নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি যেই সাবজেক্ট পড়তে চেয়েছিলেন, সেটা পড়তে পেরেছেন?

২২ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২২



আপনি যদি আপনার পছন্দের সাবজেক্ট পড়ে থাকেন, আপনি সৌভাগ্যবান মানুষ; গড়ে ৮০ ভাগ ছাত্রছাত্রী এখন নিজের পছন্দের সাবজেক্ট পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না, আশাহত হচ্ছে; এদের জন্য কিছু করা কি সম্ভব?

আজ থেকে ২০ বছর আগে আনুমানিক শতকরা ১০ ভাগ এইচএসসি-পাশ ছাত্রছাত্রী নিজেদের স্বপ্নের বিষয়টি পড়ার সুযোগ পেতো; এ'বছর এইচএসসি লেভেল শেষ করেছে ১২ লাখের মতো ছেলেমেয়ে; এদের মাঝে শতকরা ৬/৭ জন মাত্র পাবলিক স্কুলগুলোতে নিজেদের স্বপ্নের, কিংবা তার কাছাকাছি কোন সাবজেক্টে পড়ার সুযোগ পাবে। ধনী পরিবার কিংবা ক্ষমতাশীল লোকজনের ছেলেমেয়ে পড়তে না চাইলেও, তারা প্রাইভেটে ভালো সাবজেক্টে পড়ার সুযোগ পাবে; ৮/৯ লাখের মতো পড়তে যাবে জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ে, এরা নিজেদের পড়ার বিষয় নিয়ে কতটুকু উৎসাহী হবে, বলা কঠিন।

এবারের ১২ লাখ থেকে দেড় লাখ ভালো কিছু পড়ার সুযোগ পেলেও যে সবাই যে ভালো করবে, সেটার কোন নিশ্চয়তা নেই; ৪বছর পর, এদের মাঝ থেকে ৯/১০ লাখ গ্রেজুয়েট যখন বাজারে আসবে,৭/৮ লাখের তেমন কোন দক্ষতা থাকবে না, এরা নিজের পড়ালেখা অনুসারে কোন চাকুরী পাবার সম্ভাবনা কম; বড় অংশ বেকার কিংবা আধা-বেকারে পরিণত হবে।

এই ধরণের সমস্যা গত ১০/১৫ বছর চলে আসছে, ইহা যে সমস্যা সেই কথা সরকার কিংবা প্রশাসনের লোকজন বলছে না, ইউনিভার্সিটির শিক্ষকেরাও বলছে না; কারণ, যথাসম্ভব সরকার, প্রশাসন ও শিক্ষকদের ৮০/৯০ ভাগ মানুষ একই সমস্যার মাঝ দিয়ে গিয়ে, একটি বড় পদ দখল করে, নিজে বাঁচার পথ বের করেছে মাত্র, অন্যের জন্য কিছু করার মতো ভাবনা, কিংবা সৃজন ক্ষমতা মাথায় নেই।

এই সমস্যা আপানারা বেশ লম্বা সময় ধরে দেখছেন, দেখছেন কি করে অনেক বড় আশা নিয়ে ১২ ক্লাশ শেষ করে নিজের ইচ্ছা মতো কোন বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না আজকের তরুণ তরুণীরা। আপনার সময়ে এই সমস্যা কি রকম ছিলো, আপনি কি যা' পড়তে চেয়েছিলেন উহা পড়েছেন, নাকি অন্য কিছু পড়তে বাধ্য হয়েছিলেন?

এই সমস্যা কি সমাধানযোগ্য, কিভাবে ইহার সমাধান করা সম্ভব?



মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেই, তখন আমার পছন্দের সাবজেক্টে প্রতি সীটের বিপরীতে ৪জনের মত করে পরীক্ষা দিয়েছিলো। আমি বিশেষ ভাগ্যবান বলবো নিজেকে যে আমি চান্স পেয়েছিলাম।

বর্তমানে প্রতি সীটের বিপরীতে আরও বেশী পরীক্ষা দেয় সম্ভবত। তবে বর্তমানের ছাত্র-ছাত্রীরা আসলে কোন সাবজেক্টে পড়বে সেটা নিয়ে বেশীই কনফিউজড থাকে। অধিকাংশই পড়তে চায় এমন সাবজেক্টে, যেটা শুনতে ভালো শোনায়।

২২ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:




অশিক্ষিত পরিবারের ছেলেমেয়েরা কি পড়বে, সেটা সঠিকভাবে জানে না, পরিবারের কেহ তাদের সাহায্য করতে পারে না; শিক্ষিত পরিবারের লোকজন তাদের ছেলেমেয়ে, ভাইবোনদের সাবজেক্ট সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয় ও ভর্তিতে সাহায্য করে।

২২ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:



গড়ে ৮/৯ লাখের জাতীয় ইউনিভার্সিটির পড়ালেখার সমাধান কি?

