা জাসদ গঠন করলেও মূল মুজিব বাহিনী বেইমানি করেনি। শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেনি।

ছাত্রলীগের ও ভারতীয় বাহিনীর ট্রেনিং প্রাপ্ত বিএলএফ বেশিরভাগ রক্ষী বাহিনীতে জয়েন করে। কাদের সিদ্দিকীর কাদেরিয়া বাহিনীর অনেক তরুণ সদস্য থেকেও রক্ষী বাহিনীতে নেওয়া হয়।
বিএলএফ মুজিব বাহিনী প্রাধান্যে রক্ষী বাহিনী সদস্যরা সবাই ছিল তুখোর যোদ্ধা। তাই ৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর সকল রক্ষী বাহিনী অফিসার ঔ সদস্যকে এক ধাপ পদোন্নতি দিয়ে সেনাবাহিনীতে আত্তীকরণ করা হয়। প্রত্যেককে। এরা খারাপ হলে অন্তত সেনাবাহিনীতে নেওয়া হতো না।

মুক্তিযুদ্ধে বেইমান ছিল জিয়াউর রহমানের মত পাকিস্তান মাইন্ডেড মেজররা।
বিস্তারিত পরে বলব।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:



মধুর ক্যান্টিনের জেনারেলরা পাকী বাহিনীর সাথে বিজয়ী হয়ে দেশে ফিরেছে জানুয়ারী শেষ সপ্তাহে; আপনার জন্ম হয়েছিলো ১৯৭১ সালের আগে, নাকি পরে?

শেখ সাহেবের বাড়ী আক্রান্ত হওয়ার পর, রক্ষী বাহিনীর ডিরেক্টের, তোফায়েল আহমেদকে ফোন করে শেখ সাহেব পাননি; ভোরের আগে, রক্ষী বাহিনীর সবাই লুংগি ও গেন্জী পরে পালায়েছিলো।




১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০২

সোনাগাজী বলেছেন:





বিএলএফ ট্রেনিং নিয়েছে, যুদ্ধে যোগ দেয়নি।

৬| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: অনেককেই আপনি ভাই বলে সম্ভোধন করেন।এরা কি আপনার দ্বীনিভাই।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:




এরা সিনিয়ে ছিলো পড়ালেখায়।

৭| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:০১

কামাল১৮ বলেছেন: এসব বাহিনী ছিলো ভারতের সৃষ্টি।তাদের মূল ভাবনা ছিলো নেতৃত্ব বামপন্থীদের হাতে চলে যাওয়া নিয়ে।পশ্চিম বাংলায় তখন বামপন্থীদের আন্দোলন তুঙ্গে।তাই এতোসব বাহিনী করে তাদের সবক দেয়া হয় পাকিদের আগে বামপন্থীদের হত্যা করো।
অবৈধ ভাবে ভারতিয় বাহিনীকে প্রবেশ করিয়ে দ্রুত যুদ্ধ শেষ করে দেয়।আত্মসমর্পনে মুক্তি বাহিনীর কোন অংশ গ্রহন ছিলো না।যুদ্ধ আর কিছুদিন স্থায়ী হলে নেতৃত্ব ঠিকই বামপন্থীদের হাতে চলে যেতো।ভিয়েতনামে যা হয়ে ছিলো।ভারত সরকার সেটা চায় নাই।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০০

সোনাগাজী বলেছেন:




যুদ্ধে বামপন্হীরা সংগঠন হিসেবে ছিলো না, ওরা ভারতীয় অস্ত্রও সরাসরি পায়নি; ১ নং সেক্টরে, ত্রিপুরার সোস্যালিষ্টদের প্রচন্ড সাপোর্টের কারণে, ভাসানী পন্হীদের ১টি ক্যাম্প ছিলো; সংগঠকের নাম ছিলো ওবায়েদ বলী।

৮| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মোটামোটি অনেক লিখেছেন।
আমার ইচ্ছা আছে, সেসব একসাথে করে একটা বই প্রকাশ করবো।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি যা লিখেছি, কোনটাই পুরোপুরিভাবে লেখা হয়নি; আমি ব্লগারদের বুঝার জন্য এসব লিখি।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:



এই লেখায়, শুধু ১টা দিক লিখেছি যে, এই পদক্ষেপটা ভুল ছিলো, অপ্রয়োজনীয় ছিলো; বিএলএফ সম্পর্কে অন্য কিছু যোগ করিনি।

৯| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েও আওয়ামী লীগের এই বড় নেতারা যুদ্ধ না করে রাজনীতি করে বেড়িয়েছে। মুলত বামদেরকে থামানোর জন্য মুজিব বাহিনী গঠিত হয়। ভারতও চাইছিল তাদের একান্ত অনুগত একটা বাহিনী থাকুক কারণ মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডাররা ভারতীয় আধিপত্য কখনও পছন্দ করতো না। রক্ষীবাহিনী বানানো ছিল আরেকটা বড় ভুল। এই রক্ষীবাহিনীর প্রতি সেনাবাহিনীর একটা ঈর্ষাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। যার কারণে সেনা বাহিনীকে আপন করে নিতে পারেন নি বঙ্গবন্ধু। গরীব দেশের সেনাবাহিনীকে ভালো ভাবে সামলাতে না জানলেই বিপদ।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:১২

সোনাগাজী বলেছেন:



রক্ষী বাহিনী বানানো হয়েছিলো গণবাহিনীকে থামানোর জন্য; বিএলএফ'এর একাংশ ( জাসদ ) গণবাহিনী হয়ে মানুষ মারছিলো ও ব্যাংক ডাকাতী করছিলো।

মধুর ক্যান্টিনের জেনারেলদের সৃষ্ট বিএলএফ থেকেই গণবাহিনী হয়েছিলো।

১০| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

@ সাড়ে চুয়াত্তর - রক্ষীবাহিনীর প্রতি সেনাবাহিনীর একটা ঈর্ষাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল না।
যদি তাই হত তাহলে সকল রক্ষী বাহিনী অফিসার ও সদস্যকে এক ধাপ পদোন্নতি দিয়ে সেনাবাহিনীতে আত্তীকরণ করা হইতো না।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



রক্ষী বাহিনীতে লোক দিয়ে ছিলো তোফায়েল ও কাদের সিদ্দিকী; তোফায়েলদের দেয়া "সার্টিফিকেট" ( জে: ওসমানীর সাইন যুক্ত ) অনুযায়ী সিঁদেল চোরেরাও ছিলো; আর কাদের সিদ্দকী রাস্তার গরুছাগলকেও ১খানা করে "সার্টিফিকেট" দিয়ে ছিলো। যখন শুনেছে যে, সেনা বাহিনী শেখকে হত্যা করেছে, প্যান্ট ফেলে পুরো বাহিনী পালিয়ে গেছে।

১১| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী - সেনাবাহিনী এবং রক্ষীবাহিনীর সম্পর্ক ভালো ছিল না। রক্ষীবাহিনীর সদস্যদের সেনাবাহিনীতে না নেয়ার পক্ষপাতি ছিলেন জেনারেল ওসমানী। কিন্তু জিয়া এবং মঞ্জুর চাচ্ছিলেন নিতে। তার মূল কারণ ছিল সেনাবাহিনীর আকার বৃদ্ধি করা। কয়েকজন রক্ষীবাহিনীর কর্মকর্তাকে উচ্চ পদে সেনাবাহিনীতে নেয়ার কারণে সেনাবাহিনীতে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে কয়েকজন কর্মকর্তাকে বিদেশে অন্য দায়িত্বে দেয়া হয় পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য। জিয়ার আরেকটা যুক্তি ছিল উচ্চ সামরিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং রাজনৈতিক মনস্ক রক্ষীবাহিনী সদস্যের জনগণের সাথে মিশতে দিলে সেটা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।

১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:২৪

সোনাগাজী বলেছেন:


শেখকে দেখানোর জন্য, কাদের সিদ্দিকীর ২ হাজারের বাহিনীকে বড় করেছিলো ১০/১২ হাজার মানুষকে সার্টিফিকেট দিয়ে; একই কাজ করেছিলো তোফায়েল,ভোলার সবাই ১ খানা করে সার্টিফিকেট পেয়েছিলো।