২| ২২ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে কারগরী বিশ্ববিদ্যালয় খোলা উচিৎ।

২২ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সোনাগাজী বলেছেন:


এখন কারগরী বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব।

প্রাইভেটগুলোকে কি করা দরকার, যারা ৫০/৬০ লাখ নিচ্ছে ডাক্তার বানাতে?

৩| ২২ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

কামাল১৮ বলেছেন: আমার ইচ্ছাছিলো সাহিত্য নিয়ে পড়া।আব্বার ইচ্ছা ছিলো বিজ্ঞান নিয়ে পড়া।ভর্তিও হয়ে ছিলাম ।কিছুই বুঝিনা বলে বানিজ্যে চলে গেলাম।সেটাও মনদিয়ে পড়লাম না।কারন মনের মতো বিষয় ছিলো না।যার যে দিকে মনোযোগ তাকে সে দিকে পড়াতে হয়।সেটাই আমাদের পরিবার জানে না।তাই ঘরকাও হলাম না ঘাটকাও হলাম না।তরবর করে জীবন কাটিয়ে দিলাম।

২২ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার বাবার বয়সে বিজ্ঞান গুরুত্বপুর্ণ ছিলো; আপনার বাবা শিক্ষিত ছিলেন। যাদের পরিবারে কেহ পড়েনি, তারা কোন সাবজেক্ট পড়বে?

৪| ২২ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

চেয়ারম্যান সাব বলেছেন:




মামু, তুমি যারে বিয়া করতে চাইছিলা তারে করতে পারছো?

২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:



পেরেছি।
আপনার বিয়ের কথা পরে হবে, কোন সাবজেক্ট পড়েছেন; উহা কি পড়তে চেয়েছিলেন?

৫| ২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ''চেয়ারম্যান সাব''
কে? চিনেন?

২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:



না, উনি এখনো কিছু লিখেননি।

৬| ২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:২২

রাজীব নুর বলেছেন: মন মতো বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করা যায় না আমাদের দেশে।
কত নাম্বার পেলাম সেটার উপর নির্ভর করছে আমি কোণ সাবজেক্ট পাবো।

২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



তরুণ/তরুণীদের জীবনটাকে কন্ট্রোল করছে বেকুবেরা; ওদেরকেও বেকুব বানাচ্ছে।

৭| ২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪০

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: না, অর্থনীতি পড়তে চেয়েছিলাম, ভাগ্যে ছিল রাষ্ট্র বিজ্ঞান।

২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:২০

সোনাগাজী বলেছেন:



রাষ্ট্র বিজ্ঞানে পলিটিক্যাল ইকনোমিকস ছিলো? রাষ্ট্র বিজ্ঞান নিলে, অর্থনীতি বুঝতে হয়।

৮| ২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: রিপোস্ট !!

২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:



উৎসাহ আগের থেকে একটু কমেছে।

৯| ২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩২

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমি চেয়েছিলাম দর্শন বিষয় নিয়ে পড়তে। সামাজিক এবং পারিবারিক চাপে পড়তে পারিনি। অবশ্য একসময় ঠিকই নিজের ইচ্ছায় ও উৎসাহে বারটান্ড রাসেলের হিস্টি অব ওয়েষ্টার্ণ ফিলোসফি পড়েছিলাম। পড়েছিলাম লক, দেকার্তে, হিউম থেকে শুরু করে কান্ট, হেগেল, হাইজেনবার্গ, সার্ত্রে সহ অনেক অনেক দার্শনিকের লেখা।

জীবন জীবিকার চক্রে পরে দর্শন পড়া হয়নি, পড়েছি একাউন্টিং। যে বিষয়টা আমার একটুকু ভাল লাগে নাই পড়তে।

এখন যখন নিজের জীবনের পিছনের দিকে তাকাই, তখন মনে হয় দর্শন পড়লে আমার পক্ষে দেশে থেকে কিছুই করা সম্ভব হতো না, হয়তো গ্রামের কলেজের শিক্ষকতা করে জীবন পার করতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারির সুযোগ পেতাম না কেননা আমার পড়ালেখায় ঠিক একাডেমিক ডিসিপ্লিন ছিলো না। তবে বিদেশের মাটিতে দর্শন পড়লে হয়তো কিছু একটা করে উঠতে পারতাম।

২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংগালী সমাজে দর্শন বিষয়টা অবহেলিত হওয়ায়, জাতি তার গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে না, এবং সহজে পারবেও না। দর্শনের ছাত্রদের স্হান হওয়ার কথা সরকারের কুটনীতি, বাজেট, শিক্ষা ও সমাজসেবায়। রাজনৈতিক দলগুলো, প্রেসিডেন্ট ও প্রাইম মিনিষ্টারের দীর্ঘমেয়াদী প্ল্যানের জন্য দর্শনের ছাত্রদের এডভাইজার হিসেবে নেয়ার দরকার ছিলো।

১০| ২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:২১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: শুধুমাত্র ঢাবিতে পড়ার জন্য অনেকেই অদ্ভুত সাবজেক্ট বেছে নেয়, বিষয়টা আপনি কিভাবে দেখেন?



সাইফুর স্যার এটা কি বললেন!! =p~ নিচের ভিডিও'টি একবার দেখুন, আমি উনার সাথে একমত।

২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:১৫

সোনাগাজী বলেছেন:



এসব ব্যাপার বুঝাতে হয় স্কুলে থাকতে; শিক্ষিত পরিবারের ছেলেমেয়েরা এসব তথ্য পায় পরিবার থেকে; রিক্সাড্রাইবার ও চাষীর ছেলেমেয়েদেরকে কারা এগুলো বুঝাবে?

১১| ২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:৪৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমার তেমন কোন পছন্দের সাবজেক্ট ছিল না। আর একাডেমিক পড়াশোনাও বেশি না।
ইদানীং রাজনীতি আর সমরনীতিতে আগ্রহী।

২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:



সমরনীতি কেন, আপনি কি ইউক্রেন মুক্ত করার কথা ভাবছেন?

অনেক পরিবারের ছেলেমেয়েরা ঠিক জানতো না, তারা কি পড়বে; দু:খের বিষয়, শতকরা ৭০/৮০ ভাগ ক্ষেত্রে এরা চাকুরীগত প্রতিযোগীতায় ভালো করেনি।

১২| ২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:০৬

হবা পাগলা বলেছেন: I had interest to study Archaeology and Egyptology but studied in Computing, and working in different sector. Had not able to finish my Master's but had wish to do post Doctoral, but I never stop I did self study. Life is roundabout, only one road (way) is best for you. Its hard to choose. And success always does not means money. Long ago I ask to Old Scottish Garden Cleaner about success of his Life, he said "I grow up my 6 children, that's enough". Everyone should not be scholar, some people need to to do other job as well, but everyone should get stranded salary to maintain their stranded class life.

২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:



Old Scottish Garden Cleaner ঠিকই বলেছেন; তবে, আমাদের জাতির অবস্হা সেই পর্যায়ে যায়নি; আমাদের কৃষিতে ১ জন মানুষের চাকুরীও "রেগুলার জব" নয়; এরা বছরে ৬/৭ মাস বেকার থাকে, কোন প্রকারের মেডিক্যাল বেনেফিট পায় না, রিটায়ারমেন্ট নেই; ফলে এখানে জীবন খুবই কষ্টকর, চাকুরীর জন্য বিশেস ডিগ্রি নিতে হয়।

২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:১৫

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনি ব্লগার সত্যপথিক শাইয়্যানের পোষ্টে কমেন্ট করে দেখেন, তিনি আপনাকে সাহায্য করতে পারেন কিনা!

১৩| ২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:১৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ইউক্রেন মুক্তই আছে। আমি আরাকান জয়ের কথা ভাবছি

২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:



গত কয়েক বছরে অনেক ফেইসবুক জেনারেল আবাকান জয়ের কথা বলেছে; বার্মার সৈন্য বাহিনী বাংলাদেশের ৪ গুণ বড়।

১৪| ২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:২০

হবা পাগলা বলেছেন: I used to earn £40K in 2005 before tax and Garden cleaner used to earn approx £90K without tax.
Now in Bangladesh I earn only TK50K and hard to survive.