১২| ১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:১৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বর্তমান এমপি ও ১/১১ এর অন্যতম কান্ডারী জেনারেল মাসুদও একসময় রক্ষীবাহিনীতে ছিলেন।
রক্ষীবাহিনীকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতো সেনাবাহিনী

১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:২১

সোনাগাজী বলেছেন:




শেখ সাহেব ভুল করেছিলেন, আমাদের দরকার ছিলো ২০/২৫ হাজারের পদাতিক বাহিনী, ছোট কিন্তু শক্ত বিমান বাহিনী ও অপেক্ষাকৃত বড় নৌবাহিনী ও ২/৩ কোটী রিজার্ভ ( ছাত্রছাত্রীদের থেকে )।

১৩| ১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

রাজনৈতিক মনস্ক রক্ষীবাহিনী সদস্যের জনগণের সাথে মিশতে দিলে সেটা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে?
তাহলে বিডিয়ার আনসার করে দিত।
রাজনৈতিক মনস্ক রক্ষীবাহিনী সদস্যের সেনাবাহিনীর সাথে মিশতে দিলে সেটা কি বেশি হুমকি হত না?
রক্ষীবাহিনী সদস্য প্রত্যেকে শেষদিন পর্যন্ত দেশপ্রেমের সাক্ষর রেখেছে। কিন্তু হুমকি হয় নি।
সেনাবাহিনীতে এজবত যত ষড়যন্ত্র অপকর্ম খুনোখুনি করেছে সবাই পাকিস্তানপন্থি কর্নেল জেনারেলরা করেছে।

১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:৩৯

সোনাগাজী বলেছেন:



কি কারণে শেখ সাহেব ও শেখ হাসিনা এত সামরিক অফিসারকে পুষেছিলো ও পুষে আসছে?

১৪| ১৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৩২

ধুলো মেঘ বলেছেন: বিএলএফ কেবল ট্রেনিং নিয়েছে, যুদ্ধে অংশ নেয়নি - এই একটা উক্তিতে পরিষ্কার হয়ে যায় আওয়ামী লীগের আসল চরিত্র। ৭০ এর নির্বাচনের আঙুর ফল হাতে পাবেনা - এটা বুঝতে আওয়ামী লীগ নেতাদের ৬ মাস লেগে গেল, যেখানে পাকি বাহিনী অলরেডি ম্যাস জেনোসাইড শুরু করে দিয়েছে?

জুলাই মাসে ট্রেনিং শুরু করেও ডিসেম্বর মাসেও এরা কেন যুদ্ধে নামতে পারেনি জানেন? অস্ত্রধারী পাকিদের মুখোমুখি হবার মত কলিজাই এদের নাই। নিরস্ত্র নিরীহ বিশ্বজিৎকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কয়েকজন মিলে কোপানোর মত বীরত্ব (!) দেখানো দলের নাম ছাত্রলীগ। এরা করবে মুক্তিযুদ্ধ? হাসতেও তো এনার্জি লাগে।

আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল, আমু - এরা নাকি মুক্তিযোদ্ধা! এসব ালের মুক্তিযোদ্ধাদেরকে মানুষ বেঁচে থাকতে যে পায়ের স্যান্ডেল খুলে পেটায়নি - এটা তাদের সৌভাগ্য ছিল।

একজন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ক্রাক প্লাটুনের সদস্য ছিল বলে আওয়ামী লীগের সাথে মুক্তিযুদ্ধের সামান্য সম্পর্ক ছিল বলা চলে। নইলে আওয়ামী লীগ বিশুদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধ বেঁচে খাওয়া একটি দল।

১৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:



মুক্তিযুদ্ধ করেছে মুলত গ্রামের ছাত্ররা, কৃষকের ছেলেরা, ইপিআর ও সামান্য পরিমাণ বেংগল রেজিমেন্ট। ছাত্ররাজনীতির লোকেরা ভয়ে দুরে থেকেছে, শিক্ষিতরা চাকুরী রক্ষা করেছে।

সাধারণ মানুষ ২ বার (১৯৪৭, ১৯৭১ ) চেষ্টা করেও নিজেদের ভাগ্যা পরিবর্তন করতে পারেনি।