২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:২৫

সোনাগাজী বলেছেন:




সেটাই ইউরোপ, সময়ের সাথে সবাই জীবন ধারণের জন্য ভালো আয়ের সুযোগ পায়; বাংলাদেশের মানুষের জন্য সুযোগের সৃষ্টি করার মতো দক্ষ লোকজন সরকারে নেই।

১৫| ২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:৪২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমি কম্পিউটার হাতে পেয়েছিলাম ৯৫/৯৬ এর দিকে, তখনও আমি স্কুল ছাত্র। ছোট চাচা জার্মাানী থেকে কম্পিউটারটি নিয়ে এসেছিলনে। অফিসের কিছু কাজ দেখিয়ে দিলেন আমিও কিছু বই কিনে শেখার চেষ্টা করলাম। চাচা ওয়েব ডিজাইন জানতে যদিও তিনি জার্মানীতে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছেন। সেই থেকেই মূলত প্রযুক্তির প্রতি ভালোবাসা জন্মে গেল। প্রোগ্রামিং শেখা শুরু হলো ভিজ্যুয়াল বেসিক, কিউ বেসিক, সি ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে এরপর ফোরট্রান, সি++, ভিবি স্ক্রিপ্ট, জাভা স্ক্রিপ্ট, এইচটিএমএল, সি.এস.এস, মাই এস.কিউ.এল, পাইথন শেখা। এখন সুইফট আর কটলিন শিখছি।

তখন থেকেই ইচ্ছে ছিলো কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়বো, কিন্তু পরিবার চাচ্ছিলো ব্যবসায় নিয়ে পড়তে। এস.এস.সি আর এইচ.এস.সি. দিলাম ব্যবসায় বিষয়ে পরে অবশ্য আমেরিকায় এসে ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে পড়াশোনা করেছি। বাবা চাপাচাপি করেন নি, তবে পরে অবশ্য কম্পিউটার নিয়ে আমার আগ্রহ দেখে বলেছেন তোমার যেটা নিয়ে পড়তে ভালো লাগে সেটাই পড়। আমি সেটাই করেছি। গ্র্যাজুয়েশন শেষে বাবাকে গাউন পরে ছবি পাঠালাম, খুশিতে বাবা কান্না করেছিলেন। প্রায় এক যুগ পরে বাংলাদেশে গিয়ে দেখি আমার সেই গ্র্যাজুয়েশনের অফিশিয়াল ছবি ফেমে বাধানো। ওটাও বাবার কাজ। রাব্বুল আলামিন এক জীবনে যতটা দিয়েছেন তার জন্য শুকরিয়া জানাই। এখনো শিখছি, পড়ছি, জানার চেষ্টা করছি। সবচেয়ে বড় বিষয় আমি যে বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছি, সে বিষয়েই আমি কাজ করছি।

ইচ্ছে মতো বিষয়ে পড়তে পারাটা আসলে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অংশ বলেই আমার মনে হয়। তবে বাবা-মা'র সাথে সন্তানদের এসব নিয়ে খোলামেলা কথা বলা উচিত। বাবা-মা'কে সুযোগ দিতে হবে সন্তানকে তার মত প্রকাশ করার। অভিভাবকগণ অবশ্যই তাদের মতামত জানাবেন বা ভালো মন্দ বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করবেন। সমস্যা হলো, বেশীরভাগ বাবা-মা'ই হয়তো সন্তান যেটা পড়তে চান সে বিষয়ে ভালো ধারণা রাখেন না আর সমস্যা সেখানেই বাধে। সময় পরিবর্তন হয়েছে, বর্তমানে মা-বাবা তুলনামূলকভাবে আগের চেয়ে অনেক বেশী বিজ্ঞ বলে আমি মনে করি। আমার ছেলে শতভাগ স্বাধীনতা পাবে তার ইচ্ছেমত বিষয়ে পড়ার, তবে আমি অবশ্যই আমার মতামত জানাবো তাকে। বাকিটা তার হাতে। পড়াশোনা ব্যক্তিগত বিষয়, এখানে চাপাচাপি করে খুব বেশী ভালো কিছু আশা করা সম্ভব নয়। ধন্যবাদ।

২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:





আপনার বেলায় সবই আপনার পক্ষে গেছে; চাচা আপনাকে টেকনোলোজীর পথ দেখেয়েছেন, বাবাও কিছুটা সাহায্য করেছেন; ফলে আপনি আপনার পথ সহজে বেছে নিতে পেরেছেন; ইহা কাজ করছে। বেশীরভাগ শিক্ষিত পরিবারের ছেলেমেরা পরিবার থেকে সাহায্য পেয়ে থাকে।

সমস্যা আছে ৯ কোটি চাষী মানুষদের ছেলেমেয়ে, অশিক্ষিত প্রবাসী শ্রমিক ও শহরের গেটো এলাকার ছেলেমেয়েরা; এরা ঠিক গন্তব্য সম্পর্কে জানে না।

২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ২:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



সুইফট দিয়ে কি এ্যাপলিকেশন লিখবেন?