১৫| ১৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:২৭

শাহ আজিজ বলেছেন: সাব্বাস গাজী ভাই , অসাধারন হয়েছে অজানা তথ্য প্রকাশ করার জন্য । আমরা ৭১ এর তরুনরা খুবই উপকৃত হলাম আপনার লেখা পড়ে । লিখে যান , পরে একত্র করে বই ছাপান যাবে । ছাপানোর খরচের ক্ষুদ্রাংশ বহন করতে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি । জয়বাংলা।

১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৩০

সোনাগাজী বলেছেন:



এগুলো ছাপালে অবস্হা কি হবে?
ধন্যবাদ, ছাপানো হবে।

১৬| ১৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৪১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: স্বাধীনতার পর থেকে দেশে একটি রাজনৈতিক দল এমন অনেক বাহিনী তৈরী করেছে তাদের নিয়েও কিছু লিখুন।

১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:



দেশের দলগুলোকে রাজনৈতিক দল বলাও মুশকিল, এরা আসলে বর্গীদের দল; এদের নিয়ে লিখবো।

১৭| ১৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:১০

রানার ব্লগ বলেছেন: আসলে দুঃখ জনক হলেও সত্যি যে বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ এই প্রজন্মের কাছে ফ্যান্টাসি হিসেবে বর্নিত হচ্ছে । আমার মনে হয় আপনার এবং অন্যান্যদের উচিৎ আসল ইতিহাস ও ঘটনা লিখিত আকারে প্রকাশ করা। এটা আপনাদের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতায় পরে।

১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:



মুক্তিযুদ্ধে কোন পরিচিত শিক্ষক, পরিচিত লেখক না'যাওয়াতে সঠিক সময়ে সঠিক ইটিহাস বলা হয়নি

১৮| ১৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: একজন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ক্রাক প্লাটুনের সদস্য ছিল বলে আওয়ামী লীগের সাথে মুক্তিযুদ্ধের সামান্য সম্পর্ক ছিল বলা চলে। নইলে আওয়ামী লীগ বিশুদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধ বেঁচে খাওয়া একটি দল
ধুলো মেঘ।
বাংলাদেশ কার নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছিল? জামায়াত শিবিরের নেতৃত্বে?

১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

সোনাগাজী বলেছেন:




দেশের স্বাধীনতা এনেছিলো সাধারণ মানুষ, কিন্তু তাদেরকে দেশ গঠনে অংশ নিতে দেয়া হয়নি।

১৯| ১৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আপনি কোন দলে ছিলেন?

১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

সোনাগাজী বলেছেন:





এফএফ

২০| ১৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

জিয়া কি মুক্তুযোদ্ধা?
জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তবে পাকিস্তানী চর হিসেবে।
জিয়া প্রকৃতই বেইমান বিশ্বাসঘাতক ছিলেন।
২৫ শে মার্চ রাত 9 টা দশটার ভিতরে ঢাকায় ক্র্যাক ডাউন হওয়ার পর দেশের সকল বেঙ্গল রেজিমেন্ট সদস্য বিদ্রোহ করে। অথবা বিদ্রোহ করার পূর্বেই পাকিস্তানি বাহিনীদের হাতে বন্দি হয়। এমনকি পাকিস্তানপন্থী উর্দু ভাষী বাঙ্গালীদেরও আটক করা হয়।অথচ জিয়াউর রহমানকে দেখা যায় ক্র্যাক ডাউন এর দুইদিন পরেও উনি পাকিস্তানি বাহিনীর হয়ে কাজ করছে যুদ্ধ করছে। পাকিস্তানি বাহিনীর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ত্র খালাস কাজে যাচ্ছে।
কিন্তু ছাত্রজনতা বাধা দিয়ে ইংরেজিতে ঘোষনা পাঠ করতে রেডিও অফিসে নেয়া হয়। পাকিস্তান বাহিনী চট্টগ্রাম পুনর্দখলের আগ পর্যন্ত জিয়া চট্টগ্রামেই ছিলেন খালেদা জিয়া সহ। পাকিস্তানি সেনা জানজুয়াও চট্টগ্রামেই থাকতেন।