১৬| ২৩ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৮:৫৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: সুইফট দিয়ে কি এ্যাপলিকেশন লিখবেন?
মূলত আইওএস ভিত্তিক এ্যাপ তৈরী করার জন্য শেখা হচ্ছে আর কটলিন মূলত এ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের জন্য। চাকুরীর বাজারে এজ ধরে রাখা আর নিজস্ব কিছু ব্যবসায়িক চিন্তা-ভাবনা থেকে এগুলো শেখা প্রয়োজন মনে করছি। ধন্যবাদ।

২৩ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



বুঝলাম, ক্রমাগতভাবে পরিবর্তিত কমা্প্যুটিং জগতের সাথে তাল মিলিয়ে থাকা।

১৭| ২৩ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১০:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: এখনো অনেক পরিবারের বাচ্চারা জানে না তারা কোন বিষয়ে পড়বে । বাবা মা বড় ভাই বড় বোন ঠিক করে দেয় । সব থেকে আরো বিচ্ছিরি ব্যাপার পরিবারের অভিভাবক নিজে যা করতে পারে নাই বা পড়তে পারে নাই তা তার সন্তান কে ধরে বেধে ওটাই করতে বা পড়তে বাধ্য করে। আমি প্রাই শুনি কেউ কেউ বলে আমার খুব শখ ছিলো ইঞ্জিনিয়ার হবো হতে পারি নাই তাই ছেলে বা মেয়ে কে বুয়েটে পড়ানোর চেষ্টা করছি অথচো সেই ভদ্রলোক একবারের জন্য তার ছেলে বা মেয়ে কে জিজ্ঞাসা করে না যে সে কি হতে চায় । তার ভবিষ্যত প্ল্যান কি ? বাংলাদেশে এমন অন্যের বোঝা মাথায় নিয়ে চলা মানুষ অজস্র আছে ।

২৩ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:০২

সোনাগাজী বলেছেন:



ইহার কারণ, বাবা-মা, ভাইবোন সুযোগ নিজে না'পাওয়ায় মনে কষ্ট বহন করে চলেছে।

১৮| ২৩ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১০:০৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


চাইনি তাই পড়াও হয়নি। ইদানীং আমার সাইকোলজি এবং নিউরোসায়েন্সে আগ্রহ জন্মেছে।

আপনি একটা ব্যাপার বলেন ' দেশের ভার্সিটিগুলো নিয়ে যে হাইপ থাকে [ সায়েন্স,কর্মাস,আর্টস] সাবজেক্টস গুলো নিয়ে ধারণা পোষণ করা হয়,বাস্তবতার নিরিখে তা কতটুকু গ্রহণযোগ্য।

*** কাছের একজনকে গুচ্ছ ভার্সিটিতে আবেদন করে দিতে হবে।

২৩ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



সায়েন্স,কর্মাস,আর্টস, ইতয়াদি সময়ের প্রয়োজনে এসেছিলো, এগুলোর প্রয়োজন উপরের ক্লাশে এখনো দরকার; তবে ১২ শ্রেনী অবধি সবাইকে সব সাবজেক্টস পড়ানোর দরকার।

১৯| ২৩ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১০:০৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


চাইনি তাই পড়াও হয়নি। ইদানীং আমার সাইকোলজি এবং নিউরোসায়েন্সে আগ্রহ জন্মেছে।

আপনি একটা ব্যাপার বলেন ' দেশের ভার্সিটিগুলো নিয়ে যে হাইপ থাকে [ সায়েন্স,কর্মাস,আর্টস] সাবজেক্টস গুলো নিয়ে ধারণা পোষণ করা হয়,বাস্তবতার নিরিখে তা কতটুকু গ্রহণযোগ্য।

*** কাছের একজনকে গুচ্ছ ভার্সিটিতে আবেদন করে দিতে হবে।

২৪ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:




একটা ডিগ্রি থাকলে যেকোন বিষয়ে নিজে পড়ালেখা করা যায়।

২০| ২৩ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মা সব সময় চাইতেন- তার ছেলেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুক।
আমার মনে মনে ইচ্ছা ছিলো মায়ের ইচ্ছাটা পূরন করি। কিন্তু আমি পারি নাই। ইন্টারে নাম্বার কম ছিলো। শেষমেশ জগাবাবু (জগন্নাথ) ছাড়া গতি ছিলো না।

আমার বড় ভাই মায়ের স্বপ্ন পূরন করতে পেরেছে। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে।

২৩ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:



কম নম্বর নিয়েও হাজার হাজার ছেলেমেয়ে ঢাকা ইুনিভার্সিটিতে পড়েছে।

২১| ২৩ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞান ছেড়ে নিজের ইচ্ছায় হিসাব বিজ্ঞান পড়েছি। কিন্তু এখন মনে হয় বিজ্ঞান পড়া উচিত ছিল।

২৩ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:



মনে হয়, বিজ্ঞান পড়লে বিশ্ব, সমাজ ও মানুষক্বে বুঝাটা কিছুটা সহজ হয়।

২২| ২৪ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০৩

নতুন বলেছেন: প্রথমে পাইলট হবার ইচ্ছা ছিলো। তাই বিজ্ঞান নিয়ে HSC পাশ করি।

প্রথম বার বিমান বাহিনিতে পরিক্ষা দিয়ে iSSB ফেল করি দুইটা কারনে। ১) ইংরেজীতে দূবল ২) শারিরিক ভাবে দূবর্ল

অনার্সে ইংরেজী সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনা করি।

তারপরে হোটেল ম্যানেজমেন্ট করতে মালোয়েশিয়া যাই। সেখান থেকে কোর্স শেষ করে বর্তমান কর্মস্থলে যোগ দেই।
তারপরে রেস্টুরেন্ট ম্যানেজমেন্ট ডিপাটমেন্টে কাজ করবো বলে সিদ্ধান্ত নেই।

জীবনে এখন পযন্ত মোটামুটি সব কিছুই নিজের পরিকল্পনা মতনই চলছে। দেখি বাকি সময়গুলি এমন ভাবে যায় কিনা।

সামনে পরিকল্পনা:- ব্যবসা শুরু করা। পরিকল্পনা চলছে। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিক মতন লাগছে না . B-)

কয়েকটা প্রজেক্টে লস হয়েছে কিন্তু চেস্টা অবশ্যই থেমে থাকবেনা।

২৪ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:



যাক, প্রাইমারী আশা পুরণ না'হলেও সেকেন্ডারীটা কাজ করেছে। নতুন প্রচেষ্টাও সফল হবে।

২৩| ২৪ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নতুন বলেছেন: আসলে পরিকল্পনা ঠিক থাকলে কাজে সফলতা পাওয়া যায়।

এয়ার র্ফোসের ঐ পরিক্ষার জন্য যথেস্ট প্রস্তুতি হয়তো ছিলো না।

ইংরেজির এতোটা প্রয়োজন হবে জানলে অবশ্যই শিখে নেওয়া যেতো।
আর ডাস্ট এলার্জির সমস্যা ছিলো যেটা সেই সময়ের ডাক্তারেরা ধরতে পারিনাই এবং তারা ঠান্ড, শর্দির ঔষুধ দিতো। কলেজে পড়ার সময়ে এলাজিৃর বিষয়টা ডা: গবিন্দ সনাক্ত করেন এবং চিকিতসা করেন এবং তার পর থেকে ভালো আছি।

ডাক্তার অবশ্য বলেছিলো যে তোমার যেই সমস্যা সেটা দেশের বাইরে বসবাস করলে কমে যাবে। বাংলাদেশের পরিবেশই ডাস্ট এলার্জির রোগীদের জন্য কস্ট কর।

২৪ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:



আমেরিকায়ও পাইলট'এর জন্য নিতে বেশ বাচাই করে; তবে, এদের বাচাই সঠিক আছে; বাংলাদেশের বাচাই সঠিক নয়।

২৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাংলা বা ইংলিশে পড়ার সুযোগ ছিল। পড়া হয়নি। পরে বুঝতে পারি ভুল হয়ে গেছে।

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩

সোনাগাজী বলেছেন:



যথাসম্ভব, শৈশবে আপনি দরকারী পরিমাণ সাহায্য পাননি; ফলে, আপানার পথ চলাটা কঠিন হয়ে গেছে; বাংলাদেশের ৬০ ভাগের বেশী ছেলেমেয়েকে এই সমস্যার মাঝ দিয়ে যেতে হচ্ছে আজো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.