পরে জিয়াউর রহমান সহ সব মুক্তিযোদ্ধারা জিপে করে চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবন হয়ে ভারতে চলে যান আর খালেদা জিয়া দুই শিশু পুত্রকে নিয়ে ঢাকায় কেন্টনমেন্টে চলে আসেন। কিভাবে ঢাকা গেলেন? সব রাস্তা বন্ধ ফেরি ডুবিয়ে দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা তখন ৩টি ফেরি লাগতো ঢাকা যেতে। ঢাকা কেন যাবেন ঢাকা কেন্টনমেন্টে জিয়ার কোন বাসস্থান থাকার কথা না, কারন জিয়ার ষ্টেষন ছিল চট্টগ্রামে।
পাকিস্তানি ঘাতকদের অত্যাচারে মানুষ যখন ঢাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিচ্ছিল তখন খালেদা বিপদসংকুল ঢাকায় রওয়না দিল একা কোলের বাচ্চাদের নিয়ে? বিশ্বাসযোগ্য?
আসলে জিয়া ভারত যাওয়ার আগে খালেদাকে জানজুয়ার হাতে তুলে দেন। এছাড়া খালেদার ঢাকা পৌছানোর কোন উপায় থাকার কথা না। ঢাকা কেন্টনমেন্টেই জানজুয়া ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিলেন। কোইনসিডেন্ট?

আসলে জিয়াউর রহমান ছিলেন প্রকৃতই বেইমান। আলবদরের চেয়েও বড় বেইমান।

১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭

সোনাগাজী বলেছেন:



জিয়া শেখ হত্যার প্ল্যানে যোগ দিয়েছিলো সম্ভবত: দেশ স্বাধীন হওয়ার বেশ পরেই। অবস্হানগত কারণে ১ নং সেক্টরে বেশী যুদ্ধ হয়েছে, বেশী মানুষ যুদ্ধে যোগদান করেছেন, বেশী মানুষ ট্রেনিং পেয়েছেন।

জিয়া ১ নং ও ১১ নং সেক্টরে্ যুদ্ধ করার সময় সব সময় ভারতীয় গোয়েন্দাদের মাইক্রোস্কোপের নীছে ছিলো, বাংগালী অফিসারদের মাঝে ছিলো; জে: ওসমানী, কর্নেল রব, ও ৮/৯ জন অফিসারের সাথে ছিলো; তখন যদি সে দেশের জন্য যুদ্ধ না করতো, বাকী অফিসারেরা বুঝতো, ভারতীয় গোয়েন্দারা বুঝতে পারতো।

২১| ১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্টের মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য সমূহ দারুন হয়েছে।

১৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১১

সোনাগাজী বলেছেন:



আমাদের মুক্তিযুদ্ধটা দেশের মানুষের কাছে অপরিচিত রয়ে গেছে।

২২| ১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩৫

বিষাদ সময় বলেছেন: ক্র্যাক প্লাটুন সম্পর্কে আপনার অভিমত জানাবেন কি?
এ ব্যাপারে আপনার কাছ থেকে একটা পোস্ট আশা করছি।

১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি যুদ্ধের পর ওদের নিয়ে শুনেছি; পোষ্ট দেয়ার মতো তথ্য আমার কাছে নেই। ওরা ২ নং সেক্টরের অধীনে ছিলো; উহা খুবই দুর্বল সেক্টর ছিলো। লোকজন যুদ্ধের ট্রেনিং'এর জন্য গিয়ে ফেরত গেছে। রুমীকে কোন রকম সামান্য ট্রেনিং দিয়ে, অপ্রয়োজনীয় অস্ত্র দিয়ে ঢাকা পা ঠায়েছিলো; রুমি প্রাণ হারায়েছে, সাথে আরো ২০/২২ জনের প্রাণ গেছে।

ঢাকার মতো যায়গায়, বেংগল রেজিমেন্টের কমান্ডো পাঠানোর দরকার ছিলো। আমি ক্যা: হারুনকে যুদ্ধের সময় ১ বার দেখেছিলাম মাত্র; উনারা ( খালেদ মোশাররফ ও হারুন সাহেব ) ঐ সেক্টরকে ঠিক মতো অর্গেনাইজ করেননি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.